নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসত্য, আমানবিকতার বিরুদ্ধে সমালোচনায় অপ্রতিরোধ্য। আস্তিক, তবে বাড়াবাড়ী অপছন্দ। কোমল, কিন্তু নৈতিকতার ক্ষেত্রে কঠোর। চাওয়া একটাই, প্রাণের জন্মভূমিটা হোক সুন্দর ও শান্তিময়। আনন্দে ভরে ঊঠুক সবার প্রান।

অসত্য, আমানবিকতার বিরুদ্ধে সমালোচনায় অপ্রতিরোধ্য। আস্তিক, তবে বাড়াবাড়ী অপছন্দ। কোমল, কিন্তু নৈতিকতার ক্ষেত্রে কঠোর। চাওয়া একটাই, প্রাণের জন্মভূমিটা হোক সুন্দর ও শান্তিময়। আনন্দে ভরে ঊঠুক সবার প্রান।

সমশের

অসত্য, আমানবিকতার বিরুদ্ধে সমালোচনায় অপ্রতিরোধ্য। আস্তিক, তবে বাড়াবাড়ী অপছন্দ। কোমল, কিন্তু নৈতিকতার ক্ষেত্রে কঠোর। চাওয়া একটাই, প্রাণের জন্মভূমিটা হোক সুন্দর ও শান্তিময়। আনন্দে ভরে ঊঠুক সবার প্রান।

সমশের › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপরীত মত জামায়াত নিষিদ্বের তোড়জোড়ঃ মৌলবাদি্দের আসন্ন সুদিন প্রসঙ্গে -2 মাহবুব সুয়েদ

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২২

(গত সংখ্যার পর)

এই দ্বীর্ঘ সময়ে মুক্তিযুদ্বের সময়কার বিতর্কিত ভুমিকার কারনে জামায়াতকে কোন সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়নি'।'জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম আজম তিনি নিজে প্রকাশ্য রাজনীতিতে না এসে সংগঠনকে গোছানোর কাজে তৎপর থাকেন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে মরহুম আব্বাস আলি খানকে ভারপ্রাপ্ত আমির এবং মাওলানা নিজামীকে সেক্রেটারী জেনারেল করে দলের কর্মসুচি চালাতে থাকেন'।' আব্বাস আলি খান সাহেব পাকিস্থানের শেষ মালেক মন্ত্রীসভার সদস্য থাকা স্বত্তেও কোনদিন ৯০সাল প্রযন্ত কেউ এদের বিরুদ্বে কোন কথা বলেনি'।'৯০এ স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর জামায়াতের মৌন সমর্থন নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া সরকার গঠন করার পর জামায়াত হঠাৎ করেই (এতদিন গোপন থাকা যদিও সবাই জানত) অধ্যাপক গোলাম আজমকে জামায়াতের আমির হিসেবে ঘোষনা করে'।'মহান স্বাধিনতা অর্জনের প্রায় বিশ বছর পর জামায়াতের এই সিদ্বান্ত জামায়াতকে বেকায়দায় ফেলে দেয়'।'মুক্তিযুদ্বে নিজের স্বামি ও দু পুত্র হারানো ও শহিদ জননি হিসেবে পরিচিত জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে 'ঘাতক দালাল নির্মুল কমিঠি'র ব্যনারে গোলাম আজমকে পাকিস্থানের নাগরিক ঘোষনা করে তাকে দেশ থেকে বহিস্কারের আন্দোলন শুরু হয় এবং গন আদালত নাম দিয়ে তার প্রতিকী ফাসিও দেওয়া হয়'।'এতে করে বেগম জিয়ার সরকার বিপাকে পড়ে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়'।'বলা বাহুল্য একমাত্র মরহুম আব্দুর রাজ্জাক(আওয়ামীলিগ ছেড়ে ছিলেন পরে ফিরে আসেন) তার বাকশাল নিয়ে জাহানারা ইমামের সাথে আন্দোলনে কাজ করছিলেন কিন্তু আওয়ামীলিগের পক্ষথেকে সেই আন্দোলনে কোন প্রকার সক্রিয় অংশগ্রহন ছিলনা বরং আদালতের রায়ে অধ্যাপক আজম তার জন্মগত নাগরিকত্ব ফিরে পেলে আওয়ামীলিগ,জামায়াত ও জাতীয় পার্টি যৌথভাবে জামায়াতের আমির গোলাম আজমের প্রস্তাবিত রুপরেখার আলোকে তত্বাবধায়ক সরকারে জন্য যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে'।'আওয়ামীলিগ নেত্রীর কার্যালয়ে পাশাপাশি বসে মাওলানা নিজামী ও জাপা নেতা ব্যরিষ্টার মওদুদ একিসাথে আন্দোলন কর্মসুচী ঘোষনা করেন'।'বৃহৎ এই তিনদলের আন্দোলনের মুখে বেগম জিয়ার সরকারের পতনের পর ৯৬ সালে আওয়ামীলিগ নেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন'।'৯৬ টু ২০০১সাল পর্যন্ত ৫ বছর আওয়ামীলিগ সরকারে থাকলেও জামায়াতকে মুক্তিযুদ্বের বিরোধী ভুমিকার কারনে বিচারের কোন উদ্দ্যোগতো নেয়ইনি বরং জামালপুরের বিখ্যাত রাজাকার নুরু মাওলানাকে ধর্ম মন্ত্রী করে যার প্রতিবাদে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আওয়ামীলিগ ত্যাগ করেন'।'২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির সাথে এরশাদের জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ঐক্যগড়ে তোলে এবং নির্বাচনী এলায়েন্স চার দলীয় জোট গঠন করে'।'এরশাদ পরে জোট থেকে বেরিয়ে গেলেও দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদল সরকার গঠন করে'।'জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে বিএনপি দুইটি মন্ত্রৃত্ব ও দেয়'।'বিএনপি ও জামায়াতের এই জোটের কাছে নির্বাচনে হারার পর আওয়ামীলিগ আস্তে আস্তে জামায়াতকে মুক্তিযুদ্বের ভুমিকার কারনে দায়ী করা শুরু করে এবং ক্ষমতায় গেলে যুধ্বাপরাধীদের বিচারের ঘোষনা দেয়'।'যদিও রাজাকার নুরু মাওলানাকে আওয়ামীলিগ ৯৬এ মন্ত্রী করেছিল তবুও বিএনপিকে জামায়াতকে মন্ত্রীত্ব দেওয়ার দোষে দোষতে থাকে'।'সরকারে থাকার পাচ বছ্রে জামায়াত যে ব্যাপক সাংগঠনিক মজবুতি লাভ করে তাতে কারো দ্বিধা থাকার কথা নয়'।'মাঝখানে মঈন-ফখরুদ্দিনের দুই বছর অসাংবিধানিক সরকারের শাসনের পর ২০০৮ এর নির্বাচনে শেখ হাসিনা তার কমিউনিষ্ট নির্ভর সরকার গঠন করার পর যুদ্বাপরাধের বিচারের ঘোষনা দেন এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেন'।'বর্তমানে এই বিতর্কিত বিচারের কাজ চলছে এবং ইতিমধ্যে দুই মামলার রায় ও দেওয়া হয়েছে'।'শোনা যাচ্ছে এদের শুধু বিচার ই করা হবেনা সরকার জামায়াতকে ও নিষিদ্বের চেষ্টা করছেন এবং আইনি বিষাদি নিয়ে কাজও চলছে'।'



