নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: প্রতিশোধ

২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আজও নাসিমার দিনটা শুরু হল থাপ্পড় খেয়ে। থাপ্পড় উর্মিই মারল। সকালবেলায় উর্মির ঘরে চা নিয়ে ঢুকেছিল নাসিমা। চায়ে নাকি চিনি কম হয়েছিল তাই । নাসিমাকে উর্মি প্রায় দিনই উঠতে-বসতে চড়-থাপ্পড় মারে। নাসিমা কী আর করবে। চুপচাপ সহ্য করে যায়। ঢাকা শহরে ভাত যে অত সস্তা না, তা নাসিমা জানে। ওর মতো যারা এই শহরে বেঁচে আছে, তারা কিল গুঁতো খেয়েই বেঁচে আছে।

নাসিমার ওপর বিরক্ত উর্মি। নাসিমা ভারি অলস। তার ওপর কথা শোনে না। কোনও কাজেরও না। চা-টাও ঠিকমতো বানাতে পারে না। তবে নাসিমার ওপর উর্মির বিরক্ত হওয়ার অন্য একটি কারণ রয়েছে। নাসিমা আর উর্মি দুজন প্রায় সমবয়েসি। তাছাড়া দুজনের চেহারায় ভারি মিলও আছে। ওদের দেখলে যমজ বোন বলে মনে হয়। উর্মীর রংটা ওর বাবার মতন। শ্যামলা। নাসিমার সঙ্গে উর্মির চোখ -নাক -ঠোঁট, এমন কী ঠোঁটের নিচের তিল পর্যন্ত মিল। দাঁড়ানো কিংবা তাকানোর ভঙ্গিতে মিল আছে । এতে উর্মী অস্বস্তি বোধ করে । ও বোঝে যে এ নিয়ে লোকে আড়ালে কথা বলে। অথচ এমন হওয়ার কথা নয়। ব্যাপারটা কাকতালীয় ছাড়া আর কি! মাস তিনেক হল এ বাড়িতে কাজে ঢুকেছে নাসিমা। শেরপুরের মেয়ে। ঝর্নার মা দিয়ে গেছে। র্ঝনার মা এই এরিয়ায় কাজের লোক সাপলাই দেয়।

উর্মী ওর মাকে বলে, মা, নাসিমাকে বিদায় করে দাও। ভারি পাজি মেয়ে। কথাটথা শোনে না।

মা বলে, দেখি।

দেখিটেখি না। ওকে বিদায় করে দিতেই হবে। উর্মি খানিকটা চেঁচিয়েই বলে।

উর্মির মা মোর্শেদা মেয়ের কথা সিরিয়াসলিই নেন। তার কারণ আছে। মোর্শেদার বড় ছেলে আরমান কানাডায় সেটেল করেছে। যোগাযোগ খুব একটা রাখেও না । ছেলের অবর্তমানে উর্মিই এখন সব ...



একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে উর্মি । আনজুম নামে একটা ছেলের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট সম্পর্কও গড়ে উঠেছে। আনজুম দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম। বলিষ্ট গড়ন। ঘাড় অবধি চুল। ৩২ লাখ টাকার মিৎসুমিসি ইএক্স ল্যান্সার চালায়। আনজুমরা বেশ রিচ। ওদের তৈরি পোশাক ও আবাসন শিল্পের পারিবারিক ব্যবসা। উর্মীর বাবারও তৈরি পোশাক ও আবাসন শিল্পের ব্যবসা। তাই আনজুমের সঙ্গে ঘনিষ্ট হতে দ্বিধা করেনি উর্মির।



একদিন বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরল উর্মি। বাড়ির সামনে লোকজনের ভিড়। তারা গেটের ওপাশে উকিঁ দিচ্ছে। উর্মি অবাক। কি ব্যাপার? উর্মি মোবাইল অফ করে রেখেছিল। আজ সারাদিনই উর্মি আনজুমের সঙ্গে ওদেরই একটা নতুন প্রজেক্টের ফাঁকা ফ্ল্যাটে কাটিয়েছে। এরকম মাঝে-মাঝেই যায় ওরা। তখন মোবাইল বন্ধ রাখে উর্মি।

গেটের কাছে ইদ্রিস দাঁড়িয়ে । ইদ্রিস এ বাড়ির দারোয়ান। উর্মি জিগ্যেস করে, কি ব্যাপার ?

