![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
লীলা নাগ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা। পূর্ব বাংলার নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। লীলা নাগের জন্ম আসামের গোয়ালপাড়ায় ১৯০০ সালের ২১ অক্টোবর। বাবা গিরীশচন্দ্র ছিলেন চাকরিজীবী। তাঁদের পরিবার ছিল তৎকালীন সিলেটের অন্যতম সংস্কৃতমনা ও শিক্ষিত। কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সে প্রথম স্থান অধিকার করায় লীলা নাগ 'পদ্মাবতী' স্বর্ণপদক পান। বাবার ঢাকায় বদলির সুবাদে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯২৩ সালে ইংরেজিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নারীশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে 'দীপালি সংঘ' সংগঠন গড়ে তোলেন। 'দীপালি স্কুল' নামে একটি স্কুল ছাড়াও ১২টি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে। তিনি নারীশিক্ষা মন্দির ও শিক্ষাভবন নামেও দুটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকায় তাঁর গড়া একটি স্কুল (দীপালি-১) পরবর্তী সময়ে কামরুন্নেসা গার্লস স্কুল হিসেবে পরিচিত হয়। তিনি ছাত্রীদের জন্য ঢাকাভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান গড়েন। বাংলা ও আসামের অনেক স্থানে এর শাখা ছিল। ছাত্রীদের জন্য কলকাতায় একটি হোস্টেলও তিনি গড়েছিলেন। ১৯২৫ সালে তিনি 'শ্রীসংঘ' বিপ্লবী দলের সদস্য হন। ঢাকায় গোপন দলের সদস্য হিসেবে তিনি বিপ্লবী ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে সংযোগকারী হিসেবে কাজ করতেন। ১৯২৮ সালে 'মহিলা আত্মরক্ষা ফান্ড' গঠন করেন তিনি। সাধারণ জনতার পর্যায়ে নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য তিনি 'গণশিক্ষা পরিষদ' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়েন। 'জয়শ্রী' নামের নারীবিষয়ক একটি প্রকাশনাও সম্পাদনা করেন। গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পক্ষে তিনি 'ঢাকা মহিলা সত্যাগ্রহ' কমিটি গঠন করেন। ১৯৩৯ সালে লীলা নাগ বিপ্লবী অনীল রায়কে বিয়ে করেন এবং দুজন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর দলে যোগ দিয়ে 'ফরওয়ার্ড ব্লক' গঠন করেন। ১৯৪০ সালে কলকাতার হলওয়েল ভাস্কর্যের আকৃতি নষ্ট করার অভিযোগে এই দম্পতিকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কারাগারে কাটাতে হয়। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতীয় গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ভারতের শাসনতন্ত্রের খসড়া তৈরিতে অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী। মতান্তরে সুষমা সেনগুপ্তাও যুগ্মভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী। ১৯৭০ সালের ১১ জুন লীলা নাগ মারা যান।
[বাংলাপিডিয়া অবলম্বনে]
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
প্রামানিক বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগের জন্মদিনে বিপ্লবী লাল সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা বিপ্লবী লীলা নাগের ১১৫তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, বুদ্ধিমতি বাংগালী নারী।