নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শিক্ষক, লেখালেখি, সম্পাদনা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। বাংলাদেশ কে ভালবাসি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য সামান্য হলেও কিছু করতে চাই।

মা, মাটি ও মানুষকে ভালবাসি। ভালবাসতে চাই।

বিএইচ মাহিনী

I am a social worker.

বিএইচ মাহিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষ উদযাপনের পোস্টমর্টেম

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

নববর্ষ উদযাপনের পোস্টমর্টেম
--প্রভাষক বি.এইচ.মাহিনী
ভাষা-সংস্কৃতির আন্দোলন, ৩০লক্ষ প্রাণ ও ২ লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের রক্তস্নাত নদীমাতৃক সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের উর্বর মৃত্তিকার নির্যাস থেকে ভুমিষ্ট আমি। অন্যদিকে এই ভূমি ও আমার প্রাণের (রুহ) মালিক আমার স্রষ্টা। তাই এ দেশের সমাজ কৃষ্টি সভ্যতা ভাষা-সংস্কৃতি যেমনি আমার তেমনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এদেশে কুরান-সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামি সুস্থ ও শালীন সংস্কৃতিও আমার। তাই দেশীয় সংস্কৃতির ততটুকুই আমরা গ্রহণ করি যতটুকু আমাদের স্রষ্টার ঐশি নির্দেশনা তথা ইসলামি বিধান (আইন) অনুমোদন দেয়। তবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মত পথ সভ্যতা কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা বিকশিত হতে দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরাও উচিত নয়। বরং বিগত দিনের গ্লানি জরা-জির্ণতা দুঃখ-হতাশা বিবাদ-বিষাদ রাগ-ক্ষোভ-অভিমান ধুয়ে-মুছে বাঙালী হিসেবে সর্বোপরি বাংলাদেশী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে যার যার অবস্থান থেকে সচেষ্ট হই। এটাই হোক নববর্ষের প্রার্থনা।
বাঙালী মুসলিম দ্বন্দ্ব : কিছু কথা
আমাদের দেশের একদল মানুষ মনে করেন আমরা আগে মুসলমান পরে বাঙালি। আবার একপক্ষ ভাবেন আমরা আগে বাঙালি পরে মুসলিম। অর্থাৎ আগে জন্মভূমি, ভাষা-সংস্কৃতি তারপর ধর্ম। আসলে কী? বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম কান্ট্রির দিকে তাকালে আমরা কী দেখতে পাই। আরবীয়দের দেখুন। তারা আগে আরবীয় সংস্কৃতির চর্চা-অনুশীলন করে পরে ধর্ম। তারা তাদের পোষাকে আরবী। তাদের পোষাক! তারা পাঞ্জাবী-পাজামা পরে তাও আরবী ধাচের। ইরানীদের দেখুন। তারা মনে করে যে, তারা আগে পার্সিয়ান তারপর মুসলমান। যে কারনে তারা তাদের বর্ষবরণ উৎসব 'নওরোজ'কে দেশব্যাপী বিশাল পরিসরে পালন করেন। তারা প্রবলভাবে ইসলামকে গ্রহন করেছে ঠিকই কিন্তু তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিয়ে নয়। তারা পাঞ্জাবি টুপি পরে ঠিকই কিন্তু সেগুলো তাদের নিজস্ব স্টাইলের পাঞ্জাবি, নিজস্ব স্টাইলের টুপি। তাদের মসজিদগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখানে এরাবিয়ান স্থাপত্যশিল্পের প্রকাশ নেই। প্রকাশ রয়েছে পার্সিয়ান স্থাপত্যশিল্পের। ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলোর দিকে দেখুন, মরক্কোর মসজিদগুলোর দিকে দেখুন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মসজিদগুলোর দিকে লক্ষ্য করুন, সেখানে তাদের নিজস্ব স্থাপত্যশিল্প এবং নিজস্ব সংস্কৃতির ছাপ ব্যাপকভাবে প্রকাশিত। তারা ইসলাম গ্রহন করেছে ঠিকই কিন্তু তাদের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে নয়। কিন্তু আমরা? আমরা মনে করি এরাবিয়ান হওয়া মানেই মুসলমান হওয়া। এই ধারনা কতটুকু যুক্তিসংগত, প্রশ্ন বিদগ্ধ পাঠককূলে রইলো। আসলে প্রথমত মনে-প্রানে মাতৃভূমিজ না হতে পারলে কেউই কোন বড়ো বিষয়ের দিকে ধাবিত হতে পারেনা। সম্ভবও নয়। তাই আসুন ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’। আমাদের ধর্ম দর্শন সভ্যতা-সংস্কৃতি কৃষ্টি প্রার্থনা সবই যেন হয় মানুষের কল্যাণে।

লেখক-বি এইচ মাহিনী
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সম্পাদক-সিংগাড়ী আঞ্চলিক গণগ্রন্থাগার ও ভৈরব সংস্কৃতি কেন্দ্র
যুগ্ম সম্পাদক-ভৈরব-চিত্রা রিপোর্টার্স ইউনিটি (প্রেসক্লাব), সিংগাড়ী বাজার, অভয়নগর, যশোর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.