নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমর লোককবি বিজয় সরকারের স্মরণসভা ও বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

বি.এইচ.মাহিনী : সুন্দর এই পৃথিবী/ তুমি জানোনা’রে প্রিয়/ পোষা পাখি/ নকশী কাঁথার মাঠ/ কি সাপে কামড়াইলো/ জানিতে চাই দয়াল/ পরবাসি হইয়া-এমন মন জুড়ানো, প্রাণ মাতানো গানগুলোর স্রষ্টা কবিয়াল সম্রাট বিজয় সরকার। তিনি জন্মেছিলেন ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদি গ্রামে। আর মৃত্যু বরণ করেন ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর। এই মহান শিল্পীর ৩১ তম মৃত্যু বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গতকাল অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের শিবনগরে ‘বিজয় স্মৃতি মন্দিরে’ স্মরণসভা ও বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক গৌর চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব। এছাড়াও বাংলার প্রখ্যাত লোককবি ও মরমী শিল্পী কবি বিজয় সরকারের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা ও গান পরিবেশন করেন বক্তা ও কবিগানের শিল্পীরা। তারা বলেন, বিজয় সরকার আজ শুধু বাংলা নয়, বরং সারা বিশ্বের একজন খ্যাতিমান কবি ও আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেল। লালন, কবিগুরু রবি ঠাকুর ও নজরুলের ন্যায় তাকে নিয়েও আজ হচ্ছে গবেষণা। লালন যেমন জীবনের কথা, বাংলা সংস্কৃতি, বাঙ্গালী কৃষ্টি-কালচারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন, তেমনি নড়াইলের কৃতি সন্তান কবি বিজয় সরকারও বিশ্বমাঝে বাংলা ভাষায় রচিত গানের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে অন্যন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ওসমান শেখ, ডা. রণজিৎ কুমার রায়, সুভাস কুমার, সাবেক মেম্বর সরদার নাসির উদ্দিন, বাবু দিলীপ কুমার গোস্বামী, সরদার জসীম উদ্দীন, নরেন্দ্র নাথ, সুজন মোল্যা, বুলবুল আহমেদ।
বিজয় সরকারের বাবা নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবীর স্বপ্ন ছিল ছেলে লেখাপড়া শিখে বড় চাকুরে হবে। কিন্তু ছেলেবেলা থেকেই তিনি কবিতা, গান রচনা ও সুরের মধ্যে ডুবে থাকতেন। তাই প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ায় তিনি বেশি দূর এগোতে পারেননি। মাত্র নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই তার লেখাপড়ার যবনিকা ঘটে। কৈশোরে তিনি কবি পুলিন বিহারী ও পঞ্চানন মজুমদারের সহচর্যে আসেন ও পাচালী গানের দীক্ষা পান এবং পরবর্তিতে পাচালী গানে খ্যতি অর্জন করেন।
১৯৩৬ সালে তিনি কলিকাতায় গান করতে গেলে সেখানে কবি গোলাম মোস্তফা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসীমউদ্দিন, আববাস উদ্দিন, সাহিত্যিক হাবিবুল্লাহ বাহার, ধীরেন সেন প্রমূখের সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে ।
১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমী মরণোত্তর “কবিয়াল বিজয় সরকারের জীবন ও সঙ্গীত” শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করে। বইটিতে তাঁর ৩৭৫ টি গান সংকলিত হয়েছে।

০৫-১২-২০১৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.