নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিবাদ তো পজিটিভ ও হতে পারে।

ডাব্বা

জোছনা রাত। হট চকলেট। লেক এর পাড়। ছোট ছোট চুমুক। ভেজা রাস্তায় চেনা মুখ। আলিঙ্গন। হট চুমুক। ছোট ছোট জোছনা রাত। চকলেট লেক এর পাড়।

ডাব্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রান্সের নাহেল হত্যাকাণ্ড, সহিংসতার আগুন, ও জাতিবিদ্বেষ এর ফু

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

খবর: জুন ২৩, ২০২৩

নাহেল মারজুক, ১৭ বছরের আলজেরিয় ও মরক্কান বংশোদ্ভূত এক নিরপরাধ কিশোরকে Nanterre (প্যারিসের এক শহরতলি)তে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এমন হত্যা এটিই প্রথম নয়। ফলশ্রুতিতে, জনগণ যার বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রেণীর, বিক্ষুব্ধ ও ধ্বংসাত্মক হয়ে জ্বালাও পোড়াও সহ লুটতরাজ শুরু করে।

ফ্যাশন, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সুরভী, ও রসনা বিলাস সহ নানা বিষয়ে ফ্রান্স বিশ্বের নেতৃস্থানীয়। এদেশের আলো হাওয়ায় জন্ম হয়েছে দেকার্তে, রুশো, সার্ত্রে, ভলতেয়ারের মত দার্শনিক যাদের চিন্তাভাবনা সারা বিশ্বকে আন্দোলিত করেছে। জন্ম হয়েছে লুই পাস্তুর ও ম্যারি কুরির মতো বিজ্ঞানীর। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে আমার প্রথম প্রেম জুল ভার্ন সহ অ্যালবার্ট কামু, মার্সেল প্রুস্ত, সিমোন দ্য বোভেয়ার, ও ফ্রেডেরিখ মিস্ট্রালের মতো ক্ষণজন্মা মনীষীদের বেড়ে ওঠা ও বিচরণ এই ফ্রান্সের মাটিতেই। প্লাতিনি, জিদান, বেনজেমা, এমবাপ্পের মতো ফুটবলার ও বিশ্বকাপের দেশও ফ্রান্স।

এই ফ্রান্সে দুদিন পরপর গণ-অসন্তোষ ও ধ্বংসাত্মক দাঙ্গা হাঙ্গামার কারণ কি?

জাতিবিদ্বেষ ও বর্ণ বৈষম্য

জাতিবিদ্বেষ ও বর্ণবাদের বিষয়ে ফ্রান্সের একটি জটিল ইতিহাস রয়েছে। ল্য মুন্দের (Le Monde) খবরে ২০২২ থেকে আজ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে ১৫ জনের নিহতের কথা উল্লেখ রয়েছে। দ্য মিররের এক প্রতিবেদনে, ২০২১-২০২২ এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৭ জনের হত্যার খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে, নিহতদের সবাই আফ্রিকান অথবা নর্থ আফ্রিকান দেশ যেমন, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, ও মিশর প্রভৃতি দেশ থেকে আসা অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ দেশগুলো একসময় আফ্রিকা, এশিয়া, ক্যারিবিয়ান, ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত একটি বিশাল ফরাসি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের (colony) অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্ণবাদী মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ঔপনিবেশিক শাসনকাল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মূল্যবোধের নিকুচি করে পরাধীনতার শাসন এবং অমানবিকরনকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। এর নীতি এবং অনুশীলন গুলি জোরপূর্বক শ্রম, সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ, ও উপনিবেশিত জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণেই অভ্যস্ত ছিল।

