![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
Almighty Allah said in the holy Quran: “Allah permitted trading and forbidden usury.” (Sura Al-Bakarah)সুদের আরবি পরিভাষা হলো ‘রিবা’। আর ‘রিবা’ শব্দটির অর্থ হলো ‘আসলের অতিরিক্ত যোগ হওয়া’। আর ইংরেজীতে বলা হয় Interest. Oxford dictionary তে Interest এর অর্থ করা হয়েছে ‘the extra money that you pay back when you borrow money or that you receive when you invest money.’ Encyclopedia of Wikipedia তে বলা হয়েছে-‘Interest is a fee paid by a borrower of assets to the owner.’ বাংলা পরিভাষায় ‘ঋণের অর্থ ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত অর্থকে সুদ বলা হয়’। পবিত্র কুরআনে মূলত এ আসলের অতিরিক্ত যোগ হওয়াকে অবৈধ বলে ঘোষনা করা হয়েছে। সুদের বৈশিষ্টের মধ্যে রয়েছে- ক) সুদ ঋণের সাথে জড়িত সেটা অর্থ ঋণ হোক বা পণ্য ঋণ হোক। খ) আসলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। গ) সময়ের অনুপাতে বৃদ্ধি ও পরিমান নির্ধারিত হওয়া। ঘ) সময়ের অনুপাতে আসল বৃদ্ধি পাওয়াকে ঋণের শর্ত হিসেবে গ্রহণ করা। সহীহ বুখারীর ‘রিবা’ অধ্যায়ের টিকাতে উল্লেখ আছে যে, ‘রিবা’ বা ‘সুদ’ দুই প্রকার। ১. রিবা নাসিয়া’ আর তা হলো এমন ধরনের ঋণ যা অন্যকে ব্যবসার জন্য দেয়া হয় এবং নিদির্ষ্ট হারে সুদ আদায় করা হয় উক্ত ঋণের উপর।আর ঋণ যেহেতু কোন না কোন সময়ের জন্য হয়ে থাকে, সেজন্য রিবা-এ-নাসিয়া হচ্ছে সময়ের সাথে অর্থের বিনিময়। অন্য কথায়, ঋণে সেই মেয়াদকালকে নাসায়া বা নাসিয়া বলা হয় যা ঋণদাতা আসল ঋণের উপর নির্ধারিত পরিমান অতিরিক্ত প্রদানের শর্তে ঋণ-গ্রহীতাকে নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং রিবা এ নাসিয়া হচ্ছে ঋণের উপর সময়ের প্রেক্ষিতে ধার্যকৃত অতিরিক্ত অংশ। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, ঋণদাতা নাসির সাহেব ঋণগ্রহীতা মাজিদকে এই শর্তে ১০০ টাকা এক বছরের জন্য ঋণ দিলো যে, এক বছর পর মাজিদ উক্ত ১০০ টাকা আসলের সাথে অতিরিক্ত ১০ টাকা ফেরত দেবে। এক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত ১০ টাকা ১০০ টাকার ১ (এক) বছরের সুদ বা বিনিময় বা রিবা এ নাসিয়া। রাসুল সা. এর হাদিস হতেও রিবা এ নাসিয়ার ঐ অর্থ পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, ‘নাসিয়া’ ব্যতীত রিবা(সুদ) নেই। এবং ‘প্রতীক্ষাতেই রিবা রয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, ঋণের উপর ধার্যকৃত সুদকে বরা হয় রিবা এ নাসিয়া’। ২. ‘রিবা এ ফাদল’ : এটা হলো এক প্রকার মালের পরিবর্তে অন্য ভালো/উৱকৃষ্ট মানের বা বেশি পরিমান দ্রব্য বিনিময়। অর্থাৱ খারাপ মালের পরিবর্তে ভালো মাল বা কম মালের পরিবর্তে বেশি পরিমান মালের বিনিময়। অন্য ভাবে বলা যায় যে, কই জাতীয় পণ্যের কম পরিমানের সাথে বেশী পরিমান হাতে হাতে বিনিময় করা হলে দ্রব্যের অতিরিক্ত পরিমানকে বলা হয় ‘রিবা এ ফাদল’। সুতরাং উক্ত উভয় প্রকার রিবা বা সুদ হারাম বা নিষিদ্ধ। সহীহ হাদীসে এ বিষয়ে বর্ণনা আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
বিএইচ মাহিনী বলেছেন: নিজে জানুন। অন্য জানার সুযোগ দিন।