নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবেকিন্দ্রিয়লোচন

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন

বিবেক নামক ইন্দ্রিয়ের চোখ (বিবেকিন্দ্রিয়লোচন) দিয়ে চারিদিক দেখার চেষ্টা করছি

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন › বিস্তারিত পোস্টঃ

'সুদ' নামক বস্তুটির ভয়াবহ তান্ডবলীলা - ১

০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১৫

0১. যে কথা না বল্‌লেই নয়ঃ



প্রতিদিনের ঘুম ভাঙ্গে যে পৃথিবীতে মানষের আহাজারির ভারী বাতাসে, প্রতিটি নিশ্বাসে যেখানে মিশে থাকে মৃত মানুষের লাশ পঁচা গন্ধ, বন্ধ চোখে যে মর্তে দেখতে পাওয়া যায় অযুত নিযুত দুঃখী আত্মার মাতম, সেই নষ্ট, পঙ্কিল, দুর্গন্ধময় জঞ্জালে দঁড়িয়ে এ অসময়ের হাত থেকে আপনাকে বাঁচাবার কোন চেষ্টাই আমি করবো না। শুধু কিছু কথা বলে যাব........বলে যাওয়া উচিত বলে, শুধু কিছু বিষয়ে আপনার দৃষ্টিপাত কামনা করবো.......আপনি জানতে চান বলে। আর যদি এ ধৈর্য্যটুকু এখনও আপনার উপার্জনে না থাকে, তবে নিচের বাকি লেখাটুকু নিয়ে আপনার মাথাব্যথার কোন কারনই নেই।



০২. একটি ছোট্ট সহজ প্রশ্নঃ



যদি প্রশ্ন করি এই যে আমাদের চারপাশের নিদারুন বাস্তবতা, এত অস্থিরতা, এত আকাঙ্খা, চাহিদা, পাওয়া, না পাওয়া, আচার-ব্যবহার, সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, বিস্ময়, হাসি, কান্না, হত্যা, লুন্ঠন, ভাল-মন্দ, বিচার-অবিচার, শাসন, দুঃশাসন; এত এত শব্দ, এত এত জীবন-রুপ, জীবনের এত আঙ্গিক, তার মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় বস্তু কোনটি? আরেকটু সহজ করে যদি বলি, জীবনের বিষয় বস্তুগুলোকে যদি কয়েকটি সাধারন ভাগে ভাগ করি যেমন, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ভৌগলিক, ধর্মীয় ইত্যাদ; আর যদি আপনাকে প্রশ্ন করি, এর মধ্য থেকে আপনি একটিমাত্র বিষয় নির্বাচন করবেন যা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং যা অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর সবচেয়ে বেশী প্রভাব বিস্তার করে, তবে আপনি কোন বিষয়টিকে বেছে নিবেন।



০৩. আমার সাথে কি একমত?



প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে, কষ্ট করে বাসে ঝুলতে ঝুলতে কিংবা গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপের রাত্রিতে বাসায় এসে বিদ্যুত না থাকাঃ এত সব যন্ত্রনার পরও যে বস্তুটি আপনাকে প্রতিদিন বাসা হতে বের করে আনে, তা হল অর্থ প্রাপ্তির চাহিদা। অর্থ অনর্থের মূল হলেও অতি অমূল্য এ বস্তুটির জন্যই আপনি এত কষ্ট দিবানিশি সহ্য করে আসছেন আর ভবিষ্যতেও করবেন। আর এ বস্তুটিই আপনার অন্যান্য সকল বিষয় বস্তুর উপর প্রভাব বিস্তার করে। সেই প্রভাবের প্রখরতা এতই প্রবল হয় যে আপনার পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রই প্রকম্পিত হয়। তাই অর্থনৈতিক মুক্তিই আপনার অন্যান্য সকল বিষয়ের যথাযথ যত্ন নিতে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে।