>জামায়াতের আসন্ন সুদিন এবং - - -



শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধিন কমিউনিষ্ট নির্ভর সরকার যদি মৌলবাদ এবং রাজনৈতিকভাবে দমনের উদ্দেশ্যে জামায়াতকে নিষিদ্ব করে তাহলে যেই মৌলবাদের দোহাই দিয়ে অথবা ভয়ে নিষিদ্ব করবে তাদের সুদিন যে অত্যাসন্ন তা সহজেই অনুমেয়'।'প্রায় দেড় কোটি লোকের সমর্থন নিয়ে চালিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ব করলে পরে এরা যে দ্রুত সামনে এগিয়ে যাবে সে ব্যাপারে আমার মনে বিন্দু মাত্র ও সন্দেহ নেই'।'প্রায় চল্লিশ বছর আগে জামায়াতের যেই কাজটি করা উচিৎ ছিল অর্থ্যাৎ নতুন নাম এবং নতুন নেতৃত্ব দিয়ে শুরু করা উচিত ছিল তা যদি সরকারের দ্বারাই করা হয় তাহলে জামায়াতেরই লাভ'।'জামায়াতের আভ্যন্তরে তরুনদের একটি অংশ দীর্ঘ দিন ধরে এই চেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং মনে হয় তাদের সেই প্রচেষ্টা এবার সফল হতে শুরু করবে'।'প্রশ্ন আসবে জামায়াত যদি নতুন নামে দল গঠন করে তাহলে তাদের জনশক্তির সকলে কি তাতে যোগ দিবে অথবা এর নেতৃত্বই বা কারা দিবে কারন শীর্ষ সকল নেতারই তো বিচার চলছে'।'আমাদের সবারি প্রায় জানা যে,জামায়াত বা শিবির যারা করে তারা নির্দিষ্ট একটি আদর্শকে ধারন করে রাজনীতি করে'।'তাদের ভাষায় তারা ইকামতে দ্বীনের আন্দোলন তারা করছেন এবং এই আন্দোলনে তারা মরলে শহীদ আর বাচলে গাজী এই থিওরীতে বিশ্বাস করে'।'তাদের মুল আন্দোলন হচ্ছে মূলত 'ইসলামী আন্দোলন' কাজেই নাম যে যেকোন কিছু হোক তা তাদের কাছে কোন ফেক্টর নয়'।'নয়া নামে নয়া দল হলে যারা জামায়াত বা শিবির করে তারা যে তাতে অটোমেটিকভাবে যোগ দিয়ে দেবে তাতে কোন স্বন্দেহ না থাকার কথা'।' মিশরে ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ব করলে তারা জাষ্টিস পার্টি নামে রাজনীতি করতে শুরু করে এবং এখন সেদেশে তারা ক্ষমতায় একিভাবে তুরস্কেও ইসলামপন্থী নেতা নাজিমুদ্দিন আরবাকানের দল সেদেশের সেক্যুলার সরকার নিষিদ্ব করলে তারা একে পার্টি নামে রাজনীতি শুরু করে এবং বর্তমানে তারা সেদেশের সরকার চালাচ্ছে'।' জামায়াত নিষিদ্বের সম্ভাব্য ইতিবাচক দিকগুলো নিম্নে তুলে ধরছি...