ইদ্রিস বলল, নাছিমায় সুইসাইড করছে আফা।

উর্মির বুকটা ধক করে ওঠে। কি ... কি ভাবে?

ইদ্রিস গলায় ওড়না প্যাঁচায়।

ওহ্ । কখন?

কইবার পারি না। তিনটার সময় হইব।

চোখেমুখে অন্ধকার দেখে উর্মি। সেই সঙ্গে অজানা আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে।

গতকাল রাতেও নাসিমাকে বিদায় করার জন্য মাকে চাপ দিয়েছিল উর্মি।



নাসিমার আত্মহত্যার ব্যাপারটা ধামাচাপা দিতে তেমন বেগ পেতে হয়নি উর্মির বাবা এ কে নাজমূল করিমের। একে তিনি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তার ওপর পলিটিক্যাল কানেকশন ভালো। পুলিশ রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হল । ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায়নি বলে পানি বেশি ঘোলা হয়নি।



নাসিমার ব্যাপারটা ভুলে যেতে উর্মির সময় লাগেনি। তবে মনের ভিতরে একটা খচখচানি ছিল। ঝর্নার মার সঙ্গে কথা বলেছিল উর্মি। নাসিমা মা-বাবাকে হারিয়েছিল ছোটবেলায়। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের কাছে লাত্থিগুঁতা খেয়ে মানুষ। গ্রামে কেউ নেই। চাকরি ছাড়তে হবে শুনে ভীষন ভেঙে পড়েছিল নাসিমা। ঝর্নার মা রাতারাতি অন্য কোথাও কাজ ঠিক করে দিতে পারেনি। আরও কটা দিন থাকার জন্য উর্মির পায়ে ধরেছিল নাসিমা । উর্মি লাথি মেরেছিল ...

...কিন্তু নাসিমার জন্য শোক করার সময় নেই। জীবনের আনন্দিত মুহূর্তগুলি কাটছে উর্মির । আনজুম নতুন একটা স্পোটস কার কিনেছে। সেই প্রচন্ড গতির গাড়িতে বসে থাকলে আত্মগ্লানি টের পাওয়া যায় না ।



মাস ছয়েক পরের ঘটনা।



... দিনটা ছিল মেঘলা। আনজুম-এর সঙ্গে ওদেরই প্রোজেক্টের একটা অর্ধ-সমাপ্ত বহুতলে এসেছে উর্মি। আনজুম আজকাল ক্লাসও কম করে। রিয়েল এসটেট ব্যবসায় সময় দিচ্ছে বেশি। আবাসন শিল্পে নাকি মন্দা চলছে । আনজুমের বাবা ঋন-টিন নিয়ে বেশ টেনশনে আছেন। আনজুম ওর বাবাকে হেল্প করছে।

বেশ বড়ো সরো ফ্ল্যাট। বত্রিশ ’শ স্কোয়ার ফিট। ফাঁকা ফ্ল্যাট। পুরো কাজ তখনও শেষ হয়নি। জানালার কাঁচ লাগানো হয়নি। মেঝেতে টাইলস বসানোর পর ঘঁষাঘঁসি চলছে বোঝা যায়।

উর্মি চুমু খেতে যাবে-আনজুম মুখ সরিয়ে নেয়।

কি হল? উর্মি অবাক।

একটা সিগারেট ধরিয়ে গম্ভীর কন্ঠে আনজুম জিজ্ঞেস করল, ছেলেটা কে?

