নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা দিবস পালন ও শহীদদের জন্য দোয়া করা অপরিহার্য

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৭

সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে ভাষায় কথা শিখিেেয়ছন তা হলো, আমাদের মাতৃভাষা। তিনি মানুষকে বাকপদ্ধতি বা কথা বলা শিখিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমানের ১-৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ। শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন। সৃষ্টি করেছেন মানুষ। শিখিয়েছেন কথা ও ভাষা।’ আল্লাহ তায়ালা সূরা আলাকের ৫নং আয়াতে বলেন, ‘তিনি মানুষকে শিখিয়েছেন, যা সে জানত না।’ মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিয়ে আল্লাহ তায়ালা সূরা রূমের ২২নং আয়াতে বলেন, ‘তোমাদের ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতা আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুণ্যের অন্যতম নিদর্শন।’ এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর মানুষের ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতাকে তাঁর একটি নিদর্শন বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভাষার জ্ঞান ও হৃদয়গ্রাহী বর্ণনায় বক্তব্য উপস্থাপন করার যোগ্যতা ও দক্ষতা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মাতৃভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা সূরা ইব্রাহিমের ৪ নং আয়াতে বলেন, ‘আমি নিজের বাণী পৌঁছানোর জন্য যখনই কোনো রাসুল পাঠিয়েছি, সে তাঁর সম্প্রদায়ের ভাষায় বাণী পৌঁছিয়েছে। যাতে সে তাদের খুব ভালো করে পরিষ্কারভাবে বোঝাতে পারে।’ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) লিখেছেন, ‘আল্লাহর অপার করুণা, তিনি বান্দার সুবিধার জন্য নবীদের স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন।’ হযরত আবু জার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মহিমান্বিত আল্লাহ প্রত্যেক নবীকে নিজ উম্মতের ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২০৯০১)। তাফসিরে মাজহারিতে এসেছে হজরত কাতাদা (রহ.) বলেন, ‘প্রত্যেক নবী তার কওমের ভাষায় কথা বলতেন। আমাদের নবী (সা.) কথা বলতেন আরবি ভাষায়। তাঁর মাতৃভাষা ছিল আরবি।’ তাই দেখা যায় যে কোন ধর্মের প্রচার প্রসারে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম।
মাতৃভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের দেশের একদল সাহসী যুবক বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বাঙালিরা ছাড়া কোনো জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দেয়নি। তারা জীবন দিয়ে পৃথিবীতে মাতৃভাষার সম্মান আকাশচুম্বী করেছে। তাই পৃথিবীবাসী ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গ্রহণ করেছে। ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। মনে রাখা দরকার, ভাষা ও শহীদদের প্রতি ভালোবাসা যেন দিবসকেন্দ্রিক না হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত তাদের জন্য মৌখিক ও অন্তরের দোয়া অব্যাহত থাকতে হবে।
দোয়া এবং দান ছাড়া অন্য কিছু পরোলকপ্রাণে শান্তি আনে না। ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দান-সদকা ও অনির্ধারিত নফল ইবাদতের মাধ্যমে ভাষা দিবস উদযাপন করা শ্রেয়। শরিয়তের নির্ধারিত সীমায় ভাষা দিবস উদযাপনে আলেম ও ধর্মপ্রাণদের এগিয়ে আসা সময়ের দাবি।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সম্পাদক-সিংগাড়ী আঞ্চলিক গণ-গ্রন্থাগার
প্রভাষক : গাজীপুর রউফিয়া কামিল (এমএ) মাদরাসা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.