নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না। আমি কেউ হতে চাই না কখনো। আমি চাই, আমার কোন নাম না থাকুক, বয়স-গোত্র-দেশ কিচ্ছু না থাকুক...

বিপ্লবের সাগর

আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।

বিপ্লবের সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪৮ তম জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য কমরেড লেনিন ।।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬



পিতা-মাতা কর্তৃক প্রদত্ত নাম ভ্লাদিমির ইলিচ। উলিয়ানভ বংশগত পদবী। সাইবেরিয়ায় নির্বাসনে থাকা কালে ‘লেনা’ নদীর নামানুসারে ‘লেনিন’ ছদ্মনামে যিনি সারা দুনিয়ার নির্যাতিত-নিপীড়িত প্রলেতারিয়েতের নেতা হিসেবে পরিচিত, পৃথিবীর প্রথম মহান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতা ও প্রথম প্রলেতারীয় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, মার্ক্সবাদের প্রায়োগিক রূপ লেনিনবাদের স্রষ্টা, মানব সমাজের উন্নততর ধাপ কমিউনিস্ট ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মহান তাত্ত্বিকের ১৪৮-তম জন্মদিবস আজ। মহামতি লেনিনের জন্মদিনে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি…।

১৮৭০ খ্রীস্টাব্দের ২২শে এপ্রিল রাশিয়ার মহানদী ভলগার তীরবর্তী সিমবির্স্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন এই মহামানব। ভলগা তীরের সিমবির্স্ক, কাজান, সামারা শহরে আর ভলগার বিস্তীর্ণ প্রসারতায় বেড়ে ওঠে তাঁর বাল্য ও কৈশোর। লেনিনের পিতামহ ছিলেন রুশীয় ভূমিজ সন্তান। রাশিয়ার সামন্ততান্ত্রিক সমাজের ভূমিদাস কৃষক ছিলেন তিনি। লেনিনের পিতা ইলিয়া নিকোলায়েভিচ উলিয়ানভ, বাল্যকাল থেকেই অভাব-অনটনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। কেবল অধ্যবসায় আর মেধার জোরেই তাঁর পক্ষে উচ্চ শিক্ষালাভ সম্ভব হয়। কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করে তিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্কুল পরিদর্শক এবং পরে সিমবির্স্কের স্কুল পরিচালক হন। গ্রামাঞ্চলে স্কুল প্রতিষ্ঠা, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে তাঁর সুনজর ছিল। সে কালের পক্ষে তিনি ছিলেন প্রগতিশীল মানুষ।

লেনিনের মা মারিয়া আলেক্সান্দ্রভনার পিতা ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। তিনি পড়াশোনা করেন বাড়ীতে, কয়েকটি বিদেশী ভাষা জানতেন, সাহিত্যে ভালো দখল ছিল, পিয়ানো বাজাতেন আর সঙ্গীত ছিল তাঁর প্রিয়। বুদ্ধিমতী, শান্ত ও সৌজন্যশীলা এই মহীয়সী নারী ছয়টি সন্তানকে মানুষ করার কাজে নিজকে সম্পূর্ণ উজাড় করে দিয়েছিলেন। ছয ভাই-বোনের মধ্যে লেনিন ছিলেন তৃতীয়। বড় বোন আন্না, বড়ো ভাই আলেক্সান্দর, লেনিন, ওলগা, দমিত্রি ও মারিয়া। পিতা-মাতা তাদের ছয়টি সন্তানের জন্য বহুমুখী শিক্ষার আয়োজন করেছিলেন, তাঁরা চেয়েছিলেন সন্তানদের সৎ, পরিশ্রমী, বিনয়ী, জনসাধারণের অভাব অনটনের প্রতি সজাগ করে তুলতে।

