নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আশিক। প্রচন্ড স্বপ্নবাজ একজন মানুষ। একাধারে অনেক কিছু হবার ইচ্ছে।খুব আত্মকেন্দ্রিক একজন । অনেক কথা কারো সাথে তাই বলা হয়ে ওঠেনা। তাই এখানে আসা। যা কিছু মনে আসে, তার মধ্য থেকেই সবার সাথে শেয়ার করা.. এইতো.. আর কিছু বলার নেই...

আশিক সরকার শুভ (আবীর)

আমি ছেলেটির সাথে আমার নামের কোন মিল নেই।এমনকি আমার লিখার সাথেও নেই।আমি আমার মত।আমার লিখারা তাদের মত..

আশিক সরকার শুভ (আবীর) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবনা- ১১

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬

রাজনীতি নিয়ে সাধারণত আমার কখনো কথা খরচ করতে ইচ্ছে হয় না। কেননা এটি খুব ভালভাবেই পরিষ্কার, এসব কথায় এই দেশের একটা চুল পরিমানও কখনো উলটে যায়নি... আর উলটে যাবেও না...

কিন্তু তবুও মনে হয় এ নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। রাজনীতি সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত আছে... You can hate politics, but you can't ignore it... । অর্থাৎ, বাংলাদেশের পলিটিক্সটাকে আমরা ষোল কোটি মানুষ মিলে সম্মিলিতভাবে ঘৃণা করতে পারি, কিন্তু তাকে এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ আমাদের হাতে নেই।

বিএনপি আসুক, আওয়ামীলীগ আসুক, কিংবা রাশিয়ার পুতিন এসে বাংলাদেশের রাজনীতির হাল ধরুক, আপনার আমার শেকড়ের গন্তব্য শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশই... এর মধ্যেই থাকতে হবে, এর মধ্যেই মানতে হবে... । আর এটাই সূর্য্যের আলোর মত সত্য, এটাই নিয়তি...।

প্রথমেই বলি, যা নিয়ে এই পোস্টে কথা বলতে চাইছি, সেই কথাগুলো একেবারেই নিরপেক্ষ একটি অবস্থান থেকে বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলা। আর এ কথাটা এই পোস্টের একেবারে শেষ পর্যন্ত মনে রাখার অনুরোধ থাকবে।

বাংলাদেশে যে পরিমান ক্রাইম হচ্ছে, সেগুলোর প্রতিকার হিসেবে অনেককেই দীর্ঘদিন যাবত বলতে শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। পরিবর্তন না হলে এই অস্থিতিশীলতার পরিবর্তন আসবে না। পরিবর্তন বলতে যে মূলত সরকারের পরিবর্তনকে বোঝানো হচ্ছে , সে ব্যাপারে হয়তো সন্দেহের অবকাশ নেই।

যদি তাই হয়ে থাকে, তবে এক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু মতামত এখানে রাখছি...

রাজনীতির বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হলেও ভাল কিছু বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে, সেটি খুব জোড়ালোভাবে বলা যাবে তো?। যাবে না... কেননা পরিবর্তনের মাধ্যমে আবার যে দলগুলো ক্ষমতায় আসবে সেগুলো আবার বাংলাদেশকে ৬ষ্ঠ বারের মত দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে । অতীত তাই বলে...

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বাংলাদেশে অনেক লীগ এর দালাল রয়েছে, বিএনপি এর দালাল রয়েছে, জামাতেরও দালাল রয়েছে, জাতীয় পার্টিরও দালাল রয়েছে, এমনকি অন্যান্য দলেরও দু চারজন দালাল হয়তো এখনও রয়েছে... কিন্তু বাংলাদেশের কোন দালাল নেই । সমস্যাটা সেখানে ।

আপনি যে দলেই যান, দেখবেন কোন দল বামপন্থী আর কোন দল ডানপন্থী... তাহলে কথা হচ্ছে বাংলাদেশপন্থী দল কোনটা.. ।

যাই হোক, এই পোস্টের উদ্দেশ্য যেহেতু কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে কাটাছেড়া করা নয়, তাই সে প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাইছিনা। সেসব কাটাছেড়া প্রতিনিয়ত প্রতি চ্যানেলে চ্যানেলেই প্রতি মধ্যরাতের টক শো গুলোতে হচ্ছে। আর এসব কাটাছেড়ার আল্টিমেট আউটপুটে আসার দৌড় যে কতটুকু ,সেটি কমবেশী সবাই দেখে আসছে...