দাস ব্যবসায়ী ফ্রান্স

অভ্যস্ততা অভ্যাসের বিষয়। আমরা অনেকেই জানি না যে ফ্রান্স ছিল মানব ইতিহাসের বৃহত্তম দাস বাণিজ্যে নিয়োজিত দেশগুলোর অন্যতম। পর্তুগাল ও গ্রেইট বৃটেনের পর ফ্রান্স বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক দাস ব্যবসায়ী। Slave Voyage থেকে প্রাপ্ত ডাটাবেইজ অনুযায়ী ফ্রান্স ১৫৫১ থেকে ১৮৭৫ পর্যন্ত সময়ে আফ্রিকা থেকে জাহাজে করে প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষকে জোরপূর্বক, শ্রম ও দাসত্বের উদ্দেশ্যে বাস্তুচ্যুত করে তার সার্ভেন্ট (servant) তথা দরিদ্র সাদা ইউরোপিয়ানদের স্থান পূরণ করে। অর্থাৎ যে দাস ব্যবস্থা ইউরোপে ছিল, তার চেয়ে 'কম দাম বেশি লাভ' ও সহজলভ্য দেখে, ধরে আনা কালো মানুষদের রক্তভেজা শ্রমের ঘামের উপর দাঁড়িয়ে গড়ে উঠতে থাকে ফ্রান্সের ছড়ানো ছিটানো ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য। বিশেষ করে হেইতি (Haiti) ওমার্টিনিকে(Martinique) জাহাজ বোঝাই করে সহজলভ্য এই দাসদের পাঠানো হয় শ্রম, বর্বরতা এবং বর্ণবাদকে প্যাকেজ বানিয়ে।।

ফ্রান্স ক্যানাডার প্রথম ঔপনিবেশিক শাসক ছিল। 'যে যায় লংকায় সে-ই হয় রাবণ' - এই নীতি মেনে অস্ত্রের মুখে আদিবাসী (indigenous) ক্যানাডিয়ানদের দাস বানিয়ে শুরু হয় ক্যানাডাতে ফ্রান্সের জমজমাট দাস ব্যবসা যা পরবর্তীতে আফ্রিকা থেকে ধরে আনা এই কালো মানুষদের দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন যে ইংল্যান্ডের East India Company'র মতো ফ্রান্সেরও একটা West India Company ছিল যাদের একটি প্রধান পণ্য ছিল কালো মানুষ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে জার্মানি ফ্রান্সে অভিযান চালিয়ে বিরাট এক উত্তরাঞ্চল দখল করে নেয়। এর কিছুদিন পর পশ্চিমাঞ্চলও জার্মানির করায়ত্ত হয়। তখন মুক্ত অংশ, ভিশি ফ্রান্স(Vichy, France) এর সরকার জার্মানির সাথে একটি অস্ত্র বিরতি চুক্তি করে জার্মানিকে থামানোর জন্য। Pierre Laval, যিনি ছিলেন মুলত acting head of the government (কিন্তু তিনিই শাসন করতেন) রাজাকার হিসেবে আবির্ভূত হন এবং জার্মানিকে খুশি ও নিজের গদি ঠিক রাখতে মুরগির বদলে ইহুদি সাপ্লাই দিতে শুরু করেন। ভিশি ফ্রান্সের সরকার এ জন্য বেছে নেয় বহিরাগত ইহুদিদের। শিশু-কিশোর, যুবক, বয়োবৃদ্ধ, ফ্যামিলি সব মিলিয়ে প্রায় ৭৭ হাজার ইহুদীকে জার্মানি ও পোল্যান্ডে পাঠানো হয় রাস্তা তৈরি ও নানাবিধ কনস্ট্রাকশনের কাজে এবং অবশ্যই যাদের নিশ্চিত শেষ গন্তব্য ছিল নাৎসি কনসেনট্রেশান (concentration) ক্যাম্প এবং গ্যাস চেম্বার।

কেন ইহুদি?

