![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
শালীনতা ও ইসলাম ঃ বর্তমান প্রেক্ষিত- অধ্যাপক মাও.বি.এইচ মাহিনী, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ
ইসলাম সৌন্দর্যের ধর্ম। আর শালীনতা মানব জীবনের অন্যতম সৌন্দর্যের দিক। শালীনতার অর্থ নিজেকে গোপনকরা বা ঢেকে রাখা নয় বরং শালীনভাবে অশালীনতার বিরুদ্ধে নিজেকে বিকশিত করা। শালীনতার পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। শালীনতা মানবীয় গুনাবলির সমন্বিত রূপ। যার মধ্যে বিশেষ প্রনিধানযোগ্য দিক হলো-ভদ্রতা, নম্রতা, সৌন্দর্য, সুরুচি, লজ্জাশীলতা, সভ্যতা ও মার্জিত স্বভাব ইত্যাদি। মূলত চলাফেরা, পোশাক-পরিচ্ছদ, কথাবর্তা, আচার-আচরণের মাধ্যমেই শালীনতা ফুটে ওঠে। আসুন এবার শালীনতার পরিচয় জেনে নেই। শালীনতা একটি বাংলা শব্দ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো modest, polite, decorous, decent ইত্যাদি। আরবীতে একে "খইর" বা "হাসান" বলা হয়ে থাকে। Oxford dictionary তে বলা এর অর্থ করা হয়েছে-'people who have been taught how to behave in socially correct way.' শালীনতার মূল অর্থ হলো আচরনে মার্জিত, সুন্দর ও শোভন হওয়া। মোটকথা, কথা-বার্তা, আচার-আচরণ ও চলাফেরায় ভদ্র, সভ্য ও মার্জিত হওয়াকেই শালীনতা বলে। যে ব্যক্তি যত বেশি শালীন সে তত বেশি সম্মানিত ও ব্যক্তিত্ববান হয়ে থাকে। গর্ব-অহংকার, ওদ্ধত্য ও অশ্লীলতা ত্যাগ করে আচরণিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে নীতি-আদর্শ বিশেষত কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন গঠনের মাধ্যমে শালীনতা অর্জন করা সম্ভব। ইসলামে শালীনাতার গুরুত্ব অপরিসীম। শালীনতা বিবর্জিত হওয়ায় মানুষ দিনে দিনে ইভটিজিংসহ সামাজিক নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। অথচ পবিত্র কোরান ঘোষনা করছে, আল্লাহ তায়ালা বলছেন, '(হে মুহাম্মাদ) মুমিন পুরুষদের বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে।' তেমনি ভাবে নারীদের ব্যপারেও বলা হয়েছে, 'মুমিন নারীদেরও বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকেও সংযত রাখে, (সুরা মুমিনুন)।' মুসলিম শরীফের হাদিসের মধ্যে মহানবি স. বলেছেন, 'লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।' আরো বলা হয়েছে, 'লজ্জাহীন নারী লবনহীন তরকারীর মত'। 'যার লজ্জা নেই তার ইমান নেই'। সুনানু নাসাইতে বলা হয়েছে, 'লজ্জাশীলতা ইমানের একটি শাখা।' এছাড়াও মহানবি স. বলেছেন, 'অশ্লীলতা যেকোন জিনিসকে খারাপ করে এবং লজ্জাশীলতা যেকোন জিনিসকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে' (তিরমিযি)। শালীনতার নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে, ' আর তোমরা (নারীরা) নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না' সুরা আহযাব, আয়াত ৩৩। এছাড়াও সুরা নূরে বলা হয়েছে, 'আর তারা যেন তাদের বুকের উপরে ওড়না ফেলে রাখে'। একথা আজ দিবালোকের মতো সত্য যে, পোশাক-পরিচ্ছদ ও চলাফেরায় শালীনতার অভাবে সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটছে। ইভটিজিং, যেনা-ব্যভিচার বেড়েই চলেছে। মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুত্বের দিকে ধাবিত হচেছ। ফলে সমাজে অনাচার, ব্যভিচার ও অশ্লীলতা ছড়িযে পড়ছে। শালীনতা ও নৈতকি শিক্ষার অভাবে মানুষের কুপ্রবৃত্তি ও কামনা-বাসনা পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচেছ। নিজ বাবা-মাকে খুন করা ঐশী তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আমরা চাইনা পৃথিবীতে আর কোন ঐশীর জন্ম হোক। আর তা বাস্তবায়ন করতে চাইলে আপনা আমাকে ফিরে আসতে হবে ইসলামে আদর্শিক মূল্যবোধের দিকে। যেখানে মহানবী স. বলেছেন, 'তোমাদের কেউ যদি কোন অপরিচিতা নারীর দিকে যৌনললুপ দৃষ্টিতে তাকায় তবে কেয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত গলিত লোহা ঢেলে দেয়া হবে।' সুতরাং আমরা যদি এ হাদিস অনুযায়ী আমল করতে পারি তবে আমরা আমাদের মা-বোনদের সম্মান করতে সক্ষম হবো। তাছাড়া পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, 'যেনাকারী ও যেনাকারীনী উভয়ই জাহান্নামী।' আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
বাপ্পী২০১১ বলেছেন: সুন্দর