তার চেয়ে বরং আমাদের দেশটি যদি নোংরা রাজনীতির অভয়ারণ্য হয়ে থাকে, তবে কেন সেটি হলো সে ব্যাপারে কিছুটা দৃষ্টিপাত করা যাক।

প্রথমেই বলি, আমাদের এই নোংরা সংস্কৃতিটা তৈরী হবার পেছনে দায়ী হচ্ছেন আমাদের বাবা মায়েরা । মূলত তারাই দেশটাকে ধর্ষন করার মূল কারিগর হিসেবে দায়িত্বটুকু বেশ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। কেননা তাদের সমস্থ মেধাবীদের ধরে ধরে উনারা ডাক্তার ব্যারিস্টার আর ইঞ্জিনিয়ার বানাতে ব্যস্ত ছিলেন... । রাজনীতি করলে আবার ছেলে খারাপ ।

আর তাছাড়া পুরো ইউনিভার্সে এই তিনটার বাহিরে কোন প্রফেশনই নাই। থাকলেও সেগুলোর মাধ্যমে সমাজে সম্মান টিকে না । ফলে ঢামেক আর বুয়েটের ভেতর কোনরকমে নিজের ছেলেমেয়েদের ঠেসে ঢুকানোর প্রতিযোগীতাও এখনও মাশাল্লাহ লেভেলের... ।

আবার এসব পাব্লিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাত্র কয়েক হাজার সিটের বীপরিতে যখন কয়েক লাখ ছেলেপেলের কম্পিটিশনে প্রতি বছরই যখন সেই কয়েক হাজার ছেলেপেলে বাদে বাকীরা লাথি খেয়ে প্রাইভেটে পড়তে বাধ্য হয়, তাদের দিকেও আবার বাঁকা নজরে তাকানোর একটা রেওয়াজ আমাদের দেশে বেশ পাকাপোক্তভাবেই আছে ।

এতসব দৌড়াদৌড়ির আর বাপ মায়ের "সংসারের হাল ধর। বাপ বুড়ো হচ্ছে" টাইপ কথাবার্তা শোনার ভীড়ে আর ওই অনেস্ট পলিটিক্স করে দেশকে দেয়ার মত কোন অবস্থা সত্যিকার অর্থেই কারো থাকে না । কেননা আমাদের বাপ মায়েরা সেই চিন্তা করার কোন প্রকার কোন স্পেসই দেন নাই । এমনকি সেই স্পেস থাকা না থাকা নিয়েও তাদের কোন মাথাব্যথা নাই।

সবচাইতে আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে, এসব ভুড়ি ভুড়ি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের বাহিরে যে দু চারজন ছেলে স্কুল লাইফে স্বপ্ন দেখতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবার, ছোটকাল থেকে বাবা মায়ের করে দেয়া ওয়াশড ব্রেইন নিয়ে সেও একটা সময়ে ঢাকা মেডিকেল আর বুয়েটের ফর্ম তুলতে ব্যস্ত হয়ে যায়... আমাদের বাবা মায়েরা আমাদের ছোটবেলা থেকেই এভাবে অনেক অনেক বঙ্গবন্ধু নেলসন ম্যান্ডেলাদের খুন করে আসছেন...  

এখন কথা হচ্ছে, এই যখন পরিস্থিতি, তাহলে রাজনৈতিক নেতা হচ্ছে কারা? ব্যাকগ্রাউন্ড ঘেটে দেখবেন যারা সারাজীবন স্কুল ফাঁকি দিয়ে রেললাইনে বসে পাতার বিড়ি টানতো, এরাই একটা সময়ে এলাকার মাথা হয়। ধীরে ধীরে উপজেলার মাথা হয়, একটা সময়ে যেয়ে এমপি মন্ত্রীও হয়।

আর যেসব মেধাবী ছেলেপেলেগুলো যারা একটা সময়ে বিসিএস পরীক্ষার রিটেনে কোনভাবে টিকে যায়, পার্মানেন্ট জবের জন্য তারা ঘুরেফিরে সেই ব্যাকবেঞ্চার এমপি মন্ত্রীর কাছেই যেয়ে সুপারিশ করে আসে, যারা কিনা একটা সময়ে গার্জিয়ানের সাইন নকল করে নিজের রেজাল্ট কার্ড ক্লাস টিচারকে জমা দিত... ।

এই যখন পরিস্থিতি, তখন দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে সেরকম কিছু চিন্তা করা অনেকটা চিনি দিয়ে সাগরের পানি মিষ্টি করার মতই একটা প্রচেষ্টা মনে করাটা খুব সম্ভবত অযৌক্তিক কিছু না ।

মাঝখান দিয়ে একটা জেনারেশনের মেধাবীগুলোকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতে যেয়ে আমাদের বাবা মায়েরা নিজের অজান্তেই যেরকম ধর্ষনটা এই দেশের করেছেন, সেটা কয়টা পদ্মা সেতু দিয়ে কাভার করা সম্ভব সেটা সবচাইতে বড় প্রশ্ন...।

সবচেয়ে দুঃখ লাগে একটা কথা ভেবে। আর মাত্র কয়েকটা জেনারেশনকে যদি এভাবে পঙ্গু করা হয়, তবে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের ডাকে লাখ লাখ মানুষের কোটি কোটি ব্যাগ রক্ত দিয়ে কিনে নেয়া আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশটা একটা সময়ে হবে ইন্টারন্যাশনাল একটি ক্রাইম জোন ।

হয়তো দেশের মেধাবী মাথাগুলো এই ব্যাপারটি বেশ ভালভাবেই ধরতে পেরেছে। তাই সেই হীরের টুকরোগুলো ধীরে ধীরে বাহিরে সেটেল হচ্ছে। আর কুলাঙ্গাররা একটা সময়ে রেললাইনে বসে পাতার বিড়ি টানা নেতা মন্ত্রীদের পা চেটে দেশে সেটেল হচ্ছে... ।

আর যাদের বাহিরে যাবার সামর্থও নেই, আবার পা চাটারও অভ্যাস নেই... তাদের জন্ম হয়েছে সমাজের কাছ থেকে লাথি খাওয়ার জন্যে...

এই যখন পরিস্থিতি, তখন ক্রাইম জোন না হয়ে আর উপায় কোথায়...

সুতরাং, এইযে আপনারা দিনেরাতে চব্বিশটা ঘন্টা দুর্নীতিবাজ অথর্ব মদ্যপ এবং কথাবার্তার কোন তালছাড়া মন্ত্রী মিনিষ্টারদের সমালচনা করে যাচ্ছেন, সেই অধিকার সত্যিকার অর্থে আপনাদের কারোই নেই... । কেননা, তাদেরকে সেই জায়গায় আপনি এবং আপনার বাবা মায়েরাই বসিয়েছেন... ।

একটা দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পেশা হচ্ছে রাজনীতি। বছরের পর বছর যুগের পর যুগ সেই গুরুত্বপূর্ণ পেশাকে পায়ে ঠেলার খেসারত তো দিতেই হবে তাই নয় কি?

তাহলে দিন এখন... দুর্নীতিবাজ অথর্ব নেতা মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে আপনার সমালোচনা কিংবা গালিগালাজপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট কিংবা ব্লগ যতই দিন না কেন, সেসব মন্ত্রীদের তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা...

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতির পরিস্থিতি আমাদের দেশে কোনো দিনই ভালো ছিলো না। এখন যেমন চলছে এরকম চলবে সারাব জীবন।
চিত্র জগত নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই।

২| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: আগের আমলে তাহলে বাপ মায়েরা কেন রাজনীতি করতে দিত ? এখন কেন দেয় না ?

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৫

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: ইতিহাস বলে, আগের আমলে বাবা মায়েরা রাজনীতি করতে দেয়ার ক্ষেত্রে এখনকার মত এতটা কনসার্ভেটিভ ছিল না। ছাত্র রাজনীতিতেও নেতা তাদের মধ্য থেকেই হতো, যারা কিনা মেধাবীদের তালিকাতে আছে বলেই সবাই জানতো। ডায়াসের উপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিতে গেলেও তাকে সে যোগ্যতা প্রমান করেই আসতে হতো, যা এখনকার সময়ে কল্পনাও করা যায় না..

৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এভাবে চালাকি করে ব্লগ পড়িয়ে আপনি হয়ত কিছুটা শান্তি পেয়েছেন, তবে এভাবে করলে কারো সামান্য প্রিয় হতে পারবেন না!
আপনার লেখা আপনি লিখুন, মানুষ আপনাকে খুঁজে নিবে, লেখাতে বা মতামতে চালাকির দরকার নেই! অনেক দিন এই লাইনে থেকে আপনাকে বলে গেলাম! মাইন্ড খাইয়েন না!

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৭

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: আমি শান্তির জন্যে এ কাজটি করিনি ভাই। আর কারও প্রিয় হওয়াও আমার উদ্দেশ্য নয়। বাঙ্গালীর এ ধরনের বেশ কিছু অপ্রিয় সত্য জানানো প্রয়োজন বলেই ধোঁকাবাজি করে হলেও একটু গুলিয়ে খাওয়ানোর একটা প্রচেষ্টা ছিল মাত্র.

৪| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার ধারনা আপনি যা লিখেছেন এই পোষ্টে সেটা দ্বিতীয়বার পড়ার জন্য সানি লিওনের কথা লিখে রেখেছেন। আপনাকে অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য বলছি - আবর্জনাও কিন্তু ফেলনা নয়। আবর্জনা থেকে ভালো মানের সার উৎপাদিত হচ্ছে। তাই নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। মিথ্যে চটকদার শিরোণাম দিয়ে পাঠক আকর্ষন করার প্রয়োজন নেই। এইসব জিনিসকে সামুতে ভালো চোখে দেখা হয় না। অপ্রয়োজনীয়ভাবে এই ধরনের ছেলেমানুষী কাজ করলে, ব্লগের নীতিমালার আওতায় আনা হবে।

যাইহোক, আপনি যা বুঝাতে চেয়েছেন, সেটা ঠিক আছে। আই হেইট পলেটিক্স করে দেশের উন্নয়ন হয় না। কিন্তু আই লাভ পলেটিক্স বলার জন্য দেশে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দেশে যাদের কোন কাজ নাই, তারাই রাজনীতি করে পয়সা কামায়। সেখান থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৯

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: সমস্যাটা সেখানে নয়। সমস্যাটা হচ্ছে সিস্টেমের..

আপনি বাংলাদেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা পাবেন না, যেখানে কোন প্রকার পড়াশোনা কিংবা একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের যোগ্যতা ছাড়াই সেখানে মানুষ নিজেকে নিযুক্ত করতে পারে। একজন ডাক্তার চেম্বার নিয়ে তখনই বসতে পারেন, যখন তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও সে পর্যায়ের রয়েছে। একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তখনই একটি দালান নির্মানের দায়িত্ব পান, যখন তার বছরের পর বছর এ বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছে। একজন প্রাইভেট শিক্ষকও পর্যন্ত একজন ছাত্রকে তখনই পড়াতে পারেন, যখন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকেনা..

কিন্তু বাংলাদেশের শুধুমাত্র রাজনীতিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পেশা, যেখানে রাস্তার টোকাইরাও পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে। এই যখন পরিস্থিতি , তখন কাজ না থাকা লোকজনেরই রাজনীতির জায়গাটা দখল করা স্বাভাবিক। কেননা "এসব বাজে লোকদের পেশা" বলে পায়ে ঠেলা বাঙ্গালী নিজেদেরকে কাজে ব্যস্ত রাখার জন্যে অন্য পেশায় চলে গিয়েছে। যারা রাজনীতি করতে চেয়েছে, তাদেরও আমাদের বাবা মায়েরা মেরে ফেলেছে।

সবাই যদি পায়েই ঠেলে, তবে হাল ধরবে কোন বান্দা..

৫| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তো । হিজরা ছাড়া আর সবাই সানি লিওনের প্রতি ইন্টারেস্ট দেখাবে সেটাই স্বাভাবিক। এমন শিরোনাম দিয়ে পোস্ট পড়ালে ভবিষ্যতে তো মিথ্যাবাদী রাখালের মতো কেউ সত্য বললেও বিশ্বাস করবেনা।

তবে আলোচনা টা ভালো লাগলো।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২১

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্যে..

৬| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৮

বিজন রয় বলেছেন: এমন ভাবে পোস্ট দিয়ে আপনি কি মনে করছেন আপনি অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন?

