নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিকতায় পড়তে চাইল-বি.এইচ.মাহিনী

১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৭

ইংরেজি News এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো সংবাদ। সংবাদ কী? কুকুর মানুষকে কামড়ালে সংবাদ হয় না, কিন্তু মানুষ কুকুরকে কামড়ালে তা সংবাদ হয়। সাধারণত যা একেবারেই দৈনন্দিন ও স্বাভাবিক ঘটনা, তা সংবাদ হয় না, কেননা এতে সংবাদ হওয়ার কোন বৈশিষ্ট্য নেই। কিন্তু যা ঘটার নয়, যা অস্বাভাবিক এমন কিছু বিষয় নিয়ে মানুষের আগ্রহ থাকে। তাই এগুলো সংবাদ হয়। আর যারা এসকল সংবাদ নিয়ে কাজ করেন তারা সংবাদকর্মী বা সাংবাদিক।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি হলো সাংবাদিক হওয়া। অথচ সাংবাদিকতা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর একটি। ‘সাংবাদিক’ বা ‘সাংবাদিকতা’ শব্দটা শুনলেই অনেকে আতকে উঠেন আবার অনেকে হাসি-তামাশা বা ফালতু কাজ বলে উড়িয়ে দেন। কারণ হলো, কোন কোন নামধারী সাংবাদিক কখনো বা সত্যকে মিথ্যা আবার মিথাকে সত্য বানিয়ে ফেলেন। কখনো সততা, সাধুতা, সত্যবাদীতা ও বস্তুনিষ্ঠতার বদলে অসত্য ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে ‘হলুদ’ সাংবাদিকতায় নিজেকে নিমজ্জিত করে ফেলেন।
তবে একথা স্বীকার করতে হয় যে, সংবাদমাধ্যম বা মিডিয়া দেশের দর্পন স্বরূপ। একটি সব্য সমাজ নির্মানে সাংবাদিকতার ভূমিকা অসীম।
সত্য-সুন্দর ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা হিসেবে পরিগনিত। এটি একটি পবিত্র পেশা। যেখানে রয়েছে আমানতদারিতা ও সততার অপূর্ব নিদর্শন।
সাংবাদিকতা কী? সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদন ও জনসাধারণের নিকট তা তুলে ধরার প্রক্রিয়াই হলো সাংবাদিকতা। সংবাদপত্র হলো সমাজের বা¯Íব প্রতিচ্ছবি। আর সাংবাদিকরা হলেন সেই প্রতিচ্ছবির রূপকার বা নেয়ামক।
যিনি সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদন ও প্রকাশের দায়িত্বে নিয়োজিত তিনিই সাংবাদিক। এ পেশার জন্য দরকার সৃজনশীল, চিন্তাশীল ও ধৈর্যশীল মানুষের। ধৈর্যশীল ব্যক্তি ছাড়া সাংবাদিকতায় ক্যরিয়ার গড়া প্রায়ই অসম্ভব। মূলত, একটি সভ্য সমাজ ও জাতি বিনির্মানের কারিগর হলো সাংবাদিক।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একথা স্বীকার করতেই হবে, এ পেশায় আজও সিংহভাগ জনশক্তিই অনাড়ি। তারা অপেÿাকৃত কম মেধাবী ও প্রশিÿণহীন। সাংবাদিকতায় পড়ালেখা করে এ পেশায় এসেছেন এমন লোকের সংখ্যা নিতান্ত নগন্য। পড়ালেখা করাতো দূরে থাক প্রশিÿণ গ্রহণ করেছেন এমন লোকই বা কোথায়। অথচ একটি সম্ভাবনাময় ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা আজ দেশে-বিদেশে অনেক উঁচু মাপের পেশা। পৃথিবীতে যতগুলো পেশা আছে সাংবাদিকতা তার মধ্যে প্রথম সারিতে অবস্থান করছে। সাংবাদিকতায় অধ্যায়ন ও প্রশিÿণের মাধ্যমে এ পেশায় প্রেবেশ করতে পারলে একটি সম্ভাবনাময় ও উজ্জ্বল ক্যরিয়ার গড়া সম্ভব।
কোথায় করবেন কোর্সঃ যাদের পক্ষে এখন আর সাংবাদিকতায় স্নাতক করা সম্ভব নয়, তারাও করে নিতে পারেন ৬মাস, একবছর বা ২ বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর বা ডিপ্লোমা অথবা সার্টিফিকেট কোর্স। দেশের সরকারি বে-সরাকারি বহু প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের কোর্সকরার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ তথ্য অধিদপ্তর, প্রেস ইনস্টিটিউট বা প্রেস কাউন্সিলসহ প্রথম আলো, নয়দিগন্তসহ অনেক বেসরকারি ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এখন এসকল কোর্স চালু করেছে। ঢাবি, রাবি’সহ দেশের কয়েকটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতায় ¯স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে এক ও ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স।
ভর্তির যোগ্যতা ঃ ¯œাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে যে কোন বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ হতে হবে। আর ¯œাতকোত্তর বা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে ¯œাতক পাশ হতে হবে। রয়েছে ইভিনিং মাস্টার্স এর সুবিধা। সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার কেমন, জানতে চাইলে একুশে টিভির রিপোর্টার সাংবাদিক জন জানান, ‘এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। তবে ধৈর্যের সাথে টিকে থাকতে পারলে এ পেশার ভবিষৎ উজ্জল।’ এ পেশার ভবিষৎ উলেøখ করে মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মানিক বলেন, ‘সাংবাদিকতার ভবিষৎ নিঃসন্দেহে সম্ভাবনাময়। কেননা আজকে এ পেশায় মেধাবীরা ছুটে আসছে। এখানে একই সাথে আকর্ষনীয় বেতন ও নিজেকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করার সুযোগ থাকে।
পেশা হিসেবে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়া কর্মীর অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরে এস এ টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহমুদ সোহেল বলেন, ‘বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সংখ্যাও দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে হারে মিডিয়ার সংখ্যা বাড়ছে সে তুলনায় মেধাবী ও প্রশিÿিত মিডিয়া কর্মী অত্যন্ত নগন্য। তাই অবশ্যই মেধাবীদের এ পেশায় আসা উচিৎ।’ ক্যারিয়ার হিসেবে সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার মধ্যে রয়েছে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন নিউজ সাইট। এ সকল অনলাইন পত্রিকার সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাংবাদিকতার সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিডি খবর ২৪.কম-এর প্রকাশক ও সম্পাদক লিটন দত্ত জানান-‘প্রিন্ট ও ইলেক্ট্র্রিক মিডিয়া দু’টোই দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত ও ত্যাগী সাংবাদকর্মীর।’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.