নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নন্দের নন্দদুলাল : স্বপ্ন রথে

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

স্বপ্নের অশ্বারোহী
দূরন্ত ইচ্ছেতে ঘুরে বেড়াই, নন্দ কাননে
তাম্রলিপি থেকে অহিছত্র
পুন্ড্রবর্ধন থেকে উজ্জয়িনী, স্বপ্ন সময়ের নন্দদুলাল।

আমাদের শেকড়
বাংলার আদি সাম্রাজ্যে যেন
পতপত ওড়ে পতাকা সবুজ-লাল,
মিলেনিয়াম নন্দ ডাইনাস্টির স্বপ্ন সারথীর স্বপ্নরথে

মানচিত্র: নন্দ ডাইনাস্টি

চম্পা থেকে বৈশালী
শ্রাবস্তি থেকে মাথুরা মায়া আঁকে
প্রেয়সির কাজল চোখের স্বপ্নের মতো;
ভারুকাচ্ছা থেকে বিদিশার দিশারী পথে।

রাজাগিরা থেকে পাটালিপুত্র
রথ চলে অবিরাম
কুন্দিনার মোহ মায়ায় ছূটি
বারানস থেকে কৌসম্বের পথে -

পূর্বে বাংলা, পশ্চিমে পাঞ্জাব
দক্ষিণে বিন্ধ্যা পর্বতমালা
সম্পদ, সমৃদ্ধি, সঙ্গম সংস্কৃতির ঐতিহ্য
নন্দের উদাসী যুবক ’নন্দদুলাল’ উপমালংকার গেথে;

মহাপদ্ম নন্দ (উগ্রসেনা), পান্দুকা, পান্দুগাতি,
ভুটাপালা , রাষ্ট্রপালা,
গোবিশানকা , দশাশিদ্ধকা , কৈবর্ত
ধন নন্দ (আগ্রামিস) শাসকেরা অবাক চেয়ে আপনাপানে;

মহা স্বপ্ন সারথী, চালায় স্বপ্ন রথ
বাংলা থেকে প্রাচীন নন্দ- স্বপ্নের শেকড় সন্ধানে।।

নোট:
[ নন্দ সাম্রাজ্য ছিল প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় যুগ। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪৫–খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ সাল অব্দি এই সাম্রাজ্যের সময়কাল। এই যুগে বাংলার শক্তিমত্তা ও প্রাচুর্য শীর্ষে আরোহণ করে। এই যুগে বাংলা সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। নন্দ রাজাদের জন্ম হয়েছিল বাংলায়। তারা বাংলা থেকে মগধ (বিহার) দখল করে এবং উভয় রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গ-মগধ নামে একটি নতুন সাম্রাজ্যের পত্তন করে। প্রাচীণ গ্রীক ইতিহাসে বাংলাকে গঙ্গারিডাই এবং মগধকে প্রাসি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রীক ইতিহাসে এই সংযুক্ত রাজ্যকে গঙ্গারিডাই ও প্রাসি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নন্দ রাজাগণ ছিলেন জৈন ধর্মের অনুসারী। এবং তারা ছিলেন জৈন ধর্মের আজীবিক শাখার অনুসারী।
মহাপদ্ম নন্দ (উগ্রসেনা), পান্দুকা, পান্দুগাতি, ভুটাপালা , রাষ্ট্রপালা, গোবিশানকা , দশাশিদ্ধকা , কৈবর্ত, ধন নন্দ (আগ্রামিস) নন্দের শাসকবৃন্দ।

মহাপদ্ম নন্দ ছিলেন নন্দ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট। তিনি সমগ্র ভারতবর্ষ ব্যাপী ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি কোশল (উত্তর প্রদেশ), কুরু (পূর্ব পাঞ্জাব), মৎস্য (রাজপুতানা), চেদী (মধ্য প্রদেশ ও বিহারের মধ্যস্থিত জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল),অবন্তী (মধ্য প্রদেশ) প্রভৃতি অঞ্চল জয় করেন। দিগ্বিজয়ার্থে মহাপদ্ম এক বিশাল সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করেন। তৎকালীন ইতিহাস অনুসারে মহাপদ্মের অধীনে ২,০০,০০০ পদাতিক, ২০,০০০ অশ্বারোহী, ৪,০০০ যুদ্ধরথ ও ২,০০০ হস্তীবাহিনী ছিল। মতান্তরে তার নিকট ২,০০,০০০ পদাতিক, ৮০,০০০ অশ্বারোহী, ৮,০০০ যুদ্ধরথ ও ৬,০০০ হস্তীবাহিনী ছিল।]
ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল
তথ্য সূত্র : নন্দ সাম্রাজ্য

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

এম এ হানিফ বলেছেন: কঠিন ভাষার কবিতা ভাই

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রাচীন নামগুলো একটু এরকমই

নন্দ সামাজ্যের অলি গলি ঘুরতে গিয়েছিল নন্দদুলাল ;)
আর নন্দ রাজাদের নামতো সেইরকম খটোমটো - হা হা হা

অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে
শুভেচ্ছা রইল

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: এখন কোন ডাইনাস্টি চলছে?

