![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
“ভালো আছি, ভালো থেকো,
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
দিও তোমার মালাখানি,
বাউলের এই মনটা রে”
৮০-৯০ এর দশকে বড় হওয়া বাংলাদেশী খুব কম পাওয়া যাবে যারা উপরের গানটি শুনেন নাই। গানটির স্রষ্টা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ “প্রতিবাদী রোমান্টিক” নামে খ্যাত হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়কালে যে কজন প্রতিবাদী ছিলেন, তাদের মধ্যে রুদ্রই ছিলেন অন্যতম।
স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের সদম্ভ পদচারণায় ব্যথিত কবির কলমে উঠে এসেছে তারই বেদনাভরা প্রতিবাদী স্বর।
“জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।
বাতাশে লাশের গন্ধ
নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।”
১৯৭৫ সালের পরের সবকটি সরকারবিরোধী ও স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা।
আজকাল দেশের দুর্যোগ মুহূর্তে কবি শিল্পী কথিত সুশীল সেলিব্রেটিরা কেবল নিভৃত ভুবন নির্মাণ করে চলে যান শীতনিদ্রায় কিংবা মেতে থাকেন ঘাস ফুল লতা পাতা নিয়ে অথচ এ দ্রোহের কবির কাছে সমাজের সঠিক চিত্র আঁকাটাই ছিল মৌল দায়, আর সে দায় পালনে কবি ছিলেন নির্ভেজাল।
“শ্লোগানে কাঁপুক বিশ্ব, চলো,
আমরা এগিয়ে যাই প্রথমে পোড়াই চলো
অন্তর্গত ভীরুতার পাপ,
বাড়তি মেদের মতো বিশ্বাসের দ্বিধা ও জড়তা। ”
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। গঠন করেছিলেন অন্তর বাজাও নামের গানের দল, চেয়েছিলেন ফিল্ম বানাতে কিন্তু অকাল মৃত্যু তাকে সে সুযোগ দেয়নি। ভীষণ খামখেয়ালীর জীবন যাপিত করেও শেষ দিকে অনেক নিঃসঙ্গ একাকী ছিলেন প্রচণ্ড অভিমানী এই কবি। নব্বইয়ের পরে যখন সব কবিরা দলে দলে ভাগ হয়ে গেলো, বিভিন্ন দলের ছাতায় আশ্রয় খুঁজতে শুরু করে তখন তিনি একা হয়ে গেলেন।
"পূর্ণিমার চাঁদ থেকে ঝ’রে পড়ে সোনালী অসুখ।
ডাক শুনে পেছনে তাকাই– কেউ নেই।
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি একা…. "
আলোচিত নারীবাদি লেখক তসলিমা নাসরিন কে বিয়ে করেন ১৯৮১ সালে, বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে ১৯৮৮ সালে। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মৃত্যুবরণ করা এই প্রতিবাদী কবি জন্মেছিলেন ১৯৫৬ সালের ১৬ ই অক্টোবরে।
প্রেম ও দ্রোহের কবির শুভ জন্মদিনে কবিকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি,
"থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক
একলা থাকার খুব দুপুরে
একটি ঘুঘু ডাকুক "
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: কবির জন্মদিনে শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
প্রামানিক বলেছেন: প্রেম ও দ্রোহের কবির শুভ জন্মদিনে কবিকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।