০৪. নানা মুনির নানা মতঃ



এখন কথা হচ্ছে এই অর্থনৈতিক মুক্তি কিভাবে আসবে? অর্থনীতিবিদ বলে যাঁরা নিজেদের দাবী করেন তাঁরা প্রায়শয়ই দোদূল্যমান মতবাদের উপর থাকেন। কখনো একটি মতবাদ বা তত্ত্ব তাঁদের কাছ থেকে আসেনা। একটা মজার কৌতুক এ নিয়ে প্রচলিত। বিশ্ব-মাতবর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রুমেন তাঁর সারা জীবনেও নাকি এক হাত ওয়ালা কোন অর্থনীতিবিদ পাননি। যখনই তিনি কোন অর্থনীতিবিদকে অর্থনীতি বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতেন তখন তাদেঁর উত্তর হত, "Well, Mr. President, on the one hand ....... And then again, on the other hand .......". আরও বলা হয়ে থাকেঃ An economist is someone who, when he finds something that works in practice, tries to make it work in theory. অর্থ্যাৎ আশেপাশে দেখে অর্থনীতিবিদরা নিজেদের তত্ত্ব তৈরী করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল জীবন থেকে উপাত্ত নিয়ে এই তত্ত্বগুলোর জন্ম দিলেও তত্ত্বগুলোই আবার আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে সংগতিপূর্ণ হয় না। এর পেছনে সবচেয়ে বড় যে কারনটি কাজ করে তা হলঃ অর্থনীতি জীবনের অন্যান্য আরও যে সব বিষয় বস্তুগুলো রয়েছে তার উপর নির্ভর করে। আর মানব চিন্তা চেতনার মাত্রা ও পরিধি দুটোই সীমিত হওয়ায় এই ব্যাপক বিষয়টির অনেক গিরিপথ অর্থনীতিবিদদের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকে। আর তাই জীবন থেকে উপাত্ত নিয়ে তত্ত্ব তৈরী করলেও তা কাজ করেনা। বরং প্রাত্যহিক জীবনের অর্থনৈতিক বিষয়াবলীকে বিষিয়ে তোলে। সাথে সাথে জীবনের অন্যান্য সকল দিককে অস্থির করে দেয়। মূলত এই চিরসত্য কারনটি আমাদের জ্ঞানের পরিধির মধ্যে না থাকায় আমরা প্রকৃত সত্য উপলব্দি করতে ব্যর্থ হচ্ছি।



০৫. এখন শুনি আসল কথাঃ



বিস্তারিত আলোচনার আগে চলুন জানি যে বস্তুটির জন্য এত এত ভূমিকা সেই 'সুদ' নামক বস্তুটি আসলে কি? 'সুদ' আরবীতে যাকে বলা হয় 'আল রিবা' আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে 'অতিরিক্ত' বা 'বেশী'। প্রায়োগিক দিক থেকে ইসলামে 'সুদ' বলতে বুঝায় সেই আয় যা কোন প্রকার পরিশ্রম ছাড়া অর্জিত হয় বা অতিরিক্ত আয় যা কোন প্রকার ব্যয় বা বিনিময় ছাড়া অর্জিত হয়। সহি হাদিসে বলা হয়েছে অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থই সুদ।



পবিত্র কোরআর মজিদের সুরা বাকারার ২৭৫ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলছেনঃ



"যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।"



আবার ২৭৬ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলছেনঃ



"আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।"



এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে সুদ নামক এই বস্তুটি সম্পর্কে আল্লাহপাক এত হুঁশিয়ারী কেন জানান দিলেন? সুদে এমন কি আছে যে এ বিষয়টি নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনার দরকার পড়ে? কি তার ক্ষতিকর দিক? চলুন এত সব প্রশ্নের ব্যাখা বাস্তবতার পাল্লায় পরখ করে দেখি।



০৬. সুদ ও ব্যষ্টিক অর্থনীতিঃ



অর্থনীতিকে যে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, 'ব্যষ্টিক অর্থনীতি' বা 'Micro Economics' অর্থনীতির ক্ষুদ্রাংশ, ব্যক্তি বা বিষয়বস্তু কেন্দ্রিক আলোচনা করে থাকে। যেমন একটি দেশের একজন একজন করে কৃষকের উৎপাদনের হিসাব করা হলে তা ব্যষ্টিক অর্থনীতির আলোচনা হবে। আর সকল কৃষকদের উৎপাদনের হিসাব করা হলে তা 'সামষ্টিক অর্থনীতির' (Macro Economics) আলোচনার বিষয় হবে। অন্য কথায় বলা যায়, ব্যষ্টিক অর্থনীতির সমষ্টিই সামষ্টিক অর্থনীতি।



আপাতদৃষ্টিতে সুদের কিছু সুবিধা আমরা দেখতে পাই। পবিত্র কোরআন মজিদে আল্লাহপাকও এ কথা বলেছেন। আর এই সুবিধা শুধু ব্যষ্টিক অর্থনীতি কেন্দ্রিক। সাধারন একজন চাকুরিজীবির কথাই ধরুননা! সারা জীবন খাটা খাটুনির পরে বৃদ্ধ বয়সে এসে উপার্জনের আর কোন উপায় না পেয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেন। আর তা হতে পরে মুনাফা (সুদ) তুলে তুলে নিজের ভরনপোষনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এই জঘন্য বস্তুটির প্রভাব শুধু ঐ ব্যষ্টিক অর্থনীতির সীমিত পরিধির মধ্যে শুধুমাত্র খানিকটা সুবিধা দানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অক্টোপাসের মত এর কুৎসিত কদাকার কদর্য প্রভাবে আজ দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে আমাদের নৈতিকতা, আদর্শ, পরোপকারিতা, উদারতা আরও অনেক মানবতার আবেদন। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি আর আপামর জনসাধারনের নাভিশ্বাসের কারণও যে এই সুদ! আসুন ব্যষ্টিক অর্থনীতির সীমিত গন্ডি হতে বেরিয়ে দেখি সুদের তান্ডবে আমরা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি প্রতিনিয়ত।