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাতান্ন ডাইনাস্টি ;)

মাৎসানায় শব্দের প্রতিশব্দ হয়তো মহাকালে প্রতিস্থাপিত হবে এ ডাইনাস্টির নামে :P

অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা অন্তহীণ

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জোবাইর বলেছেন: কবিতার ছন্দে বাংলার গৌরবময় ইতিহাসের বর্ণনা চমৎকার হয়েছে। সেইসাথে নোটে সংক্ষিপ্ত ইতিহাসকে যুক্ত করে দেওয়ায় পাঠকের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইতিহাসে নন্দ সাম্রাজ্যের সময়কালটাও যোগ করে দেন: (খ্রিস্টপূর্ব ৩৪৫–খ্রিস্টপূর্ব ৩২১)। শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকুন।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
দারুন মন্তব্যে অনুপ্রানীত হলাম।
হুম সময়টা যোগ করে দিয়েছি। কৃতজ্ঞতা স্মরন করিয়ে দেয়ায়।

অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। কয়েক মুহূর্তে ঘুরে এলাম সেই আলো অন্ধকারের সময়ে। মনে হলো একটা তেজীরথ টেনে নিয়ে গেল সময়ের উল্টো দিকে,ইতিহাসের বুকের ভিতর!

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ স্বর্ণবন্ধন

আপনার অনুভবে কবিতা প্রাণময় হলো বটে :)
শেকড়ের সন্ধানে এক পলক ঘুরে আসা কল্পরথে

অন্তহীন শুভকামনা রইল

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা,পড়তে পড়তে মনে হয় জীবননান্দের কবিতা পড়ছি।”সিংহল সমুদ্র থেকে”
কতকাল টিকে ছিল এই সাম্রাজ্য।নন্দদুলাল শব্দটির প্রচলন একসময় ছিল।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস!
ভুই পাইছি। তিনাদের পদধূলি হতে পারলেও জীবন ধন্য।

লিখতে লিখতে ভাবছিলাম শ্রাবস্তির কারুকার্যের জন্মকথা -কত জানতে হয়, কত পড়তে হয় কত গভীরে যেতে হয়
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি;
বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

মাথা নত হয়ে আসে শ্রদ্ধায়।

সময় কাল এড করেছি পরে এডিট করে।
খ্রীষ্টপূর্ব ৩৪৫ থেক খ্রীষ্টপূর্ব ৩২১ সাল পর্যন্ত ছিল নন্দ সাম্রােজ্যর সময়কাল
হুম, একটা বিলাসী ভাব নিলেই বলা হত- আহা নন্দ দুলাল যেন! ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইল




৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! স্বপ্নের সারথি দিয়ে যেনো চলে গেলাম সময়ের অনেকখানি পিছনে।গৌরবময় বাংলার অতীত পড়ে খুশি হলাম। কাব‍্যে ভালোলাগা।
তবে মনের প্রশ্ন জাগে, হঠাৎ করে আপনি প্রাচীন বাংলা তথা ভারত নিয়ে পড়লেন কেন ?

নন্দ বংশের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের কথা মাথায় রেখো বলব সে সময়ের​ কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় দু'লক্ষ পদাতিক বাহিনীর অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। নন্দ বংশের শেষ শাসক ধননন্দ ছিলেন প্রবল অত্যাচারী।কৌটিল্যের সহচর্যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দদের যুদ্ধে পরাস্ত করে মগধে মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।সম্ভবত তৃতীয় জৈন মহাসঙ্গীত নন্দদের সময়ে​ হয়েছিল।

কাব চতুর্থ লাইক।

শুভেচ্ছা নিয়েন শ্রদ্ধেয় কবি ভাই।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক দাদা :)
মন্তব্যে অনুপ্রাণীত হলাম।

হা হা হা।
শেকড় সন্ধানী মনের জিগিষা প্রাবল্য বলতে পারেন। প্রাচীন বাংলা নিয়ে একটা লেখার ভাবনাও সাথে রয়েছে।
আর মনের অবচেতনে যে শুভ আর সুন্দরের স্বপ্ন তার সাথে কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের সূক্ষ্ণ প্রেম থেকেই যায় ;)
সকল কিছু শুভ হোক সুন্দর হোক ভাবনাও মনের সাম্রাজ্যবাদ বটে ;)

ভাল মন্দতো সব সময়েই থাকে। ভালকে গ্রহণ কর, মন্দকে ফেলে দাও। ;)

