![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিধাতার মতো নির্ভয়, প্রকৃতির মতো সচ্ছল, বন্ধন-হীন, জন্ম-স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল!
অক্টোবর ২৫, ২০১৩:
বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়েতে ব্যাপক দূর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐতিহ্যবাহী ও সরকারী লাভজনক এ প্রতিষ্টানটির মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তবর্তী ভোলাগঞ্জ থেকে রেলওয়ের প্রয়োজনীয় পাথর সরবরাহ করে সারা দেশের রেললাইনের স্লিপারের নিচে ঐ পাথর ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। বৃহত্তর সিলেটে ভোলাগঞ্জ পাথরের সুনাম রয়েছে দেশ জুড়ে। ভোলাগঞ্জ কোয়ারী থেকে সারা বছরই তুলনামুলক কম খরচে রোপওয়ের মাধ্যমে পাথর পরিবহন করে ছাতক পাথর রোপওয়ে ষ্টেশনে পাথর ডাম্পিং করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে রোপওয়েতে চলছে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও লুটপাট। কোয়ারীতে বোমা মেশিনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুযোগ প্রদান করে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বোমা মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যেই রোপওয়ের ১১নং ট্রেসেলটি মাটির নিচে চাপা পড়ে প্রতিষ্টানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়েতে লাইন পাহারা দেয়ার জন্য প্রতিমাসে জনপ্রতি ৪হাজার ৫শত টাকা বেতনে ১৮ জন টিএলআর (চৌকিদার) এর পদ থাকলেও বাস্তবে কর্মরত আছেন ৬জন। বাকী ১২জন টিএলআরের বেতন উত্তোলন করে পকেটে ভারী করছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রেলওয়ে সাথে সংশ্লিষ্ট এক শ্রেনীর অসাধু পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে পাথরের সাথে মাটি মিশিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। রেলওয়ে ওয়াগনে পাথর লোডিং ও আনলোডিং এর নামেও চলছে লুটাপাট। সম্প্রতি রেলওয়ের এলাকা থেকে গভীর রাতে মুল্যবান জিআই পাইপ, পিতলের গেইট ভাল্বসহ কোটি টাকার রেলওয়ের মালামাল ট্রাক যোগে ঢাকায় পাঠানোর সময় রেলওয়ের কর্মচারীর হাতে ধরা পড়ে গেলে মাত্র ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে রেলওয়ের আবাসিক এলাকার সরকারী বাসভবন গুলো ভাড়া দিয়ে চলছে বানিজ্য। এসব সরকারী কোয়াটারে কিছু বাসায় মদ ও নারী ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ চলছে বলেই অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রঃ http://surmardak.com/2013/10/25/4238.html/
২৮ এপ্রিল, ২০১৩:
রেলওয়ে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের নামে চরম দূনীর্তির খবর পাওয়া গেছে । স্বয়ং মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চীফ কমান্ডেন্ট ও নির্বাচনী কমিটির আহবায়ক । ২শত ৬৫ জন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়ে এ দূনীর্তি হয়েছে। রেলওয়ে (পূর্ব) সাবেক জিএম ইউচুফ আলী মৃধা চরম দূর্নীতি ,শত শত কোটি কোটি টাকা নিয়োগ বানিজ্য দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোচিত ঘটনা । মন্ত্রী পর্যন্ত বদনামের ভাগি হয়ে ছিলেন । এর পরও ভয় ও লজ্জা পাচ্ছে না রেলওয়ের দূনীর্তিবাজরা । আরোও মৃধা আছে রেলওয়ে পূর্বঞ্চলে। অভিযোগে জানা যায়, নির্বাচনী কমিটির আহবায়ক নিজেই কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এসিসসেন্ট কমান্ডেন্ট, ইন্সপেক্টার , সাব- ইন্সপেক্টর হাবিলদার, নায়ক, অফিস সহকারী প্রধান এবং প্রহরীর মাধ্যমে চাকুরী দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে প্রতিজন প্রার্থীর নিকট হতে ৩ লক্ষ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়। মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় প্রতিটি প্রার্থীকে দেওয়া নাম্বার সম্বলিত সীট পরিবর্তন করে নতুন ভাবে সীট তৈরী করে যাদের থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে তাদেরকে নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাদের চাকুরী নিশ্চিত করা হয় ফলে প্রকৃতপক্ষে যারা মৌখিক পরীক্ষায় ভাল করেছিল এবং যাদের শারিরীক ফিটনেস ভাল সে সব যোগ্য প্রার্থীদের চাকুরী হয়নি। রেলওয়ে পূর্বঞ্চলের বর্তমান চীফ কমান্ডেন্ট পশ্চিমাঞ্চলে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০১০-২০১১ সালে ৮শত জন নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক ক্রয়ের জন্য সরকারি বরাদ্ধকৃত ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যাহা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি ১বছর ৯ মাসে ৫৩ টি দন্ডাদেশের মাধ্যমে ৬শত ৫০ জন বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা ও প্রহরীকে বিনা অপরাধে বেআইনী ভাবে টাকার বিনিময়ে বদলী ও নিয়োগ দিয়েছেন । আবার দূনীতি ও ঘুষ নিয়ে শৃংখলা ভংগ করে ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা,চুরি ও অসদাচরণের কারণে যত ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল