![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
বি.এইচ.মাহিনী : ভৈরব উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যে ক’টি প্রাচীন ঐতিহ্য চোখে পড়ে তার মধ্যে শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ি তার মধ্যে অন্যতম। এটি আজ থেকে প্রায় ৪’শ বছরের পুরানো একটি ঐতিহ্য। অনুসন্ধানের জানা যায়, এক সময় এখানে জমিদারদের ব্যাপক পদচারণা ছিল। ইতিহাসগ্রন্থ থেকে জানা যায়, হুগলি থেকে আগত জমিদার বনমালী বসু আনুমানিক ১৭৫৬-১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে শ্রীধরপুরে মন্দির দিঘি, নাট্যশালাসহ একটি জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত এসব রাজবাড়ি থেকে এ অঞ্চলের খাজনা আদায় করা হতো। এসব বাড়ি ও মন্দির ছিল তৎকালীন সময়ের সেরা স্থাপত্য। শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ি ও মন্দির এসকল স্থাপত্যের একটি। তবে এখন এটি দেখলে মনে হয় একটি এতিম বালক। যার দেখার কেউ নেই। মাত্র ৩টি পরিবার এটি দেখাশোনা করে। অনেক ত্যাগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা এটি ধরে রেখেছেন। জমিদার বাড়িতে রয়েছে একটি মন্দির। এখানে প্রতি বছর শ্যামা পূঁজা হয়। এখন মূলত জমিদার বাড়ির তেমন কোনো নির্দশন চোখে পড়ে না। তবে এখানে একটি বড় দিঘি রয়েছে। রয়েছে দিঘির একটি শানবাঁধা ঘাট। দিঘিটি এখন ঘের হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ মোল্যা ও রাঙ্গা মোল্যা মাছ চাষ করছেন। জমিদার বাড়ি ও এর মন্দিরের সভাপতি শ্রী গৌরাঙ্গ রায় জানান, আমরা এখানে ৩টি পরিবারের প্রায় ৩০ জন সদস্য বাস করি। কিন্তু সরকারী কোনো সহায়তা না পাওয়ায় জমিদার বাড়ির আজ এ অবস্থা। তিনি জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যনা এখানে মাঝে মধ্যে আসেন সামান্য কিছু অর্থ-কড়ি দিয়ে যান। তবে তা অপর্যাপ্ত হওয়ায় কোনো সংস্কার করা সম্ভব হয়না। মন্দিরের সেক্রেটারি শ্রী সুবাস বিশ্বাস জানান, আমরা চাই ৪শ’ বছরের প্রাচীন এই জমিদার বাড়িটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হোক। তবে তা না হওয়ায় আমরা হতাশ। আমাদের দাবি যশোর ৪ আসনের সাংসদ যেন আমাদের দিকে তাঁর সুদৃষ্টি দিয়ে সংস্কারের ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে শ্রীধরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ‘আমি মাঝে মাঝে ঐ অঞ্চলে যাই। আমার পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকি। তবে সরকারীভাবে এটি সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।’ চেয়ারম্যান হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট আমাদের দাবি যেন এটি প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে গণ্য করে এর সংস্কার করা হয়।
©somewhere in net ltd.