নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবে বরাত নিয়ে কিছু কথা ও ভুল ধারনার অবসান-বি এইচ মাহিনী

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৪



‘শব’ ফারসি শব্দ, অর্থ রাত। 'বরাত' শব্দটিও ফারসি,অর্থ ভাগ্য। দু’শব্দের একত্রে অর্থ ভাগ্য-রজনী। কিন্তু শবে বরাতের রাত্রি আসলে ভাগ্য-রজনী নয়। এটা প্রচলিত নামকরণের ভুল। আসলে এটার নাম হল ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা‘বান’ বা শাবান

মাসের পবিত্র মধ্য রজনী। তাফসীরকারকদের মতে সূরা আদ- দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত অনুযায়ী প্রকৃত ভাগ্য রজনী হলো লাইলাতুল কদর, যা রমযানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাত্রিগুলো। এই শা’বানের মধ্যরাত্রি পালন করার হুকুম নিয়ে

আলেমদের মধ্যে তিনটি মত রয়েছে:

১) শা‘বানের মধ্য রাত্রিতে মসজিদে জামাতের সাথে নামায ও অন্যান্য ইবাদত করা জায়েয ।

২) শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে সামষ্টিকভাবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে ইবাদতবন্দেগী করা জায়েয।

৩) এ ধরণের ইবাদত সম্পূর্ণরূপে বিদ’আত-হোকতা ব্যক্তিগতভাবে বা সামষ্টিকভাবে।

দুই কিংবা তিন নম্বর মতামতের পক্ষে বেশিরভাগ আলেমগন মত দিয়েছেন। তবে শবে বরাত নিয়ে আমাদের দেশে যেগুলো স্পষ্ট বিদআত এবং ভ্রান্ত বিশ্বাস প্রচলিত আছে সেগুলো হল-

১) এই রাতে এক বছরের জন্য রিজিক লিপিবদ্ধ করা হয়,

২) এ রাতে ইবাদাত বন্দেগী করলে সৌভাগ্য অর্জিত হয় ও ভাগ্য পরিবর্তনহয়,

৩) এ রাতে গোসল করাকে সওয়াবের কাজ মনে করা হয়,

৪) সারা রাত ধরে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে যেমন প্রতি রাকাতে দশবার সূরা ইখলাস দিয়ে একশত রাকাত নামাজপড়া,

৫) মোমবাতি জ্বালানো, হালুয়া রুটি তৈরী করা ইত্যাদি।

উপরের কাজগুলো সম্পূর্ণ বিদআত এবং শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই। এই বানোয়াট কাজগুলো শুধু আমাদের এই ভারতীয়

উপমহাদেশেই চালু আছে। এগুলো করলে বরং উল্টা গুনাহ হবে। কারণ এ ধরনের কাজ আল্লাহর রাসূলও করেননি, চারখলীফা, সাহাবাগণ কিংবা পরবর্তী ইমামগনওকরেননি বা করতে বলেননি। শবে বরাতের রাত্রিতে ইবাদত করা বা দিনে রোজা রাখা নিয়ে আলেমগন বিভিন্ন মত দিলেও এসব ইবাদত করাকে বাধ্যতামূলক মনে করা যে বিদআত, এই বিষয়ে সবআলেমগনই

একমত। আপনি যদি শবে বরাত পালন করতেই চান, তবে একা একা ঘরে বসে কুরআন অর্থ- ব্যখাসহ পড়লেন কিংবা স্বাভাবিক নিয়মের নফল নামাজের মত করেই নামাজ পড়লন, কিছু জিকির করলেন, পরদিন চাইলে রোজা রাখলেন। এই ইবাদত হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে ক্ষমা প্রার্থনারজন্য, কিন্তুনিজের ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্দেশে নয়।

তবে সারাবছর নামাজ, রোজা না করে শুধু এইদিন সারারাত জেগে ইবাদতকরলে রাতজাগা ছাড়া আর

কিছুই হবেনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.