নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে সন্ত্রাসবাদ ও ফেতনা-ফ্যাসাদ হারাম

১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৪

ইসলামে সন্ত্রাসবাদ ও ফেতনা-ফ্যাসাদ হারাম
--প্রভাষক বি.এইচ.মাহিনী
বিশ্ব আজ অশান্ত। এক দিকে মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে যুদ্ধের নামে অন্যায়ভাবে মানব হত্যাযজ্ঞ অন্যদিকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর অতর্কিত হামলায় স্তব্ধ মনুষ্য জাতি। ইসলাম সব ধরণের অন্যায় হত্যা, সন্ত্রাস ও ফেতনা-ফ্যাসাদের বিরুদ্ধে শান্তির বাণী শোনানো এক ভ্রাতৃত্ববোধের ধর্ম। অথচ আজ ধর্মের নামে মানুষ খুন ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। ইসলাম সর্বদা ন্যায়পরায়নতা, সুবিচার ও সুন্দর আচরণ করার শিক্ষা দেয়। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা আরাফের ৫৬ নং আয়াতে বলেন, ‘দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিয়ো না, তাঁকে ভয় ও আশার সহিত ডাকবে। নিশ্চয় আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী।’ রাসুলুল্লাহ স. পরম শত্রুর সাথেও ভালো আচরণ করেছেন। এ ছাড়া তিনি অমুসলিমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলতেন। তিনি তাদের সঙ্গে লেনদেন করেছেন এবং শ্রমের বিনিময়ও করেছেন। পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করা ইসলামসমর্থিত নয়।
ইসলাম শান্তি, শৃঙ্খলা, পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহানুভূতির ধর্ম। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দয়া, সহনশীলতা ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের শিক্ষাই ইসলাম দেয়। এ ধর্মের বাহক মহানবী স. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবকল্যাণে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। তাঁর উদারতা, মাশীলতা, পরোপকার ইত্যাদিতে আকৃষ্ট হয়ে সর্বোপরি ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন যুগের অগণিত মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে এবং শান্তির ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। আজো ইসলামের শাশ্বত সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধ হয়ে মানুষ দলে দলে ইসলামে দীতি হচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপসহ পাশ্চাত্য বিশ্বে মুসলমানদের সংস্পর্শে এসে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসলামবিদ্বেষীরা রীতিমতো আতঙ্কিত। তারা ইসলাম থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখার অভিপ্রায়ে ইসলামের নামে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করে ইসলাম ধর্মকে বিতর্কিত করে তুলছে। ইসলাম কখনোই চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। বরং সহিংসতাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। হত্যা, রক্তপাত ও অরাজকতা প্রত্যাখ্যান করেছে। পাপ ও নির্যাতনমূলক কাজ থেকে বিরত থেকে সৎ ও ভালো কাজে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে।
সন্ত্রাস শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো : বৎৎড়ৎ-বীঃৎবসব ভবধৎ. সন্ত্রাস-এর পরিচয়ে এনসাইকোপিডিয়া ব্রিটানিকায় বলা হয়েছে, 'ঃবৎৎড়ৎরংস : ঃযব ংুংঃবসধঃরপ ঁংব ড়ভ ারড়ষবহপব ঃড় পৎবধঃব ধ মবহবৎধষ পষরসধঃব ড়ভ ভবধৎ রহ ধ ঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হ ধহফ ঃযবৎবনু ঃড় নৎরহম ধনড়ঁঃ ধ ঢ়ধৎঃরপঁষধৎ ঢ়ড়ষরঃরপধষ ড়নলবপঃরাব. সন্ত্রাস : নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুশৃঙ্খলভাবে সহিংসতা ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা।’