০৭. সুদ ও সামষ্টিক অর্থনীতিঃ



বস্তুতঃ আমরা আজ যে পূজিঁবাদী অর্থনীতির গ্যাড়াকলে নিষ্পেষিত হচ্ছি তার পুরো অবকাঠামোই গড়ে উঠেছে সুদ ভিত্তিক অর্থনীতির উপর নির্ভর করে। সুদ আজ আমাদের চিন্তাজীবি এবং বুদ্ধিজীবিদের মাথা এমন ভাবে আড়ষ্ট করে রেখেছে যে তাঁরা অন্য কোন উত্তম উপায় বা পন্থা নিয়ে ভাবতে পারেননা। অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায়, সুদের সমুদ্রে তাঁদের জ্ঞান এ পরিমান হাবুডুবু খাচ্ছে যে এ অকুল পাথারে নিজেদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও নজরে আসছেনা। এরই মধ্যে অনেক জ্ঞানপাপী আছেন যাঁরা সব জেনে শুনে বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকেন। কারণ? কারণ একটাই। নিজেদের অর্থপ্রাপ্তির ব্যাঘাত ঘটবে তাই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এমন কয়েকজন আদম সন্তানকে জানি যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত এবং এই পূজিঁবাদী অর্থব্যবস্থার শঠতা সম্পর্কেও অবহিত। কিন্তু নিজেদের আহারের জোগান এই চলমান নষ্ট অর্থব্যবস্থার বইপত্র পড়িয়ে হয় বলে তার সম্পর্কে জেনেও না জানার ভান করেন। তাদের বিচার আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিলাম। যেহেতু যে নিজেকে সাহায্য করেনা আল্লাহও তাকে সাহায্য করেননা; দেখা যাক আমরা নিজেরা কি করতে পারি এই জঘন্য বস্তুটি থেকে মুক্তির জন্য!



০৮. ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ কি?



আক্ষিরিক অর্থে 'সুদ' বা আরবীতে 'আল-রিবা' বলতে বুঝায় 'অতিরিক্ত' বা 'বেশী'। ব্যবহারির দৃষ্টিকোন থেকে ইসলামে সুদ বলতে ঐ অংশকে বুঝায় যা কোন প্রকার শ্রম বা প্রচেষ্টা ছাড়া অর্জিত হয় অথবা যা কোন বিনিময় ছাড়া অর্জিত হয়। হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলবী (রঃ) বলেছেন, "সুদ হল সেই ধার যা এই শর্তে নির্ধারণ করা হয় যে দেনাদার তার পাওনাদারকে যতটুকু ধার নিল তার চেয়ে বেশী অংশ ফেরত দিবে"।



পবিত্র কোরআর মজিদের সুরা বাকারার ২৭৮ এবং ২৭৯ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলছেনঃ



"হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না"



আপাতদৃষ্টিতে সুদের উপকার আমাদের কাছে আছে বলে মনে হয়। আমার এ লেখাটি মাত্র লিখছি। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে এক পাঠকের মন্তব্য পেলাম। তিনি জানতে চেয়েছেন সুদ ব্যবস্থা যদি না থাকে তবে উদ্যোগতার জন্ম হবে কিভাবে? কারো যদি কোন আইডিয়া থাকে আর তার কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমানে মূলধন না থাকে তবে সে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করবে কিভাবে?



সব প্রশ্নের জবাই পাবেন। একটি বিষয় সম্পর্কে বুঝতে হলে বিষয়টির যাবতীয় আলোচনার দাবী রাখে। তা না হলে ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে তাকে বুঝার চেষ্টা পুরো বিষয়টিকে ভুল দিকে প্রবাহিত করে। আর তাই সব কিছুই জানতে হবে। আমার এই প্রবন্ধে সুদের আদ্যোপ্রান্ত আলোচনার চেষ্টা করা হবে। মনে রাখেন আল্লাহ আর তাঁর রাসূল যদি কোন কিছু নিষেধ করেন তবে তা আপনার আমার কল্যাণের নিমিত্তেই করেন। অনেক প্রজ্ঞা এর পেছনে কাজ করে। হয়ত সাময়িক ভাবে আপনি ব্যাপারটি বুঝবেন না কারন মানুষের জ্ঞানের পরিধি সীমিত। মানুষ এক সাথে অনেক কিছু ভাবতে পারেনা। কিন্তু আল্লাহর জ্ঞান তাঁর স্বত্তার মতই নূরালোকে ভাস্বর। তাঁর জ্ঞান তাঁর স্বত্তার মতই অসীম।



