নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বন্দি কন্ঠস্বর

বন্দি কন্ঠস্বর

বন্দি কন্ঠস্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিকা ভাইরাস কি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে? (রিপোষ্ট)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২











অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে শিশু জন্মের জন্য জিকা ভাইরাসকে দায়ী করা হচ্ছে। মেডিকেল বিজ্ঞানের পরিভাষায় শিশুদের এই সমস্যাটিকে ‘মাইক্রোসেফালি’ বলা হয়।

মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এতোদিন আফ্রিকায় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলেও ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রাজিলে সর্বপ্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। সম্প্রতি ব্রিটেনসহ অনেকগুলো দেশে মানুষের মধ্যে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। আক্রান্তরা সকলেই দক্ষিণ আমেরিকা সফর করেছিলেন।

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো হচ্ছে হালকা জ্বর, চোখে ব্যাথা ও মাথাব্যাথা। রোগটি এডিস নামের মশাবাহিত। গর্ভাবস্থায় কোন নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার শিশু অস্বাভাবিক আকৃতি নিয়ে জন্ম নেয়। এখন পর্যন্ত রোগটির কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বেশ কয়েকটি দেশে নারীদের কমপক্ষে আটমাস গর্ভধারণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভাইরাস সংক্রমণের ফলে কয়েক হাজার শিশু অনুন্নত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে এবং কয়েকটি দেশে মহিলাদের গর্ভধারণ না করার উপদেশ দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধের কোন প্রতিষেধক নেই।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া শুরু করলে আমাদের দেশসহ অন্য যে কোন দেশই আক্রান্ত হতে পারে। এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অধ্যাপক মাহমুদুর জানিয়েছেন, যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে এখনও ভাইরাসটির সংক্রমণ দেখা যায়নি তাই এটি এখনও কর্তৃপক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় নয়।’

তিনি আরো বলেন, জিকা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা খুবই কঠিন, যেহেতু একজন মানুষ আক্রান্ত কিনা সেটি জানতে হলে প্রথমে তাকে কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করাতে হবে। তাই এয়ারপোর্ট বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোন আক্রান্ত ব্যক্তি প্রবেশ করলে সেটি ঠেকানো খুবই কঠিন হবে। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিওএইচও) এ বিষয়ে এখনও সঠিক কোন নির্দেশনা জারি করেনি।

অধ্যাপক মাহমুদুর সতর্ক করে বলেন, ভাইরাসটি যদি এদেশে প্রবেশ করে তবে এর মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিগ্রস্থ হবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার পুনরাবৃত্তি করে অধ্যাপক মাহমুদুর সমগ্র দেশবাসীকে মশার কামড় থেকে সতর্ক থাকতে উপদেশ দিয়েছেন।


সুত্রঃবিভিন্ন পত্রিকা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

হাম্বাখোর বলেছেন: কঠিন রোগ গুলার উৎপত্তি আফ্রিকায় হয় কেন?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: ঠিক বলেছেন,এইটা একটা গবেষনার বিষয় হতে পারে।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: যত নষ্টের গোড়া "এডিস" মশা। প্রতিরোধ হিসাবে পৃথিবী থেকে মশার সমস্ত প্রজাতি নির্মূল করতে হবে, তাহলে একই সাথে আনেক ভাইরাস জনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: ঠিক বলেছেন,"এডিস" মশার নির্মুলই অনেক রোগ থেকে বাচার উপায়। কিন্তু এটা কি সম্ভব?

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো শেয়ার।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: আপনাকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.