ছেলেটা কে মানে? উর্মি অবাক। সতেরো তলার ওপর হুহু বাতাসে ওর চুল উড়ছিল।

যার সঙ্গে গতকাল বিকেলে প্রিন্স প্লাজায় ঘুরছিলে? আনজুম এর কন্ঠস্বর কী রকম শীতল শোনায়।

উর্মি কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলে, কি আশ্চর্য! গতকাল বিকেলে আমি আমার কাজিন, মানে মুনমুনদের বাড়িতে ছিলাম। ওর বার্থডে ছিল। তোমাকে আগেই বলেছি।

মিথ্যাকথা! বলে উর্মির গালে থাপ্পড় মারে আনজুম।

থাপ্পড় টলে ওঠে উর্মীর।শ্যামলা মুখে আঙুলের লাল ছোপ পড়ে। মাথার ভিতরে বিদ্যুতের রেখা বয়ে গেল যেন। তারপরও নিজেকে সামলে উর্মি বলল, বিশ্বাস না হয় তো মুনমুনকে ফোন ...কথা শেষ হল না। দ্বিতীয় চড়টা উর্মির গালে ওপর ফাটল।

উর্মি আতঙ্কে নীল হয়ে যায়। আমাকে মারার জন্য আনজুম আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে? এখন যদি খোলা জানালা দিয়ে আমাকে নীচে ফেলে দেয়। কিন্তু কেন? আমি তো কাল বিকেলে মুনমুনদের বাড়িতে ছিলাম। আনজুম তাহলে প্রিন্স প্লাজায় কাকে দেখল? ওর শরীরে শীলত স্রোত বয়ে যায়।

উর্মি দৌড় দেয়। ফ্ল্যাটের দরজা লাগানো হয়নি । সেই ফাঁকা জায়গায় উর্মির চুলের মুঠি ধরে ফেলে আনজুম। উর্মি থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। ভাগ্য ভালো ... আনজুম তখনই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়। উর্মি করিডোরে বেরিয়ে আসে। করিডোরে শ্রমিকরা কাজ করছিল। কাঠের কাজ। গ্রিলের কাজ।

কিছুটা রক্তাক্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে উর্মি।

অনেকটা সময় বাথরুমে কাটায়। রক্ত পরিস্কার করে। বাথটাবে শুয়ে থাকে। কাঁদে। শরীরে কোষে কোষে আনজুমের প্রতি ঘৃনা টের পায় । আর ভয় পায়। কে ছিল প্রিন্স প্লাজায়? আমার মতো দেখতে। কেন? ওর শরীর শিরশির করে।

রাতে অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখে উর্মি । দেখে ফাঁকা একটা ঘর। কাঠের মেঝে। ঠিক মাঝখানে সোফা। কে যেন মুখ ঘুরিয়ে বসে রয়েছে। উর্মি জানে কে ... ঘরে একটাই দরজা। উর্মি জানে দরজা খুললে কাকে দেখতে পাবে ...

ইউনিভার্সিটি আর যায় না উর্মি। সারাদিন ঘরে থাকে। বাড়িতেও ভালো লাগে না। মনে হয় কেউ ওকে দেখছে। বাথরুমে গেলে শরীর শিরশির করে। একরাতে। রাতে ঘুম আসছিল না। বিছানায় শুয়ে ছটফট করছিল। আলো জ্বেলে দেখে রাত দুটো বাজে। চা বানাতে কিচেনে গেল । কিচেনে আলো জ্বলছিল। নাসিমাকে চা বানাতে দেখে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে। ...তারপর থেকেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে ওকে। এ বাড়ি থেকে আমাকে পালাতে হবে। উর্মি মনে মনে বলে।

রাতে ঘুম হয়নি।

সকালে মা বলে, তোর সঙ্গে কথা ছিল।

বল।

মা বলল, জানিসই তো, তোর বাবার শরীর ভালো না। তোর বাবার তোর জন্য একটা ছেলে পছন্দ করেছে।

উর্মি দীর্ঘশ্বাস ফেলে। মুক্তি এত সহজে মিলবে কে জানত। উর্মি বলে, তুমি বাবাকে বলো, বিয়েতে আমি রাজি মা।

পাত্রের নাম মাহাতাব আহমেদ পল্লব। বুয়েট থেকে পাস করা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার । বড় একটি রিয়েল এসটেট ফার্মে চাকরি করে। অফিস গুলশান। থাকে উত্তরা।