অনেক অনেক শুভকামনা আর শুভেচ্ছা রইল

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস আশ্রিত কবিতা। নন্দ বংশের সমাপনী ইতিহাস বলছে চাণক্যকে অপমান করেন ধনানন্দ। প্রতিশোধ নিতে চাণক্য শেষ পর্যন্ত চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে প্রশিক্ষন দিয়ে রাজা বানান। চন্দ্রগুপ্ত তার গুরু চাণক্যকে তার উপদেষ্টা হিসাবে রাখেন। চাণক্য একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর :)

হুম। চাণক্য কৌশল বলে কথা। ভীষন ভীষন আফসোস হয় ভায়া।
অন্য জাতিরা তাদের অতীত ইতিহাস নিয়ে কি সমৃদ্ধ দারুন দারুন ডকু, মুভি করে!
আর আমাদের অসাধারন সমৃদ্ধ ইতিহাসও ধুলায় গড়াগড়ি খায় :((

জাতিগত ভিত্তি নির্মানে এই সেক্টরে সরকার এবং বেসরকারী বিনয়োগকারীরা এগিয়ে আসবেন আশা করি।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার প্রতিমন্তব‍্যে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় কবি ভাইকে।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

পুন:মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকেও

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: কবিতা সুন্দর, তবে বন্ধনীর ভেতর শব্দগুলো কবিতার সৌন্দর্যহানি করেছে। একটি সুন্দর কবিতা তীব্র অনুভূতির প্রস্রবণ, তা ব্যাখ্যা করা কবির দায়িত্ব নয়, অন্তত কবিতার ভেতরে ব্যাখ্যা তো নয়ই।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

একবার দেবোনা ভেবেছিলাম। আবার সবার যেহেতু ইতিহাস জানা নেই বুঝতে সুবিধার জণ্যই এড করা।
কবির দায় কবিতায় বটে, ব্লগারের দায় ভালবাসায় :)
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: অজানা ইতিহাস, জেনে সমৃদ্ধ হলাম । পোষ্টে লাইক এবং ভাল লাগা রইল ।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া

এ যে আমাদের শেকড়ের সন্ধান।
বাংলার সমৃদ্ধ অতীত :)

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: ইতিহাসের কবিতা! অনেক ভালো লাগা ভাইয়া!

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শায়মাপুনি :)

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন

১২| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের শেকড় বাংলার আদি সাম্রাজ্যে যেন পতপত ওড়ে পতাকা সবুজ-লাল,
মিলেনিয়াম নন্দ ডাইনাস্টির স্বপ্ন সারথীর স্বপ্নরথে


আপনি তো অনেক বড় স্বপ্নই দেখেছেন দেখছি। ভালো, অধ্যাপক আবু সায়িদ বলেন- মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়...

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

স্বপ্নতো স্বপ্নের মতোই বড় হওয়া চাই ;)
সায়িদ স্যারের কথা আমাদের প্রেরনা । গুরুবাক্য শিরোধার্য :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: নান্দনিক উপস্থাপনায় অজানা ইতিহাস জেনে ভাল লাগলো

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত অনুভব করছি।

জানাতে পেরে আমারো ভাললাগছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ভায়া

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৮

মেহবুবা বলেছেন: মনে হচ্ছে আলাওলের লেখা পড়ছি !
নন্দ সাম্রাজ্য ঠিক কোন কোন জায়গায় ছিল ?

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মহাকবি আলাওল
পরম শ্রদ্ধার আর পূজনীয় তাঁর স্থান।

কৃতার্থ হবো না মাটিতে নুইয়ে যাব ভাবছি :)

কবিতায় দেয়া ম্যাপটার চকলেট কালার অংশকুটু নন্দ ডাইনাষ্টি।
পূর্বে বাংলা, পশ্চিমে পাঞ্জাব
দক্ষিণে বিন্ধ্যা পর্বতমালা - - -

অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন


১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩২

মেহবুবা বলেছেন: বুঝেছি! বর্তমান বগুড়া আর তাল পশ্চিম অঞ্চল নিয়ে !!

