![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থা যাই হোক, দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের একটা ভাল অবস্থান আছে। ২০০৩ সালে আমরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করি। ১৯৯৯ এবং ২০০৫ এ হই রানার্স আপ। এছাড়াও ১৯৯৯, ২০১০ এ সাফ গেমসের ফুটবলে আমাদের স্বর্ণজয় এবং মোট চারবার রৌপ্যজয় দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে আমাদের উজ্জল ঐতিহ্যই ফুটে ওঠে।
আজকে সাফ ফুটবলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের কাছে বাংলাদেশের ২-০ গোলে শোচনীয় পরাজয় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। বিটিভির সুবাদে দেশের বহু মানুষ আজকে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছে। এই সুযোগটা যেখানে আনন্দের উপলক্ষ হবার কথা ছিল, হয়েছে সেখানে বেদনার উদাহরণ।
হার-জিত খেলারই অংশ। একদিন হারবে তো আরেকদিন জিতবে । এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু হারেরও তো একটা মাত্রা বা ধরণ আছে। আজকে খেলা দেখে একবারের জন্যও বোঝা যায়নি যে বাংলাদেশ দলের কোন প্লান আছে, সেই প্লান অনুযায়ী খেলছে। খেলা দেখতে দেখতে বারবার মনে হচ্ছিল যে, এরা আসলে মোটেও খেলতে চায়নি। জোর করে ধরে এনে খেলতে নামিয়ে দিয়েছে। তাই কেবল উদ্দেশ্যহীনভাবে বল লাথ্থালাথ্থি করে সময় পার করছে।
দীর্ঘ আলোচনা, পর্যালোচনার পর এবছরের শুরুর দিকে বর্তমান ডাচ কোচ ক্রইফের হাতে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব তুলে দেয়া হল। যিনি খেলোয়ার হিসেবে একজন ডিফেন্ডার ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে টোটাল ফুটবলের দেশ থেকে আসা কোচ কিছুটা টোটাল ধাচের পাসিং ফুটবল খেলাবেন। আক্রমণভাগের কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু একজন ডিফেন্ডার কোচের অধিনে বাংলাদেশ দলের রক্ষণভাগের আজকে যে দশা চোখে পড়লো তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
এই দসারথ স্টেডিয়ামেই এবছর জুলাইয়ের ২৭ তারিখে সাফ অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় নেপাল-বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল। সেই খেলায় নেপাল অনুর্ধ্ব-১৬ দলের কাছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৬ দল ৫-১ ব্যবধানে হেরে যায়। তখনই চোখে পড়েছিল আমাদের ভবিষ্যৎ ফুটবলের দুর্গতি। কিন্তু কিছুটা আশাবাদী ছিলাম জাতীয় দলকে নিয়ে। গত মার্চে এই মাঠেই নেপালকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ কাপ থেকে বিদায় করে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
এখনো আমাদের সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি। কঠিন হয়েছে মাত্র। আশা করি এই রাউন্ডে ভারত ও পাকিস্থানের বিরুদ্ধে আজকের থেকে ভিন্ন এবং প্রত্যশিত খেলা আমাদের প্রিয় দল আমাদেরকে উপহার দেবে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
বনস্পতি বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাধ সেফানুয়েল।
শুধু "দল জিতুক বা হারুক তবুও প্রিয় বাংলাদেশের ফুটবল দলকে গলা ফাটিয়ে উৎসাহ যোগাই" ব্যাপারটা এমন নয়। যদি ফিফা র্যাংকিংয়ের তলানিতেও চলে যায় দল, তবু সেটাই আমাদের বাংলাদেশ। কখনোই সাপোর্ট হারাব না।
এই হতাশা অব্যশ্যই ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। হৃদয়ের গভীরে রক্তক্ষরণের বেদনার্ত নীল অভিব্যক্তি।
এই নেপাল দলও কাতার এবং বাহরাইন থেকে মাত্র দুমাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। কালকের খেলা দেখে আপনার কখনো কি মনে হয়েছিল যে এই দল দুটোই গত মার্চে পরস্পরের মুখোমুখিতে উল্টো ফল হয়েছিল?
