নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না। আমি কেউ হতে চাই না কখনো। আমি চাই, আমার কোন নাম না থাকুক, বয়স-গোত্র-দেশ কিচ্ছু না থাকুক...

বিপ্লবের সাগর

আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।

বিপ্লবের সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আছো হ্যাপি হৃদয়জুড়ে - শুভ জন্মদিন, শ্রদ্ধেয় শিল্পী হ্যাপী আখন্দ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২



আশির দশকের শুরুতে বাংলা গানের শ্রোতারা এক প্রতিভাবান তরুণের গানে বুঁদ হয়ে ছিলেন। ক্ষণজন্মা এই প্রতিভার নাম হ্যাপি আখ্ন্দ। ১২ অক্টোবর ছিল এই শিল্পীর জন্মদিন। শিল্পীর ভাই লাকী আখ্ন্দের সঙ্গে কথা বলে


একটা অনুষ্ঠানে হ্যাপি আর আমি পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে গিয়েছিলাম। সেই অনুষ্ঠানে আর ডি বর্মণ, আশা ভোঁসলেসহ আরো অনেক গুণী শিল্পী এসেছিলেন। সঙ্গে কোনো রিদমিস্ট না থাকায় আর ডি বর্মণের রিদমিস্ট যাতে আমাদের সঙ্গে বাজিয়ে দেয়, এ জন্য হ্যাপি তাঁকে অনুরোধ করে। আরডি বর্মণ সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে প্রচণ্ড অভিমান আর ক্ষোভে হ্যাপি তাঁকে বলে, 'আমার হাতের এই একটা গিটারই প্রমাণ করবে আমি কে।' সেদিন আমাদের সম্বল ছিল হ্যাপির গিটার আর আমার হারমোনিয়াম। তা দিয়েই হ্যাপি যা গেয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মাত্র তিনটি গান গাইতে উঠে ১২-১৩টি গান গাওয়ার পরও স্টেজ থেকে দর্শক আমাদের নামতে দিচ্ছিল না। অনুষ্ঠান শেষে হ্যাপিকে জড়িয়ে ধরে আর ডি বর্মণ বারবার বলছিলেন, 'হ্যাপি আমি দুঃখিত। তুমি কখনো বোম্বেতে এলে আমার বাসায় থাকবে।' এভাবেই স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন হ্যাপির সহোদর সংগীতজ্ঞ লাকী আখ্ন্দ।
'আশির দশকের শুরুর দিকে যখন বাংলা গানের নতুন ধারা তৈরি হচ্ছে, সে সময় মূলধারার সঙ্গে নতুনের মিলমিশ ঘটিয়ে শ্রোতাকে মুগ্ধ করেছিলেন এক প্রতিভাবান তরুণ। তিনি হ্যাপি আখ্ন্দ। হৃদয়কাড়া কণ্ঠস্বরের অধিকারী ছিলেন হ্যাপি। অসাধারণ গিটার বাজাতে পারতেন। পিয়ানোও বাজাতেন ভালো।
বাবা-ভাইদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংগীতের জ্ঞান পেয়েছিলেন। নিজে ধরেছিলেন সময়কে। আর ডি বর্মণ, মান্না দের মতো গুণীদের প্রশংসা আর স্নেহ অর্জন করেছিলেন নিজের যোগ্যতায়। অকালপ্রয়াত এই নক্ষত্র সম্পর্কে লাকী আরো বলেন, 'হ্যাপির সংগীত প্রতিভা ছিল আক্ষরিক অর্থেই বিস্ময়কর। সংগীতের প্রতি ওর একাগ্র নিষ্ঠা আর ভালোবাসার পাশাপাশি স্রষ্টা প্রদত্ত কিছু সহজাত গুণাবলি ও দক্ষতার কারণে আমরা যারা একই সময়ে সংগীতচর্চা করতাম তাদের সবার মধ্যে সে ছিল সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল। নিজের সুরেলাকণ্ঠের জাদুতে হ্যাপি শ্রোতাদের হৃদয়ের বন্ধ জানালা খুলে দিতে পারত। গিটার, পিয়ানো_যা-ই বাজাত এক অদ্ভুত ভালোলাগার জন্ম দিতে পারত ওর সংগীত। পৃথিবীর বিভিন্ন ধাঁচের সংগীত শুনে শুনে ও দেশ-বিদেশের গুণী শিল্পীদের সানি্নধ্যে অর্জিত সংগীতের নানা জ্ঞান ও দর্শন বিলিয়ে দিত নিজের বন্ধুপ্রতিম সহশিল্পী আর ছাত্রদের মধ্যে। হ্যাপি তার আচরণ ও সংগীতের মাধ্যমে সবাইকে আনন্দ দিলেও ওর নিজের জীবন কেটেছে অনেক অভিমান আর কষ্টে।'
এ সময়ের সংগীতাঙ্গনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, বিশেষ করে যারা ব্যান্ড সংগীতের সঙ্গে জড়িত তাদের অনেকেই হ্যাপি আখন্দের ছাত্র ও অনুসারী। বাংলা গানকে বিশ্বমানের করে তুলতে হ্যাপির অনন্য ভূমিকা ছিল। ১৯৬৩ সালের ১২ অক্টোবর জন্ম নেওয়া বাংলা গানের এই ক্ষণজন্মা প্রতিভার স্মৃতির উদ্দেশে সশ্রদ্ধ অভিবাদন। শুভ জন্মদিন, হ্যাপি আখ্ন্দ।