০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :-/

নোটটি মনে হয় পড়েন নি।
আবার তুলে দিচ্ছি
নন্দ সাম্রাজ্য ছিল প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় যুগ। এই যুগে বাংলার শক্তিমত্তা ও প্রাচুর্য শীর্ষে আরোহণ করে। এই যুগে বাংলা সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। নন্দ রাজাদের জন্ম হয়েছিল বাংলায়। তারা বাংলা থেকে মগধ (বিহার) দখল করে এবং উভয় রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গ-মগধ নামে একটি নতুন সাম্রাজ্যের পত্তন করে।
মহাপদ্ম নন্দ ছিলেন নন্দ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট। তিনি সমগ্র ভারতবর্ষ ব্যাপী ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি কোশল (উত্তর প্রদেশ), কুরু (পূর্ব পাঞ্জাব), মৎস্য (রাজপুতানা), চেদী (মধ্য প্রদেশ ও বিহারের মধ্যস্থিত জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল),অবন্তী (মধ্য প্রদেশ) প্রভৃতি অঞ্চল জয় করেন।

মানচিত্রটা আবার দেখূন প্লিজ :)

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মেহবুবা বলেছেন: পাদটীকা পড়েছি, মানচিত্রে পূবপাশ এ পুন্ড্রবর্ধন দেখে পলের মন্তব্য!

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম ।

১৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মশাই জিনিয়াস লোক।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেকি বলচেন!
আমি অতি সাধারন ভায়া!

আপনার মন্তব্যে ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল

১৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৩

বিজন রয় বলেছেন: ১০ বছর আগের আপনি এখনকার আপনি অনেক পার্থক্য।

পার্থক্য এমন পর্যায়ে যেটাকে দেখতে আমি পছন্দ করি।

কি বলছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ্যা!!!

হা হা হা
আমিতো যেমন ছিলাম তেমনি আছি দাদা।
আর সময়ান্তরেতো সব কিছুই বদলায়। প্রকৃতির নিয়মেই বদলায় ভাবনা, বদলায় অনুভব
১০ বছর আগে ছিলাম ১০ বছরেরর ছোট ;) এখন প্লাস হয়েছে ১০ বছর হা হা হা

তবেতো সাতান্নকে সাধুবাদ দিতেই হয় ;) রাজনৈতিক লেখা ছেড়ে সাহিত্যে ধাবিত করানোয় ;)
তবে ভেতরের আমি সবসময় একই স্থানে আছি- হয়তো প্রকাশ হয়েছে হচ্ছে ভিন্নভাবে।

কারো পছন্দের হতে পারা খুব দুর্লভ আবার আনন্দেরও ।
প্রীত বোধ করছি, শংকিত নয়- আত্মদর্শনের আত্মায়নার সামনে দাড়িয়ে :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল বিজন দা'

১৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৩

মেহবুবা বলেছেন: পুন্ড্রবর্ধন আর পুন্ড্রনগর কি আলাদা?

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দক্ষিণে পদ্মা, পশ্চিমে গঙ্গা এবং পূর্বে হয় করতোয়া অথবা যমুনা দ্বারা পরিবেষ্টিত পুন্ড্র, পুন্ড্রবর্ধন বা পৌন্ড্রবর্ধন নামে আখ্যায়িত অঞ্চলটি বাংলাদেশের রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর (ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের অন্তর্গত) এবং প্রাচীন বরেন্দ্র নিয়ে গঠিত ছিল। বুধগুপ্তের রাজত্বকালের (আনু. ৪৭৬-৯৪ খ্রি.) দামোদরপুর তাম্রশাসন অনুসারে পুন্ড্রবর্ধনের উত্তর-সীমা ছিল হিমালয় (হিমাবচ্ছিখর)।
পরবর্তীকালে রাঢ় ও দন্ডভুক্তি সমন্বয়ে গঠিত বাংলার পশ্চিমাঞ্চল ব্যতীত প্রায় সমগ্র বাংলা পুন্ড্রবর্ধন বা পৌন্ড্রবর্ধনের আখ্যাধীনে চলে আসে।

পুন্ড্রনগর বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরকেন্দ্র, এর প্রাচীনত্ব খ্রিস্টপূর্ব চার শতকের বলে ধরে নেওয়া হয়। এ নগরের সর্বপ্রথম উল্লেখ (পুদ্নগল) পাওয়া গেছে মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে এবং প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনের ফলে এ স্থানের প্রাচীনত্বের নিঃসন্দেহ প্রমাণ পাওয়া যায়। পুন্ড্রনগরের (গুপ্ত ও গুপ্ত-পরবর্তী যুগে ‘পুন্ড্রবর্ধনপুর’ নামে উল্লিখিত) ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা হয়েছে বগুড়া জেলার মহাস্থান-এ আবিষ্কৃত ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে।
সেন আমল পর্যন্ত না হলেও মৌর্য যুগ হতে পাল আমলের শেষ অবধি পুন্ড্রবর্ধন বিভাগের প্রশাসনিক সদর দফতর হিসেবে পুন্ড্রবর্ধনের অবস্থান অব্যাহত ছিল। গুপ্তযুগে বাংলায় এটি ছিল তাদের শাসনের কেন্দ্র এবং পুন্ড্রবর্ধন ভুক্তির রাজধানী।