একটু ভাল করে যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখবো যে আল্লাহপাক এখানে সুদের সাথে 'অত্যাচারের' একটি সর্ম্পক করে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় আমি যেখানে সুদের উপকার দেখতে পাই সেখানে অত্যাচার আসলো কোথা থেকে? কিভাবে তা অত্যাচার হয়? কেন সুদকে ইসলামে এত ঘৃণার বস্তু হিসাবে ভাবা হয়? চলুন দেখি এসব প্রশ্নের জবাব মিলে কিনা।



বাকি অংশঃ-----'সুদ' নামক বস্তুটির ভয়াবহ তান্ডবলীলা-২ এ দেখুন

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৪৬

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: খবু ভালো লিখেছেন........পরিষ্কার ধারণা মনে হচ্ছে.......সব পর্বগুলোই পড়বো।

সুদভিত্তিক অর্থনীতি পরিষ্কার ভাবেই ফেল! কিন্ত কথাটা সহজে কাউকে বোঝানো যায় না!

হিলারিয়াস হেডোনিজম বা ভোগবাদ আজ বিশ্বকে গ্রাস করেছে........এ থেকে পরিত্রানের পথ কই? ধর্ম তো ক্রমশই কাগজেই থেকে যাচ্ছে।

০৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:২২

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ভুলটা ভাই শুরুতেই। ইসলাম কোন 'ধর্ম' নয়। হ্যা আমি নিজেও মাঝে মাঝে 'ধর্ম' শব্দটা ব্যবহার করি সাধারন মানুষের সাথে কথা বলার সময়। ইসলাম মূলত 'দ্বীন' 'ধর্ম' নয়। 'দ্বীন ইসলাম' অনেক ব্যাপক ধারণা। এর ভিতর রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, পারিবারিক ব্যাপার সব কিছুই অর্ন্তভুক্ত। 'ইসলাম'কে ধর্মের মধ্যে রেখে দিলে মানুষ এর ব্যবহারিক রুপ দেখবে কিভাবে। ইসলামকে রাজনীতির মাধ্যমে ব্যবহারিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। কারনঃ Politics is the only mighty way to serve the mass people in a massive way. ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০৬

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: আপনি আমার বক্তব্যের কথাটা অন্যদিকে ঘুরি্যে দিলেন বলে মনে হলো। আমি আপনার পুরো লেখাটার মর্ম বুঝতে পেরেছি বলে মনে হয়েছে তাই লিখেছেলাম "সুদভিত্তিক অর্থনীতি পরিষ্কার ভাবেই ফেল!"। কিন্ত আপনি আমার ভুলটা (!) দিয়ে শুরু করলেন।

আমি ধর্ম বলতে শুধু ইসলামকে বুঝিয়েছি তা কিন্ত নয়! Christianity কিন্ত বিশ্বে অনেক বড় আরেকটা ধর্ম। তাদের অবস্থান-ই দেখুন না। তারাও আজ ঐ কাগুজে ধর্মেই আছে। কখনো বা পার্কে, কখনো বা বাস-স্টপেজে ২/১ পাতার বই ধরিয়ে দিচ্ছে, তাতে যীশুর কথা আর Christianity নিয়ে ২/১ কলম লেখা থাকে এই পর্যন্তই।

ভালো কথা সংগত কারণেই, আপনার পোষ্ট ধর্ম বললে হয়তো ইসলামের কথায় আসে। দেখুন আমি ইসলামের কথা না বলতেই আপনি ধর্ম মানে ইসলামকে নিয়ে আসলেন, তার মানে কি? ইসলাম একটি ধর্ম অবশ্যই। তবে এটা অবশ্যই ঠিক যে, ইসলাম শুধু ধর্মও নয় এটি একটি পূর্নাঙ্গ জীবন-বিধান অবশ্যই।

ইসলাম কেন ধর্ম? কারণ, ইসলামের শুরুটা বিশ্বাস থেকে। এবং সেখানে একজন ইশ্বরের অস্তিত স্বীকার করা হয়েছে, পরলোক বলে কিছু আছে সেটাও স্বীকার করা হয়েছে। যদি আপনি এটা না মানতে পারেন, তাহলে আপনাকে বলবো, থিওলজি আরো পড়ুন। আপনার কাছে প্রশ্ন থাকলো ধর্ম বা রিলিজিওন কি? আপনার সেই ডেফিনেশন হিসাবে ইসলামকে কি ধর্ম বলা যাবে না?