ভ্লাদিমির উলিয়ানভ লেনিন কৈশোরে যাদের রচনায় ডুবে ছিলেন তাদের অন্যতম পুশকিন, লেরমন্তভ, তুর্গেনেভ, নেক্রাসভ, সালতিকভ-শ্যেদ্রিন, তলস্তয়। চিরায়ত রুশ সাহিত্যের প্রতি প্রগাঢ় আগ্রহ ছিল লেনিনের। এছাড়াও তৎকালের বিপ্লবী লেখকদের নিষিদ্ধ গ্রন্থাদিও তিনি বিপুল আগ্রহে পাঠ করেন। তন্মধ্যে চের্নিশেভস্কি, দব্রলিউবভ, পিসারেভ অন্যতম। বিপ্লবী গণতন্ত্রী চের্নিশেভস্কির বিখ্যাত উপন্যাস “কী করিতে হইবে” ছিল লেনিনের সর্বাপেক্ষা প্রিয়। এছাড়া বিখ্যাত মার্কিন সাহিত্যিক জ্যাক লন্ডন ছিল তাঁর আরেক প্রিয় সাহিত্যিক।

বাল্যকাল থেকেই বড় ভাই আলেক্সান্দরের প্রভাব ছিল লেনিনের উপর। দৃঢ় সঙ্কল্পবোধ ও উচ্চ নৈতিক গুণে আলেক্সান্দার ছিলেন আমাদের দেশের অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের মতোই। তুলনায় বলা চলে মাস্টার’দা সূর্যসেনের মতোই। লেনিনের বোন আন্না তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, “সাশার (আলেক্সান্দারের) প্রতি ভ্লাদিমিরের ছিল প্রগাঢ় ভালোবাসা। সাশার দৃষ্টান্ত ছিল তাঁর কাছে খুউবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেবেলা থেকে দাদাকেই সে অনুসরণ করতো। যখন প্রশ্ন করা হতো, আচ্ছা যদি এরকম কিছু ঘটে তাহলে তুমি কী করবে? সে বরাবর একই জবাব দিতো ‘সাশার মতো’।”

১৬ বছর বয়সেই ধর্ম বর্জন করেন ভ্লাদিমির। লেনিনের সহধর্মিনী নাদেজদা ক্রুপস্কায়া তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, “একবার বাড়ীতে নালিশ আসে যে উলিয়ানভ পরিবারের সন্তানেরা গির্জায় বড়ো একটা যাতায়াত করে না। তখন বাড়ীতে আগত এক অতিথি ক্রুদ্ধ হয়ে উচ্চকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘বেত, বেত মারা দরকার’। অতিথির এরকম অযাচিত কথা শুনে ক্ষুব্ধ কিশোর ভ্লাদিমির স্থির করেন আজ থেকে ধর্মের সংস্রব একেবারেই ত্যাগ করবো। সেই মুহূর্তে আঙিনায় ছুটে গিয়ে গলা থেকে ক্রস ছিঁড়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেন।”

১৮৮৬তে লেনিনের মহৎ-হৃদয়বান পিতৃদেব মৃত্যুবরণ করেন। পরের বছর ১৮৮৭তে জার তৃতীয় আলেক্সান্দারকে হত্যার চক্রান্তে অংশগ্রহণের জন্য পিটার্সবুর্গে গ্রেপ্তার হন বড় ভাই আলেক্সান্দর। ঐ বছরেই মে মাসে শ্লিসেলবুর্গ দুর্গে ফাঁসি হয় আলেক্সান্দরের। হাসতে হাসতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন তিনি। যেনো আমাদের ক্ষুদিরাম। বড় বোন আন্না তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, “বীরের মতোই মৃত্যুবরণ করেন আলেক্সান্দর, রক্ত তাঁর দাবদাহের দ্যুতিতে আলোময় করে তোলে পরের ভাই ভ্লাদিমিরের পথ।”

বাল্যকাল থেকে সকল ক্ষেত্রে যিনি ছিলেন লেনিনের আদর্শ সেই দাদাভাইয়ের ফাঁসিকাষ্ঠে মৃত্যু আলোড়িত করে তোলে ভ্লাদিমির উলিয়ানভকে। বিপ্লবী সংগ্রামে নিজ জীবন উৎসর্গের সিদ্ধান্ত তার জোরালো হয়ে ওঠে। দাদাভাই ও তাঁর কমরেডদের পৌরুষ ও আত্মত্যাগের সামনে শ্রদ্ধায় মাথা নত করলেও লেনিন কিন্তু তাদের পথ বর্জন করে বলেন, “না আমরা ও পথে যাব না। ও পথে যাওয়া চলে না।” আদতে ব্যক্তি সন্ত্রাসের পথটিকে পুরোপুরি বর্জন করে লেনিন পরবর্তীতে তাঁর রচনায় প্রমাণ করেন যে, এপথটি বিপ্লবীদের জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। সুতরাং এ পথটি অতি অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

