নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনে পড়াশুনা ও ক্যারিয়ার

১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১০

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন শিক্ষার বিকল্প নেই। বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক পেশা রয়েছে তার মধ্যে আইন পেশা হল সবার পরিচিত একটি গুরত্বপূর্ণ পেশা। এ পেশায় এসে একদিকে যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, তেমনি সমাজে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগও পাওয়া যায়। সুতরাং যে কেউ ইচ্ছা করলেই আইন পেশায় সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারে। সে জন্য কি কি করতে হবে কোথায় ভর্তি হবে এবং এ পেশায় আর্থিক সুবিধা কি? এ পেশায় আসতে হলে প্রথমত এইচএসসি পাসের পর যে কোনো সরকারি অথবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে ভর্তি হতে হবে। এখানে আপনাকে চার বছরমেয়াদি এলএলবি অনার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা, জগন্নাথ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে আর্থিক সঙ্গতি থাকলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়। আর বাংলাদেশের প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ারেখার জন্য এলএলবি অনার্স কোর্স চালু আছে। এখানে পড়তে হলে প্রতিষ্ঠানভেদে খরচ পড়বে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। তবে চার বছর মেয়াদী এলএলবি না করেও আইন পেশায় আসা যায়। এ জন্য আপনাকে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে অনার্স বা ডিগ্রি পাস করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে কোনো ল’ কলেজে দু’বছর মেয়াদী এলএলবি (পাস) কোর্স করতে হবে। এখানে দু’বছরে মোট খরচ হবে বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা। দু’বছর মেয়াদী এলএলবি (পাস) কোর্সটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়া যায়। এখানে খরচ হবে ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা।
সুযোগ সুবিধা ঃ এলএলবি অনার্স শেষে বার কাউন্সিল সনদ গ্রহণ করে সিএমএম জজকোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের জন্য আলাদা আলাদা বারের সনদ গ্রহণ করতে হবে। সনদ পাওয়ার জন্য প্রথমে বার কাউন্সিলের ফরমে আবেদন করতে হবে। এরপর তিন ধাপে তথা এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এলএলবি অনার্স ও এলএলবি (পাস) কোর্সের পর জেএসসি অর্থাৎ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন ও সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট বা সহকারী জজ হওয়ার সুযোগও রয়েছে। এছাড়া আইনজীবী হতে চাইলে এলএলবি বা এলএলবি (অনার্স) অথবা এলএলএম পাশ করেই বাংলাদেশ বার কাউন্সল থেকে সনদপ্রাপ্ত হয়ে যে কোন আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়ে সরাসরি আইনজীবীও হওয়া যায়।
আয়-রোজগার ঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা সহকারী জজ পদে নিয়োগ পেলে সর্বোচ্চ সম্মান, বিবিধ সুবিধা সহ মোটা অংকের বেতন-ভাতাদিতো আছেই। আইনজীবী হলে আয়-রোজগারের বিষয়টি অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত দক্ষতা, সামাজিক যোগাযোগ ও মামলার ধরনের ওপর নির্ভর করে। আইনজীবী হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মাসিক আয় মামলার ধরন অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে একজন নতুন আইনজীবী সাধারণত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করে থাকেন।
চাকরির আরও কিছু ক্ষেত্র ঃ একজন আইনজীবী আইন পেশার পাশাপাশি অথবা আইন পেশার বাইরে যে কোনো কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার, যে কোনো ব্যাংকের নিজস্ব আইনজীবী অথবা জাতীয় বা আর্ন্তজািিতক কোনো সংস্থার আইন উপদেষ্টা হিসেবে চাকরি করতে পারেন। রয়েছে আইন কমিশনেও চাকরির সুযোগ। এখানে আয় ও সম্মান উভয়টি ভালো মানের। বর্তমানে ব্যাংক, বীমা ছাড়াও বিভিন্ন মার্কেট ও বিউটি পার্লারসহ ছোট বড় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল অ্যাডভাইজার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতে একজন আইনজীবীর কাজের পরিধি সম্প্রসারিত হয়েছে। বাড়ছে আয়ের ক্ষেত্র।
স্কলারশিপ ঃ আইন পেশায় উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বীকৃতকোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা আর্ন্তজাতিক সংস্থা যেমন- সার্ক, কমনওয়েলথ, আইডিবি, ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে ব্রিটিশ কাউন্সিলে বার-এট-ল অর্থাৎ ব্যারিস্টারি করা যেতে পারে। ব্যারিস্টারি করতে হলে লন্ডন বার কাউন্সিলের সনদ নিতে হবে। স্কলারশিপের জন্য জাতীয় অথবা আর্ন্তজাতিক স্কলারশিপ (বৃত্তি) অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সুতরাং অন্যান্য পেশার চেয়ে আইন পেশা অনেক লাভজনক ও সম্মানজনক একটি পেশা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:২১

খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.