![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
নারীর মর্যাদা রক্ষায় ইসলামঃ আজকের বাস্তবতা
মাওলানা বি.এইচ.মাহিনী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট
“বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”
নারীর পরিচয়ঃ
নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বোঝানো হয়। এর বিপরীত পুরুষ, নর প্রভৃতি। ইংরেজীতে নারীর প্রতিশব্দ করা হয়েছে Female বা Woman. সংস্কৃত নৃ শব্দটি থেকে নারী শব্দটির উৎপত্তি (নৃ+ঈ=নারী)। বিভিন্ন আসমানী কিতাব যেমন বাইবেল, কুরআন ইত্যাদি অনুসারে হাওয়া পৃথিবীর প্রথম নারী বা মানবী। ‘নারী’ শব্দটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী-মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে ইসলাম নারীকে মর্যাদা দিয়েছে তিনভাবে এক মাতা হিসেবে, দুই বঁধু, তিন কন্যা হিসেবে। যেখানে ‘মেয়ে’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় স্ত্রী-শিশু বা কিশোরীর ক্ষেত্রে। তাছাড়া বয়সের বাধা ডিঙিয়েও ‘নারী’ শব্দটি সমগ্র স্ত্রী-জাতিকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন: ‘নারী অধিকার’ দ্বারা সমগ্র স্ত্রী জাতির প্রাপ্য অধিকারকে বোঝানো হয়।অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে নারীর সংগায় বলা হয়েছে- ‘An adult female human’ এছাড়াও বলা হয়েছে-‘a wife’. আরবিতে নারীর সমার্থক শব্দ ধরা হয় ‘নিসা’ বা ‘নিসাউন’।
পরিসংখ্যানে নারীঃ
উইকিপিডিয়া মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে জানা যায় যে, ‘সিআইএ’ এর ওয়ার্ল্ড ফ্যক্টবুক এর হিসাব অনুযায়ী বর্তমান (জুলাই-২০১৩) বিশ্বের জনসংখ্যা ৭,০৯৫,২১৭,৯৮০। যারমধ্যে নারী পুরুষের অনুপাত হলো ১০০:১০১। অর্থৎ যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩,৫৭১,৩৭৪,০৯৯ জন, সেখানে নারীর সংখ্যা ৩,৫২৩,৮৪৩,৮৮১ জন। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারীর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের নারীর সংখ্যা ৭কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার। পুরুষ ও নারীর সংখ্যার অনুপাত ১০০:১০৩। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৬৩ বছর।
নারীদের বর্তমান অবস্থাঃ
নারীর বর্তমান অবস্থা আপাত দৃষ্টিতে খুব দৃষ্টিনন্দন মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা খুবই সোচনীয়। ইভটিজিং, যৌতুক, পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় গোড়ামীর কারণে নির্যাতন ইত্যাদির মাধ্যমে নারী আজ তার প্রকৃত সম্মান, স্বাধীনতা ও মর্যাদা হারাতে বসেছে। একদিকে ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা, অপরদিকে নারী স্বাধীনতার নামে কামুকতা- এ দুই অবস্থা যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে নারী। এ উভয় অবস্থায়ই নারী সমাজকে পিষ্ট করে লাভবান হচ্ছে পুঁজিবাদী ও উপনিবেশবাদীরা। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের নারী সমাজকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে; জানতে হবে মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা কোথায়, কিসে তাদের সম্মান- অর্থে না মূল্যবোধে? একথা জেনে অবাক হতে হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একজন নারী স্বামী কর্তৃক প্রহৃত হয়। ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এর ১৯৯৮ সালে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৯ লক্ষ ৬০ হাজার পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আর, প্রায় ৪০ লক্ষ নারী তার স্বামী অথবা বয়ফ্রেন্ডের দ্বারা শারীরিকভাবে হয় নির্যাতিত। এছাড়া পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিজ ও অভিনয় শীল্পের নামে নারীদেরকে পন্যাকারে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। নারী-পুরুষের লাগামহীন মেলামেশা আর প্রবৃত্তি পূরণের অবাধ স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ ফলাফল স্বরূপ পশ্চিমা সমাজসহ সারা বিশ্বে আজ নারীরা অহরহ হয় ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। এমনকি এই বিকৃত আচরণ থেকে সমাজের নিষ্পাপ শিশুরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। নারী স্বাধীনতার অগ্রপথিক যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে ধর্ষিত