নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত। -বি.এইচ.মাহিনী

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৮

পবিত্র রমজান মাসের রোজা প্রত্যেক সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরয ইবাদত। আর রমজানে পর শাওয়ালের ছয় রোজা একটি নফল ইবাদত। তবে এ রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। মহানবী সা. বলেছেন ‘যে ব্যক্তি রমজান রমজান মাসের রোজা রাখল অত:পর শাওয়াল মাসের ছয় রোজাও রাখল ওই ব্যক্তি যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ (সহিহ মুসলিম-১১৬৪) এ হাসিসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববি (রহ.) বলেন আলিম সম্প্রদায় বলেন, ‘এ ছয় রোজাকে পুরো এক বছরের রোজার সওয়াবের পর্যায়ভূক্ত করা হয়েছে এজন্য যে, বান্দার প্রতিটি ভালো আমলকে আল্লাহ তায়ালা ১০ গুন সওয়াব বৃদ্ধি করে দান করেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘যে একটি সৎ কাজ করবে, সে তার ১০ গুন সওয়াব পাবে। (সুরা আনআম : ১৬০)। এর ব্যাখ্যায় হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, ‘নেক আমলের সওয়াব ১০ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। (সুনানে কুবরা, বায়হাকি: ২/১৬৩)।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে রমজানের ৩০ রোজা আর শাওয়ালের ছয়টিসহ ৩৬টি রোজা হয়। ৩৬ কে ১০ গুন বৃদ্ধি করলে ৩৬০ হয়। অতএব শাওয়ালের ৬টিসহ বছরে মোট ৩৬টি রোজা রাখলে পূর্ণ বছর তথা ৩৬০ দিনই রোজা রাখা হয়। অর্থৎ সারা বছরই রোজা রাখা হয়।

আবু আইয়ুব আনসারি রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের সিয়াম পালন করে, তারপর শাওয়ালের ছয়টি সিয়াম পালন করবে সে যেন যুগ যুগ ধরে সিয়াম পালন করল। (সহিহ মুসলিম : ১১৬৪)।

হযরত সাওবান রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. বলেছেন, ‘রমজানের সিয়াম ৩০ রোজা ১০ মাসের অর্থৎ ৩০০ রোজার সমতুল্য; আর শাওয়ালের ছয় রোজা দুই মাসের ৬০ রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের সিয়াম।

অপর এক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রমজানের সিয়াম শেষে ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর সিয়াম পালনের সমতুল্য। (মুসনাদে আহমাদ : ৫/২৮০; দারেমি : ১৭৫৫)।

এক হাদিসে এসেছে, ‘মানুষ মারা গেলে তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়’। তবে যে ব্যক্তি শাওয়ালের রোজা রেখে মারা গেল তার আমল বন্ধ হলো না। কারণ সে তো সারা বছরই রোজাদার।

শাওয়ালের ছয় রোজা ধারাবাহিকভাবে অথবা বিরতি দিয়ে রাখা যায়। কারও যদি রমজানের কাজা রোজা থেকে থাকে, তবে প্রথমে রমজানের কাজা রোজা আদায় করবে, এরপর শাওয়ালের রোজা রাখবে। একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, প্রিয় নবী সা. আরও এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা শাওয়াল মাসের ছয়দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ওই ছয় দিন রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক সৃষ্টি জীবের সংখ্যা হিসেবে তার আমলনামায় নেকি লিখে দেবেন, সমপরিমাণ বদ আমল দূর করে দিবেন এবং পরকালে তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন। আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে শাওয়ালের ছয়টি রোজ রাখার তৌফিক দান করেন। আমিন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৯

বিএইচ মাহিনী বলেছেন: লেখাটি পড়ে যদি কারো সামান্যতম উপকার হয় তবেই আমি স্বার্থক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.