খ্রিস্টান অধ্যুষিত ইয়োরোপে ইহুদিদের অবস্থা খুব খারাপ তখন। ওরা ইয়োরোপে উন্নত জীবনযাপন করতে পারতো না। পুরো ইয়োরোপেই ইহুদিরা তাড়িত হতো। খ্রিস্ট্রীয় জগতে ইহুদিদের নিচুস্তরের মানুষ হিসেবে দেখা হতো বলে তাদের কাজের সুযোগও ছিল সীমিত। ইহুদিদের সেনাবাহিনীতে নেওয়া হোত না, সামাজিক সংগঠনে জড়িত থাকতে পারতো না। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ল-ইয়ার ইত্যাদি পেশায়ও নিয়োজিত হতে পারতো না। বাধ্য হয়ে ইহুদিরা তখন সুদে টাকা পয়সা ধারের মহাজনি/কাবুলিওয়ালা ব্যবসা শুরু করে। খ্রিস্টানরা সুদের ব্যবসাকে অধর্ম ভাবতো ও খারাপ চোখে দেখতো তাই খোলা মাঠে ইহুদি মহাজনেরা এই পেশায় বিশেষ সাফল্য লাভ করে। শেক্সপীয়ার এর The Merchant of Venice এর শাইলক (Shylock) এর চরিত্র ও দৃশ্যপটই ছিল ইহুদিদের প্রতি শত শত বছরের ইয়োরোপিয়ান দৃষ্টিভঙ্গি। শেক্সপিয়ার নাটকটি লিখেছিলেন ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে।

ফ্রান্সে এসে আশ্রয় নেওয়া ইহুদিরা ছিল মূলত উদ্বাস্তু/রেফিউজি এবং অন্য দেশ থেকে উন্নত ও নিশ্চিত জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে আসা এক বিধ্বস্ত মানব গোষ্ঠী। পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে ঘেরাও করে তুলে এনে ফ্রান্স সরকার এই শ্রেণীর ইহুদিদের জার্মানির হাতে তুলে দেয়। নাৎসি জার্মানি এদের জবরদস্তি শ্রমে নিয়োজিত করে ও বিভিন্ন নির্যাতনের ক্যাম্পে পাঠিয়ে গণহত্যা করে। যদিও ভিশি ফ্রান্স(Vichy, France) সরকারের এই বন্দোবস্তে জার্মান দখল মুক্ত ফরাসি নাগরিকরা (অনেক ইহুদি সহ) সুরক্ষিত থেকে যান। এটি শুধু ফ্রান্সেরই নয় বরং মানবসভ্যতারই এক কলঙ্কজনক ইতিহাস যার প্রভাব ও অভিশাপ থেকে ফ্রান্সের শাসক শ্রেণী আজও মুক্ত হতে পারেনি।

ঔপনিবেশিক ফ্রান্স

ফ্রান্সের ইতিহাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে আলজেরিয়া দখল। ৩০০ বছরের মুসলিম অটোমান(Ottoman) সাম্রাজ্যের অবসান ঘটিয়ে ১৮৩০ সালে ফ্রান্স আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স দখল করে নেয়। পরবর্তী ১৫ বছরের মধ্যে দেশটির বাকি অংশও করায়ত্ব করে বঞ্চনা, শোষণ, ও হত্যার শাসন প্রতিষ্ঠা করে। বর্ণবাদের তথাকথিত শ্রেষ্ঠত্বের ঘাড়ে চেপে ১৩০ বছর শাসনও করে। আলজেরিয়ান মুসলিমদের নিজ ভূমে পরবাসী করতে আইন করে উর্বর সব ভূমির মালিকানা দেওয়া হয় উড়ে এসে জুড়ে বসা ইয়োরোপিয়ান(মূলত সাদা) ও অন্য ধর্মের মানুষদের হাতে। এই আইনে স্থানীয় জনগণের স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকারও খর্ব করে দেয়া হয়। বর্ণবাদের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রাখতে আলজেরিয়ান ইহুদিদের ফ্রান্সের নাগরিকত্ব প্রদান করে আরব মুসলিম ও বারবার(Berber)দের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে শোষণের পথ আরো প্রশস্ত করে।

ঔপনিবেশিক লুন্ঠনের একটি চিত্র

২০২১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আলজেরিয়ার আমির আব্দুল কাদের ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা উল্লেখ করেন যে, ১৩০ বছরের শাসনকালে আলজেরিয়া থেকে ফ্রান্সের লুট করার স্বর্নের পরিমাণ প্রায় ১১০ টন। পাচার করা অর্থের পরিমাণ ১৮০ বিলিয়ন ডলার। জানিয়ে রাখি, স্বর্ন রিজার্ভে আলজেরিয়া বিশ্বের ২৪তম দেশ, বাংলাদেশ ৬৫তম।

