![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
আজ ২ জানুয়ারি জাতীয় শহীদ দিবস। ৪১ বছর আগের এই দিনে বন্দী অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে গুলি করে হত্যা করা হয় বিপ্লবী শহীদ কমরেড সিরাজ সিকদারকে।
সশস্ত্র বলপ্রয়োগের মধ্য দিয়ে গরিব-মেহনতি মানুষের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে গঠিত পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনার আগেই মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকারী কমরেড সিরাজ সিকদার একদিকে পাকিস্তানের অধীনতার বিরুদ্ধে লড়েছেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের সুযোগে ভারতের সম্প্রসারণবাদী-আধিপত্যবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিগঠনের জন্য জনগণের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রণ প্রণয়ন না করে ৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের অধীনে নির্বাচিতদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারই দেশ পরিচালনা করতে থাকে।
ভারতপন্থী এই সরকার সদ্য স্বাধীন দেশের নানা নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে ভারত তোষণের নীতি গ্রহণ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৭২ সালে সিরাজ সিকদার ঘোষণা করেন, “পূর্ব বাংলার জনগণ স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে, ভারতের উপনিবেশ হওয়ার জন্য নয়। ”
কিন্তু সিরাজের এই সমালোচনা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে একটি ২৫ সালা চুক্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার।
ওই চুক্তি মোতাবেক ভারতীয় গঠনতন্ত্রের আদলে বাংলাদেশের জন্য সংবিধান নামে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ও বাঙালি ছাড়াও অন্যান্য জাতি থাকা সত্ত্বেও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সংবিধনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এমনকি সম্পূর্ণ দক্ষিণপন্থী দল হয়েও আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে। এই সংবিধানের মাধ্যমে কার্যত রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর অনুগামী হয়ে পড়ে।
নবগঠিত সংবিধানের অধীনে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাধরে পরিণত করে।
এমতাবস্থায় ভারতীয় আধিপত্যে ক্রমবর্ধমান হয়ে পড়লে ৭৩ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিন ১৬ ডিসেম্বরকে ঢাকাসহ পূর্ব বাংলায় ভারতের উপনিবেশ কায়েম বিরোধী সম্প্রসারণবাদ প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করে হরতালের ডাক দেন সিরাজ সিকাদর। একই কর্মসূচি ৭৪ সালেও পালন করে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি। সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের হরতাল কর্মসূচিকে সমর্থন জানান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
১৬ ডিসেম্বর হরতাল পালনের দুই সপ্তাহ পর সিরাজ সিকদারকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বন্দী অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে গুলিতে নিহত হন তিনি। এ হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যার ধারা শুরু হয়। ২ জানুয়ারি তাকে হত্যার ২২ দিনের মাথায় পচাত্তরের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করা হয়।
বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে বাক, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়। সব কিছুর উর্ধ্বে বঙ্গবন্ধুর আদেশ-নিষেধ আইনে পরিণত হয়।
আজ ২ জানুয়ারি জাতীয় শহীদ দিবস। ৪১ বছর আগের এই দিনে বন্দী অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে গুলি করে হত্যা করা হয় বিপ্লবী শহীদ কমরেড সিরাজ সিকদারকে।
