![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুর একনিষ্ঠ পাঠক ছিলাম। একসময় একটু আধটু লেখালেখিও করতে শুরু করেছিলাম প্লাটফর্মটিতে।
তারপর কী যে হলো! বলা যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম এখান থেকে। বিশেষ একটা কারনে কিছু দিন পালিয়ে জীবন যাপন। তখন সামুকে ভুলে গেলাম। নিজের জীবন নিয়েই চিন্তায় অস্থির, লেখালেখি আর কী করব! এখনো বলা যায় একরকম পালানো জীবন। অনেকের কাছে বিস্ময়ের মনে হতে পারে। এ নগরে থেকেও পালিয়ে ছিলাম, বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এবং এখনো আছি।
কিন্তু কেন?
নিজেদের বসবাসের জায়গা দখল হয়ে যায় ২০১২ সালের আগষ্ট মাসের ১২ তারিখ। তারপর থেকে আমরা অনেকটা উদ্বাস্তু। তার চেয়ে বড়ো কথা আমরা ফেরারি। নিজের বাড়ির কথা বলতে পারি না। প্রভাবশালী পেশিশক্তি বাড়ি দখল হবার পর থেকে মামলা নিয়ে আছি। বাড়ি দখল করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা। আর আমাদের করা বাড়ি উদ্ধারের মামলাতো আছেই। তখন বুঝিনি এ এক অসম যুদ্ধ। আমাদের মতো দিন আনি দিন খাই গোত্রীয় লোকজন আমাদের প্রতিপক্ষ হলে অবশ্য খানিকটা আশা করতে পারতাম। এক্ষেত্রে পারি না।
নিজে বুক চিতিয়ে দাড়াতে পারিনি ওদের সামনে কখনো। প্রতিপক্ষের হুমকিতে কাবু হয়ে পালিয়ে বেড়াই। ষাট বছর বয়সী অসুস্থ মা গত চার বছর ধরে আদালতের সিড়ি বাইতে বাইতে আরো বয়সী হয়ে পড়েছে, আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছে। টাকার পর টাকা যাচ্ছে আর আমরা ফুতুর হচ্ছি। স্বাক্ষী পাওয়া যায় না। দুজন আত্মীয়া মহিলা ছাড়া কেউ স্বাক্ষী হতে চায়নি। চারবছর পর মায়ের কান্না দেখে সামুর কথা মনে হলো। আমার বাড়িটা দখল হয়ে গেলে একটি পোস্ট দেই। সেদিনও আমার মা কাঁদছিলো। অবশ্য কান্নার মাঝেও আশার আলো দেখেছিলাম সেদিন। চার বছর পর ..... আজকের কান্নাতে দেখলাম হতাশা আর হতাশা।
মাঝে মাঝে ভাবি বাড়ির আশা ছেড়েই দেব! মানুষের জীবনের চেয়ে তো আর বাড়ি বড়ো নয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৫
এম এস হোসেন চঞ্চল বলেছেন: ভাই মুহাম্মদ তারেক, ধন্যবাদ আপনাকে। ধৈর্য ধরছি। জমির কেস বছরের পর বছর চলে। কতদিন ধৈর্য ধরতে পারব খোদা জানেন। যদি এমন হতো শুধু ধৈর্য ধরে বসে থাকতাম অথবা পালিয়ে বেড়াতাম সমস্যা না। মামলার টাকা যোগাড়, আদালতে হাজিরা, প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকি আমার মায়ের অসুস্থতা, স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য না দিতে চাওয়া(প্রতিপক্ষের হুমকিতে) ইত্যাদি কারনে আমরা বিপর্যস্ত। দোয়া করবেন ভাই।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৬
MD FAISAL HOSSEN বলেছেন: বাড়ি যদি আপনার হয় আপনি বাড়ি ফিরে পাবেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫
এম এস হোসেন চঞ্চল বলেছেন: ভা্ই ফয়সাল, ত্রিশ বছর ধরে বসবাস করছিলাম। রামপুরার বাগিচারটেক এ একদম পানিতে ঘর তুলে বাস শুরু করেছিলাম ১৯৮২/৮৩ সাল থেকে। পাশে ছিলো প্রতিবেশী ইউসুফ। হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ রাস্তার জন্য অধিগ্রহণ করলে প্রতিবেশীর বাড়ি পড়ে। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের বাড়িটি কোনরকমে বেঁচে যায়। প্রতিবেশী ইউসুফ অধিগ্রহণের টাকা উঠিয়ে চলে যায়। দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী ইউসুফ চলে গেলে মনটা খারাপ হয়েছিলো। চোখের জল দিয়ে তাকে বিদায় দিয়েছিলমা আমরা। সে ঘটনার তিন-চার বছর পর, হাতিরঝিল রাস্তা যখন অনেকখানি কমপ্লিট তখন কিছু লোক এসে দাবী করে এটা নাকি তাদের বাড়ি। পরে জানলাম সে প্রতিবেশী ইউসুফের পাঠানো লোক। তারা এসে বলে ইউসুফের জায়গা একোয়ার হয়নি। আমরাই নাকি উল্টো দখল করে আছি তার জায়গা।
তারপর থেকে একের পর হুমকি। আমরা স্টে অর্ডার এর জন্য মামলা করি। সে নোটিশ পাওয়া মাত্রই আদালত আমলে নেয়ার আগেই আমাদের বাড়ি দখল করে নেয় তারা। এলাকার লোকজন সব চুপ মেরে ছিলো যখন তারা আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে বের করে দিলো।
অপর প্রতিবেশীরা বা এলাকার লোকজন এখনো দেখা হলে তারা করুনা করে কিন্তু আদালতে স্বাক্ষী হতে অনুরোধ করলে দুরে সরে যায়। যাহোক ভাই, আপনার কথার যথার্থতা যেন হয়- আমার মায়ের বাড়িটি যেন ফিরে পাই সে। দোয়া করবেন।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহর উপর ভরসা করুন আর একমাত্র তার উপরই এব্যাপারে নির্ভর করুন। প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন আপনার সাথে থাকেন।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৬
সুমন কর বলেছেন: খুব দুঃখজনক ঘটনা। সমবেদনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৩
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: মন ছোট করবেন না, আল্লাহতে বিশ্বাস রাখুন, ধৈর্য ধারণ করুণ আর আল্লাহর নিকট কায়মনোবাক্যে দোআ করুন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন!