![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৪ সালের এইদিনে তিনি মারা যান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ছেলে রুমী শহীদ হন, স্বামী শরীফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইন্তেকাল করেন। একাত্তরে স্বামী-সন্তানহারা এই মা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে হয়ে ওঠেন মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’তে একজন মুক্তিযোদ্ধার মায়ের দৃঢ়তা, আত্মত্যাগ প্রতিভাত হয়ে উঠেছে। যা তাকে দেশের মানুষের কাছে সম্মানের আসনে পৌঁছে দেয়।
জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি। এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন জাহানারা ইমাম। তার নেতৃত্বেই এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণআদালতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার সম্পাদন করে। এই বিচারের পরে দেশব্যাপী ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও জেল-জুলুম সহ্য করে তিনি আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন ক্যান্সার আক্রান্ত এই শহীদ জননী আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায়। ত্রিশ ও চল্লিশ দশকের রক্ষণশীল বাঙ্গালী মুসলিম পরিবারে জন্ম হয় তার। তার বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মা সৈয়দা হামিদা বেগম। ১৯৪২ সালে মেট্রিক, ১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ পাস করে ১৯৪৫ সালে তিনি ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড শেষ করে ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
(সংগ্রহীত)
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মনে রেখেছেন বলে সালাম জানাচ্ছি।। ভাল থাকুন।।