করতোয়ামাহাত্ম্য থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বারো শতক পর্যন্ত পুন্ড্রনগর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থল হিসেবে বিদ্যমান ছিল। মধ্যযুগে পুন্ড্রনগর এবং এর সঙ্গে সঙ্গে পুন্ড্রবর্ধনও বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যায়। এ সময় অঞ্চলটি মহাস্থান নামে আখ্যাত হয়। [সুচন্দ্রা ঘোষ]

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা । ভালো লেগেছে।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া

জেনে প্রীত ও অনুপ্রানীত :)

অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো

২১| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৯

সোহানাজোহা বলেছেন: নন্দ সাম্রাজ্য পড়ে আগ্রহ পেয়েছি, নেটে এই বিষয়ে আরো পড়বো। ধন্যবাদ।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিশ্চয়ই। আগ্রহ জাগানিয়া বিষয়ই বটে।

আমি যত পড়ছিলাম ততই মুগ্ধ হয়ে ডুবছিলাম শেকড়ের ইতিহাসে
আহা- মাহাকালে আমরা কত স্বল্প সময়ে কত বড়াই করি! আর সামনে নেচে যায়
হাজার বছরের ইতিহাস.....
সেই প্রচন্ড প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য আজ কেবলই ইতিহাসের পাতায় . . .

আর দু:খ লেগেছিল এসব নিয়ে আমাদের সো কলড নির্মাতাদের কোন ভাবনা নেই!
কোন ডকু নেই, সিরিয়াল নেই, মুভি নেই - জাতিগত শক্ত ভিত্তিটি বুঝি আজো গাথা হলো না!

২২| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভাগ্যিস "নোট" টুকু ছিল নাহলে আমার কি হতো! কবিতা বুঝিনি প্রথমে, নোট দেখে যা একটু বুঝলাম। তাও ভালো আগের কবিতা চোখের সামনে থেকে তো সরেছে। আমি বুঝি না বুঝি, এটুকুতেই খুশি।

ভালো থাকুন।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

জানিতো সখি! এখনকার সব পড়াশোনা ফাস্টফুডের মতো প্রয়োজন নির্ভর :P সাবজেক্টিভ । আর এর বাইরে যাবার ইচ্ছে বা সময় কেড়ে নিয়েছে কর্পোরেট দাসত্ব! তাই মানুষ ইচ্ছে থাকলেও স্বপ্নের রথে ঘুরতে পারছে না ইচ্ছেমতো! জীবন লাট্টুর মতো ঘুরপাক খায় একই বৃত্তে- বৃত্তাবদ্ধ!

ইশশ বেরিয়ে এসো তো। চোখ মেলে দেখো ঘাসফুলে রঙিন প্রজাপতি
আকাশে মেঘের লুটোপুটি, হাওয়ার তালে ঘাসফড়িং এর ভোকাট্টা ...
পথ পাশে পড়ে থাকা পথ শিশুর নিষ্পাপ ভুবন ভোলানো হাসি
প্রচন্ড ক্ষুধায় নুন পান্তার তৃপ্তি! জানো-
সব স্বপ্ন কেড়ে নেয়া ঐ বিত্ত বিলাসে আমার খুব আপত্তি
এ যেন সন্তান বিক্রি করে কেনা সূখের মতো মনে হয়
সব স্বপ্ন আর সহজিয়া অনুভবকে বিক্রি করে ক্ষনিকের বাস্তু লাভ!

সূখতো এমনই
আগের শিরোনাম চোখের আড়াল হবার মতোই স্বস্তি
ভালবাসার গভীরে ডুব দিয়ে তৃপ্তির মোনালিসা হাসি
এ খুশিটুকু যে জেনেছে চিনেছে - সে রাজ্য জয় করেছে :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা শুভকামনা জনম জনমের



২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।

বাংলা ভাষাভাষিদের অঞ্চল নিয়েও একটি রাষ্ট্র হতে পারতো। কিন্তু তা হয় নি।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অতীত সাম্রাজ্যের স্মরনেইতো তাই চলে স্বপ্নরথ কবি ;)

" ইউনাইটেড স্টেট অব বাংলা " স্বপ্ন যদি সত্যি হতো
আমেরিকান ফরমেটে সবাই যার যার মতো স্বাধীন থেকে এক পতাকা তলে
আহা কতইনা ভাল হতো :)

২৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা এইচএসসিতে পরেছিলাম এরকম একটা ইতিহাস নির্ভর কাব্যের অংশ।

উঠিলা রাক্ষসপতি প্রাসাদ-শিখরে,
কনক-উদয়াচলে দিনমণি যেন
অংশুমালী। চারিদিকে শোভিল কাঞ্চন-
সৌধ-কিরীটিনী লঙ্কা— মনোহরা পুরী!

