![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাপী রংয়ে যাদের এলার্জি আছে, তাদের এই পোষ্ট পড়ার কোনো দরকার নাই ।
এটা গোলাপী কালার-এর স্টাটাস ।
এসো হে বৈশাখ, এসো.....
বলে ফাল মারায় কোনো কৃতিত্ব নাই ।
আমার ধারনা, লুকিয়ে আছে মরন শব্দ বৈশাখ শব্দের অন্তরালে ।
যারা বলে এসো হে বৈশাখ এসো....
তাদের ভাবা উচিত একটি বৈশাখ মানেই জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি বছর । এতে উল্লাসিত হওয়ার কিছুই নাই । এসো হে মরন, কাছে এসো... এই বলে আনন্দ করা সুথ মস্তিষ্কের কার্যক্রমের মধ্যে পরে না । আমরা পৃথিবীর বুকে সবাই
সু-বিবেচক, কিন্তু অবিবেচকের চরিত্রে কেন অভিনয় করতে যাবো ?
বৈশাখের সকল সংস্কৃতি যদি হয় ইসলাম বিরোধী, বিদআত, কুফরি, সেখানে অংশ নেওয়ার পুর্বে শাস্তি সমুহ সম্পর্কে ধারনা নেওয়া উচিত । আর অবিশ্বাসীদের ব্যাপার ভিন্ন, যার স্বল্প বসনে অধিক বাসনায় মত্ত থাকে ।
শিরক এবং কুফরি যার কোনো ক্ষমা নেই ।
যেসব কারণে মুসলিমরা পহেলা বৈশাখের নামে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে নাঃ
১. এই পহেলা বৈশাখে পালিত অন্যতম শির্ক হচ্ছেঃ মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এই দিনকে পালনের মাধ্যমে মঙ্গল কামনা করা হয়।
মহান আল্লাহ্ বলেন-
“শুনে রাখ তাদের অশুভ আলামতের চাবিকাঠি একমাত্র আল্লাহরই হাতে রয়েছে, অথচ এরা জানে না। (সুরা আ’রাফঃ ১৩১)
নাবী (সাঃ) বলেন- অশুভ আলামত বা দুর্ভাগ্যের ধারণা যে ব্যক্তিকে তার স্বীয় প্রয়োজন, দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে দূরে রাখল সে মূলত শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদঃ ২/২২০)
অপর হাদিসে নাবী (সাঃ) বলেন- হে আল্লাহ্ তুমি ছাড়া কেউ কল্যাণ দিতে পারে না, তুমি ছাড়া কেউ অকল্যাণ ও দুরবস্থা দূর করতে পারে না। ক্ষমতা ও শক্তির আধার একমাত্র তুমিই। (আবু দাউদঃ ৩৯১৯)
২. উল্কি অঙ্কনঃ
১লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে যুবক যুবতী নিজেদের গালে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে উল্কি অঙ্কন করে। এ সম্পর্কে ইমর উমার (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে পরচুলা লাগায় এবং অন্যের দ্বারা লাগিয়ে নেয়, যে নারী দেহে কিছু অংকন করে এবং অন্যের দ্বারা করিয়ে নেই উভয়ের প্রতি আল্লাহ্ অভিশাপ করেছেন।
-(বুখারি, মুসলিম/৪৪৩০- পোশাক অধ্যায়)
অত্র হাদীসে বুঝা যায় শরীরে উল্কি/ট্যাটু অংকন করা, যাদের দ্বারা করিয়ে নেয়া হয় তারা উভয়ে অভিশপ্ত।
৩. নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা চর্চাঃ
শালীন মেয়েরাও পহেলা বৈশাখের নামে অর্ধ নগ্ন হয়ে বের হয়। গরমের দিনে তথাকথিত পহেলা বৈশাখের সাদা শাড়ি ঘামে ভিজে শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অত্যন্ত নোংরা ভাবে প্রকাশিত হয়। তাছাড়াও নারী পুরুষ ঢলাঢলির মাধ্যমে ব্যভিচারের সবচে বড় ক্ষেত্র তৈরি হয় পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিতে। পান্তা-ইলিশের সাথে ইদানীং যোগ হয়েছে, যুবতী মেয়েদের হাতে খেয়ে মনের নোংরা চাহিদা মেটানো।
উল্কি অঙ্কনের নামেও ছেলে-মেয়ে একে অন্যকে স্পর্শ করা এক প্রকাশ্য অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতার ক্ষেত্র তৈরী করছে।
এছাড়াও আরো অনেক পাপাচার হয়ে থাকে এই পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে।
অতএব মুসলিমরা তাদের পরকাল সম্পর্কে চিন্তাশীল হোক। এবং জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে বাঁচানো চেষ্টা করুক।
©somewhere in net ltd.