জিয়া হাসান আখন্দ হ্যাপী,কেউ কি তাঁকে মনে রেখেছে? মানুষটিকে নিয়ে কি কোথাও কোনো আলোচনা হয়?’'আবার এল যে সন্ধ্যা’,গানটি ভেসে উঠলে চমকে উঠি ! ফিরে যাই আমাদের কৈশোরে। কিংবা তারও আগে—শৈশবে। আজ হ্যাপি আখন্দের জন্মদিন। অকালে হ্যাপিকে হারাবার শূন্যতা পরিমাপের ঊর্ধ্বে।‘শূন্যতাই জানো শুধু? শূন্যের ভেতরে এত ঢেউ আছে সে কথা জানো না?’ সেই ঢেউয়েরই সন্ধান করি হ্যাপি আখন্দের মধ্যে।সুরমূর্ছনায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত মানুষটিকে নিয়ে কি কোথাও কোনো আলোচনা হয়? সংগীত-অন্তঃপ্রাণ হ্যাপি’কে যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি আমরা। কষ্টই দিয়েছি বেশি।আমাদের সঙ্গীতের আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র, কিংবদন্তী হ্যাপি আখন্দ। হ্যাপি ভাইকে কি ভুলে যাবে এই দেশ? যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে যে তরুণেরা আমাদের সংগীতকে রাঙিয়ে দিচ্ছিলেন নানা রঙে, তাঁদের কি আমরা মনে রাখব? হ্যাপি আখন্দ্ কি সেই তালিকায় থাকবেন না?হ্যাপি আখন্দকে স্মৃতির ভেলায় ভেসে যেতে দিই আমরা। এখন তাঁর জন্য নীরবতাই ভালো। এ নীরবতার ভাষা সবাই বুঝবে কি না, জানি না।শুভ জন্মদিন হ্যাপি আখন্দ। জন্মদিনে এই কিংবদন্তীকে, হৃদয়ের গহীনে জমে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা…. তাকে আমাদের হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা।

-Collected


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২০

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।

'হ্যাপির সংগীত প্রতিভা ছিল আক্ষরিক অর্থেই বিস্ময়কর। সংগীতের প্রতি ওর একাগ্র নিষ্ঠা আর ভালোবাসার পাশাপাশি স্রষ্টা প্রদত্ত কিছু সহজাত গুণাবলি ও দক্ষতার কারণে আমরা যারা একই সময়ে সংগীতচর্চা করতাম তাদের সবার মধ্যে সে ছিল সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল।
+।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

কমরেড নীল বলেছেন: না।শুভ জন্মদিন হ্যাপি আখন্দ। জন্মদিনে এই কিংবদন্তীকে, হৃদয়ের গহীনে জমে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা…. তাকে আমাদের হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.