নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিভি চ্যানেল ও অনলাইন মিডিয়ায় ক্যারিয়ার

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের পেশা কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা। আর ছোট পর্দায় মোহনীয় আর্কষণের কারণে ইলেক্ট্রিক মিডিয়া রয়েছে তরুণদের পছন্দের শীর্ষে। এখানে ক্যারিয়ারে খ্যাতি, সুনাম, সুপরিচিতির পাশাপাশি রয়েছে উজ্জ্বল জীবনের হাতছানি। বিশ্বব্যাপি বিশেষ করে বাংলাদেশে রয়েছে এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বিশাল ক্ষেত্র। ১৯৬৪ সালের ২৬ নভেম্বর সরকারি মালিকানায় বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বিটিভি’র যাত্রা শুরু হয় প্রথমে সাদাকালো পর্দায়। এরপর ১৯৮০ সালে এসে রঙিন ট্রান্সমিশন শুরু হয়। ১৯৯৭সালে এটিএন বাংলা প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপরপরই শুরু হয় এর বাজার। বর্তমানে দেশে দু’ডজনেরও বেশি বেসরকারি টিভি চ্যানেল, শতাধিক অনলাইন বার্তা সংস্থা ও পত্রিকা রয়েছে। এসকল মিডিয়ায় নিউজ বিভাগ, প্রোগ্রাম, এডিটিং, ব্রডকাস্টিং, মার্কেটিং ও অ্যাডমিন বিভাগের বিভিন্ন পদে প্রতিনিয়তই জনবল নিয়োগ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
চাকুরির ক্ষেত্রসমূহ : সাংবাদিকতার ক্ষেত্র এখন শুধু পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলেই সীমাবদ্ধ নয়। রয়েছে এফএম রেডিও, অনলাইনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ও অনলাইন পতিকা। সাংবাদিকতায় পড়ালেখা করে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় যে সকল পদে চাকুরির সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রিপোর্টার, নিউজ প্রেজেন্টার বা সংবাদ উপস্থাপক, নিউজরুম এডিটর, মফস্বল বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, নিউজ প্রডিউসর, উপ-সম্পাদক ও সম্পাদকসহ আরও কিছু পদ। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ার উপদেষ্টা, কারিগরি বিভাগের বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা ও কর্মী, প্রযোজক, স্ক্রিপ্ট রাইটার, ক্যামেরা অপারেটর, ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটর, এডমিন, ম্যানেজারসহ অসংখ্য বিভাগের কর্মকর্তা।
টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে নিতে হবে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ। যে সকল প্রতিষ্ঠান এ ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে তার মধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি ছয় মাসের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যাঁরা টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করতে চান, তাঁরা এই প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
প্রশিক্ষণের বিষয়াদি : বিসিটিআই যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে টেলিভিশনের ইতিহাস, ক্যামেরা, শব্দ সম্পাদনা, কম্পিউটার গ্রাফিক্স, অনুষ্ঠান প্রযোজনা, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, চিত্রনাট্য, সেট ডিজাইন, সাজসজ্জা, মেকআপ, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ প্রভৃতি বিষয়ে।
আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা ঃ নিজের হাতের লেখা আবেদনপত্রে প্রার্থীর নিজের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, মুঠোফোন নম্বর প্রভৃতি উল্লেখ করে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে। আর এই প্রশিক্ষণগুলো নেওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে সর্বনিম্ন স্নাতক পাস।
পরীক্ষাপদ্ধতি ও ভর্তি ফি : আবেদনপত্র যাচাই-বাছায়ের পর প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে। এর মধ্যে লিখিত ৮০ ও মৌখিক পরীক্ষা হবে ২০ নম্বরে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে আর বাকি ৪০ নম্বর থাকবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক বিষয়াবলি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ভর্তি ফি নেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সপ্তাহে পাঁচ দিন, সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। আর প্রশক্ষণ দেবেন দেশের স্বনামধন্য টেলিভিশন চ্যানেলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
মিডিয়ার আরো কিছু কোর্স ঃ যাদের পক্ষে এখন আর সাংবাদিকতায় ¯œাতক করা সম্ভব নয়, তারাও করে নিতে পারেন ৬মাস, একবছর বা ২ বছর মেয়াদী ¯œাতকোত্তর বা ডিপ্লোমা অথবা সার্টিফিকেট কোর্স। দেশের সরকারি বে-সরাকারি বহু প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের কোর্সকরার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ তথ্য অধিদপ্তর, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি), সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (এমআরটি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া (বিজেম), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, সেন্টার ফর অ্যাডভান্স মিডিয়া, ঢাকা ফটোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট, প্রথম আলো, নয়দিগন্ত, বে-সরকারী রেডিওসহ অনেক ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এখন এসকল কোর্স চালু করেছে। ঢাবি, রাবি’সহ দেশের কয়েকটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতায় ¯œাতক সম্মান ও ¯œাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে এক ও দুই বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স।

আরও জানতে : এই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ঠিকানা : জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, ১২৫/এ, দারুস সালাম, মিরপুর রোড, ঢাকা ১২১৬। মোবাইল: ০১৫৫২-৪৬১১৮৪, ০১৭১৬-১২১০৫৫।
বি.এইচ.মাহিনী
সাংবাদিক ও শিক্ষক
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, আঞ্চলিক পাবলিক লাইব্রেরি-সিংগাড়ী
অভয়নগর, যশোর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.