নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সর্বশেষ প্রস্তুতির সময় এখনই

৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২২

বি.এইচ.মাহিনী :-
‘শিক্ষক’ হলেন জাতি গড়ার কারিগর। আমাদের দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সর্বপ্রথম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সম্প্রতি শেষ হয়েছে দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া। এবারের নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রথমে মুখোমুখি হতে হবে প্রিলিমিনারি ও পরে লিখিত পরীক্ষায়। ইতিপূবে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা একই দিনে হলেও এবারই প্রথম পরীক্ষাগুলো হবে আলাদা দিনে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হবেন শুধুমাত্র তাঁরাই তাদের ঐচ্ছিক বিষয়ে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এবারের স্কুল (নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক) ও স্কুল পর্যায়-২ (মাদ্রাসা, কারিগরি,) এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে আগামী ১২ জুন এবং কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ১৩ জুন। উভয় পর্যায়ের পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। এবার পাঁচ লাখেরও বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও প্রার্থীদের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় থাকবে এক ঘণ্টা। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রতিটি বিষয়ে ২৫টি করে মোট ১০০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। এরপর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা হবে আগামী ২৮ আগস্ট ও কলেজ পর্যায়ের ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০। তবে এবার কোনো মৌখিক পরীক্ষা হবে না বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েকটি দিন। এ সময়ের মধ্যেই ভালোভাবে প্রস্তুত নিলে পাওয়া যাবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ। যে সনদ দিয়ে যেকোনো বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।
বাংলা : স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২-এ বাংলা অংশে ভালো করতে হলে ব্যাকরণে জোর দিতে হবে। ব্যাকরণের প্রায় প্রতিটি অধ্যায় থেকে এক থেকে দুটি প্রশ্ন আসে। এসব অধ্যায়গুলোর মধ্যে ভাষারীতি ও বিরাম চিহ্নের ব্যবহার, বাগধারা ও বাগবিধি, ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ, অনুবাদ, সন্ধিবিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, সমাস ও প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতধর্মী শব্দ, বাক্য সংকোচন, লিঙ্গ পরিবর্তন অধ্যায়গুলো ভালোভাবে পড়লে প্রশ্ন পাওয়া যাবে। আর কলেজ পর্যায়ের জন্য পড়তে হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো। এসব বইয়ের গদ্য ও পদ্যের লেখক পরিচিতি সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো করা যাবে। এ ছাড়া বিগত বছরের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করলেও বেশ কাজে দেবে।
ইংরেজি : ইংরেজি বিষয়ে বেশি করে পড়তে হবে গ্রামারের খুঁটিনাটি। এ অংশে ভালো করতে হলে গ্রামার অংশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই গ্রামার অংশ থেকেই স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়েই প্রশ্ন আসে। ঈড়সঢ়ষবঃরহম ঝবহঃবহপবং, ঞৎধহংষধঃরড়হ ভৎড়স ইবহমধষর ঃড় ঊহমষরংয, ঈযধহমব ড়ভ চধৎঃং ড়ভ ঝঢ়ববপয, জরমযঃ ঋড়ৎসং ড়ভ ঠবৎন, ঋরষষ রহ ঃযব ইষধহশং রিঃয অঢ়ঢ়ৎড়ঢ়ৎরধঃব ডড়ৎফ, ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ ড়ভ ঝবহঃবহপবং, ঝুহড়হুসং ধহফ অহঃড়হুসং, ওফরড়সং ধহফ চযৎধংবং, অৎঃরপষব—এই অধ্যায়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে প্রশ্ন পাওয়া যাবে।
গণিত : অনেকেই গণিতে খারাপ করেন। গণিতে ভালো করতে হলে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বইগুলো বারবার চর্চা করতে হবে। পাটিগণিত থেকে লসাগু, গসাগু, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত—এসব অধ্যায় ভালো করে চর্চা করলে প্রশ্ন পাওয়া যাবে। আর বীজগণিতের জন্য করতে হবে উৎপাদক, বর্গ ও ঘণ-সংবলিত সূত্রগুলো ও প্রয়োগ, গসাগু, সূচক, লগারিদম—এসব অধ্যায় থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতির জন্য রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত অধ্যায়গুলো আয়ত্তে রাখা দরকার। কলেজ পর্যায়ের জন্য পড়তে হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বই। বিগত বছরগুলোর বিসিএস প্রশ্ন ও শিক্ষক নিবন্ধন প্রশ্নগুলো বারবার চর্চা করলেও ভালো করা যাবে। প্রতিটি উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান : সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে। এ অংশে ভালো করতে হলে নিয়মিত পত্রিকা পড়া, দেশি-বিদেশি সমসাময়িক খবরগুলো নিজের আয়ত্তে করে নেওয়া। বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং রোগব্যাধি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিভিন্ন জেলার আয়তন, অর্থনীতি প্রভৃতি সম্পর্কে অবগত থাকা। আর আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, সাম্প্রতিক ঘটনা এসব থেকে দুই থেকে চারটি প্রশ্ন পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বাজারে সাধারণ জ্ঞানের বিভিন্ন প্রকাশনীর বই পড়লেও ভালো করা যাবে।
লিখিত পরীক্ষা :
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ঐচ্ছিক বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বরের তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। স্কুল পর্যায়ের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বইগুলো পড়তে হবে এবং কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অনার্স পর্যায়ের বইগুলো পড়লেই চলবে। এ ছাড়া বিগত বছরের প্রশ্ন দেখলেও ধারণা পাওয়া যাবে। লিখিত পরীক্ষায় রচনামূলক প্রশ্ন থাকে পাঁচটি। প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকে ১৫। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকবে পাঁচটি। প্রতিটি প্রশ্নেরই বিকল্প প্রশ্ন থাকবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৯

কাশিফ বলেছেন: ঈড়সঢ়ষবঃরহম ঝবহঃবহপবং, ঞৎধহংষধঃরড়হ ভৎড়স ইবহমধষর ঃড় ঊহমষরংয, ঈযধহমব ড়ভ চধৎঃং ড়ভ ঝঢ়ববপয, জরমযঃ ঋড়ৎসং ড়ভ ঠবৎন, ঋরষষ রহ ঃযব ইষধহশং রিঃয অঢ়ঢ়ৎড়ঢ়ৎরধঃব ডড়ৎফ, ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ ড়ভ ঝবহঃবহপবং, ঝুহড়হুসং ধহফ অহঃড়হুসং, ওফরড়সং ধহফ চযৎধংবং, অৎঃরপষি
ইংরেজী অংশের সিলেবাসটা একটু ঠিক করেন দিন।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.