নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরুর মাংসঃ আধুনিক বিজ্ঞান ও ইসলাম

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

গরুর মাংসঃ আধুনিক বিজ্ঞান ও ইসলাম

মাওলানা বি.এইচ.মাহিনী, সাংবাদিক ও শিক্ষক

জীব হত্যা মহাপাপ। পৃথিবীর প্রতিটি জীবের প্রতি দয়া দেখানো কর্তব্য। তবে সকল জীবই মানুষের কল্যাণে সৃষ্টি। তাই আমরা নানা পশু-পাখি ও অন্যান্য জীব-জন্তু হত্যা করি ও তা দিয়ে আহার করে থাকি। তার মধ্যে অন্যতম একটি প্রাণী হলো গরু বা গাভী। হিন্দু ধর্মে গাভী বা গরুকে দেবতা তুল্য করে তার পূজা অর্চনা করা হয়। তাই হিন্দু ধর্মে গুরুর মাংস ভক্ষণ গর্হিত কাজ। তবে ইসলাম ধর্মে গরুর মাংস ভক্ষণ হারাম না হলেও তা ভক্ষণ করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন মহানবী স. বলেছেন-“তোমরা গাভীর দুধ নিয়মিত পান কর। কেননা উহা শেফা (রোগমুক্তি) এবং তাহাতে ঔষুধ রয়েছে। এবং ‘ঘি’ কেননা উহাতেও শেফা রয়েছে, তবে উহার গোস্ত থেকে বাঁচো (দুরে থাক) কেননা তাতে রোগ আছে। (হাশিয়ায়ে মুসনাদে ইমাম আযম)। এখানে উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় ওলামায়ে কেরাম বলেন, মানুষ গরুর মাংস খাওয়ার পূর্বে তাহকিক করে নিবে অর্থৎ কোন অসুস্থ ব্যক্তি যেন তা না খায়, অথাবা রোগাগ্রস্থ গরুর গোস্ত যেন না খায়। মেডিকেল সায়েন্স বলছে, পরীক্ষা অনুযায়ী গরুর গোস্তে এক প্রকার ব্যাটেরিয়া থাকে যা টিবি ও হৃদরোগের মত কঠিন রোগের কারণ। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে গরুর গোস্ত থেলে একদিকে কলিজায় ফোড়া হয়, অন্যদিকে মস্তিষ্কেও ভয়ানক সমস্যা সৃষ্টি হয। যাকে ম্যাডকাউ ডিজিজ বলা হয়। ইংল্যন্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিফেন ডোরেল তার স্ম্প্রতি এক বর্ণনায় এককথার সত্যতা স্বীকার করেছেন যে, গাভীর থেকে সি.জে.ডি নামক একটি রোগ আত্মপ্রকাশ করেছে। যে রোগ হলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। এমনকি স্মরণ শক্তি নিঃষেশ হয়ে যায়, যার ফলে অনেক রোগীকে আত্মহত্যা করতে আগ্রহী দেখা যায়। লাল মাংস অর্থাৎ গরুর মাংস শরীরের জন্য ক্ষতিকর—এ কথা সবাই জানে। লাল মাংস বা রেড মিট অর্থাৎ গরু বা ছাগলের মাংসে আছে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি, যা স্থূলতা বাড়ায়, রক্তনালীতে চর্বি জমায়, হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহকে ব্যাহত করে, রক্তচাপ বাড়ায়, ডায়াবেটিস জটিল করে তোলে, স্ট্রোক ও হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, যেমন কোলন ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে এই লাল মাংস। বিশেষ করে যারা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা হৃদরাগে ভুগছেন, তারা বিশেষভাবে সাবধান থাকবেন। মনে রাখবেন, কোনো অবস্থাতেই দৈনিক খাদ্যতালিকায় চর্বিজাতীয় খাদ্য যেন ৩০ শতাংশের বেশি না হয়। আর তার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকবে মাত্র ৭ শতাংশ। যাদের ওজন বেশি, তাদের অবশ্যই মাংস পরিহার করে চলতে হবে। এছাড়া হৃদরোগী, কিডনির রোগী, আলসার, উচ্চরক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল সম্পন্ন রোগীদের যত কম মাংস খাওয়া যায়, ততই ভালো। গরু ও খাসির মাংসে সম্পৃক্ত চর্বি বেশি থাকে। এছাড়া কোলেস্টেরল থাকে কলিজা, মগজ, হৃদপিন্ড ও চর্বিতে। খাসির মাংসে চর্বি বেশি থাকে। কারণ খাসির মাংসের প্রতি পরতে চর্বির দেখা মেলে। আর গরুর মাংসের চর্বি বেশিরভাগ আলগাভাবে থাকে, যা সহজে পৃথক করা যায়। চর্বি কমিয়ে মাংস থেকে গেলে বাড়তি চর্বি ছাড়িয়ে মাংস সেদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করলে কিছুটা নিরাপদ। সুইডেনে যক্ষা মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। করণ হিসেবে জানা গেছে, এর কারণ হলো গরুর মাংস। এরপর যখন গরুর চিকিৎসা করা হলে আশ্চর্যজনকভাবে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় এবং উক্ত রোগের উৎপত্তি বন্ধ হয়ে যায়। শুধু সুইডেনই নয়, আস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের বহু দেশে গরুর কারণে বহু নতুন নতুন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমাদের উচিৎ গরুর মাংস ভক্ষনের ক্ষেত্রে আরো বেশি সচেতন হওযা উচিত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

এ-বি-সি বলেছেন: জীব হত্যা মহাপাপ--- এটা বৌদ্ধ ধর্মের কথা, মুসলমান ধর্মের কোন কথা না। আপনার নাম দেখে তো হিন্দু মনে হচ্ছে, মুসলমানদের ধর্মে গরুর গোশত থেকে নিরুৎসাহিত করতে চাচ্ছেন। ইসকনের টাকা খেয়ে নেমেছেন নাকি, সাধারণত এনজিও কর্মী টাকা খাওয়ার কোন বাচ বিচার থাকে না।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫

শরীফ উদ্দীন বলেছেন: আমি ঠিক বুঝলাম না গরুর প্রতি এতো বিতশ্রদ্ধ কেন.? হিন্দু ধর্মেও গরু খাওয়া না খাওয়া নিয়ে নানান মত রয়েছে। কেও এটাকে বৈধ বলেছেন কেওরা অবৈধ বলেছেন, কেওবা আবার নিরব থেকেছেন। আর মুসলীমদের কথা বলছেন, কোথায় গুরু খাওয়া নিষেধ পাইছেন...!!
চতুষ্পদ জন্তুকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতে তোমাদের জন্যে শীত বস্ত্রের উপকরণ আছে, আর অনেক উপকার হয়েছে এবং কিছুসংখ্যককে তোমরা আহার্যে পরিণত করে থাক। (সুরা নাহলঃ আয়াত-৫)
মারেফুল কোরআনের টিকায় লেখা আছে, তখনকার আরবদের জীবিকা ছিল পশু পালন। আর পশুবলতে উট, গরু, ছাগল, দুম্বা বুঝাতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.