হয় একজন নারী, আর বছরে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় সাড়ে সাত লক্ষে। (সূত্র : দি আগলি ট্রুথ, লেখক মাইকেল প্যারেন্টি)। আর, বৃটেনে প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন নারী ধর্ষিত হয়। শুধু পাশ্চাত্য কেন, ধর্ষণের শিকার আজ ভারত, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নারীরা। শারীরীক নির্যাতনের শিকারও হচ্ছে নারীরা। বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ফেলানী হত্যা মামলায় ভারতীয় আদালত বিএসএফ সদস্য অমিয়কে বেকসুর খালাস দিয়ে নারী নির্যতনের আরেকটি অধ্যায়ের সূচনা করল।
ইসলামে নারীর মর্যাদাঃ ইসলামে নারীরর মর্যাদা কী তা জানতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের জেনে নিতে হবে ইসলাম পূর্ব যুগে নারীর অবস্থা কেমন ছিল। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-“সেই সমাজের কাউকে তার কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার সুসংবাদ দিলে সারাদিন তার মুখ কালো হয়ে থাকত।.......সে চিন্তা করত এ অপমান সহ্য করে সে মেয়েকে বাচিয়েঁ রাখবে নাকি মাটির তলায় পুতে ফেলবে। কতই না খারাপ সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করত।” (সুরা নাহল-৫৮)। অথচ মহানবী স. এর আগমনের পর নারী ফিরে পায় তার সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার। ইসলাম নারীকে প্রধানত চারটি স্তরে সম্মান দেখিয়েছে। এক. নারী সমাজ তথা নারী জাতি হিসেবে। দুই. মাতা হিসেবে, তিন. স্ত্রী/বঁধু হিসেবে, চার. কন্যা বা মেয়ে হিসেবে। আসুন একে একে জেনে নিই সে সকল মর্যাদাগুলো।
এক. নারীসমাজ বা নারীজাতি হিসেবে মর্যাদাঃ এ প্রসংগে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন-“হে মানব সম্প্রদায়! আমি তোমাদের সৃষ্ঠি করেছি এক পুরুষ ও নারী হতে” সুরা আল-হুজরাত-১৩। নারী জাতির অধিকার বর্ণনা করে সুরা আল বাকারায় আল্লাহ তায়ালা বলেন-“নারীদের তেমনই ন্যায়সংগত অধিকার রয়েছে, যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের”। সৎকর্মশীল নারী সওয়াবের ক্ষেত্রেও পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে না। যেমন আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসা’র মধ্যে বলেছেন-“ইমানগ্রহণ করে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যেই সৎকর্ম করবে সেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এব্যাপারে কারও প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না। তিনি আরও বলেন-“নিশ্চয়ই আমি নষ্ট করে দেই না তোমাদের মধ্য থেকে কোন আমলকারীর আমলকে, সে পুরুষই হোক বা নারীই হোক” সুরা আলে ইমরান-১৯৫। নারী জাতির প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন স্বয়ং রসুলুল্লাহ স. তিনি তাঁর দুধমাতা হালিমার (রা.) সম্মানে দাড়িয়েঁ যেতেন, নিজের চাদর বা রুমাল বিছিয়ে তাকে বসতে দিতেন, তার কুশলাদি জিজ্ঞাস করে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন।
দুই. মাতা হিসেবে নারীর অধিকার ও মর্যাদাঃ মায়ের মর্যাদা বর্ণানা করতে গিয়ে সুনানু নাসায়ী শরীফের মধ্যে মহানবী স. বলেন-“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত”। একবার একজন সাহাবি রসুলুল্লাহর স. কাছে এসে বললেন হে রাসুল স. আমি কাকে সেবা করব পিতাকে না মাতাকে? উত্তরে নবীজি বললেন তোমর মায়ের, তোমার মায়ের, তোমার মায়ের অত:পর তোমার পিতার। এ হাদীস থেকে একথা প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামে মায়ের মর্যাদা কত বেশি। একথা দিবালোকের ন্যায় সত্য যে, গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও মায়ের এক ফোটা দুধের ঋণ শোধ দেয়া যাবে না। পিতা-মাতার সাথে উত্তম আচরণের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে সুরা নিসার ৩৬ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “এবং তোমরা পিতা-মাতার সাথে উত্তম আচরণ করবে”। একই কথা সুরা বনিইস্রাইলের মধ্যেও বলা হয়েছে এভবে-“যদি তাদের একজন কিংবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেঁর উদ্দেশ্যে কখনো ‘উপ’ শব্দ উচ্চারণ করবে না। তাদেরকে ধমক দিও না, বরং তাদের সাথে মার্জিত ভাষায় কথা বল”। পিতামাতার মাগফিরাত কামনা করে কীভাবে দোয়া করতে হবে তাও আল্লাহ তায়ালা শিখিয়েছেন এভাবে “হে আমার প্রতিপালক! আমার পিতামাতাকে ক্ষমা করুন” সুরা নুহ-২৮। এছাড়াও সুরা বনী ইস্রাইলের ২৪ নং আয়াতে দোয়া শেখানো হয়েছে এভাবে-“রাব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানির ছগিরা”। আবু উমামা রা. হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ স. কে জিজ্ঞাস করল, হে আল্লাহর রসুল, সন্তানের উপর পিতা-মাতার কী হক আছে? তিনি বললেন, তারা তোমার বেহেশত ও দোজখ”। ইবনে মাজাহ।