বর্তমানে ফ্রান্সে বসবাসরত আলজেরিয়া, মরক্কো সহ অন্যান্য আফ্রিকান ও নর্থ আফ্রিকান অভিবাসীদের জীবন ব্যবস্থা ফরাসিদের মত প্রথম শ্রেণীর নয়। এখনও ফ্রান্সে জন্ম ও বেড়ে উঠছে এমন দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসী নাগরিকদেরও প্রতিনিয়ত পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয় গায়ের রঙের কারণে(coloured)। অপর্যাপ্ত নাগরিক সুযোগ সুবিধার অভিযোগ ও মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এই শ্রেণিটির জন্য এটাও একরকম দাসত্ব। ফরাসি মিডিয়া ও জনগণের একটি বড় অংশ এই শোষণে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় ফরাসি জাতীয়তাবাদের আভরণে। জেনোফোবিয়ায় (xenophobia) আক্রান্ত ফরাসি সমাজের এই অভিবাসী বিরোধী মনোভাব দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বংশধরদের মাঝেও হতাশা ছড়ায়, তাদেরকে সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি করে, ও অস্থির সময়ের দিকে ধাবিত করে। ওরা প্রতিবাদ মুখর হয়।

প্রতিবাদ তো সবসময় মৌন মিছিলে সীমাবদ্ধ থাকে না।
তাই অস্থিরতা, বৈষম্য, বঞ্চনা, ক্ষোভ, ও ক্ষোভের আগুনে আলু পোড়া দেয় ফ্রান্সের বাম রাজনৈতিক গোষ্ঠী। আগুন নাড়াচাড়া দিতে দিতে অভিবাসীরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাবে, আমরা কখনো 'ওরা' হতে পারবো না। ডানপন্থীরা প্রতিবাদের এই লেলিহান শিখা ফু দিয়ে নিভিয়ে দেওয়ার আত্মবিশ্বাসে জোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, ওদের কখনো 'আমরা' হতে দেবো না।

সাম্প্রতিক

পুলিশ অফিসারের গুলিতে নিহত নাহেলের পরিবারকে সাহায্যের আবেদনে গত বুধবার সকাল পর্যন্ত ৪৫০,০০০ ডলার জমা হয়েছে। দান করেছেন ২১,০০০ মানুষ। হত্যাকারী পুলিশটির জন্যও আলাদা একটি আবেদনে সাড়া দিয়েছেন ৮৫,০০০ মানুষ। উঠেছে ১.৭ মিলিয়ন ডলার। এটাই আজকের ফ্রান্স।

Coco Chanel, Louis Vuitton, Hermès, Dior ও ৭৩ জন নোবেলজয়ীর দেশই শুধু না, নেপোলিয়ন বোনাপার্তে নামের একজন বর্ণবাদী বীরেরও দেশ ফ্রান্স।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: ফরাসী ইতিহাস নিয়ে আমি কম ঘাঁটাঘাঁটি করেছি। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
একটু একপেশে হলেও বেশ ভাল বিশ্লেষন!

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

ডাব্বা বলেছেন: একটা পাশ নিয়েই এই লেখাটা। অন্য পাশটা আরেকদিন হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

করুণাধারা বলেছেন: ইতিহাসের অনেক তথ্য তুলে ধরেছেন, যা জানার পর মনে হচ্ছে ফরাসিরা ভীষণভাবে জাতিবিদ্বেষ পোষন করে, মানুষের উপর অত্যাচারের অভ্যাস তাদের দীর্ঘদিনের!! আমার ভাবতে অবাক লাগে, একটা সতের বছরের কিশোরকে বিনা অপরাধে হত্যা করল, মনে হয় তার গায়ের রং সাদা নয় দেখে।

একমাত্র সন্তান হারা নাহেলের মাকে অনেকের অর্থ সাহায্য করছেন দেখে ভালো লাগলো। কিন্তু খুনি পুলিশকে তার চাইতেও বেশি মানুষ অর্থ সাহায্য করেছেন!! কেন !!!