১৮৮৭’র ডিসেম্বরের গোড়ায় ছাত্র সভায় সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিযোগে লেনিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত ও গ্রেফতার হন। জীবনের প্রথম কারাজীবনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা প্রসঙ্গে লেনিন বলেছিলেন, “জেলখানায় নেওয়ার সময় দারোগা আমায় বলেছিল, ‘হৈ-হাঙ্গামায় কী আর হবে ছোকরা। শেষটা তো এই দেওয়াল’। প্রত্যুত্তরে বলেছিলাম, ‘দেওয়াল তবে ঘুণ ধরা, ধাক্কা দিলেই ভেঙে পড়বে’।” এভাবেই শুরু হয় জার স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সতেরো বছরের তরুণ লেনিনের বিপ্লবের পথে মহতী পদযাত্রা।

১৮৮৭ থেকে ১৯১৭ দীর্ঘ ৩০টি বছর অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে লেনিন সফল হন পরমারাধ্য মহাবিপ্লব সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সাধনে। ত্রিশ বছরের সুদীর্ঘ পথযাত্রায় রুশ প্রলেতারীয় শ্রেণীর বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের পাশাপাশি লেনিন রচনা করেন অসংখ্য গ্রন্থাদি। লেনিনের রচনাসমূহ তিনটি প্রধানভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগ- অর্থশাস্ত্র বিষয়ক রচনা, যথা- “কৃষকজীবনে নয়া অর্থনীতির বিকাশ”, “বাজার প্রসঙ্গ”, “নারোদবাদের অর্থনৈতিক মর্মবস্তু”, “অর্থনৈতিক রোমান্টিকতাবাদ”, “যে উত্তরাধিকার আমরা পরিত্যাগ করি”, “জনগণ বন্ধুরা কী ও তারা কীভাবে সোশ্যাল ডেমোক্রাটদের বিরুদ্ধে লড়াই করে” “রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ” “নয়া অর্থনৈতিক নীতি” এবং “প্রলেতারীয় একনায়কত্বের যুগের অর্থনীতি ও রাজনীতি”। দ্বিতীয় ভাগ- রাজনীতি বিষয়ক রচনা, যথা- “কী করিতে হইবে”, “এক কদম আগে দু’কদম পিছে”, “গ্রামের গরীবদের প্রতি”, “সোশ্যাল ডেমোক্রাসীর দুই রণকৌশল” “সাম্রাজ্যবাদ- পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়”, “এপ্রিল থিসিস”, “রাষ্ট্র ও বিপ্লব”, “কমিউনিজমে বামপন্থার বাল্যব্যাধি” এবং “প্রলেতারীয়ান বিপ্লবের কর্মসূচী”।তৃতীয় ভাগ- দর্শন বিষয়ক রচনা, যথা- “মার্ক্সবাদের তিনটি উৎস ও তিনটি অঙ্গ”, “বস্তুবাদ ও প্রত্যক্ষবিচারবাদ” “দ্বন্দ্বতত্ত্ব ও সংগ্রামী বস্তুবাদের তাতপর্য”। তত্ত্বকার, সংগঠক, প্রলেতারীয় পার্টি নির্মাতা, পত্রিকা সম্পাদনা, বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং মনুষ্য সভ্যতার ইতিহাসে নূতন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণ এবং রুশীয় ইতিহাস মন্থন করে রুশ জাতিগত বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত মার্ক্সবাদ তথা লেনিনবাদ গড়ে তোলার সাফল্যে মহিমান্বিত এই মহানায়ক ১৯১৮’র ৩০শে আগস্ট গুপ্তঘাতকের গুলীতে গুরুতর আহত হন। তথাপি পরবর্তী ৬টি বছর কঠোর পরিশ্রম করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করেন। কিন্তু জখমস্থলে থেকে যাওয়া একটি গুলী অপসারণ সম্ভব না হওয়ায় লেনিনের স্বাস্থ্য ক্রমেই ভেঙে পড়তে থাকে। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত কর্মচাপের কারণেই ১৯২৪ খ্রীস্টাব্দের ২১শে জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে বিশ্ব প্রলেতারীয় শ্রেণীর মহান নেতা ভ্লাদিমের ইলিচ লেনিনের জীবনাবসান হয়।