তিন. স্ত্রী/বঁধু হিসেবে নারীর মর্যাদাঃ রসুল স. তার স্ত্রীদেরকে সবচেয়ে বেশি ভাল বাসতেন। তিনি বলতেন “আমর কাছে তিনটি জিনিস খুব প্রিয় তা হলো নামাজ, সুগন্ধি ও স্ত্রী”। সুরা আল বাকারায় স্ত্রীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে এভাবে-“তারা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোষাক এবং তোমরা হচ্ছ তাদের জন্য পোষাক”। আরও বলা হয়েছে-“স্ত্রীদেরও তেমন অধিকার রয়েছে যেমন স্বামীদের রয়েছে তাদের উপর এবং তা যথাযথভাবে আদায় করতে হবে” সুরা বাকারা-২২৮। সুরা নিসার ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে-“তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্ত্রীগণকে তাদের প্রাপ্য(মহর) দিয়ে দাও”। “নারীদের রয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে (উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে) নির্ধারিত অংশ” সুরা নিসা-৭। হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, মহানবী স. বলেছেন, “পূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র উত্তম এবং যে তার পরিবার-পরিজনের(স্ত্রী-পুত্রদের) প্রতি সদয়” তিরমিযি। স্বমীর উপর স্ত্রীর অধিকারের বর্ণনা দিতে গিয়ে মহানবি স. বলেন, “তার অধিকার হলো যখন তুমি খাবে তখন তাকেও খাওয়াবে, তুমি যখন যে মানের কাপড় পরবে তাকেও সেই মানের কাপড় পরাবে, তার মুখে আঘাত করবে না। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করবে না” (আবু দাউদ)। মহানবী স. তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে চাঁদনী রাতে দৌড় প্রতিযোগীতা করেছেন। একরাতে হয়ত তিনি বিজয়ী হয়েছেন অন্য রাতে তাঁর স্ত্রী। হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবীজি আমার হাত থেকে গোশতের টুকরা নিয়ে সেখানে মুখ দিতেন যেখানে আমি মুখ দিয়ে খেয়েছি। তিনি আমার কাছ থেকে পানির পেয়ালা নিয়ে সেখানেই চুমুক দিতেন পেয়ালার যে স্থানে আমি চুমুক দিতাম। রসুলুল্লাহর ঘরে ধন-দৌলত ছিল না তবে মহব্বত দিয়ে ঘরটা ভরা ছিল। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে ঘরে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে মিল মহব্বত আছে তা জান্নাতের মত, আর যেখানে মিল-মহব্বত নেই তা জাহান্নামের মত।
চার. কন্যা বা মেয়ে হিসেবে নারীর মর্যাদাঃ হযরত আ. ইবনে আব্বাস রা. বলেন, নবী স. বলেছেন, কোন ব্যক্তির ঘরে কন্যা সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর সে যেন তাকে জাহেলিয়াতের ন্যায় জীবিত কবর না দেয় এবং তাকে তুচ্ছ মনে না করে, আর পুত্র সন্তানকে উক্ত কন্যা সন্তানের উপর প্রাধান্য না দেয় তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন” (আবু দাউদ)। আমরা যখন বাজার থেকে কোন খাদ্য দ্রব্য নিয়ে আসি তখন সর্বপ্রথম মেয়েদের দিয়ে বিতরণ শুরু করব। জাহিলিয়া যুগে যেখনে মেয়েদেরকে জীবন্ত করব দেয়া হতো মহানবী স. সেখান থেকে মেয়েদের তথা কন্যাদের তুলে এনে জান্নাতের রমনী ও সর্দারিনীর আসনে বসিয়ে দিলেন। মাহানবী স. বলেছেন, যদি কারো তিনটি কন্যা সন্তান থাকে আর পিতা যদি সে তিনটি কন্যাকে সুশিক্ষায় তথা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে পর্দা-পুশিতার সাথে সৎপাত্রে পাত্রস্থ করতে পারে তবে আমি ও সেই পিতা জান্নাতে পাশাপাশি অবস্থান করব।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। আমাদের সমাজে একদিকে এখন আধুনিকতার নামে অশ্লীলতার প্রর্দশনী , অন্যদিকে ধর্মের নাম দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে নারীদের তুচ্ছ দ্বিতীয় শ্রেনী হিসেবে গন্য করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতে এবিষয়ে আরও বিস্তারিত বিষয়ভিত্তিক লেখার প্রত্যাশা থাকলো।ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: অসাধারন তথ্যবহুল পোষ্ট। ভাল লাগল। প্রিয় তালিকায় রাখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।