৭| ২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: বাবা মায়েরা রাজনীতি করতে দেয়ার ক্ষেত্রে এখনকার মত এতটা কনসার্ভেটিভ ছিল না।
কেন কনজারভেটিভ ছিল না সেটাই জানতে চেয়েছি, সেটা নিয়ে ভাবেন। একদিনে সবাই মিলে ডিসিশন নিয়ে হুট করে পলিটিক্স করতে মানা করে নাই।
যে নিজের বাপমাকে সামলাইতে পারে না সে নাকি দেশ সামলাবে, আবার সেই দোষও বাপমার। লল।

২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: সেই কারণ নিয়ে বলতে গেলে অনেক কথা চলে আসবে। তবে যে কারণগুলো চলে আসবে, সেই কারণগুলো, বা কনসার্ভেটিভ হবার পরিস্থিতিটা তৈরী হবার পেছনের ভূমিকাটাও সেই বাপ মায়ের জেনারেশনেরই।

আর বাপ মাকে সামলানোর কথা আপনি যে অর্থে বলছেন, সেটা বাস্তবায়ন করতে গেলে আবার সন্তানদেরকে সমাজে খুব সুন্দর একটা ট্যাগ দেয়া হয়। সেই ট্যাগটা হচ্ছে "ছেলে বেয়াদব" ।

বাবা মার প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়েই বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়েই বহু ছেলেপেলে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছে, আর সেটা আপনারাও জানেন, কিন্তু মুখে বলেন না। তাহলে আজকের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে এই প্র্যাক্টিসের ফলে আজকের এ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা অস্বীকার করতে পারবেন? তাহলে বাবা মায়ের জেনারেশনের দোষটা কিভাবে নাই?

আপনি বাবা মাকে অন্ধভাবে সম্মান করার পক্ষপাতি থাকলেও আমি নই ভাই। বাংলাদেশের যে কয়টা দূর্ণীতিবাজ আছে, এরা প্রায় প্রত্যেকেই কারও না কারও বাবা মা, বাট এদের প্রতি অন্তত আমি মনে করিনা যে "বাপ মা" কোটায় সিম্প্যাথি দেখানোর কোন যুক্তি আছে।

৮| ২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: কনসার্ভেটিভ হবার পরিস্থিতিটা তৈরী হবার পেছনের ভূমিকাটাও সেই বাপ মায়ের জেনারেশনেরই।
তারা দেখে আসছে পলিটিক্সে করতে গিয়ে তাদের বন্ধু, ভাইয়েরা মারা গেছে। বাপমা যখন জানে যে তার ছেলে মার খেয়ে হসপিটালে পরে থাকবে, মর্গেও পরে থাকতে পারে তারাই বা কেন চাইবে।

সেটা বাস্তবায়ন করতে গেলে আবার সন্তানদেরকে সমাজে খুব সুন্দর একটা ট্যাগ দেয়া হয়। সেই ট্যাগটা হচ্ছে "ছেলে বেয়াদব" ।
সামান্য বেয়াদব ট্যাগ পাওয়ার ভয়ে যদি কোনও ছেলের মনে হয় থাক পরিবর্তনের চেষ্টা আমি করব না, যাই পড়াশোনা করি তাহলে ভাই তার পড়াশোনা করাই ভাল। বাস্তবতা এত সহজ না।

বাবা মার প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়েই বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়েই বহু ছেলেপেলে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছে, আর সেটা আপনারাও জানেন, কিন্তু মুখে বলেন না।
বাপমার উপরে কথা বলার স্পাইন না থাকলে সংসদে দাড়ায় কিভাবে কথা বলবে।

৭১ এর পর থেকে ইতিহাসটা পড়ে দেখেন, রক্ষীবাহিনী থেকে এরশাদ হয়ে শিবির তারপর ছাত্রলীগ পর্যন্ত। তাহলেই বুঝতে পারবেন বাপমা কেন চায় না তার ছেলে রাজনীতি করুক। দেশ আর দশ বাবা-মা থেকেও বড় ব্যাপার, সেবার ইচ্ছা যদি থাকেই অত দিকে ব্লেম দিলে হয় না, নিজের মত কাজ করে যাওয়া লাগে।