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ডাব্বা বলেছেন: পুলিশের সাথে সহমর্মি মানুষের সংখ্যা ও সাধ্য দুটোই বেশি। ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। অতীতের বর্ণবাদী আচরণ ছিল নগ্ন এখনকার বর্ণবাদ ভদ্রতা দ্বারা আবৃত কিন্তু মাঝে মাঝে সেটা প্রকাশ পেয়ে যায় এই ধরণের ঘটনার দ্বারা। অভিযুক্ত পুলিশের কি কোন বিচার হয়েছে? তার জন্য অর্থ সংগ্রহ কেন করা হয়েছে?

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ডাব্বা বলেছেন: এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের শাস্তি হওয়ার উদাহরণ অত্যন্ত কম। নাহেল হত্যায় জড়িত পুলিশের ফ্যামিলি এবং বিচারকার্য পরিচালনার জন্য এই অর্থ তোলা হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: বহু জাতির লোক জন ফ্রান্সেে গিয়ে নাগরিক হয়েছে সত্য কিন্তু তাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন হয় নাই।বিশ্বের সবথেকে বড় বিপ্লব হয়েছে ফ্রান্সে।আগের ফ্রান্স আর বর্তমান ফ্রান্স আকাশ পাতাল ফারাক।
জ্বালাও পোড়াও লুট পাট বহিরাগতরা করছে।
ছেলেটাকে গুলি করার ঘটনাটা ভিডিওতে দেখেছি।গুলি করেছে পুলিশের নির্দেশ না মেনে গাড়ী টান দেওয়াতে।তবে অন্য ভাবেও গাড়ী থামাতে পারতো।ছেলেটা যে অপরাধী সেটা প্রমাণিত।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৫

ডাব্বা বলেছেন: ধন্যবাদ। যা ই ঘটুক, ফ্রান্স একটি সভ্য দেশ। ভিডিওর আড়ালে কিছু সত্য আছে যা সবার গোচরে আসেনি।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৮

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: অনেক তথ্য জানলাম, পরিশ্রমী লেখা। ২০০৬ সালে সেখানে সপরিবারে বেড়িয়েছি, ইউরোপের অনেক রাজধানীর তুলনায় জমজমাট মনে হয়েছে, প্যারিস শহরকে খুব ভালো লেগেছে। আর দেখেছি দিনের বেলায় কালো কালোতে মারামারি। তাদেরকে বর্নবিদ্বেষী মনে হয়নি। আর silent discrimination সারা জাহানে ব্যাপ্ত। আমরা নিজেরাও অন্যদের racial profile তৈরি করি এবং বিদ্বেষ ভাব পোষন করি

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৯

ডাব্বা বলেছেন: সিস্টেমিক রেইসিজমে বর্ণবিদ্বেষটা চাক্ষুষ করা যায় না।

প্রতিটি মানুষই কোনও না কোনও ভাবে, কোনও না কোনও মাত্রায় বর্ণবাদী। অবশ্য ব্যতিক্রমও যথেষ্টই।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

নাহেল হত্যা নিয়ে বিশাল ইহুদী বিরোধী পুরনো কাহিনী ফাদার কোন মানে হয় না।

ইমিগ্রেশন সুবিধায় পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এসে একটি জেনারেশন পার হওয়ার পরও আইন ভঙ্গ করার পুরনো অভ্যাস দূর করতে পারিনি।
উন্নত দেশে হোক বা নিজ দেশে হোক সবাইকে যেই দেশে আছে দেশের আইন আইন মেনে চলতে হবে।

চেকপোষ্টে পুলিশ গাড়িটিকে থামতে বলেছে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সবাইকে থামতেই হয়। সে যেই হোক।
ছেলেটির বিরুদ্ধে আগেও মামলা ছিল। এ কারণেই তাকে থামাতে হয়েছিল, কিন্তু সে থামতে অস্বীকার করলো, আর পুলিশ তাকে থামাতে এক রাউন্ড গুলি বর্ষন করল।
এই পরিস্থিতি আমেরিকায় হলে তার উপর দশটা গুলি বর্ষণ করত।
সে গুলিতে মারা গেল না একটি খাম্বার সাথে এক্সিডেন্টে মারা গেল, ব্যাপক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ায় এটা আর প্রকাশিত হয়নি।