এক- অনেকটা সেকেলে হয়ে যাওয়া নাম'জামায়াতে ইসলামী'কে পরিবর্তন করে করে তুরস্ক/ইজিপ্ট স্টাইলে মডার্ন কোন নাম দিয়ে জামায়াত তাদের কার্যক্রম শুরু করবে এতে করে অতীতের কোন অপবাদ তাদের বইতে হবেনা'।'

দুই- সারাদেশে নতুন এবং তরুনদেরকে নেতৃত্বে বসানো হবে এক্ষেত্রে ৮০র দশকের ছাত্রনেতাদের থেকে শুরু করে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদেরকে নেতৃত্বে আনা হবে'।'লক্ষ্যনীয় যে,জামায়াত তার প্রতিষ্টার পর থেকে বাংলাদেশে এতবড় রাজনৈতিক সংকঠে কখনো পড়েনি এবং এমনভাবে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষনেতাদের কারাগারেও থাকতে হয়নি'।'সারাদেশে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃনমুল পর্যায়ে প্রায় সব নেতাই কারাগারে বন্দি থাকা স্বত্বেও জামায়াত-শিবির এককভাবে একদিকে সরকারের পুলিশ বাহিনি অপরদিকে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামীলিগ সহ চৌদ্দদলের বামদেরকে মাত্র কিছুদিন আগেও যারা ছাত্ররাজনীতি করত এবং জামায়াতের মহানগরী পর্যায়ে নেতৃত্বে ছিল তাদের নেতৃত্বে যেই শক্ত প্রতিরুধ/প্রতিবাদী আন্দোলন করছে তাতে এটি প্রমান হয় যেকোন লেভেলের কাউকে নেতৃত্বে বসানো হলে দলের তৃনমুলে এর কোন প্রভাব পড়বেনা'।'কাওরন জামায়াত-শিবিরের কর্মিরা নেতার আনুগত্যকে ইসলামের ফরজগুলোর অন্যতম মনে করে'।'

তিন- ইসলামী জীবনাদর্শে বিশ্বাসী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যুবসমাজ এতদিন যারা রাজাকারদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল ছিলনা তারা মোঠামোঠি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই নতুন দলকে তৃত্বিয় শক্তি হিসেবে ধরে নিলে আশ্চর্য্য হওয়া্র কিছু নেই'।'পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বাইরে যদি শক্তিশালি কোন দল বেরিয়ে আসে তাহলে অনেকেই আস্থা স্থাপন করতে পারে'।'

চার- নতুন নাম,নতুন নেতৃত্বের কারনে খুব দ্রুত এই দল দেশের অন্যতম মেইন ফেক্টর হয়ে উঠতে পারে তার সম্ভাবনা অনেক বেশী'।'

View this link

শেষকথা -



পরিবারতান্ত্রিক ও ফ্যসিবাদি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাইরে কোন অপবাদমুক্ত নতুন কোন রাজনৈতিকদল বা শক্তির আগমনকে আর কেউ যেভাবে ই নেক না কেন য়ামি অধম মন থেকে তাকে সমর্থন করব এবং এটি আমার কামনা এবং বিশ্বাসও বঠে'।'

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৭

আহসান২২ বলেছেন: val lagce.

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

পথহারা সৈকত বলেছেন: Is it true...?

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

২০১৩ বলেছেন: আমি ও চাই জামাত নিষিদ্ধ হোক কিন্তু আসলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ নামের বাংলাদেশ বিরোধী , ইসলাম বিরোধিরা সে কাজ কখনই করবেনা এটা করলে তাদের মলম বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.