সশস্ত্র বলপ্রয়োগের মধ্য দিয়ে গরিব-মেহনতি মানুষের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে গঠিত পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনার আগেই মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকারী কমরেড সিরাজ সিকদার একদিকে পাকিস্তানের অধীনতার বিরুদ্ধে লড়েছেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের সুযোগে ভারতের সম্প্রসারণবাদী-আধিপত্যবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিগঠনের জন্য জনগণের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রণ প্রণয়ন না করে ৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের অধীনে নির্বাচিতদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারই দেশ পরিচালনা করতে থাকে।
ভারতপন্থী এই সরকার সদ্য স্বাধীন দেশের নানা নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে ভারত তোষণের নীতি গ্রহণ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৭২ সালে সিরাজ সিকদার ঘোষণা করেন, “পূর্ব বাংলার জনগণ স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে, ভারতের উপনিবেশ হওয়ার জন্য নয়। ”
কিন্তু সিরাজের এই সমালোচনা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে একটি ২৫ সালা চুক্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার।
ওই চুক্তি মোতাবেক ভারতীয় গঠনতন্ত্রের আদলে বাংলাদেশের জন্য সংবিধান নামে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ও বাঙালি ছাড়াও অন্যান্য জাতি থাকা সত্ত্বেও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সংবিধনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এমনকি সম্পূর্ণ দক্ষিণপন্থী দল হয়েও আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করে। এই সংবিধানের মাধ্যমে কার্যত রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর অনুগামী হয়ে পড়ে।
নবগঠিত সংবিধানের অধীনে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাধরে পরিণত করে।
এমতাবস্থায় ভারতীয় আধিপত্যে ক্রমবর্ধমান হয়ে পড়লে ৭৩ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিন ১৬ ডিসেম্বরকে ঢাকাসহ পূর্ব বাংলায় ভারতের উপনিবেশ কায়েম বিরোধী সম্প্রসারণবাদ প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করে হরতালের ডাক দেন সিরাজ সিকাদর। একই কর্মসূচি ৭৪ সালেও পালন করে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি। সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের হরতাল কর্মসূচিকে সমর্থন জানান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
১৬ ডিসেম্বর হরতাল পালনের দুই সপ্তাহ পর সিরাজ সিকদারকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বন্দী অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে গুলিতে নিহত হন তিনি। এ হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যার ধারা শুরু হয়। ২ জানুয়ারি তাকে হত্যার ২২ দিনের মাথায় পচাত্তরের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করা হয়।
মরহুম বুদ্ধিজীবী ড. আহমদ শরীফ বিপ্লবী বীর সিরাজ সিকদার প্রসঙ্গে শিরোনামে এক লেখায় বলেন, সিরাজ সিকদার আজ আর কোনো ব্যক্তির নাম নয়। সিরাজ সিকদার একটি সংকল্পের, একটি সংগ্রামের, একটি আদর্শের, একটি লক্ষ্যের ও একটি ইতিহাসের অধ্যায়ের নাম। এ মানবতাবাদী সাম্যবাদী নেতাকে হাতে পেয়ে যেদিন প্রচণ্ড প্রতাপ শঙ্কিত সরকার বিনা বিচারে খুন করল, সেদিন ভীতসন্ত্রস্ত আমরা তার জন্য প্রকাশ্যে আহা শব্দটি উচ্চারণ করতেও সাহস পাইনি। সেই গ্লানিবোধ এখনও কাঁটার মতো বুকে বিঁধে।
এখনো হত্যার কোন বিচার হয়নি, হত্যাকারি ক্ষমতার মসনদে বসে শোষনের রাজত্ব কায়েম করে, আমরা এই মহান কমরেড হত্যার বিচার চাই। বাংলার ঘরে ঘরে হাজারো সিরাজ জন্ম হোক সর্বহারার মুক্তির আন্দোলনে, তোমার আদর্শ হয়ে উঠুক সর্বহারার মুক্তির সনদ।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
বিপরীত বাক বলেছেন: তার হত্যার বিচার হয়েছিল পরের বছরগুলিতে। কিন্তু যারা সেইসব বিচার করেছিল তাদের উত্তরসুরীরা সেই হত্যাকারীর চাইতে নোংরা ও খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছে।। ফলশ্রুতিতে এখন নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৪
খোলা মনের কথা বলেছেন: “পূর্ব বাংলার জনগণ স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে, ভারতের উপনিবেশ হওয়ার জন্য নয়। ” কথাটি যত বার পড়লাম তত বার গা শিউরে ওঠলো। তার আদর্শকে মন থেকে শ্রদ্ধা করি। তার নির্বিচারে হত্যার বিচার কেন হয় না???