ওয়েল, এবার আসুন রাজনীতি। আপনি বলেছেন "ইসলামকে রাজনীতির মাধ্যমে ব্যবহারিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে"। খুবই ভয়ানক কথা বলেছেন। বরং আমি বলব ইসলাম পালন করতে গেলে আপনাকে রাজনীতিও করতে হবে অর্থাৎ রাষ্ট্র-ক্ষমতাও পেতে হবে।


ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২৬

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: এই কারনেই লেখা লেখির একটা অসুবিধা আছে। আমি আপনার কোন কথা কিংবা লেখার সমালোচনা করি নাই। আমি বলেছি আমরা ভুল করি ইসলামকে ধর্ম ভেবে। এই খানে আপনাকে নয় আমি আমাদের মুসলমানদের চিন্তা নিয়ে বলেছি। আর প্রাসঙ্গিক ভাবে আমার নিজের দোষও বলেছি। আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। আর আমি আমার "ইসলামকে রাজনীতির মাধ্যমে ব্যবহারিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে" তুলে নিচ্ছি। ধন্যবাদ 'বরং আমি বলব ইসলাম পালন করতে গেলে আপনাকে রাজনীতিও করতে হবে অর্থাৎ রাষ্ট্র-ক্ষমতাও পেতে হবে' এই মহাসুন্দর কথাটি বলার জন্য।

৪| ০৮ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৪২

কুটুশ মিয়া বলেছেন: খুবই চমতকার আলোচনা।১ম পর্বটা পড়লাম বাকিগুলাও পড়ব ইংশাআল্লহ!এসব কথাবার্তা তো আমার মতো মডারেট মুসলিমদের পছন্দ হবে না!এই "মডারেট মুসলিম" জিনিসটা যে আসলে কি বস্তু এইটা এক সৃস্টিকর্তাই ভালো জানেন।আসল কথা হলো আমরা এখন এইসব সুদকে ইসলামি সুদ বানাইয়া বিনোদনের মাধ্যমে ইসলামি জ্ঞান আহরন করিয়া ইসলামি পন্ডিত হইয়া তারপর আবার বিনোদনের মাধ্যমেই ইসলাম কায়েম করিতে অধিক আগ্রহি!আর আরেক পন্ডিত দল আছে এদের কথা হলো ধর্ম যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার ঠিক যেরকম মক্কার জাহেল আবু জাহেলরা হুযুরকে(সঃ) বলত(অথচ আমর নামক এই ব্যক্তির উপাধিই ছিলো আবুল হাকাম বা জ্ঞান/প্রজ্ঞার পিতা অর্থাত মস্তবড় পন্ডিত আরকি!) যে তুমি যত খুশি নিজে নিজে হিরা গুহায় বা নিজের ঘরে বসে ধ্যান/ধর্ম কর্ম করো কিন্তু এই জিনিস বাইরে প্রচার করতে এসো না।

তবে একটা কথা হলো মদিনাতে মসজিদে নববিকে কেন্দ্র করে যে ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিলো সেটা কিন্তু সতস্ফুর্তভাবেই গড়ে উঠেছিলো।জোড় করে চাপায় দেয়া হয় নাই।ইসলাম কেনো সারা দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না এর জবাবে একজন ইসলামি স্কলার যা বলেছিলেন তার ভাবার্থ হলো,যে মুসলমান নিজের জীবনই ঠিক মতো ইসলাম অনুসারে চালাতে পারে না সে কিভাবে সারা দুনিয়া বা একটা জনগোষ্ঠিকে ইসলাম অনুসারে চালাবে?যাইহোক এ ব্যাপারে আপনি আপনার মতামত জানিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন।জাঝাকাল্লহ!

৫| ০৯ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০৮

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ওই ইসলামি স্কলারের সাথে একমত না হলেই মনে হয়ে ভাল হয়। জীবন এমন এক প্রক্রিয়া যা আমি প্রভাবিত করি এবং সে আমাকে প্রভাবিত করে। আগে আমি ভাল হব তারপর জীবন সুন্দর হবে, এভাবে ভাবলে ঐ কাঙ্খিত দিন জীবনেও আসবেনা। তার জন্য দরকার নিজের সংশোধন পাশাপাশি সেই কাজটি করা যা সমগ্র জীবনধারাকে একসাথে প্রভাবিত করে। আর তা হল রাজনীতি। রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতা হাতে নিতে হবে। এতে করেই সমগ্র পরিবেশের পরিবর্তন হবে। আর সর্বসাধারন তখন একটু চেষ্টা করলেই ইসলাম অনুযায়ী চলতে পারবে। আর বর্তমান সময়ে তা নিতান্তই কঠিন কাজ কারন সেই পরিবেশ নাই। আর তাই মানুষ সুদ ছাড়তে চাইলেও পারেছেনা। কথা একটাই ইসলামী খেলাফত ফিরিয়ে আনতে হবে। এর বিকল্প নাই। আমি সুদের উপর বিস্তারিত আলোচনা করবো। পড়তে থাকুন ভাল লাগবে ইনশা-আল্লাহ।