তাও বেআইনীভাবে মওকুফ করেছেন। এভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন । ঢাকার রামপুরা ও বনশ্রীতে ৬ তলা বাড়ী, রামপুরা সি ব্লকে ফ্ল্যাট, পূর্বাচলে প্লট , বোনের সাথে যৌথ প্লট ও বাড়ি কিনেছেন। বর্তমান নিয়োগ কমিটির আহবায়ক হওয়ার পর তিনি স্বনামে কোটি কোটি টাকা জমা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর চাকুরীর চুড়ান্ত তালিকা সম্বলিত তালিকায় দেখা যায় যোগ্য প্রার্থীদের অযোগ্য করা হয়েছে। এমনকি পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকারীদের কেও চাকুরী দেওয়া হয়নি। এরকম শতাধিক চাকুরী প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছে। উল্লেখ্য , ৪শত ৫২ জন নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও প্রকৃত পক্ষে একশত ৬৫ টি পদ শূন্য আছে।
সূত্রঃ Click This Link
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২:
লাকসাম রেলওয়ে লোকোসেডের ইনচার্জ-এর বিরুদ্ধে রেলের তেল পাচার, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও কর্মচারীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে রেলওয়ে লাখ লাখ টাকা লোকসান দিচ্ছে।
জানা যায়, এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি লাকসাম লোকোসেডের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লোকো (ইনচার্জ) পদে যোগদানের পর থেকে তিনি প্রতি মাসে চিহ্নিত তেল চোর ও কর্মচারীদের দিয়ে লোকোসেডে থাকা ফুয়েল ট্যাংক থেকে কনটেইনার দিয়ে লক্ষাধিক টাকার তেল পাচার করে আসছে। একইভাবে তিনি চট্টগ্রামে সিজিপিওয়াই সেডে থাকাকালেও তার বিরুদ্ধে তেল চুরির অভিযোগ উঠেছিল। জানা যায়, লোকোসেডের ইনচার্জ মাসে ৮-১০ দিন বিভিন্ন লাইনে ট্রেন চালনা পরিদর্শনের নিয়ম থাকলেও তিনি পরিদর্শন না করে মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করেন। দুর্ঘটনায় উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেনে নিয়োজিত শ্রমিকদের নামে ভুয়া ওভারটাইম ও টিএ-ডিএ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছেন।
২০০৭ সালে লাকসাম লোকোসেডে তেল চুরি বন্ধ হলেও তিনি যোগদানের পর থেকে তেল চুরি আবার শুরু হয়। এছাড়াও তিনি রানিং স্টাফদের (ট্রেনচালক) টাকার বিনিময়ে বুকিং দিয়ে রানিং ভাতা (মাইলেজ) প্রদান করেন। যারা টাকা দেন না তাদের ট্রেন চালনায় ডিউটি না দিয়ে অতিরিক্ত ডিউটি দিয়ে বসিয়ে রাখেন এবং তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি টাকার বিনিময়ে পূর্বের তারিখে বুকিং দিয়েও মাসোহারা দেওয়া রানিং স্টাফদের রানিং ভাতা (মাইলেজ) প্রদান করেন। এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত লোকো মাস্টারদের টাকার বিনিময়ে আন্তঃনগর ট্রেনে অনৈতিকভাবে বুকিং দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে ট্রেন চালাতে বাধ্য করছেন। এরকম অনৈতিক বুকিং দিয়ে তিনি প্রতি মাসে প্রত্যেক চালক থেকে ১ হাজার টাকা করে মাসোহারা আদায় করেন। অবশ্য এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
সূত্রঃ Click This Link
১৬ আগস্ট, ২০১১:
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সানত্মাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ১ নং রেল গেটের পুর্ব-উত্তরে রেলওয়ের জায়গায় অবসি’ত বিশাল আকৃতির পুরনো একটি মূল্যবান জামগাছ কেটে অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যাবার সময় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আসলাম সিকদার সহ স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় আটক করেছে সান্তাহার জিআরপি থানার পুলিশ। পুলিশ আটক করা প্রায় অর্ধ লাখ টাকা মূল্যের কাটা গাছ আটক করে জব্দ তালিকা করার পর ওই গাছ বিক্রেতার কাছেই জিম্মা রাখায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সানত্মাহার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আসলাম সিকদার কর্তৃক রেলওয়ের সংশিস্নষ্ট দপ্তর উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী(এসএসএই-কার্য)/সানত্মাহার বরাবরে দেওয়া অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, ওই এ্লাকার জনৈক বাসিন্দার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া মাত্র ২ শতক জমি পাশে থাকা রেলওয়ের ৬ শতক জমি দখলভোগ করে আসছেন। রেলওয়ের ওই জমিতে কয়েকটি একাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে। এর মধ্যে কেটে ফেলা জাম গাছ অন্যতম। উক্ত স্থানীয় বাসিন্দা রেলওয়ের ওই জমিকে নিজের জমি হিসাবে দাবীর করার এক পর্যায়ে অর্ধ লাখ টাকা মূল্যের জাম গাছটি একই এলাকার স মিল ও কাঠ ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে দেয়। গাছটি কেটে শনিবার বিকালে নিয়ে যাবার সময় ওই সাবেক কাউন্সিলর সান্তাহার জিআরপি থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎড়্গনিক ভাবে সেখানে অভিযান চালায় এবং কাটা গাছের বিশাল বিশাল অংশ বা গুল আটক করেন।
সূত্রঃ Click This Link
©somewhere in net ltd.