ইসলামের দৃষ্টিতে ফেতনা-ফ্যাসাদ ও সন্ত্রাসবাদ : বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ। এর ভয়াল থাবা আজ বিশ্বকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ফেলেছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে একদল চরমপন্থী নির্বিচারে হত্যা, রক্তারক্তি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিশ্বে অস্থিরতা সৃষ্টি করে চলছে। কোনো জনকল্যাণমূলক পদপে, মঙ্গলকামী বক্তব্য যখনই চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীদের স্বার্থে আঘাত হানছে তখনই সেসবের টুঁটি চেপে ধরতে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত হচ্ছে না তারা। মুসলমানদের চরমপন্থী কিংবা সন্ত্রাসী সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্নিত করতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে ফেতনা-ফ্যাসাদ ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও মহানবী স.-এর ভূমিকা কী? এ প্রসঙ্গে জানার আগে ইসলাম সম্পর্কে কিছুটা জানা প্রয়োজন।
ইসলাম কী? : ইসলামের মর্মবাণী হলো শান্তি ও সাম্য। দেশে দেশে ও জাতিতে জাতিতে এবং মানুষে মানুষে শান্তি স্থাপন ইসলামের মূল লক্ষ্য। ইহজাগতিক শান্তির মধ্য দিয়ে পরকালীন শান্তি তথা মুক্তির লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার চেষ্টার মধ্যেই ইসলামের সুর ধ্বনিত ও প্রতিধ্বনিত।
আল-কুরআন ও মহানবী স. প্রচারিত দ্বিনকে বলা হয় ইসলাম। এর অনুসারীদের বলা হয় মুসলিম। সত্যিকার অর্থে মহান আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণই হলো ইসলাম। সাম্য, স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্বের স্লোগান অথবা স্বাধীনতা, সাম্য এবং সুখের অন্বেষণÑএসবই গৃহীত হয়েছে ইসলামী জীবন দর্শন থেকে। ইসলাম বিশ্বাস করে মানুষে মানুষে ও জাতিতে জাতিতে প্রভেদ থাকতে পারে; কিন্তু তারা সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। তাই তাদের সম্পর্ক হবে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসমুক্ত ভ্রাতৃত্বের।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে কুরআনের ভূমিকা : কুরআন সব মানুষের সার্বিক দিক ও বিভাগের সমন্বিত একটি পরিপূর্ণ জীবন দর্শন। চরমপন্থা ও সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ব বিনির্মাণে কুরআন উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে সবাইকে। যেমনÑ যেকোনো অবৈধ হত্যাক- গোটা মানবজাতিকে হত্যার শামিল। হত্যাকারীর স্থান জাহান্নামে হবে উল্লেখ করে সূরা নিসার ৯৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে’।
অন্যায়ভাবে হত্যাকারী বিশ্বের সবাইকে হত্যাকারী হিসেবে আল্লাহর কাছে চিহ্নিত। আল্লাহ সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে বলেন, ‘নরহত্যা অথবা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করা হেতু ব্যতীত কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকেই হত্যা করল’। ইসলাম তার অনুসারীদের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী হয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে বারণ করে পবিত্র কুরআনের সূরা আরাফের ৫৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না’।
সন্ত্রাসী সবার কাছেই ঘৃণিত। মহান আল্লাহও এদের ঘৃণার চোখে দেখে তাদের ওপর লা’নত করেছেন। সূরা রা’দের ২৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদের জন্য রয়েছে লা’নত এবং মন্দ আবাস’ ।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা তুলে ধরে সূরা বাকারার ১৯১ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ফিতনা (অর্থ : প্রলোভন, দাঙ্গা, বিশৃঙ্খলা, যুদ্ধ, শিরক, ধর্মীয় নির্যাতন ইত্যাদি) হত্যা অপো গুরুতর’।