মাইকেল মধুসূদনের 'মেঘনাদ বধ' মহাকাব্যের অংশ বিশেষ। এত কঠিন শব্দ ছিল। আমরা হাসাহাসি করতাম।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
পড়েছিলাম

ছুডুকালের কাঠিন্য বড় কালে অনুভব করলে কি চইলবে! ;)

লিখতে গিয়ে আমিও হিমশিম খেয়েছি। বিশেষ করে স্থানগুলো আর রাজাদের নাম!!
আবার কিছূ নাম তো দারুন প্রচলিত বারানস, বিদিশা, চম্পা, বৈশালী, পাটালিপুত্র :)

নামের কাঠিন্য এড়িয়ে স্বপ্নের রথে ঘুরেছেন কিনা তাই বলুন ভায়া
আহা
বাংলা আমার বাংলা বিশাল, বিপুলা, ধন, জন, মানে দারুন আকাশ ছোঁয়া!!!

২৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কাব্য আমি পুরোটা পড়েছি। ভালো হয়েছে।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রীত হলাম :)
পুন মন্তব্যে পুনরায় অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

২৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

রুদ্র আতিক বলেছেন: কাব্য রস ও ইতিহাস একসঙ্গে উপভোগ করলাম । ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ

০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি

শুভেচ্ছা আর শুলকামনা রইল

২৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: নন্দ্ রাজত্ব লয় গুরু! রাম রাজত্ব চলে।
কবিতা দুর্দান্ত হয়েছে। ভালবাসা একরাশ!

০৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফিরে যেতে হবে নন্দের মাঝে
রামের মাঝে নূহ'র ছেলে হাম নেইতো ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ গুরু
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন

২৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আকাশ, মেঘ, প্রজাপতি, শিশু সবই দেখি। এগুলো আমার খুব প্রিয়। ভূগোলে আমি বরাবরই দূর্বল, আর ইতিহাসে ইন্টারেস্ট পাইনা। তার জন্যে আজ এত কথা শুনতে হলো। ;)

সব স্বপ্ন কেড়ে নেয়া ঐ বিত্ত বিলাসে আমার খুব আপত্তি
আপনি যে অফিসে কাজ করেন তার বসও এভাবে ভাবলে খুব সমস্যায় পড়ে যেতেন! হাহা। আই মিন টু সে, পৃথিবীতে আপনার মতো কবি, দার্শনিক যেমন দরকার, একদমই ফুললি কর্পোরেট, বিজনেস মাইন্ডেড মানুষও দরকার। এমন কিছু মানুষ দরকার যারা বিলিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখবে, কেননা তাদের কারণে তো আরো হাজারটা সাধারণ মানুষের ঘর চলে। এটাই পৃথিবীর বাস্তবতা। রংধনু তো ৭ রং এই হয়, তাই না?

১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কার এত বড় সাহস! ভূগোল নিয়ে সখিরে কথা বলে!
এই কে আছিস? ধরে আন নরাধমে :P
সাত সাগরের ওপার থাকে.. সে বুঝি ভুগোল যে গোল :-/ তা বুঝি জানে না!

:ক্ষমা করুন মহারানী! ভুল হয়ে গেছে! আমি আর কোনদিন ভুগোলে ঘুরতে যাব না :P
হা হা হা

হুমম
সখি, একটু বোঝার ফাঁক আছে। আমি কিন্তু সম্পদের বিরোধীতা করিনি। জীবন চলতে যে টুকু তাতো সবারই চাই।
আমার আপত্তি সেই আসক্তির প্রতি যেটা নিয়ে কোরআনের সূরা তাকাসূরেও মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে -
"সম্পদের আসক্তি তোমাদের মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছ, যতক্ষন তোমরা কবরে উপস্থিত না হও
আমি বলছি এ ঠিক নয়, তোমরা শীঘ্রই জেনে যাবে, আবারো বলছি এ ঠিক নয়, তোমরা শীঘ্রই জেনে যাবে, কখনই নয় ; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে ,অতঃপর তোমরা তা (জাহান্নাম) অবশ্যই দেখবে দিব্য-প্রত্যয়ে , এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।। "

এই লেভেলের আসক্তি বা অর্থগৃধ্নুতা যাকে বলে। জীবনের সকল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, যাপিত জীবন যাপন যখন
ফর মানি, বাই মানি অফ মানি হয়ে যায়.... সেটাকে অস্বীকার করি।
এই ক্ষেত্রে অবশ্য বিশ্বাসটা অতীব গুরুত্বপূর্ন।
জীবনকে কে কিভাবে দেখে? পরকালকে কিভাবে বিশ্বাস করে। তার উপরে জীবন দর্শন তৈরী হয়।

হুম বৈচিত্রই জীবন। কেউ সাধু তো কেউ ভোগী তো কেউ লোভি আবার কেউ উদাসীন . . . .
তাইতো জীবন বেঁচে থাকা এত রঙিন :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ

২৯| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩০

না মানুষী জমিন বলেছেন: ভালো লাগলো। এভাবেও ইতিহাস পাড়ি দেওয়া যায়।

১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ গুনিজন!

