![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি অভিনব দালাল চক্র। এটা এখানে “দালাল সাংবাদিক” নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।
কারা এই দালাল সাংবাদিক:
লেবার ভিসায় এরা মালয়েশিয়ায় এসেছিল। পরে কাজ কর্ম বাদ দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বাংলা অনলাইন নিউজ পোর্টালে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রশংসা মূলক সংবাদ প্রকাশ করে। বিনিময়ে দূতাবাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত পায়।
দালাল সাংবাদিকরা এখানকার সদস্য
সাংবাদিকতার জন্য কোন আলাদা ভিসা আছে কি:
সাংবাদিকতার জন্য ভিসা থাকতে পারে। তবে সেটা রয়টার্স, বিবিসি , আল জাজিরা এই জাতীয় সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা যদি এক দেশ থেকে আরেক দেশে যায় তখনই বিশেষ ভিসা পায়। তবে মাসের পর মাস সাংবাদিক পরিচয়ে থাকার জন্য মালয়েশিয়াতে আলাদা কোন ভিসা নেই।
এই দালালরা থাকে কি করেঃ
মূলতঃ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রচার কাজে এরা ব্যবহৃত হয়। ফলে দূতাবাস থেকে এরা নাকি বিশেষ কিছু সু্বিধা পায়। যেমন পাসপোর্ট, ট্রাভেল পারমিট, মৃতদেহ দেশে প্রেরণ, দেশে থেকে শ্রমিক আনার অনুমতিপত্র, শ্রমিকদের ভিসা করানোর কথা বলে টাকা আদায়, হুমকি ধামকি দিয়ে টাকা কামাই এই জাতীয় কাজে এরা জড়িত।
সম্প্রতি দূতাবাসে প্রবেশ ফি নেয়া হলে ঢাকার কোন কোন পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করলেও এই সব দালাল সাংবাদিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রশংসামূলক নানান খবর ছাপে। যেমন- ছুটির দিনেও সেবা দিচ্ছে দূতাবাস, মহাআরামে সেবা পাচ্ছে শ্রমিকরা ইত্যাদি।
অথচ বর্তমানে দূতাবাসে কোন শ্রমিককে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা, দারোয়ানরা তাদেরকে মারধর করছে । এ বিষয়ে কোন সংবাদ তারা প্রকাশ করছে না।
প্রতিদিন বেলা আড়াইটার দিকে ৪/৫ জন দালাল সাংবাদিক আসে দূতাবাসে। তারা প্রথমে যায় পাসপোর্টের প্রথম সচিব মসিউর রহমান তালুকদারের কাছে। সেখানে শ্রমিকদের নামে নতুন পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়। প্রথম সচিব এগুলো সাইন দিয়ে জমা নেন। এরপর তারা শ্রমিকদের নামে নতুন পাসপোর্ট ডেলিভারি নেন। এ কাজের জন্য দালাল সাংবাদিকরা প্রচুর টাকা সার্ভিস চার্জ হিসাবে আদায় করে নেন শ্রমিক দের কাছে।
সংবাদ মাধ্যম কি বলেঃ
ঢাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর খবর:
দিনভর হাইকমিশনেই দেখা যায় তাকে। কর্মকর্তাদের সঙ্গে দারুণ সখ্য তার। খোদ হাই কমিশনারের সঙ্গে বিভিন্ন পোঁজের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে জাহির করেন নিজের ক্ষমতা। তার খবর নাকি প্রকাশ ও প্রচার হয় বাংলাদেশের পাঁচ পত্রিকা আর এক টেলিভিশন চ্যানেলে!
কখনো পাসপোর্ট, কখনো ওয়ার্ক পারমিট করিয়ে দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেন সরলমতি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা। বাংলাদেশের আদালতে দায়ের হওয়া মামলা খারিজের টোপ ফেলেও তিনি টাকা খান মালয়েশিয়ায় বসেই।
টাকা নেওয়া হয়ে গেলে আর পাত্তা মেলে না তার। দেখা করা তো দূরের কথা, ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন। কাজ বা টাকার জন্য বেশী চাপাচাপি করলে মোক্ষম কোপ কষেন পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশন এলাকায় শেখ কবির নামেই পরিচিত তিনি।
তার প্রতারণায় ভুক্তভোগী সিলেট উপশহর এলাকা থেকে ভাগ্যান্বেষণে মালয়েশিয়ায় আসা ইমন। অভিযোগ, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ভিসা নবায়নের জন্য খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন কুয়ালালামপুর হাই কমিশনে। সেখানে হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে কবীরের সঙ্গে পরিচয় ইমনের।
ওয়ার্ক পারমিট নবায়নের জন্য তার সঙ্গে সাড়ে ৫ হাজার রিঙ্গিতে (প্রায় ১ লাখ দশ হাজার টাকা) সমঝোতা হয় ইমনের। সে অনুযায়ী প্রথম দফায় পাসপোর্টসহ ১ হাজার ৮’শ রিঙ্গিত তুলে দেন কবীরের হাতে। কয়েকদিন পর কবীরের দেওয়ার হিসাব নম্বরে জমা দেন আরো ২ হাজার ৬’শ রিঙ্গিত। অর্থাৎ দু’দফায় প্রায় ৪ হাজার ৪’শ রিঙ্গিত সেই সাংবাদিক পরিচয়ধারী দালালের হাতে তুলে দেন ইমন।
ইমনের বন্ধু আতিকুর রহমানও একই সমস্যায় পাসপোর্ট ও টাকা তুলে দেন শেখ কবীরের হাতে। এরপর থেকে ঘুরতে থাকেন। আজ হবে, কাল হবে করে কেটে যায় প্রায় ৮ মাস। এরপর যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন আশা ছেড়ে দিয়ে পাসপোর্ট ও টাকা ফেরতের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন।
(Click This Link)
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখনো নিরাপদ ব্লগার হইনি। হলে দেখা হবে নিয়মিত।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৬
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আপনার ব্লগে ৫ টি লেখাই প্রতিবাদী । মনে হয় কারো প্রতি ক্ষোভ আছে। ব্লগে স্বাগত আপনাকে
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে মনটা খুব বিষিয়ে আছে। কবে যে একটা সভ্য দেশের নাগরিক হতে পারবো।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
দুতাবাসগুলো প্রবাসে দুষ্টলোকদের মিলনকেন্দ্র
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: তাদের কাছে সাধারণ প্রবাসীর সেবা পাবার অধিকার আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