নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ : শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ : শেখ হাসিনার বাংলাদেশ
-----------------------------বি.এইচ.মাহিনী
বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বনেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অভাবনীয় সাফল্য ও অগ্রগতি অর্জন করেছে। তাই শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্লোগান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ : শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।’ স্লোগানটি নিঃসন্দেহে যুগোপযোগী ও বাস্তব সম্মত। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে শিক্ষাবৃত্তি চালু, ¯œাতক পর্যন্ত মেয়েদের পড়ালেখা অবৈতনিক, পিএসসি’র আদলে এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠ্যবই ও ডিজিটাল কারিকুলামসহ শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন পদক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের অসামান্য অবদান। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৈষম্য (এমপিও প্রতিষ্ঠানে), জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ধীরগতি, ঘন ঘন পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম পরিবর্তনসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি সেই অবদান ও সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। একদিকে শিক্ষক নিয়োগে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে দেশশেরা মেধাবীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ পাচ্ছেন। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। অন্যদিকে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষক শুন্যতায় ভূগছে প্রতিষ্ঠান সমূহ। বিশেষত এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা। নিয়োগ সংক্রান্ত দূনীতি কমেছে ঠিকই কিন্তু তা সমূলে উৎপাটন করা যায়নি। প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারীদের এখনো সরকারীভাবে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের আওতায় না আনতে পারা এর অন্যতম কারন। অন্যদিকে একই যোগ্যতায় শিক্ষাকতা পেশায় এসে সরকারী শিক্ষক কর্মচারীরা সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা পেলেও বর্তমানে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সরকারীভাবে নিয়োগ পেয়েও বে-সরকারী (এমপিও) শিক্ষকরা বেতন-ভাতা ও আনুসঙ্গিক সকল সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা বেতন পান না, পান অনুদান। তারা বৈশাখী ভাতা পান না।পান না শতভাগ উৎসব ভাতাও। একজন সিনিয়ন শিক্ষক ও প্রভাষকও মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকা উৎসব ভাতা পান। যা দিয়ে বাবা-মা, স্ত্রী-পুত্রের ঈদ পোষকতো দূরের কথা কাঁচা বাজারও হয় না। সম্ভব হয় না করবানীর পশু ক্রয়ের। কুরবানী করে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করা।
তাই তো অনেকেই আক্ষেপ করে বলে থাকেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজ তার সুযোগ্য কন্যার কাছে জাতীয় করণের জন্য আমাদের হাত পাততে হতো না।
রয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ধীরগতি। ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা করার কথা শিক্ষানীতিতে থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এখন বলা হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে। একই যোগ্যতায় মাদরাসার এবতেদায়ী শিক্ষকরা চাকরী করলেও তারা সরকারী বেতন ভাতা পান না। পান অনুদান। কিন্তু কেন? আমাদের দেশেতো প্রাথমিক শিক্ষা সরকারী ও বাধ্যতামূলক। তবে কেন কেউ সরকারী সুবিধা পাবেন আর কেউ পাবেন না। প্রশ্ন সচেতন মহলের।
অন্যদিকে প্রাথমিকে ১০০ নম্বরের ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকলেও নেই কোনো ধর্মীয় শিক্ষক। এতে কোনো ধর্মের শিক্ষার্থীরাই তাদের ধর্মীয় শিক্ষা ধর্ম শিক্ষকের কাছ থেকে পাচ্ছে না।
এছাড়ও বার বার পাঠ্যবই ও করিকুলাম পরিবর্তনের ফলে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরাও বুঝে উঠতে পারছেন কিভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে (এমপিও) দীর্ঘদিন শিক্ষক শুন্যতায় পড়ালেখার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এর আশু সমাধান করতে হবে। তাই সময় এসেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাবান্ধব পরিবেশকে আরও দৃঢ় করতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের।

লেখক-বি.এইচ.মাহিনী, প্রভাষক-গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা, অভয়নগর, যশোর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.