অনুপ্রানীত হলাম
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল অফুরান

৩০| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বসে বসে কিছুক্ষণ আবৃত্তি করলাম।

কি চমৎকার!
কি চমৎকার!

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি মুগ্ধ!
আমি অভিভুত!
আমি অনুপ্রানীত :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় প্রোফেসর শঙ্কু
কৃতজ্ঞতা, ‍শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন

৩১| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই কে আছিস? ধরে আন নরাধমে
ওরে ন্যাকা শয়তান! ;)

সখি, একটু বোঝার ফাঁক আছে। আমি কিন্তু সম্পদের বিরোধীতা করিনি। জীবন চলতে যে টুকু তাতো সবারই চাই।
আমার আপত্তি সেই আসক্তির প্রতি যেটা নিয়ে কোরআনের সূরা তাকাসূরেও মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে -

আমি বুঝতে পারছি। এজন্যে আপনাকে আপনার এবং অফিসের বসের উদাহরণ দিয়েছিলাম। আপনার নিজের যতটুকু অর্থ সম্পদ দরকার, ততটুকুর জন্যে কাজ করছেন। দ্যাটস গ্রেট বিকজ ইট ওয়ার্কস ফর ইউ। হনেস্টলি আমিও এরকমই, কখনো মনে হয়নি কোটিপতি হতে হবে/বড় কোম্পানির মালিক হতে হবে/প্রাইম মিনিস্টার হতে হবে!!! অতি অর্থ ও শক্তি আমার মনে ভীতি জাগায়। কিন্তু এই পৃথিবীর সবাই যদি এভাবে ভাবেন, মানে অর্থ আসক্তি কারোরই না থাকলে তো সমস্যা। কেননা বিলিয়ন মিলিয়নস কারোর লাগেনা। এত টাকা এক জীবনে খরচ করে যাওয়া সম্ভবই না। সেই যুক্তিতে, এই পৃথিবীর সব বিলিনিয়ার/মিলিনিয়ার কিন্তু মোটামুটি অর্থ আসক্ত। এই আসক্তি না থাকলে একটি মানুষ শতটি প্রতিষ্ঠান গড়ে লক্ষ মানুষকে কাজ দিতে পারত না।

থ্যাংকস এ লট কোরআনের সুন্দর কথাগুলো প্রতিমন্তব্যে দেবার জন্যে। দিস ইজ হাও আই আনডারস্ট্যান্ড ইট, অনেক মানুষ অর্থের আসক্তিতে প্রচুর পাপ কাজ করেন, গরীবের বস্তি পুড়িয়ে দেন সেই জমি কেড়ে নেবার জন্যে, কারাপশনের মাধ্যমে একটি দেশকে পিছিয়ে দেন - তাদের এমন ভাব যেন কবরে সম্পদ নিয়ে যাওয়া যায় অথবা মৃত্যু বলে কিছু নেই। সেসব মানুষকে সতর্ক করেছেন মহান আল্লাহ এই কথাগুলোর মাধ্যমে।
এমন আসক্তির বিপক্ষে আমিও রয়েছি আপনারই মতো। কিন্তু সৎ পথে কেউ যদি কোটি কোটি টাকার মালিক হতে চায় আমার তাতে ভুল কিছু মনে হয়না। বরং ভীষন রকম প্রয়োজনীয় মনে হয়। একটা মানুষের বৃহৎ ভিশন থাকে বলেই, অন্য অনেক মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে।

আর আমাদের ধর্মেও তো সাধু সন্নাসী হয়ে সারাক্ষন প্রার্থনার চেয়ে, ধর্মের পাশাপাশি বিয়ে/ব্যাবসা/কাজকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে - কেননা সেটাই প্র্যাক্টিক্যাল।

হুম বৈচিত্রই জীবন। কেউ সাধু তো কেউ ভোগী তো কেউ লোভি আবার কেউ উদাসীন . . . .
তাইতো জীবন বেঁচে থাকা এত রঙিন :)

একদম তাই! দারূণ করে বললেন।

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

যাক একখান উপাধি দিল সখি ;)
মু হা হা হা

হুম।
বিষয় বর্ণনায় সহমত। সৎ পথে হলে তা্ও ইবাদাত বৈকি।
সবচে মজার বিষয় কি জানো - সারাজীবন শুনলাম পরকালে দুই দল হবে।
একদল জান্নাতি আরেক দল জাহান্নামী।
এটাই সবাই জানে মানে এবং বলে।

অথচ এই গেল রমজানে কোরআন খতম দিতে গিয়ে (অর্থ সহ) পেলাম দল হবে তিন টি!!!
ঐ দুই দলতো থাকবেই আরেক দল থাকবে অগ্রবর্তী। তারা রবের সান্নিধ্যে থাকবে ।
আর জান্নাতীরা আফসোস করবে- হায় কেন শুধু জান্নাতের জন্যই ইবাদাত করলাম!