লেনিন সম্পর্কে উপমহাদেশের সাবেক কমিউনিস্ট পরবর্তীতে মানবতাবাদী নেতা বিপ্লবী এম এন রায় লিখেছেন, “পার্টির কর্মীদের প্রতি সংগঠক লেনিনের আচরণ ছিল মধুমাখা, মমত্বময়।” বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক ‘দুনিয়া কাঁপানো দশদিন” গ্রন্থের রচয়িতা জন রীড লেখেন, “লেনিন- আহা কী সহজ, কী মানবিক আর সেই সঙ্গে কী দূরদৃষ্টি আর অটলতা।” উপনিবেশ আর পরাধীন জাতিসমূহের প্রতিনিধিগন লেখেন, “প্রাচ্য জনগণের হৃদয়ে নূতন আশাজাগানিয়া নাম লেনিন! মানব জাতিকে শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে সুখের পথ দেখিয়েছেন লেনিন!” আর সুমহান সভ্যতার দেশ ভারতীয় প্রতিনিধিগণ বলেন, “মানবজাতির উদারতম প্রতিনিধির নাম লেনিন! ইতালির কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি বলেন, “বিশের দশকের শুরুতে সবচেয়ে গহন গাঁয়েও লেনিনের নাম জানা ছিল। ভ্লাদিমির ইলিচের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার চিহ্নস্বরূপ বহু শ্র্রমিক পরিবারে নবজাতকের নামকরণ হয় ‘লেনিন’।” রুশ দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সাধন করে ইউরোপের শীতনিদ্রায় থাকা দৈত্যাকৃতির দেশটিকে আধুনিক রঙ্গমঞ্চে নিয়ে আসা, মধ্য এশিয়ার বর্বরতম দেশগুলোকে সভ্যতার আলোয় আলোময় করা, সাম্রাজ্যবাদের ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ভেঙে ফেলা, দেশে দেশে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে বেগবান করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া, আধুনিক সাম্রাজ্যবাদের হিংস্র নখ-দন্ত উপড়ে ফেলা এসবই লেনিনের নেতৃত্বে সফল করেছে রুশ প্রলতোরিয়েত। মানবজাতির ইতিহাসে অদৃষ্টপূর্ব এতোসব মহতী কর্মকাণ্ডের জন্য রুশ প্রলেতারিয়েতের যেমন গর্ববোধ করার পরিপূর্ণ অধিকার আছে, একইসাথে পূর্ণতর শ্রদ্ধায় পরম কৃতজ্ঞতায় সমগ্র বিশ্বের প্রলেতারিয়েত ও নব্যস্বাধীন জাতিসমূহের সদস্যদের মহামতি লেনিনের অমর স্মৃতিকে স্মরণ করার ইতিহাস নির্দেশিত কর্তব্যকর্ম রয়েছে। লেনিন-স্মৃতি অমর হোক!

(সংগ্রহিত)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: মহান বিল্পবী লেনিন কে জানাই শ্রদ্ধা।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মার্ক্সের থিওরীকে প্রয়োগ করে, এক শক্তিশালী মানবিক সমাজ ব্যবস্হা গঠন করেছিলেন; সমাজতান্ত্রীক মনোভাবে লোকজনরা বিশ্বের জন্য শান্তির প্রতীক

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: রাশিয়ার সমাজবাদের গোড়া পত্তন আমাকে জার পরিবারের শিশুহত্যার কথা মনে করিয়ে দেয়। অটোম্যান আমলের শিশু হত্যার বিরূদ্ধে একসময় তুর্কীরা প্রতিবাদ করে যার ষোল শতকেই তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বিপ্লবীরা জার পরিবারে যে নিষ্ঠুরতা চালিয়েছিল তার প্রতিবাদ রাশিয়ার মত বদ্ধ সমাজে ছিল প্রায় অসম্ভব। যার ফলে রাশিয়াতে ভয়ানক এক পরিস্থিতি তৈরী হয় কমিউনিস্ট আমলে, শুধু স্টালিনই মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে খুন করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.