![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন- ‘তোমরা কি তোমাদের যৌনতৃপ্তির জন্য নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের কাছে আসবে? মূলত তোমরা হচ্ছো মূর্খ জাতি।’ (সূরা নমল, ৫৫)
বিশ্বব্যাপি এইচআইভি-এইডস একটি মারাত্মক ধ্বংসাত্মক ব্যাধি। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানসহ সকল ধর্মেই এ মহামারি রোধে বিভিন্নভাবে মানুষকে সজাগ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন- ‘তোমরা তোমাদের হাতগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা।’ (সূরা বাকারা, ১৯৫) পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন- ‘তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়াশীল।’ (সূরা নিসা, ২৮)
এইচআইভি-এইডস প্রতিকারে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আমরা এখন সে সম্পর্কে জানবো।
এইচআইভি কী : এইচআইভি হলো অতি ক্ষুদ্র এক বিশেষ ধরনের লেন্টি ভাইরাস। এ ভাইরাস এর পুরো নাম হলো- হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (ঐঁসধহ ওসসঁহড়ফবভরপরবহপু ঠরৎঁং) সংক্ষেপে এইচআইভি (ঐওঠ)। এ ভাইরাস নির্দিষ্ট কয়েকটি উপায়ে মানবদেহে প্রবেশ করে দেহের নিজস্ব রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়।
এইডস কী ঃ এইডস এর পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি রূপ হলো অপয়ঁরৎবফ ওসসঁহব উবভরপরবহপু ঝুহফৎড়স (অওউঝ)। এইচআইভি কয়েকটি নির্দিষ্ট উপায়ে মানবদেহে প্রবেশ করে দেহের নিজস্ব রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়। এইচআইভি সংক্রমনের এই সর্বশেষ পর্যায় হলো এইডস।
এইচআইভি এর সংক্রমন প্রক্রিয়া :
১. অনৈতিক ও দৈহিক সম্পর্কের মাধ্যমে।
২. এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত এবং অপারেশনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে।
৩. এইচআইভি বা এইডস-এ আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে।
এইচআইভি সংক্রমণের লক্ষণসমূহ :
ভাইরাস দেহে প্রবেশ করার ২-৪ সপ্তাহ পর আক্রান্ত ব্যক্তির হাল্কা জ্বর, র্যাস, দুর্বলতা, গলা ব্যথা, হাতে পায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, মুখে ঘা ইত্যাদি হতে পারে।
এইডস এর লক্ষণ সমূহ :
ক্স শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পাওয়া।
ক্স দু’মাসের অধিক সময় ধরে পাতলা পায়খানা।
ক্স অজানা কারণে দু’মাসেরও অধিক সময় ধরে পুঃন পুঃন জ্বর হওয়া বা রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
ক্স শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ দেখা দেওয়া।
ক্স অতিরিক্ত অবসাদ অনুভব করা; এবং
ক্স দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশি থাকা, ইত্যাদি।
# এইচআইভি প্রতিরোধে পারিবারিক কার্যক্রম :
ক) ধর্মীয় অনুশাসনে পরিবার গঠন
খ) সংক্রামক রোগ ও তার প্রতিকার বিষয়ে বিশদ আলোচনা
গ) সংক্রামক ব্যধির বিভিন্ন ডকুমেন্টারি পরিবারের সবাইকে দেখানো
ঘ) সন্তানদের বয়ঃসন্ধিকালে পিতা-মাতার বিশেষ নজর রাখা
ঙ) ইন্টারনেট-মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে সন্তান পর্ণোপ্রাফিতে লিপ্ত কি-না তা খেয়াল রাখা
চ) সন্তান বা ছোট ভাই-বোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কি করছে তা তদরকি করা
ছ) সামাজিক কু-সংস্কার ও অপসংস্কৃতির থাবা থেকে পরিবারকে সুরক্ষা দেয়া
জ) সন্তান বা পরিবারের সদস্যরা টাকা পয়সা বা অর্থ কোথায় ব্যয় করছে সে দিকে বিশেষ নজর রাখা
ঝ) সন্তান বা পরিবারের সদস্যরা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখা
ঞ) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতিমাসে একবার এইচআইভির কুফল নিয়ে আলোচনা করা
ট) মাকে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করা এবং সন্তনকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা
# এইচআইভি প্রতিরোধে সামাজিক কার্যক্রম :
ক) সামাজিক ক্ষতগুলো বিশেষত সংক্রামক রোগব্যাধি সম্পর্কে পাড়ায়-মহল্লায় গণসচেতনতা সৃষ্টি করা
খ) সব ধর্মের প্রতিনিধির (স্কলার) সমন্বয়ে আলোচনা সভা/ সেমিনার/ সিম্পোজিয়াম করা
গ) স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের (মেম্বর/চেয়ারম্যান/মেয়র/সাংসদ) মাধ্যমে সরকারী সহায়তা প্রদান
ঘ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষালয়ে এইচআইভি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা
ঙ) ধর্মীয় প্রার্থনাগারে (মসজিদ/মন্দির) স্ব স্ব ধর্মের দৃষ্টিতে এইচআইভি প্রতিরোধে উক্ত ধর্মের প্রতিনিষেধগুলো তুলে ধরা
চ) স্থায়ী বা ভাসমান পতিতালায়গুলো বন্ধ করার কার্যকর ভূমিকা রাখা
ছ) আবাসিক হোটেল ও মোটেলগুলো নিয়মিত প্রশাসনিক পরিদর্শন অব্যহত রাখা
জ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো (ফেসবুক/ভাইবার/টুইটার/ইন্টারনেট) ব্যবহারে অপব্যবহার রোধ করা
# এইচআইভি প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম :
ক) শিক্ষা ব্যবস্থায় সহ-শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করাসহ শিক্ষায় ধর্মীয় ও নৈতিকতা জ্ঞানদান নিশ্চিত করন
খ) ধর্ম মন্ত্রনালয় তথা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজের উচ্চ-নিম্ন স্তরে এইচআইভি-এইডস্ সম্পর্কে বিশেষ নির্দেশনা জারি করণ
গ) জাতীয় পর্যায়ে সকল ধর্মীয় নেতাদের (স্কলার) নিয়ে জাতীয় কু-সংস্কার ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ কমিটি করন
ঘ) রাষ্ট্রীয় টিভি ও সংবাদ মিডিয়ায় এইচআইভি’র ভয়াবহতা ও এর প্রতিরোধের সংবাদ প্রচার
ঙ) নাটক-সিনেমা-টেলিফিল্মসহ বিভিন্ন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে
চ) সমাজসেবা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সামাজিক কার্যক্রমে এইচআইভি’র সচেতনতা সৃষ্টি করা
ছ) সরকারী-বেসরকারী এনজিও’র মাধ্যমে এইচআইভি প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা
©somewhere in net ltd.