নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পল্লীকবির ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

পল্লীকবির ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

নকশী কাঁথার মাঠে আজো/ তোমার দেখা মেলে
পল্লী বঁধু জল তুলে যায়/ সেজন বদিয়ার ঘাটে।

আজ ১৩ মার্চ পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মামার বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। জসীম উদ্দীনের পিতা আনসার উদ্দিন আহমদ ও মা আমেনা খাতুন। গোবিন্দপুর গ্রামে বড় হয়েছেন জসীম উদ্দীন। শৈশব থেকেই ছিলেন কিছুটা আত্মভোলা স্বভাবের। পোশাক-পরিচ্ছদ পরতেন খুব সাধারণ। দামি পোশাকের প্রতি তার কোনো আকর্ষণ ছিল না। কবি হিসেবে ধীরে ধীরে তার নাম চার দিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল। একদিন তিনি বড় মাপের কবি হিসেবে খ্যাতি লাভ করলেন। জিলা স্কুলে পড়ার সময়েই জসীমউদ্দীন কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন। সে সময় স্কুলে ক্ষীরোদ বাবু নামে একজন শিক্ষক এসেছিলেন। তিনি ছিলেন খ্যাতিমান কবি। জসীমউদ্দীন মাঝে মধ্যে ছুটে যেতেন ক্ষীরোদ বাবুর কাছে। কবিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতেন। তিনি জসীম উদ্দীনের লেখা মন দিয়ে শুনতেন এবং তাকে লেখার ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন।
১৯২১ সালে প্রবেশিকা পাস করার পর জসীমউদ্দীন ভর্তি হন ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে। এ কলেজ থেকে তিনি ১৯২৪ সালে আইএ পাস করেন। এ সময় জসীম উদ্দীন পল্লী সাহিত্যের উপকরণ সংগ্রহে মনোযোগ দেন। কিছু দিনের মধ্যেই পল্লীর অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত কবিয়ালদের রচিত বহু গীত, সঙ্গীত, কাহিনী এবং কবিতা সংগ্রহ করেন। জসীমউদ্দীনের প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। নকশী কাঁথার মাঠ জসীম উদ্দীনের একটি সুবিখ্যাত কাহিনী কাব্য। একসময় কবি হিসেবে তার খ্যাতি শুধু দেশেই নয় বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটি। প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টাল বিভাগের প্রধান জুশন জবাভিতেল চেক ভাষায় এর অনুবাদ করেন। ১৯৩৯ সালে নকশী কাঁথার মাঠ প্রকাশের ১০ বছর পর বিদেশিনী মিসেস ই এম মিলফোর্ডএ কাব্যের ইংরেজি ভাষ্য ঞযব ঋরবষফ ড়ভ ঃযব ঊসনৎড়রফবৎবফ ছঁরষঃ প্রকাশ করেন। এ অনুবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জসীমউদ্দীন আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। জসীম উদ্দীন সত্যিকার অর্থেই ছিলেন একজন পল্লীকবি। তিনি অন্তর দিয়ে মানুষকে ভালোবাসতেন। তার কবিতায় সে ভালোবাসার চিত্রই ফুটে উঠেছে। ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ কবি জসীম উদ্দীন এ পৃথিবী ছেড়ে চিরদিনের মতো বিদায় নেন।

---বি.এইচ.মাহিনী---
সাংবাদিক, লেখক ও প্রতিষ্ঠাতা-
সিংগাড়ী আঞ্চলিক গণগ্রন্থাগার ও ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র
যুগ্ম-সম্পাদক-ভৈরব চিত্রা রিপোর্টার্স ইউনিটি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.