![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
আবু আল্-বান্না : বাংলাদেশে যে সকল পুরাতন ইসালামী ঐতিহ্য চোখে পড়ে তন্মধ্যে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়ার পীর খানজাহান আলী জামে মসজিদ অনন্য ঐতিহ্যের ইতিহাস হিসেবে আজও বিদ্যমান। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মসজিদটির স্থাপত্য শৈলীর উপর ভিত্তি করে বলা যায় এটি খ্রিষ্টীয় ১৫ শতকে নির্মিত হয়েছিল। সরকারী অর্থায়নে সংস্কার হলে এই প্রাচীন ঐতিহ্যটি অভয়নগরের একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিগনিত হবে। পীর খানজাহান আলী পুরাতন খলিফাতাবাদ (বাগেরহাট) থেকে শুভরাড়া গ্রামের ভৈরব নদীর তীরে এসে এক গম্বুজ ও চার মিনার বিশিষ্ট মসজিদটি তৈরী করে। মসজিদটির আয়তন ৫.১৩ বর্গমিটার। মসজিদের চার কোনায় চারটি অষ্টমকোনাকৃতির টারেট রয়েছে। ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, মসজিদের ভেতরের আয়তন ৬০ ফুট ১০ ইঞ্চি গুণ ৪ ইঞ্চি গুন ৩ ইঞ্চি, উচ্চতা ২৫ ফুট। বাহিরের পরিমাপে এক মিনারের মধ্যবিন্দু হতে অন্য মিনারের দূরত্ব ২৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। মসজিদটির উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে তিনটি দরজা আছে পূর্বদিকে অবস্থিত সদর দরজা রয়েছে। মসজিদ নির্মাণে যে ইট ব্যবহৃত হয়েছে তার আয়তন ১২ ইঞ্চি গুণ ১০ ইঞ্চি হতে ৪ ইঞ্চি গুণ ৩ ইঞ্চি। বিশেষ পদ্ধতিতে নির্মিত অতি উন্œতমানের ইটগুলো দিয়ে অভিনব কৌশলে মুসলিম স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত খানজাহান আলী মসজিদটির কছে দাড়ালে স্মৃতির পূর্ণিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে মন। ইসলামি ঐহিত্যের অমিয় স্বকীয়তায় ভরে ওঠে বুক। গর্বের সীমানা ক্রমশ সীমাহীন হয়ে মিশে যায় পবিত্র বাসনায়। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মসজিদটি। বর্তমানে মসজিদটি প্রতœতত্ত্ব বিভাগের আওতায় এনে রক্ষণাবেক্ষনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাও অপ্রতুল। মূল গঠনপ্রনালী অবিকল রেখে মসজিদটি সংষ্কার করা প্রয়োজন। মসজিদটি সংস্কারের ব্যাপারে উপজেলা ইউএনও মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল হক মোল্যা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
২২-৩-১৫
©somewhere in net ltd.