![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
অবশেষে যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের প্রাচীন ঐতিহ্য ও দর্শনীয় পুরাকীর্তি ১১ শিব মন্দিরের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালকের তত্বাবধানে খুলনা বিভাগের মোট ৯টি প্রাচীন ঐতিহ্যের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে যার মধ্যে অভয়নগরের ১১ শিব মন্দির অন্যতম। ২০১৪-’১৫ অর্থ বছরে শুরু হওয়া এ সংস্কার কাজ শেষ হবে ২০১৭ সাল নাগাদ। প্রাথমিকভাবে ১১ শিব মন্দিরের কনজারভেশনের কাজে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ লক্ষ ৭ হাজার টাকা। প্রতœতত্ত্ব বিভাগের খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ আমিরুজ্জামান জানান, পুরাকীর্তি সংস্কার ও সংরক্ষণের এ কাজটি একটি কর্মসূচীর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। কর্মসূচীটি হলো ‘খুলনা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পুরাকীর্তি সংস্কার, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প ২০১৪-২০১৭’। তিনি আরো জানান, এ সংস্কার কাজটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হবে। কনজারভেশনের কাজ, এরপর প্রাচীর নির্মান ও পরিচিতি ফলক মুদ্রন ও স্থাপন। সংস্কার কাজটি কীভাবে কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের বিভাগীয় প্রকৌশলীর মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে। প্রতœতত্ত্ব বিভাগ খুলনার সহঃ প্রতœতত্ত্ব প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে মূলত এ কাজটি চলছে। অন্যদিকে এ কাজের জন্য চুন, সুরকি, ইট, বালু ইত্যাদি কাঁচামাল সরবরাহ করছে মেসার্স মৌ এন্টারপ্রাইজ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১১ শিব মন্দিরের সংস্কার কাজে বহুসংখ্যক পেশাদার শ্রমিক দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছে। তাদের কাছ থেকে জানা গেল, সংস্কার কাজে নিয়োজিত সকলেই প্রতœতত্ত্ব বিভাগের পেশাদার শ্রমিক। দেশের বিভিন্ন স্থানের পুরাকীর্তির সংস্কার কাজ তাদের হাত দিয়েই হয়ে থাকে। প্রতœতত্ত্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কনজারভেশন (সংস্কার) কাজ শেষ হওয়ার পর আগামি অর্থ বছরে প্রকল্পের বাকি কাজ অর্থাৎ প্রাচীর নির্মান ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হবে। উল্লেখ্য, অভয়নগরের ১১ শিব মন্দির একটি প্রাচীন নিদর্শন। এটি সংস্কার হলে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হবে। ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, ১৭৪৫ সাল থেকে ১৭৬৪ সালের মধ্যে যশোরের চাঁচড়ার রাজা নীলকণ্ঠ রায় এই ১১ শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেই হিসাবে মন্দিরগুলোর বয়স ৩শ’ বছরের বেশী। মন্দিরটি সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য গত বছর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে মন্দিরটি সংস্কারের জোর দাবি জানানো হয় উক্ত সংবাদের মাধ্যমে। আজ বাস্তবে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় প্রতœতত্ব বিভাগ, স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ভৈরব উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, রাজনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা, কবি-সাহিত্যিক, নাট্যকার ও নাট্য শিল্পীসহ গন্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান। অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি ডা. সেখ নূর মহম্মদ, জারি ও বাউল শিল্পী সাইফুল ইসলাম সাবু, ‘অগ্নীবীনা’ অভয়নগর শাখার সম্পাদক মোল্যা মফিজুর রহমান, খুলনা বেতারের নিয়মিত নাট্যশিল্পী ও আঞ্চলিক গণ-গ্রন্থাগারের সভাপতি হাফিজ আকুঞ্জী, সাংবাদিক মেহেদি হাসান ইরান, আঞ্চলিক গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক বি.এইচ.মাহিনী, সাংবাদিক আমিনুর রহমান, বেতার শিল্পী সব্যসাচী বিশ্বাস, আলোকিত যুব’র তরিকুল ইসলাম, ভৈরব চিত্রা যুব সোসাইটির মোল্যা হেদায়েত, ড্রীম যুব সোসাইটির সভাপতি মাস্টার আরিফুল ইসলাম প্রমূখ।
বি.এইচ.মাহিনী
১৮-১২-১৫
©somewhere in net ltd.