কুরআনে মুনাফিক চরিত্রের এমন কিছু চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীর কথা বলা হয়েছে, যারা স্বীয় স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সাধারণ লোকদের সাথে মিষ্টি-মধুর কথা বলে প্রতারণা করে এবং তাদের অশান্ত করে তোলে। জাহান্নামই এসব চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের আবাসস্থল হবে। পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২০৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যখন তাকে বলা হয়, তুমি আল্লাহকে ভয় করো, তখন তার আত্মাভিমান তাকে পাপানুষ্ঠানে লিপ্ত করে, সুতরাং জাহান্নামই তার যোগ্য’।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মহানবী স.-এর ভূমিকা : বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত মহানবী স. নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তো বটেই আগেও তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাই আমরা দেখতে পাই মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি ‘হিলফুল ফুজুল’ সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
হিজরোত্তর মদিনায় স্থায়ীভাবে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রক্ষা এবং চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মদিনায় বসবাসকারী অন্যান্য ধর্মাবলম্বী বিশেষত ইহুদিদের সাথে এক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। মদিনা সনদ হিসেবে খ্যাত এ সনদের একটি ধারায় বলা হয়েছে, ‘তাকওয়া অবলম্বনকারী ধর্মপ্রাণ বিশ্বাসীদের হাত সমবেতভাবে ওইসব ব্যক্তির হাতে উত্থিত হবে, যারা বিদ্রোহী হবে অথবা বিশ্বাসীদের মধ্যে অন্যায়, পাপাচার, সীমালঙ্ঘন, বিদ্বেষ অথবা দুর্নীতি ও ফ্যাসাদ ছড়িয়ে দিতে তৎপর হবে। তারা সবাই সমভাবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, যদিও সে তাদেরই কারো আপন পুত্রও হয়ে থাকে।’
আরেকটি শর্তে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে তা প্রমাণিতও হবে তার ওপর কিসাস গ্রহণ করা হবেÑ হত্যার পরিবর্তে তাকে হত্যা করা হবে।’
এভাবেই মহানবী স. শুরু করেন মদিনার জীবনে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের কার্যকর পদপে। মহানবী স. বলেছেন, ‘হত্যাকারীর ফরজ, নফল কোনো ইবাদতই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না’ (তিরমিজি)। অন্যত্র বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম মানুষের মধ্যে হত্যা সম্বন্ধে বিচার করা হবে’ (বুখারি, মুসলিম)।
বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের করণীয় : সাম্প্রতিককালে ইসলামের নামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী কর্মকা-ে সারা দেশবাসী উদ্বিগ্ন। গভীরভাবে বিবেচনা করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ঘটনাদ্বয় ইসলামকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই হয়েছে। অবশ্যই এহেন কর্মকা- ইসলামবিদ্বেষীদের সুদূরপ্রসারী চক্রান্তেরই ফসল। পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য প্রকৃত ইসলামি শিার ব্যাপক প্রচার প্রসার, পারিবারিক মূল্যবোধ জাগরিতকরণ, সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা বাঞ্ছনীয়।
সমাজ ও রাষ্ট্রবিধ্বংসী দুষ্টত চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদকে মূলোৎপাটন ও প্রতিরোধ করে ইসলাম বিশ্বব্যাপী শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে চায়। ইসলাম চরমপন্থা, সন্ত্রাস, হত্যাকা-, নৈরাজ্য এবং অরাজকতার সুস্পষ্ট বিরোধী। ইসলামের নামে যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মক- অনৈসলামিক ও অনৈতিক। ইসলাম মানুষে মানুষে হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্য স্থাপনের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির পৃথিবী গড়ার তাকিদ দেয়। ভারতের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিত্ব মি. গান্ধীর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘ইসলামকে আমি মহান নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ একটি ধর্ম হিসেবে নিশ্চিতভাবে জ্ঞান করি। তাই আমি পবিত্র কুরআনকে মনে করি মহান আদর্শের ভা-াররূপে এবং মুহাম্মদ স. কে শ্রদ্ধা করি একজন পয়গম্বররূপে।’
লেখক- বি এইচ মাহিনী
প্রভাষক- গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সম্পাদক-সিংগাড়ী আঞ্চলিক গণগ্রন্থাগার ও ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র, অভয়নগর, যশোর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.