![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
কুরবানী (পশু জবেহ’র মাধ্যমে পাপ মোচন ও পুন্য অর্জন) করা ওয়াজিব। অন্যদিকে দূর্গত মানুষের সেবায় অর্থৎ তাদের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা’র জন্য ব্যয় করা ফরজ। তাই বর্তমান প্রেক্ষিতে কুরবানী’র মাসয়ালা কী হবে জানতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামাদের দারস্থ হয়েছিলাম। তাদের কিয়াসী মাসয়ালা হলো-
১. ড. মাওলানা আনোয়ার হুসাইন এর মতে, কিয়াস করতে পারি যে, কোরবানিদাতা তার বাজেট কমিয়ে কোরবানি করবেন। আর অতিরিক্ত বাজেট ত্রান হিসেবে দিবেন। তাহলে দুইটিই আদায় হয়ে যাবে। ইসলাম কঠিন কোন জীবন ব্যবস্থার নাম নয়। কোরবানি হযরত ইব্রাহিম আ: এর রীতি। আর এ ব্যাপারে যেহেতু প্রকাশ্য নস আছে সেহেতু এটা কাজা করা যাবে না। দুইটি ইবাদত আলাদা আলাদা, সওয়াব ও আলাদা। আশা করি বুঝবেন।
২. প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. আব্দুল ওয়াদুদ এর মতে, যদি এমন হয় যে, কোনো ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কুরবানী করবেন। তখন বন্যার্তদের সেবায় তিনি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে একটি ছাগল দিয়ে কুরবানী করে বাকি টাকা বন্যার্তদের সহায়তায় দান করতে পারবেন।
৩. সর্বপোরি, মানব সেবাই মহান সেবা। মানুষের কল্যাণেই ইসলাম। ইসলাম সাম্যে বিশ্বাসী। তাই দু’কুল রক্ষা করে অর্থাৎ একই সাথে ওয়াজিব ও ফরজ দুটোই আদায় হয় এমন পন্থা অবলম্বন করাই যুক্তিযুক্ত।
©somewhere in net ltd.