৬| ০৯ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৪৪

কুটুশ মিয়া বলেছেন: জাঝাকাল্লহ ভাই,তর্ক করার জন্য না আমি শুধু নিজের মতামতটা জানাই।আগে আমি ভালো হবো তারপর সব ঠিক হবে এরকম সরলিকরন করা বোধহয় ঠিক হবে না বা কেউ এভাবে বলেনও না।অবশ্যই নিজে ভালো হওয়ার সাথে সাথে সমাজকেও পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।কিন্তু এর পদ্ধতিটা নিয়েই বোধহয় যতো বিতর্ক।আমি কিন্তু বলেছি মসজিদ নববিকে কেন্দ্র করেই মদিনার ইসলামি সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।কিংবা এভাবেও চিন্তা করা যায় সমস্ত নবিরা(আঃ) কি উদ্দেশ্য এসেছিলো বা তাদের কর্মপদ্ধতিটা কি ছিলো?সব নবিরাইতো(আঃ) হুযুর(সঃ)এর মতো ইাসলামি সমাজ ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নাই তারমানে কি তাদের মিশন ব্যার্থ?এ উম্মতকে যে কারনে শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষনা দেয়া হয়েছে সেটার কারন আপনি নিশ্চই জানেন সেটা হলো নবু্যতের কাজ বা নবিদের কাজ করার জন্য উম্মতকে নির্বাচিত করা হয়েছে।এখন সেই নবু্যতের কাজটা কি এইটাই বোধহয় বের করা দরকার।ভাই আমি শুধু আমার মতামতটা জানালাম।ইংশাআল্লহ পরে আরো আলোচনা করবো।

৭| ০৯ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২১

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার সাথে একমত। ভাই সব দিকই সামাল দিতে হবে। রাজনীতি কেন করতে হবে তা বুঝতে হবে মুসলমানদের। পাশাপাশি আমল চালিয়ে যেতে হবে প্রতিনিয়ত। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমীন।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬

মুক্ত মানব বলেছেন: ৩ টা প্রশ্ন ছিল-
১। আমার জরুরী প্রয়োজনে আমি আপনার কাছে ১০০ টাকা সাহায্য নিলাম। ১ বছর পর ১০০ টাকা ফেরৎ দিলাম। এই বছরে ইনেফ্লেশন রেট ১০% ছিল। এখানে ইসলামের দৃষ্টিতে আমানতের খিয়ানত হয়েছে কি না সেটাও জানাবেন।
২। আমার জরুরী প্রয়োজনে আমি আপনার কাছে ১০০ টাকা সাহায্য নিলাম। ১ বছর পর ১১০ টাকা ফেরৎ দিলাম। এই বছরে ইনেফ্লেশন রেট ১০% ছিল। কোন সুদ আদান প্রদান হয়েছে কি?
৩। আমার জরুরী প্রয়োজনে আমি আপনার কাছে ১০০০ টাকা সাহায্য চাইলাম। আপনি ১০০০ টাকা না দিয়ে আমাকে ১০০০ টাকা মূল্যের গোল্ড বার দিলেন। যেখানে ধরলাম ১ রতি পরিমান স্বর্ণ আছে। ১ বছর পর আমি আপনাকে ১ রতি স্বর্ণ ফেরত দিলাম। আজকের বাজার মূল্যে যেটার দাম ২০০০ টাকা। কোন সুদ আদান প্রদান হয়েছে কি?

২০ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৯

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ভাই আপনি মূলতঃ প্রশ্ন করেছেন একটি। তিনটি নয়। কারন প্রতিটি প্রশ্নের সাথেই মুদ্রাস্ফিতির সম্পর্ক বিদ্যমান।

'মুদ্রাস্ফিতি' বা inflation সম্পর্কে আমরা ধারনা পেয়েছি কারন আমরা এই বর্বর ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দিনপাত করছি। এই নষ্ট অর্থব্যবস্থার অর্থনীতিবিদরাই বলে যে a very slow positive inflation rate is beneficial for the country. ইসলামী অর্থ-রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মুদ্রাস্ফিতি নেই বললেই চলে। in a very long term situation (ধরেন, ১০০ বছর) এ অতি সামন্য মুদ্রাস্ফিতি হয় যা এই পঙ্কিল ব্যবস্থার অর্থনীতিবিদরাই ভাল বলে স্বিকৃতি দেয়।

এখন, যদি মুদ্রাস্ফিতিই না থাকে তবে তো উপরের তিনটি বিষয়ের আলোচনার কোন দরকারই নেই!

আর লক্ষ্য করুন, আমার এই ব্লগিংয়ের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই নষ্ট ব্যবস্থার 'স্বার্থপরতার' চিত্র তুলে ধরা। উপরের প্রতিটি প্রশ্নের সাথে দেখেন স্বার্থপরতার সম্পর্ক দিনের আলোর মত উপস্থিত। ইসলাম কিন্তু তা শিক্ষা দেয়না। আল্লাহ আর তাঁর রাসূল (সঃ) বার বার ক্ষমা আর সদকার কথা বলেছেন। এভাবে বলেছেন বার বার যে মানুষ যাতে তার ভাইয়ে ঋণ মওকুফ করে দিতে উদার হয়। পার্থক্যটা দেখুন!!!