দৃষ্টিভঙ্গি, অবস্থান এবং বিশ্বাসের স্থানাংকে কর্ম এবং জীবন দর্শনের স্থান নির্ণিত হয়।

তাই যখন সাধারন মানুষের জন্য সব বৈধ, জান্নাতীরা বেঁছে চলে কৃচ্ছতায।
আবার জান্নাতীরা হালাল জেনে যা ভোগ করে, অগ্রবর্তীরা স্বেচ্ছায় এড়িয়ে চলে সেসব।

যাকগে! গুরুগম্ভীর ধর্মাদর্শন আপাতত থাকুক।
সবচে বড় সহজিয়া দর্শন হলো প্রেম!
সৃষ্টি এবং স্রষ্টার প্রেম।

নিজেকে প্রকাশ বাসনা স্রষ্টারই এক দর্শন।
আমি গুপ্ত ছিলাম, নিজেকে প্রকাশ করতে চাইলাম, তাই জগত সৃজন করলাম :)
আমাদের ডিএনএ তে বুঝি তাই বয়ে চলে নিরবে নিভৃতে :)

তাইতো এত ব্লগিং, কাব্য, শিল্প, সংগীত, অংকন, রাজনীতি, প্রতিষ্ঠা, সেবা, জগতের সকল কর্মময়তা।
চলুক চলছে যেমন চলবেও অনন্তকাল
আমরা শুধু সময়ের সাথে মহাকালের মহাচিত্রনাট্যে অভিনয় করে যাই....

”ঘ্রানে, স্বাদে, অনুভবে
নিত্যতায় তোমার অনুভব
ছলায় কলায় তুমি হাঁসো কাঁদো
করো নিত্য কলরব।”


অনেক অনেক শুভকামনা
জন্মান্তরেও থেকো সখি এই কামনা।।

৩২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুণ কবিতায় +++

আপনার পদধূলি কামনা করেছিল এ অধম তার কাঁচা হাতে গড়ে তোলা ব্লগ কুটিরে- ইসলামে নিকাহে মুত'আ বা সাময়িক বিবাহের বিধান ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান
প্লাসে এবং নিমন্ত্রনে :)

আসছি

৩৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

শের শায়রী বলেছেন: নন্দ ডাইন্যাষ্টি নিয়ে কিছু জানা ছিল না, দেখি এখন পড়তে হবে, যেটুকু লিখছেন তাতে কেবল তৃষ্ণা বাড়ছে ম্যা'ভাই। :)

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেহ, ম্যা’ভাই যে!

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা
হুম। আমি বাংলার আদি খুঁজতে খুঁজতে গিয়েই পা্ওয়া
আর বিশ্বাস করবেন না- ম্যাপটার দিকে যতবার তাকাই - আহা! গব্বে বুকটা ভরে যায়

অবশ্য কইবার পারেন ছুপা সামাজ্রবাদী মনে আছে কি নাই ;)
তাইতো স্বপ্ন রথ চালাইছি ইচ্ছেমতো :)

অনেক অনেক শুভকামনা রইল ম্যা’ভাই

৩৪| ২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মুল্যবান ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ কাব্যগাথাটি
দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ায় আফছুস হচ্ছে খুবই ।
প্রিয়তে তুলে রাখলাম তথ্যগুলি কাজে
দিবে বলে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৪ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সম্মানীত বোধ করছি প্রিয় ড. এম এ আলী ভায়া

শিকড় সন্ধানী ভাবনায় একিদন হারিয়ে গিয়েছিলাম নন্দদুলালের সাথে সমেয়র রথে
ইতিহাসের গলিঘুপচিতে.. পথে প্রান্তরে.. সীমানা পেরিয়ে অসীম সীমায়

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

৩৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও প্রিয়েতে রেখেদিলাম ভ্রাতা!

প্রায় ভুলে যাওয়া ইতিহাসকে কি দারুন কাব্যিক ছন্দে আপনি তুলে এনেছেন- স্যালুট অফ ইউ
অনন্য উপস্থাপনা আর ভিন্ন-ধর্মী এক ব্যঞ্জন, চমৎকার

২৪ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রীত ও কৃতজ্ঞ হলাম প্রিয় ভায়া

আপনার পোষ্ট পড়েই এটার কথা মনে হওয়াতে শেয়ার দিয়েছিলাম।
আপনার উসিলায় প্রিয় ড. এম এ আলী ভায়ারও নজরে এলো :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.