... বিয়ে হয়ে গেল।

বিয়ের পর ধানমন্ডিতে আলাদা ফ্ল্যাট নিল মাহাতাব । পড়াশোনা আর কনটিনিউ করল না উর্মি । বিয়ের পর শরীরজুড়ে কেমন এক আলস্য ভর করল। মাহাতাব সারাদিন অফিসে থাকে। রান্নাবান্না আর শপিং করে কখন উর্মির সময় কেটে যায় । টেলিফোনে মার সঙ্গে কথা হয়। মাঝে-মাঝে উর্মির দেওর - ননদরা সব আসে। ওদের সঙ্গে কথা বলেও সময় কাটে।

উর্মির শাশুড়ি একটা কাজের মেয়ে পাঠিয়েছিলেন। কালো করে শুকনো মতন ষোল-সতেরো বছর বয়েস। মেয়েটির নাম ‘নাসিমা’ শুনে চমকে উঠেছিল উর্মি। বলল, না মা থাক। আমার এখন কাজের লোকের দরকার নেই। পরে যখন লাগবে তখন আপনাকে বলব।



বিয়ের তিন মাস পর উর্মির বাবা মারা গেলেন।

স্ট্রোক ...

তার ঠিক ছ’মাস পর উর্মির মা ।

উর্মিদের কলাবাগানের বাড়িটা শূন্য আর ফাঁকা হয়ে গেল।



বিষন্ন শোকগ্রস্থ উর্মিকে আগলে রাখল মাহাতাব ।

পৃথিবীতে উর্মির যে আর কেউ রইল না, তা বুঝতে দিল না। মালয়েশিয়া নিয়ে গেল। সপ্তাহ খানেক পেনাং ছিল। তেলুক বাহাং বিচে অনেক রাত অবধি জেগে থেকে মাবাবা মৃত্যুর শোক ভোলার চেষ্টা করেছে উর্মি। রিডাং আইল্যান্ডে ঘুরে বেড়াল। পমপম আর মাবুল আইল্যান্ডেও গেল।

বিয়ের পরপরই উর্মি বুঝেছিল- মাহাতাব দারুণ কোমল মনের একটা ছেলে । দারুন সফিসটিকেডে। রবীন্দ্রসংগীত শোনে। বই পড়ে। ভালো ভালো মুভি দেখে। আর ক্রিকেট পাগল। রান্নাবান্নার ব্যাপারেও মাহাতাবের প্রবল উৎসাহ আছে। রান্নার সময় সাহায্য করে উর্মিকে ।



এক সন্ধ্যায় মাহাতাব ঘরে ফিরে এল। মুখ ভীষণ গম্ভীর।

উর্মির বুক ছ্যাঁত করে ওঠে। কিছু হয়েছে? কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করে উর্মি।

মাহাতাব গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, ছেলেটা কে?

মুহূর্তেই জমে যায় উর্মি । সেই সঙ্গে প্রবল এক আতঙ্ক গ্রাস করতে থাকে। কোনওমতে বলে, ছেলেটা কে মানে?

আজ দুপুরে যার সঙ্গে বসুন্ধরায় ঘুরছিলে?

ফ্ল্যাটে যেন বজ্রপাত হল!

উর্মি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে, কি বলছ তুমি? আশ্চর্য! আমি তো আজ সারাদিনই ঘরে ছিলাম। তোমার জন্য পিকিং ডাক রান্না করছিলাম। ওই দ্যাখো ওভেনে এখনও আছে। বারোটা দিকে তোমার সঙ্গে একবার কথা হল। কেন তোমার মনে নেই?

আমি সাড়ে তিনটের দিকে ফোন করেছিলাম। তখন ফোন ধরনি কেন? মাহাতাবের কন্ঠস্বর কেমন শীতল শোনালো।

ফোন করেছিলে? কখন? মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছিল। হুমায়ুন আহমেদের একটা বই পড়ছিলাম ...

মাহাতাব আরও কাছে এগিয়ে আসে। ওর চোখমুখ কেমন কঠোর দেখায় । চিবিয়ে চিবিয়ে বলে, বিয়ের আগে তোমার সঙ্গে কারও সম্পর্ক ছিল উর্মি?