চেকপোষ্টে পুলিশ তার গাড়িটিকে গুলি করাতে দেখা যায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেয়ে একটি খাম্বার সাথে সংঘর্ষ হয় গাড়ি চুরমার হয়ে যায়।
আইন ভঙ্গ করলে বিপদ সৃষ্টি করলে পুলিশ তাকে গুলি করতে পারে আইনেই আছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর কম বেশি হাজারের মতো মানুষ পুলিশের গুলিতে মারা যায়।
তেমন কোন রিয়াকশন দেখা যায় না। ব্যাকলাইভ ম্যাটারে গলা টিপে নৃশংস ভাবে মেরেছিল বলে তখন করোনার ভিতরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এভাবে ভাঙচুর দোকান লুটপা ট হয়নি।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

ডাব্বা বলেছেন: অথচ, এই লেখাটি পড়ে অনেকের মনেই ইহুদিদের প্রতি সমবেদনার উদ্রেক হয়েছে বলে জানিয়েছ।

আমার লেখাটির একটা বিশেষ দৃষ্টিকোণ ছিল। সেটা হচ্ছে, এই উত্তাল মাতাল হাওয়ার কারণ অনুসন্ধান। সেটা আমি করেছি। একটা তাত্বিক আলোচনার প্রয়াস ছিল।

আপনার অন্যান্য মতামতের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্র এই লেখা না, তাই সেসব রিফিউট করা থেকে বিরত থাকলাম। Fixed mindset নিয়ে এই লেখাটি পড়তে আমি সবাইকে এই মন্তব্যের মাধ্যমে নিরুৎসাহিত করছি।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভারত ব্রিটীশের উপনিবেশ ছিল, সাদারা ভারতে অনেক অত্যাচার করেছে,এই যুক্তিতে কি ব্রিটেনের ভারতীয়রা কি চুন থেকে পান খসলেই কি জ্বালাও পোড়াও করবে? সুযোগ পেলেই কি লুটপাট করবে? না কি যে দেশে বাস করছে তাদের সাথে কাধ মিলিয়ে সহাবস্থান করবে? একসাথে কাজ করবে? উন্নতি করবে? এখন ভারত অনেক শক্তিশালী, তাদের ত প্রতিশোধ নেওয়া উচিত? কি বলেন লেখক ভাই? এদিকে দেখা যায় কিছু নিদৃষ্ট ধর্মের ইমিগ্রান্টরা লোকাল অধিবাসিদের সাথে সহাবস্থান করতে পারে না। তারা রাস্ট্রের আইন মানতে চায় না। তাদের একটা সেরা ধর্ম আছে এই গরিমায়, তারা সমাজ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। দিন শেষে শিক্ষা দিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে চুরি ছ্যাঁচড়ামি শুরু করে। এরা ভালো থাকতে জানে না, আশেপাশের কাউকে ভালো রাখে না।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

ডাব্বা বলেছেন: নৈরাজ্য জাস্টিফাই করার জন্য এই লেখাটি লিখিনি। সে বিষয়ে না হয় অন্যদিন হবে। আপনার এবং হাসান সাহেবের উত্তরে আরেকটি লেখা দরকার হতে পারে।