নেপাল কতটা আত্নবিশ্বাসী এবং আগ্রাসী ছিল, সেই তুলনায় বাংলাদেশ পুরো উল্টা।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এইবার দেশের ফুটবলের অধপতন খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
বাংলাদেশের ফিফা র্যাঙ্ক গত বছর ১৭ ধাপ উপরে, এবছর april পর্যন্ত ১২ ধাপ উপরে উঠেছিল। তখন বাংলাদেশের ফুটবল এখন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদিপ, নেপাল, পাকিসতান, ভারত, হংকং, তাইওয়ান, কে টপকে এশিয়ার প্রায় মাঝারি মানে ছিল।
এখনো FIFA Ranking এ দক্ষিন এশিয়ায় ভারতের পরেই অবস্থান।
কদিন আগে ফুটবল নিয়ে আমার এই লেখাটি পড়ুন।
Click This Link
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
বনস্পতি বলেছেন: আশাবাদী হয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় আপাতত নেই।
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৯
রাকু হাসান বলেছেন: ভাল পোস্ট । ফুটবলের উন্নয়নে সাংগঠিক দক্ষতা বাড়ানো সহ ্ তৃণমূলে ব্যাপক পরিসরে দীর্গমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া অতিব জরুরি ।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০
আবু মুহাম্মদ বলেছেন: আশা নিয়ে পড়তে এসে আশাহত হলাম। আপনার নতুন পোস্ট চাই।
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার শেষ পোষ্ট ২০১৩ তে, আর নতুন কিছু কেনো লিখছেন না ?
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: বনস্পতি মানে যে গাছে ফুল ধরে না অথচ ফল হয়। সমস্যা হচ্ছে লাস্ট ফলটা ২০১৩ তে ধরেছিল। আর কি গাছে ফল আসবে না গো?
ফুটবল নিয়ে এই ২০১৮ সালেও একটি তুলনামূলক খেলা খেলে দিলে কি বিরাট ক্ষতি হবে?
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল তো অনেক এগিয়ে আছে স্যার। তাদের নিয়ে কিছু বলেন?
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ফিরে আসুন, লিখুন।
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
নতুন পোস্ট নিয়ে ব্লগে নিয়মিত হন।
১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নাসরিন ইসলাম বলেছেন: আরো পোস্ট চাই। আশা করছি ভালো আছেন।
১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্যের সূত্র ধরে এখানে এসে দেখি এটা সাত বছরের পুরনো পোস্ট। আশাকরি, এখনো খেলা দেখছেন, তাই খেলা নিয়েই না হয় আরেকটি পোস্ট লিখে ব্লগে নতুনভাবে আবির্ভূত হউন!
১৩| ০৩ রা মে, ২০২২ দুপুর ১২:০০
বিজন রয় বলেছেন: এবার নতুন পোস্ট দিন, অনেকবার তো বললাম।
ঈদ মোবারক।
১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পড়ে তো আছেন, সেও কবে ২০১৩ সালে শেষ পোষ্ট দিয়ে। নুতন লিখা দিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৬
সেফানুয়েল বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি হতাশ হওয়াটা উচিত নয়। আমার মনে হয় তাদের (খেলোয়াড় এবং কোচ) আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতি করতে গেলে শুধু মাত্র একটা টুর্নামেন্টের জন্য চিন্তা করে লাভ নেই । বরং প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। শুধু মাত্র ২ মাসের ট্রেনিং এত বড় আয়োজনের জন্য যথেষ্ট নয়। লুডভিক কে আমাদের ফুটবলে আরও লম্বা সময়ের জন্য নিতে পারলে আমাদের ফুটবল খেলোয়াড় দের ফিটনেস অনেকটাই উন্নতি করবে বলেই আমি মনে করি। আর খেলার ছক ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ব্যাপার আছে।
আসুন দল জিতুক বা হারুক তবুও প্রিয় বাংলাদেশের ফুটবল দলকে গলা ফাটিয়ে উৎসাহ যোগাই।