![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
'কৃষক নেতা হাতেম আলী খান গ্রামের নিরক্ষর মানুষকে লেখাপড়া শিখানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। কারণ তিনি চিন্তা করলেন নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষিত না করলে সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদের মর্মবস্তু বুঝবনে না। সাধারণ মানুষকে যদি শিক্ষার মাধ্যমে সচেতন করে তোলা যায়, তাহলে তারা অন্যায়-অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রাম গড়ে তুলবে। এই ভাবনা থেকে ১৯৩৯ সালে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার বাটাজোর গ্রামে স্থানীয়দের নিয়ে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ওই এলাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক না পাওয়ার কারণে তিনিই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি শুরু করেন করেন কৃষক সংগঠন। ওই এলাকায় তিনি কৃষকদের সংগঠিত কৃষক সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৯৩৮ সালে রংপুর কৃষক সমিতির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে তিনি কৃষকদের সংগঠিত করণে ভূমিকা রাখেন। ওই বছর নেত্রকোনায় সারা ভারত কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে ৩ বছরের মধ্যে স্কুলটিকে মডেল হাইস্কুলে রূপান্তরিত করেন। এটি ১৯৪২ সালে বোর্ডের মঞ্জুরী পায়। স্কুলটি বোর্ডের মঞ্জুরী পেলে তিনি বেলুয়ার ভূয়াপুর স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বেলুয়াতেও তিনি “জনতা উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সাথে সাথে অব্যহত রাখেন কৃষক সংগঠনের কাজ। হাতেম আলী খান একে একে বলরামপুর, নলিন ও ধূবলিতে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এই স্কুলগুলোতে উপযুক্ত প্রধান শিক্ষক না পাওয়ায় তিনি নিজেই একই সাথে ৩ টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দরিদ্র ছাত্রদের পড়াশুনার খরচ তিনি বহন করতেন। পিছিয়ে পড়া ছাদ্রদেরকে নিয়ে আলাদাভাবে কোচিং ক্লাশ করাতেন। অভিভাবকদেরকে ছেলেমেয়ে যাতে স্কুলে পাঠান সে জন্য তাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করতেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তার ঘটে।'
তথ্যসূত্রঃ 'শত বিপ্লবীর কথা' বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
©somewhere in net ltd.