আমি এ ক্ষেত্রে আপনাকে একটা উদাহরণ দিতে পারি। এই সমাজে কেউ যদি জিনা করে তবে কি তার মৃত্যুদন্ড হবে?? না হবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি আজকের এই ব্যবস্থার মধ্যে জিনা করছে ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে তার শাস্তি এখন আপনি কি দিবেন???

আপনার ৩ নং প্রশ্নর জবাবে বলছি, একটা সময়ে দুনিয়ার তাবদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো 'গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড' অনুযায়ীই মুদ্রার মানদন্ড নির্ধারণ করত। কারন, স্বর্ণের মান নিকট ভবিষ্যতে পরিবর্তিত কম হয়। কিন্তু এখন করছেনা। কারন, এই অর্থব্যবস্থায় তা আর সম্ভব হচ্ছিল না। আর এর পেছনে যুক্তরাস্টের বিশাল ইতিহাস আছে। আপনার ৩নং প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে এতে আমার জানা মতে সুদের আদান প্রদান হবে না। কিন্তু কথা থাকে যে আপনি যখন তাকে টাকা ফেরত দিবেন তখন ১০০০ টাকা না দিয়ে গোল্ড বারই ফেরত দিতে হবে বাজারমূল্য যতই হোক না কেন!

আল্লাহু আলম (নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে ভাল সব কিছু জানেন)। ধন্যবাদ ভাই।

৯| ২০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

মুক্ত মানব বলেছেন: আপনার কথা গুলো ভাল লাগল। আমি জানি যে কাগজের মুদ্রা ব্যাবস্থা চালু না করে স্বর্ণ বা রৌপ্য মূদ্রা ব্যাবস্থা (যেখানে মুদ্রার ফেস ভ্যালু আর ইন্ট্রিনসিক ভ্যালু সমান হবে) চালু করলে ইফ্লেশন হবে না বললেই চলে। তখন, আমার প্রশ্ন গুলো ও আসত না। কিন্তু বর্ত মানে এই ব্যবস্থা চালু আছে। এখন আমি কি করব? আমার প্রথম প্রশ্ন অনুশারে আসি স্পষ্ট দেখতেছি এখানে আমানতের খিয়ানত হচ্ছে। আবার আমি যদি ইনেফ্লেশন বিবেচন করে কিছুটাকা বেশি দেই তবে অনেকেই বলবে এটা সুদ। এই পরিস্তিতিতে আমি কোনটা করব? আমানতের খিয়ানত নাকি সুদ দিব? এইটা জানা আমার জন্য খুবই জরুরী।

২০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৯

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: আপনাকে আগে একটা গল্প বলি। আমার বন্ধু সুমন। ওর অফিস গুলশানে। আমি যে এলাকায় থাকি, ওখান থেকে গুলশানের ভাড়া এই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির আগে ছিল ১৮ টাকা। এখন, ২৬ টাকা। সুমন কখনো ২৬ টাকার টিকিট কাটেনা। কারন কি জানেন? ওর মতে, ১৮ টাকা যখন ছিল তখনই তা অতিরিক্ত ভাড়া ছিল। আর তাই সে ২০ টাকার টিকিট কাটে। আমি জানিনা ৬ টাকা না দেয়ার জন্য আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবেন কিনা!! তবে একজন মুত্তাকি নিশ্চয়ই এ জীবন অপেক্ষা ঐ জীবনকে দাম বেশী দিবেন!

আপনার হিসাব অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এটা পুরোপুরি আমানতের খেয়ানয়ও নয়। আপনি ইচ্ছা করেতো আর মুদ্রাস্ফিতি তৈরী করছেন না! ধরেন, কেউ একজন আপনার কাছে তার জীবনের শেষ সম্বল কিছু স্বর্ণ আমানত রাখল। যে দিন রাখল সেই দিনই বাসায় চুরি হয়ে আপনি পথে বসে গেলেন। আমানতের খেয়ানত হল কি? না হয় নি। ঐ ব্যক্তি যদি মুত্তাকি হয়, তবে সে আপনাকে মাফ করে দিবে। ইসলাম এই শিক্ষাই দেয়।

মুত্তাকি মাত্রই সন্দেহজনিত বস্তু ত্যাগ করেন। আর আমরা দেখলাম প্রথম কাজটি মূলতঃ আমানতের খেয়ানত নয়। আমি হলে তাই প্রথম কাজটিই করতাম। সুদ দেয়া থেকে বিরত থাকতাম।

প্রতিটি স্তরেই তাকওয়া জড়িত। বর্তমানে যে অবস্থার ভিতরে আমরা আছি, তাতে আমরা ইসলামকে কাট ছাট করে বর্তমানের সাথে খাপ খাওয়াতে চাচ্ছি। সমস্যাটা এখানেই। এ কারনেই এত contradictions. ইসলাম যে ভাবে বলে, তার জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তন আবশ্যক।