৮| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: উত্তর দেওয়ার জন্য লেখক ভাইকে ধন্যবাদ। আরেকটা লেখা লেখার আগে আর একটু খোঁজ নিয়েন। ভারতীয় বা চাইনিজ ইমিগ্রান্টরা না খেয়ে থাকলেও তারা তাদের বাচ্চাদের লেখা পড়া করার জন্য দরকার হলে বেসরকারী স্কুলে পাঠায়, নিজেরা খেয়ে না খেয়ে দরকার হলে ভিটেমাটি বিক্রি করে হলেও ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা দেয়। এই সব ভারতীয় চাইনিজরা আজ ব্রিটেন আমেরিকায় কি অবস্থানে আছে খোঁজ নিয়ে দেখেন। দ্যাখেন বর্নবাদ সবজায়গাতে আছে, আপনাকে কেউ মুখে তুলে খাওয়াবে না, আপনাদের কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে। এদিকে পালে পালে বাচ্চা পয়দা করে, শিক্ষা দিক্ষা না দিয়ে বড় করলে তারা সমাজের বোঝা হয়ে দাড়াবে, অচিরেই চুরি ডাকাতি করে বা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে পালানোর সময় গুলি খেয়ে বেহস্তে গমন করবে। এদের জন্য ত বেহস্ত রেডী আছে, এদের জন্য কান্নাকাটি করে কি হবে? আমাদের জন্য কাঁদুন, কাফের নাস্তিক মরলে দোজখে প্রতিদিন ফ্রাই হবে, তাই এদের এই ইহজগতে কিছুদিন শান্তিতে থাকতে দ্যান।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩

ডাব্বা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ঘ্যান ঘ্যান কান্না থামিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজা উচিত।

আমার লেখার ইচ্ছে ও সময়, দুটিই কম। আপনিতো বেশ খোঁজ নেওয়া মানুষ, লিখে ফেলুন একটা জম্পেশ লেখা।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনিতো দারুণ লেখেন।





ভালো থাকুন নিরন্তর।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

ডাব্বা বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

অহরহ বলেছেন: অনেক লম্বা পোষ্ট! তবে ছোট করে বলছি : আপনার লেখা অবিকল বাংলাদেশের ইসলামী জলসার ওয়াজীর বয়ান মনে হচ্ছে।

ইউরোপ বিদ্বেষ, খ্রীষ্টান বিদ্বেষ, ইহুদী বিদ্বেষ, ঔপনিবেশ, এবং দাস ব্যবসা!!! আপনি হয়তো ভুলেই গেছেন, মধ্যযুগ বা তার আগে সারা পৃথিবীতেই ঔপনিবেশিক শাসন এবং দাস ব্যবসার রমরমা নৈরাজ্য ছিল। এটি যে একক ভাবে শুধু ফ্রান্সেই ছিল বিষয়টি কিন্তু মোটেও তা নয়। সে সময় ইউরোপে অটোমান সুলতানরা ছিল পৃথিবীর long lasting imperial ruler এবং একই সাথে তারা ছিল সবচেয়ে বড় দাস বানিজ্যের সম্রাজ্য। সে সময় আমেরিকায় কালো মানুষ রপ্তানিতে অটোমানরা ছিল biggest supplier.

মধ্যযুগে ফ্রান্সে দাস ব্যবসা ছিল এটা যেমন সত্য, তারচেয়ে বড় সত্য ঐ ফ্রান্সের জনগনই ১৭ শতকে French Revolution সংঘটিত করেছে, ফ্রান্সেই জন্ম নিয়েছে Magna Carta। দাস বানিজ্যের শিকড় উপড়ে দিয়েছে ফরাসী বিপ্লব। তখনো বহাল তবিয়তে দাস বানিজ্য চালু ছিল অটোমান সম্রাজ্যে। এই হল ইতিহাস।

আপনি কিছু হাস্যকর দাবি করেছেন, বলেছেন ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ফরাসীরা নাকি ইহুদীদের ধরে/বেঁধে হিটলারের কাছে পাঠিয়েছে!!!? আরে ভাই!! সে সময় সমগ্র ফ্রান্স হিটলারের দখলে ছিল।

খুব সাদামাটা ভাবে বুঝার চেষ্টা করেন: ১২০০ খ্রিস্টাব্দে তুর্কী দস্যু বখতিয়ার খলজী আমাদের বঙ্গ মুলুকে তৎকালিন বিশ্বের জ্ঞানের ভান্ডার নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছে, ৭০ লক্ষ পুস্তক জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়ে হয়েছে। সেখানে ব্যপক গনহত্যা চালিয়েছেন। এটাই ছিল মধ্যযুগের চালচিত্র। মধ্যযুগের ফ্রান্সও তার ব্যাতিক্রম ছিল না।

