![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
রহমত, বরকত ও মুক্তির মাস রমজান। শুধু তাই নয়, সংযমের এ সিয়ামের প্রতিদান মহান আল্লাহ নিজেই প্রদান করেবেন। দয়াসুলভ বিষয়গুলো সহজ করে দেন, আর ক্ষমার হাত সম্প্রসারিত করে দেন তার ফরমারদার ও অনুগত বান্দাদের জন্য। তাইতো রহমাতুললিল আলামিন, নাসেহুল আমীন বিশ্বস্ত হিতাকাঙক্ষী হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার উম্মতকে এই মাসে আল্লাহর সেই সব রহমত অর্জন ও আল্লাহর অনুগ্রহ অর্জন করতে উৎসাহিত করেছেন। রোজা রাখার মাধ্যমে, রাতে নফল নামাজ পড়ার মাধ্যমে, দান সদকাহ জিকির ও কুরআন তিলাওয়াতসহ আরো নেক আমালের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের জন্য তাকিদ দিয়েছেন বিশ্বনবি মুহাম্মদ (স.)।
রমজানে পুরুষের জন্য যেমন কিছু নির্দিষ্ট আমল ও মাসায়ালা রয়েছে, রয়েছে মহিলাদের জন্যও। নি¤েœ মা বোনদের জন্য রমজান মাস সংক্রান্ত জরুরি কিছু মাসায়েল সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করার প্রয়াস পাচ্ছি।
* মহিলাদের হায়েজের সময়গুলোতে রোজা রাখা নিষেধ, তবে হায়েজ শেষে রোজার কাজা করতে হবে।
* পবিত্র অবস্থায় রোজা রাখার পর যদি কোনো মহিলার হায়েজ দেখা দেয়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং পরে তা কাজা করতে হবে। চাই সেটা ফরজ বা নফল রোজা হোক।
* রমজান মাসে সুবহে সাদিকের পর যদি কোনো মহিলার হায়েজ বন্ধ হয়ে যায় এবং সে এই সময়ের মধ্যে কোনো কিছু পানাহার না করে এমতাবস্থয় যদি সে রোজার নিয়ত করে তাহলে ঐ দিনের রোজা শুদ্ধ হবে না ববং পরবর্তীতে উক্ত রোজার কাজা করতে হবে, কারণ সে দিনের শুরু লগ্নে অপবিত্র ছিল।
* যদি রমজান মাসে দিনের বেলা হায়েজ বন্ধ হয়, তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজাদারের মতোই থাকতে হবে, পানাহার করতে পারবে না, অবশ্য পরে ঐ দিনটির রোজা কাজা করতে হবে।
* যদি কেউ পূর্ণ ১০ দিন ১০ রাত পর, রাতের শেষ ভাগে গিয়ে পবিত্র হয়, এবং তখন রাতের এতটুকু সময়ও হাতে নেই যার মধ্যে একবার আল্লাহ আকবার বলতে পারে। তবুও পরের দিনের রোজা ওয়াজিব। আর যদি ১০ দিনের কমে হায়েজ বন্ধ হয় এবং এতটুকু রাত অবশিষ্ট থাকে, যার মধ্যে তাড়াহুড়া করে গোসল করে নিতে পারে তবে ১ বারও আল্লাহু আকবার বলা যায় না। তবুও পরের দিনের রোজা ওয়াজিব হবে। এমতাবস্থায় গোসল না করে থাকলে গোসল ছাড়াই রোজার নিয়ত করে নিবে, আর যদি সময় তার চেয়েও কম থাকে তাহলে রোজা হবে না, তাই সে রোজা রাখবে না। তবে সারা দিন তাকে রোজাদারের মতোই থাকতে হবে এবং পরে কাজা করতে হবে।
* কোনো মহিলার রোজা রাখা অবস্থায় হায়েজ এসে গেলে তার জন্য সমীচীন, তবে প্রকাশ্যে পানাহার করবে না।
* হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা মুখস্থ হোক বা দেখে হোক জায়েজ নয়।
* কোনো মেয়ে হেফজ করা অবস্থায় হায়েজ এসে গেলে এবং মুখস্থ করার জন্য তিলাওয়াত এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে বা কোনো হাফেজা মেয়ে হায়েজ অবস্থায় কুরআন হেফজ করার জন্য তিলাওয়াত জারি রাখতে চাইলে মনে মনে তিলাওয়াত করবে মুখে উচ্চারণ করবে না।
* হায়েজা মহিলা বাচ্চাদেরকে কুরআন শরীফ বানান করে শিক্ষা দিতে পারবে। তবে রিডিং পড়ানোর সময় ১ শ্বাসে পূর্ণ ১ আয়াত পড়াতে পারবেনা বরং শ্বাস ভেঙ্গে ১-২ শব্দ করে পড়াতে হবে।
* কোনো মহিলা হায়েজ অবস্থায় আয়াতে সিজদার তিলাওয়াত শুনলে তার উপর সিজাদ করা ওয়াজিব নয়।
* হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরীফ স্পর্শ করা যেমন জায়েজ নয় অনুরূপভাবে কুরআনের আয়াত কোথাও লিখা থাকলে তাও স্পর্শ করা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন কোনো কিতাব হয় যার মধ্যে কুরআনের আয়াত অপেক্ষা অন্য কোনো লিখা বেশি থাকে তাতে হাত লাগানো যাবে, তবে আয়াতের উপর হাত লাগানো যাবে না।
* বর্তন, পিরিচ অথবা কাগজের উপর যদি শুধু কুরআনের আয়াত লিখা থাকে, তাতে হাত লাগানো যাবে না, তবে পৃথক কোনো কাপড় দিয়ে তা ধরা যাবে।
* কুরআন শরীফের গিলাফ যদি কুরআন শরীফ থেকে আলাদা হয়, তবে তার দ্বারা কুরআন শরীফ ধরা জায়েজ আছে। অনুরূপভাবে শরীরে থেকে বিচ্ছিন্ন কাপড় দ্বারাও কুরআন শরীফ ধরা জায়েজ আছে।
* কুরআন শরীফের সাথে সংযুক্ত গিলাফ এবং যে কাপড় শরীরের সঙ্গে যুক্ত আছে যেমন উড়না, জামার আস্তিন ইত্যাদি দ্বারা কুরআন শরীফ স্পর্শ করা বা ধরা জায়েজ নয়।
* হায়েজ অবস্থায় ধর্মীয় কিতাব পড়া এবং সেগুলো স্পর্শ করা জায়েজ আছে। তবে যে সব স্থানে কুরআনের আয়াত লিখা আছে তা পাঠ করা যাবে না এবং সেখানে যেন হাতের স্পর্শ না লাগে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
* হায়েজ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া যাবতীয় জিকির-আজকার দু’আ-দুরুদ ও তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা জায়েজ আছে। এমনকি দু’আর নিয়তে কুরআনের আয়াতও পাঠ করা জায়েজ আছে।
* পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লহির রাহমানির রাহিম ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলতে কোনো অসুবিধা নেই।
* নেফাস (বাচ্চা প্রসব পরবর্তী ¯্রাব) অবস্থায় রোজা রাখবে না। তবে নেফাস বন্ধ হওয়ার পর কাজা করা আবশ্যক।
* রোজা অবস্থায় নেফাস আসলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং পরে তা কাজা করা আবশ্যক হবে।
* নেফাস অবস্থায় কুরআন শরীফ তিলাওয়াত ও কুরআন শরীফ স্পর্শ করতে পারবে না।
* নেফাস আবস্থায় গায়ের জামা উড়না এবং শাড়ী ইত্যাদি যা গায়ের সাথে মিলিত থাকে তা দ্বারা কুরআন শরীফ স্পর্শ করা বা উঠানো জায়েজ নেই, হ্যা গা থেকে আলাদ কাপড় দিয়ে ধরতে ও উঠাতে পারবে।
* কোনো মহিলা নেফাস অবস্থায় আয়াতে সিজদার তিলওয়াত শুনলে, তার উপর সিজদা করা ওয়াজিব নয়। তবে গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় শুনলে গোসলের পর সিজদা করা ওয়াজিব।
* গর্ভবর্তী রোজাদার মহিলার যদি রোজা রাখার কারণে বাচ্চার জীবনাশঙ্কা হয়, তবে রোজা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ অন্যথায় জায়েজ হবে না।
* গর্ভবর্তী অথবা দুগ্ধ পান কারিণী মহিলারা নিজের বা স্বীয় বাচ্চার জীবনাশঙ্কা থাকলে রোজা রাখবে না, পরে কাযা করবে।
* ইস্তিহাযা (অসুস্থ জনিত কারণে দেখা দেয়া ¯্রাব) অবস্থায় রোজা রাখা সহীহ এবং জরুরি। রোজা না রাখার অনুমতি নেই।
* ইস্তিহাযা অবস্থায় মহিলারা নিজ ঘরে ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল ই’তিকাফ করতে পারবে তাতে কোনো অসুবিধা নেই ।
* ইস্তিহাযা অবস্থায় মহিলারা কুরআন শরীফ তিলওয়াত ও স্পর্শ করতে পারবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হ্যাপি মাহে রমজান, ক্ষুধা ও খাদ্য বিলাস শুভ হোক শিরোনামে আমার একটি গদ্য রয়েছে। পড়ার আহবান জানাই। আশা করি অশেষ নেকি হাসেল হবে
view this link