আল্লাহু আলম। ধন্যবাদ।

১০| ২০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮

মুক্ত মানব বলেছেন: আপনার উদাহরণ টা মানতে পারছি না। আপনি যদি নিশ্চিত জানেন আমার বাসায় চুরি হবে তবে কি আপনি স্বর্ণ রাখবেন? আামি যেখানে নিশ্চিত জানি আমার টাকা কমে যাবে সেখানে আমি কেন টাকা দিব?
আপনি বলছেন, প্রথম কাজটি মুলত আমানতের খেয়ানত নয়। কিন্তু ফাইন্যান্সের ছাত্র হিসেবে আমি স্পষ্ট দেখতেছি, এটা আমানতের খেয়ানত।
আপনি একবার বলবেন কি, ইসলামে কোন কোন বস্তুর উপর সুদ ধার্য করা হয়েছে? সকল বস্তুর উপর সুদ ধার্য না করে বিশেষ ঐ বস্তুগুলোর উপর কোন বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যের কারনে সুদ ধার্য করা হয়েছে? আমার একটু ক্লিয়ার হওয়া দরকার।

২০ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৮

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ভাই, আমি আপনাকে উপরে যতগুলৌ উদাহরণ দিয়েছি তার প্রতিটিতে একটা কথাই বার বার বলার চেষ্টা করছি যে কেন আমাদের মধ্যে এই সমাজে ব্যাপারগুলে নিয়ে টানাপোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে।

আপনি নিশ্চিত জানেন যে ইনফ্লেশন হবে। তাই আপনি আমানতের খেয়ানত বলছেন। এখানে 'আপনি নিজে' ধার নিচ্ছেন। ধার দিচ্ছেন না কিন্তু। আমি আপনাকে বুঝানোর চেষ্টা করছি যে আমানতের সাথে 'অপার্থিব বিশ্বাসের' সম্পর্ক। তাই 'খেয়ানত' শব্দটি এর ব্যত্যয় ঘটলে আসে। আপনি ব্যাপারটি অন্য রকম ভাবে ভাবতে পারেন। ধরেন, আপনি ধারে পণ্য ক্রয় করলেন। এ ক্ষেত্রেও পণ্যগুলো চুরি হয়ে গেল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আপনি বাধ্য থাকবেন বিক্রেতার টাকা ফেরত দিতে।

আপনি নিশ্চিত জানেন যে টাকা কমে যাবে। সত্য। আপনি যদি ধার না দিতে চান দিবেন না! (স্বার্থপরতা)। আমি আপনার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। আর তাইতো, এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য বলছি। যাতে এমন পরিবেশ পাই যেখানে এ ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিবেনা।

ইসলাম সুদের রুপরেখা বলে দিয়েছে। কোন বিশেষ বস্তুর নাম উল্লেখ এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক।

১১| ২০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৯

মুক্ত মানব বলেছেন: ফেয়ার এনাফ। আপনি দয়া করে এই লিংক থেকে ই-বুকটি ডাউলোড করে পড়বেন। পড়া হলে জানাবেন।
আপনার কখিত সামাজিক টানপোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বলেই আমি প্রশ্নটা করেছি। যাই হোক, বইটা পড়া হলে একটু আওয়াজ দিয়েন। তখন পরবর্তী আলোচনায় যাব।

১২| ২০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৫০

মুক্ত মানব বলেছেন: সরি, লিংক দেয়া হয় নি। এখানে।

২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৯

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: বইটা ভাসা ভাসা ভাবে পড়লাম। মূল কথা আশা করি ধরতে পেরেছি। তবে আমার ফিকাহ সম্পর্কে জ্ঞানের যেহেতু অভাব আছে, জানিনা ঠিকমত বুঝতে পেরেছি কিনা।

আপনার ১০নং মন্তব্যে আপনি বলেছেনঃ আপনি একবার বলবেন কি, ইসলামে কোন কোন বস্তুর উপর সুদ ধার্য করা হয়েছে? সকল বস্তুর উপর সুদ ধার্য না করে বিশেষ ঐ বস্তুগুলোর উপর কোন বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যের কারনে সুদ ধার্য করা হয়েছে?

বইতে কিন্তু স্পষ্ট করে বলা আছে যে আসহাবে জাহিরি বাদে অন্য সবাই এই ছয়টি বস্তুর বাহিরেও সুদের উপস্থিতি আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন। আমি বলেছি, "ইসলাম সুদের রুপরেখা বলে দিয়েছে। কোন বিশেষ বস্তুর নাম উল্লেখ এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক"।

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫১

নুরূজজামা১৯৬৩ বলেছেন:
২৭৯) কিন্তু যদি তোমরা এমনটি না করো তাহলে জেনে রাখো, এটা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ৷ ৩২৩ sura bakara
এই লেখাগুলি লিফলেট আকারে বিতরণ করুন মসজিদে২ তবেই হবে দাওয়াত দেওয়া যদি আপনি চান খরচ ৩০tk সওআব অনন্ত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.