পরিশেষে : ফ্রান্সের নাহেল হত্যাকাণ্ড পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং বিপরিতে নাহেলের সন্দেহ জনক কর্ম দুটোই সমান ভাবে দায়ী।

সব শেষে আপনি বলেছেন " ৮৫,০০০ মানুষ অভিযুক্ত পুলিশের জন্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার চাঁদা তুলেছে। আর এটাই ফ্রান্স"।

একদম ঠিক কথা বলেছেন। ফ্রান্স তো ফ্রেঞ্চ মানুষের পছন্দেই চলবে। ওরা কি বাংলাদেশের মুসলমানদের আলগা আবেগ দিয়ে চলবে নাকি???

ধন্যবাদ।



১১ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

ডাব্বা বলেছেন: লেখাটিকে comprehend করতে কারো কারো সমস্যা হচ্ছে, বুঝতে পারছি। কিছু ইসলামিক আদর্শের ভাই বোন বাহবাও দিয়েছেন। লেখাটি তাদের জন্যও ছিল না।

সকাল ৭টা। এই মুহুর্তে, আমার পাশে ফ্রান্সের ভিশি সরকারের একজন উর্ধতন কর্মকর্তার নাতনি বসে আছেন। কফি খাচ্ছি। উনি আমার কলিগও। লেখাটি উনাকে পড়ে শোনালাম। উনি বললেন, 'তুমি অনেক কমিয়ে লিখেছ'। আপনার মন্তব্য শোনালাম, বললেন, 'ক্ষেপে আছেন উনি'।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

ডাব্বা বলেছেন: মিস্টার নুর।

১২| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০১

অহরহ বলেছেন: না, আপনার লেখা বুঝতে মোটেও সমস্যা হচ্ছে না। একদম ব্লাক এন্ড হোয়াইট, আমরা কী আপনার সুপ্ত মনবাসনা বুঝি না? বোকা নাকি!!

আপনি শুধু এক নাহেলকে নিয়েই ভাবছেন! কিন্তু মরুভূমির ট্রাইব থেকে উঠে আসা আউট ল, অবৈধ অভিবাসীদের অপকর্মের কথা একটি বারও উল্লেখ বল্লেন না। বরংচ তাদের অপকর্ম জায়েজ করার জন্য কী সব হাবিজাবি ওয়াজীর বয়ান করে হুদাই ফ্রান্সের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলেন। হাস্যকর, নিতান্তই হাস্যকর।

আপনাকে বুঝতে হবে ফ্রান্সের Paris, Marseille, Lyon, Toulouse, Nice, Nantes, Montpellier, Strasbourg, Bordeaux, Lille....... মত আলোক ঝলমল শহরগুলি মধ্যপ্রাচ্য অথবা উত্তর আফ্রিকার ট্রাইব থেকে উঠে আসা গন্ড-মূর্খ-দাঙ্গাবাজ মানুষের Dump yard না। এসব শহরে সভ্য, ভব্য, সুশিক্ষিত, মানবিক এবং বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ বসবাস করে। ভুলে যাবেন না, এই অবৈধ জঙ্গি অভিবাসিরাই Nice শহরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করে শতশত নারী, পুরুষ, শিশুকে হত্যা করেছে। Charlie Hebdo পত্রিকা অফিসে নির্বিচার গুলি চালিয়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করতে চেয়েছে। মাত্র দুটি উদাহরণ দিলাম। এমন আরও শতশত আছে।

মোদ্দা কথা, আপনারা এত 'খারাপ দেশ' ফ্রান্সে আসেন কেন? না আসলে হয় না!? আপনারা পাকিস্তানে যান, মক্কা-মদিনা-জেদ্দায় যান, কাবুলে যান, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, তুরস্কে যান। মনের সাধ পুরণ হবে। নাকি???

ধন্যবাদ।

১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫০

ডাব্বা বলেছেন: আমার লেখাটা থেকে যদি মুরগি শব্দটা বাদ দিয়ে দেই তাহলে কি আমাকে গ্রহণ করবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.