উর্মি কি উত্তর দেবে? ওর সারা মুখে নোনতা ঘাম পড়েছে । মুখটা তিতা লাগছে। জিভ ভারী। নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে।

মাহাতাব বলে, বিয়ের আগে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে বিয়ের পরও কনটিনিউ করা ...ছিঃ ... আমি তোমাকে বিশ্বাস করতাম ...

উর্মির সারা শরীর কেঁপে ওঠে। উর্মি জানে মাহাতাব আনজুম-এর মতো রাফ না। ওর গায়ে হাত তুলবে না। তবে মাহাতাব আর একসঙ্গে থাকবে না। মুহূর্তেই অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে ওঠে। হয়তো ... হয়তো উর্মিকে কলাবাগানের শূন্য আর ফাঁকা বাড়িতে ফিরে যেতে হবে ... যে বাড়িতে ওর জন্য অপেক্ষা করে আছে নাসিমা ...

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: চমৎকার লাগলো গল্পটা! প্লাসাইলাম বস B-)

২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০৭

শিশিরের বিন্দু বলেছেন: বেশ চমৎকার গল্প.......:)

২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৫

অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: বস আমিও একটা গল্প লিখছিলাম। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। আপনাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরনা পেলে ভালো লাগে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: দেখছি। ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০২

সানজিদা হোসেন বলেছেন: সুন্দর।উর্মি নামটা আমার খুব প্রিয়। আমার খুব ভাল একটা বন্ধুর নাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৩৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: খুবই জটিল। প্লাস।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ভাই, আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকি। লেখা ভাল হয়েছে ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩১

নিশম বলেছেন: সুন্দর গল্প !

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫১

সুদীপ্ত কর বলেছেন: চমৎকার :D :D

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৩১

অগ্নিলা বলেছেন: :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: !:#P

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৫

নষ্ট কবি বলেছেন: জোস ভাই- সব সবসময়ের মতই দারুন লেগেছে- ভাল থাকবেন সবসময়


ঈদে র অগ্রিম শুভেচ্ছা

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৬

েমঘদূত_েমঘ বলেছেন: প্লাস।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৬

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: চমৎকার লাগল +++

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪৮

বাজপাখি বলেছেন: সুন্দর হরর গল্প।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:২৫

সাম্যবাদীসেনা বলেছেন: +++++++++++++++্ B-)

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:২৪

মেঘের দেশে বলেছেন: ওহ এক টানে শেষ করলাম। সিম্পলি অসাধারন বস।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৪১

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: রহস্য রোমাঞ্চ গল্প চমৎকার লাগলো।

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৪২

১১স্টার বলেছেন: চমৎকার আর রহসময়ী গল্প। খুব ভালো লাগছে। ভয়ে ভয়ে একটা লিংক দিলাম যদি সময় পান ক্লিক কইরেন 86

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:২৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: দেখছি। ধন্যবাদ।

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২০

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: অন্যরকম। একেবারেই। প্রতিশোধ... যদি সত্যিই এমন হত!

ভাল লাগা রেখে গেলাম :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:০৯

খুশবু বলেছেন: ভয়ানক

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫২

মাসুদুল হক বলেছেন: ভৌতিক গল্প লিখলেন! :)
ভালো লাগলো।

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৪১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেই উর্মির মতো দেখতে মেয়েটাকি নাসিমার ভুত?

এটাও দারুন হয়েছে!

আপনার ভৌতিক গল্প গুলো পড়েল ভুতের জন্যই মায়া লাগতে থাকে খুব :(

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ। B:-)

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভ্যাবাচেকা খাবার কি হলো X((

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :|

২৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩০

আকাশ_পাগলা বলেছেন: বসের লেখা আস্তে আস্তে অন্যরকম হচ্ছে।
ভালই লাগছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: !:#P !:#P

২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৮

রোদঁশী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন...একা একা উর্মিকে ঐ বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন :( :(

+++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :(

২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৫৭

বিরোধী দল বলেছেন: :( :( :( :(

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:০০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: |-)

২৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: :) :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:২১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

২৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

ভাংগা কিবোর্ড বলেছেন: চমৎকার লাগল +++

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এই গল্পটা অসাধারণ লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.