![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
ছোট কালে একবার বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে নানার বাড়ি যাচ্ছি এমন নিশ্চিত পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। বাস্তবে পরিকল্পনার পরী উড়ে যায়, থাকে শুধু কল্পনা। সেবার নানার বাড়ি আর যাওয়া হয়নি। দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষার পর নানার বাড়ি যেতে পেরেছিলাম।
অলসতার মুহূর্তে তাই স্বপ্ন দেখা নিষেধ। স্বপ্নে আসা জিনিস গুলো কাঙ্ক্ষিত, কামনার, অভিলাষের---যেগুলো কুসংস্কারের বশে কোনদিন বাস্তবের দেখা পায়না। এমনকি পরিশ্রমের পর নায্য মজুরিগুলো দৈব শক্তিতে আর হাতে আসেনা, সেই স্বপ্ন দেখার পাপে । স্বপ্ন দেখার পরিধিটা ডাল ভাতের পর্যায়ে নিয়ে গেলে , সাথে অলৌকিকভাবে কিছু মাছ-মাংস জুটে যায়।
তাই বর্তমানের বাইরে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে কোন কথা বা ইচ্ছে নেই। মাথায় আসার আগেই সজোরে ঝেড়ে ফেলি। লক্ষ্য দাড় করানো মানেই যে এক প্রকার স্বপ্ন দেখার মত পাপ। তাই বর্তমান নিয়ে লক্ষ্যহীন থাকতে হয়। তারপরেই ভীষণভাবে ঘিরে ধরে অনাগত ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার আধার সংক্রান্ত আতঙ্কগুলো। লক্ষ্যহীন মানুষের মাঝে অনিবার্য কিন্তু অহেতু কারণে হতাশা জেকে বসে। বাইরের মানুষ প্রবোধ দেয়, হ্যা তুমি পারবে, হবে তোমাকে দিয়ে...।
কিন্তু সাফল্য তো ডলারের নোটে কেনা যায়না। সাফল্যের সুফল-আনন্দ ভোগ করব এ কল্পনা টুকু নিষিদ্ধ রেখে বরং ভবিষ্যতের বুক সাতরাবার জন্য কতটা দুঃসহ শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার মাঝ দিয়ে যেতে হবে, সেটি ভেবে সমস্ত উদ্যম হারিয়ে ফেলি।
ভাই মাহবুব মাতিন বা বোন নাহিদার হয়ত ছোট ছোট অনেক ন্যায্য স্বপ্ন ছিল। কিন্তু কোন এক সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখে তারা আর ইহজগতে নেই, চিৎকার করে প্রিয় মানুষের নাম ধরে ডাকলেও কেউ সাড়া দেয়না । অকাল মৃত্যুর আক্ষেপটা সেখানেই। স্বাপ্নিক তরুণ-তরুণীদের পৃথিবীকে পরিণত চোখে দেখার, বাস করার, ভালবাসার, ঘর বাধার, বাবা-মা হবার একটা বিশাল স্বপ্ন চিরতরে মুছে যায়।
মানস চৌধুরীর "বেযোগাযোগ: কী ফারাক বন্ধু কিংবা প্রতিবন্ধুতে?" শিরোনামে লেখাটির চুম্বক অংশটি মুগ্ধতা নিয়ে পড়ছিলাম।
অসতর্ক থাকলেই মনে হতে পারে বার্ধক্য নৈঃসঙ্গের সাথে সম্পর্কিত। তা তো নয়। নিরন্তর সঙ্গপিপাসু মানুষ সঙ্গপিপাসার ভাষা হাতড়াতে থাকেন। আর পান না। আবার ভাষা যখন পান, তখন ভাষা বিনিময়ের কোথাও কোনো সুড়ঙ্গ থাকে না। তারপর কেবল খাবারের একটা পোঁটলা হাতে ‘গৃহে’ ফেরেন মানুষ। ‘গৃহ’—যেখানে মানুষে ঘুমায়, যেখানে ঘুম থেকে উঠে সকালের আলো দেখে। এই সংজ্ঞাতেই কেবল সকলের গৃহ থাকে, এমন একটা পরিসর যেখানে মানুষ ‘ফিরতে’ পারেন।
লেখা গুলো 'রিমোর্স', 'রিপালশন' কিংবা 'ম্যানিপুলেশন' মুক্ত। কোন প্রকার খেদ বা অভিমান থাকার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। উনার বাসায় চায়ের দাওয়াত পাবার সৌভাগ্যও হয়েছিল । রুটি রুজি , মাস্টারি , বিদেশ যাত্রা , পুরনো অভিমান , বিস্মৃতি , ভাগ্যের অন্বেষা নিয়ে আলাপনের সুযোগও হয়।
নিজের ব্যক্তি জীবন নিয়ে নির্মোহ থাকা, ম্যানিপুলেশন মুক্ত সার্বভৌম মানস থাকার জন্য মিডিয়ার প্রিয় পাত্র না হওয়া, সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে উচ্চকিত এলাকা গুলো এড়িয়ে চলার মনোভাব ---বিষয় গুলো অর্জনের করতে পারলে আমার মাঝে একটা নৈরাশ্যবাদী হবার হীনমন্যতা চলে আসবে। হীনমন্যতায় ভোগা কেউ দুঃস্বপ্ন ছাড়া কিছু দেখতে পায়? সুখ স্বপ্ন দেখে বহুবার তড়িতাহত বা আছাড় খাওয়া মন গুলো নিরাশার পূজো দিয়ে সুখ খুঁজে, দুঃখ বিলাস করে। কিন্তু কে জানছে,
আমার চারটা ডাল ভাতের সেই হীন স্বপ্নের মাঝে যে মাছ মাংসের লালসা অনুচ্চারিত আছে।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:১২
রুবেল শাহ বলেছেন:
সুন্দর লেখা ............
ভাল থাকুন
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৪৮
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: অটঃ বুঝার আর জায়গা পাইলেন না মিয়া.....
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪৩
আলোর অভিলাসী বলেছেন: বাস্তবে পরিকল্পনার পরী উড়ে যায়, থাকে শুধু কল্পনা।
কঠিন বাস্তব । ভালো থাকুন ।