![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
নিজের চোখে দেখা প্রিয় প্রাঙ্গণ নিয়ে আজ জানাব আপনাদের। কথা বলছিলাম আমাদের বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, ভৈরব বাজার স্কুলের।
জীবন দর্শন : জীবনে চলার পথে একজন মানুষ হিসেবে যেসকল দায়িত্ব-কর্তব্য আছে তা জানানো শিক্ষকদের একান্ত কর্তব্য। এই প্রাঙ্গনে এসে সবাই লেখাপড়ার পাশাপাশি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষা পায়।
শিক্ষক শিক্ষিকা : অসাধারণ কিছু শিক্ষক শিক্ষিকার সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ মিলবে এখানে। বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। ভালো মানের শিক্ষকদের থেকে সরাসরি কিছু শেখার অভিজ্ঞতা সত্যিই অতুলনীয়।
শান্তিময় পরিবেশ : খুব সম্ভবত স্কুলের প্রাঙ্গনে ঢুকে সবার মন ভালো হয়ে যাবে একটা কারণেই। আর সেটা হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটা পরিবেশ। গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে একটা বিশাল মাঠ। অফিসের সামনে ফুল বাগান। নানান জাতের ফুলে স্কুলকে এক অনবদ্য রূপ লাবণ্য দান করে। স্যারদের অফিস কক্ষ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষ থেকে শুরু করে একেবারে স্যারদের কোয়ার্টার পর্যন্ত, সবখানেই নান্দনিকতার ছোঁয়া। আর তার সাথে রয়েছে অসংখ্য ফুল গাছ আর বাহারি গাছপালা। মাঠের এককোণে শহীদদের স্মৃতিতে নির্মিত শহীদ মিনার একটা আলাদা আমেজ এনে দেয় পুরো জায়গায়।
প্রতিষ্ঠানের গৌরব : ১৯৫৪ সালে তৎকালীন গন্যমান্য ব্যক্তি চাঁন মিয়া সওদাগর, রেলওয়ে গার্ড হাকিম শাহ, আই.ও.ডবিস্নউ আবুল হোসেন, হেড ক্লার্ক খোদা নেওয়াজ, কন্ট্রোলার এম.এইচ. খান সাহেবসহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যাপীঠ। ৬৩ বছরের ইতিহাসে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতা ও কার্যক্রমের ব্যাপ্তি এত ব্যাপক যে তা উল্লেখ করে শেষ করার মতো নয়। দেশের সচিব, আমলা, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সর্ব পর্যায়ে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণা রয়েছে প্রশংসনীয় পর্যায়ে। প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে অতিথি হিসেবে আসেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তন ছাত্রীরা। তাদের সফলগাঁথা অনুপ্রাণিত করে তোলে হাজারো শিক্ষার্থীদের।
খেলাধুলা : শুধু পড়ালেখাতেই নয়, খেলাধুলাতেও এগিয়ে আছে এখানকার শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ধরণের খেলায় এখানকার টিম পারদর্শী। এছাড়া প্রতি বছর স্পোর্টস ডে উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
প্রত্যাশা করি অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সফল ও আদর্শিক নাগরিক সৃষ্টিতে স্কুলটি তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে আর সমাজকে উপহার দেবে দেশ সেরা সন্তান যাদের জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হবে সমগ্র দেশ আর উপকৃত হবে পুরো জাতি। সফলতার স্বর্ণমুকুট সব সময় যেন আমার প্রাণপ্রিয় স্কুলটি নিজের করে ধরে রাখতে পারে সেই প্রত্যাশায় আগামীর পথে চেয়ে আছি।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজের পোস্টে ফিরেন না?
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নিশ্চয় ছবির মতই পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
ছবিটা দেখে ভালই লাগলো।
আপনার প্রত্যাশা প্রাপ্তিতে ভরে উঠুক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
কো-এডুকেশন?