২৩ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:১০

আশিক সরকার শুভ (আবীর) বলেছেন: মারা তো মানুষ শুধুমাত্র পলিটিক্স করতে গিয়েই যায় না। অন্যান্য পেশায় থাকা অবস্থায়ও মানুষ মারা যায়। এবারের করোনায় অনেক ডাক্তারও রুগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। তাই বলে বাবা মায়েরা তাদের সন্তানকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন থেকে সরে গিয়েছেন? অনেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের হিস্টোরিও আপনি পাবেন, যে কিনা বহুতল ভবনের নির্মানকাজে দূর্ঘটনাবশত মারা গিয়েছেন। তাই বলে কি কোন বাবা মা ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্ন থেকে সরে আসে? অনেক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্চিনিয়ারও প্রতি বছর বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনাবশত মারা যায়। তাই বলে কি বাবা মায়েরা ছেলেকে বুয়েটে পড়ানোর স্বপ্ন থেকে সরে আসে? একজন উকিল বা ব্যরিস্টারের বিপক্ষেও অনেক পক্ষ বিপক্ষের দল প্রাণনাশের জন্যে বিভিন্ন ইস্যুতে চেষ্টা চালাতে পারে। কিন্তু তাই বলে কি কোন বাবা মা ছেলেকে বড় ব্যারিস্টার হয়ে ফেরার জন্যে ইংল্যান্ডের ভিসার জন্যে এপ্লাই করা থেকে ছেলেকে বিরত রাখে?

যদি নাই হয়ে থাকে, তবে শুধুমাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রেই এই মরার প্রশ্নটা কেন আসবে? মরার ভয়ে যদি ছেলেকে পলিটিক্স থেকে দূরে সরাতেই হয়, তবে যুক্তির বিচারে ছেলেকে কোন পেশাতেই নিযুক্ত করার কোন সুযোগ সত্যিকার অর্থে নেই। কেননা সন্তানের জন্য নির্ধারন করা বাবা মায়ের এই স্বপ্নের পেশাগুলো এমন কোন পেশা না, যেখানে আপনি সম্পূর্ণ রিস্ক ফ্রি থাকতে পারবেন।

আর হ্যাঁ, বেয়াদব ট্যাগ পাওয়ার ভয় কোন ছেলেই জন্মসূত্রে নিয়ে আসে না। সেই ভয়টা তার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সেই ঢুকিয়ে দেয়ার কাজটিও করেছেন আমাদের সম্মানিত বাবা মায়েরাই। তারাই ছোটবেলা থেকে তাদেরকে "তোকে পরিবারের হাল ধরতে হবে। তোর কিছু হলে সবার হবে কি" টাইপ বাক্য বলে তার ব্রেইন ওয়াশ করে বড় করেছেন। ফলে একটা ছেলে যদি নিয়ম ভেঙ্গেও একটা পরিবর্তন আনতে চায়, তখনই সে তার ওয়াশড ব্রেইন নিয়ে পরিবারের চিন্তাটাই সবার আগে করে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। যেখানে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভাল ভাল পলিটিক্যাল লিডাররা আসার কথা, সে জায়গাটি দখল করছে ব্যাকবেঞ্চার লাফাঙ্গাগুলো।

এই ওয়াশড ব্রেইনগুলো এখনো সমাজে আছে বলেই বাবা মায়ের ইচ্ছাপূরণের জন্যে তাদের সন্তানেরা জেনারেশনের পর জেনারেশন শেষ করে দিচ্ছে। যেখানে ছোটবেলা থেকেই ব্রেইন ওয়াশ করতে করতে একটা মানুষকে বড় করা হয়েছে, এক মুহূর্তের ব্যবধানেই যে সে তার ওয়াশ ব্রেইনের সীমাবদ্ধতা থেকে বের হয়ে সংসদের বক্তৃতা দেয়ারও প্রস্তুতি নিয়ে ফেলবে, সে আশা করেন কিভাবে?

আমি বাস্তবতা যথেষ্ট ভাল জানি ভাই। আর বাস্তবতা জানি বলেই এই কথাগুলো বলতে পারছি। আর বাস্তবতাটা এরকম বলেই বাবা মায়ের থেকেও যে দেশ ও দশ বড়, সেটি ওয়াশড ব্রেইনের অধিকারী সন্তানগুলো অনুধাবন করার ক্ষমতা রাখেনা..

৯| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: আপনি যখন খুন আর এক্সিডেন্টের পার্থক্য বুঝেন না তাহলে আর কিছু বলার থাকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.