নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বনসাই

বনসাই

বনসাই

বনসাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরোনো সেই দিনের কথা (নবম বারো)

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

পুরোনো সেই দিনের কথা (অষ্টম বারো)

97. কারো কাছে কি ৮২/৮৩ সালে স্কুলে পাঠ্য সমাজবিজ্ঞান বই আছে? আমরা সে সময় পড়েছিলাম বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ; পরে যখন জানলাম বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ তখন বুঝেছিলাম বাংলাদেশের অবস্থান উন্নীত হয়েছে। কিন্তু আজ ২০১৮ সালে এসে এ কি শিখছি? বাংলাদেশ ৩৫ বছর পর ৩৫ বছর পূর্বের স্থানে পৌঁছালো।

98. ’৮০ এর দশকেও সিংহভাগ বাসায় ফ্রিজ ছিল না, প্রতিদিনের বাজার প্রতিদিন করতে হতো। মহিলারা বাজারে কমই যেতেন। কুরবানী ঈদের মাংস জ্বাল দিয়ে, রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হতো। আত্মীয় প্রতিবেশীদের বন্টন করে দেয়ারই প্রচেষ্টা থাকতো। এখন যেটা কমই হয়।

99. প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথম সেনাদল পাঠানো হয়; বিরোধিতা করে হরতাল করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো।

100. ছেলেবেলায় আমদের খেলার উপকরণে বৈচিত্র কম ছিল। দেশী খেলনার মধ্যে ছিল কেরোসিনে চলা টিনের লঞ্চ, বারুদ-কাগজের গুলিসহ টিনের পিস্তল, বাঘের কাগজের মুখোস, সুঁতো বাঁধা প্লাস্টিকের ইদুঁর, সুঁতো বাঁধা কাগজের কুমীর, বেলুন বাঁশি, লাটিম, মার্বেল, ঘুড়ি ইত্যাদি।

101. প্রথম জেনারেশনের লিফটের ডোর হতো ডাবল কাঁচিগেটের মানে কলাপ্সিবল গেটের। এরপর পেয়েছিলাম বাসাবাড়ির এক পার্টের সদর দরজার মতো; খুলতো লিফটের বাইরের দিকে। ছোটো আকারের ওয়াল ফ্যান থাকতো মাথার উপরে। এখনো কিছু অফিসে এগুলো দেখা যায়।

102. এখন যেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটাই প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে ছিল রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। শেরে বাংলা নগরের জাতীয় সংসদ ভবনে কার্যক্রম শুরুর আগে এটাই ছিল দেশের সংসদ ভবন।

103. কেরোসিন তেলের রঙ সাদা ছিল মানে পানি রঙের হতো। তখন ভেজাল হিসেবে তুলনামূলক দামী তেলে মেশানো হতো। ভেজালের প্রতিষেধক রূপে নীল রঙে রাঙ্গানো হয়।

104. এটলাস বাংলাদেশ তৈরি করতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২য় সাফ গেমসের মাস্কট ‘মিশুক’ এর নামে ত্রি-চক্রযান, মোটর সাইকেল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। এই বাহন এখনো ১/২টি ঢাকাতে দেখা যায়। যারা আজো চড়তে পারেন নি উঠে দেখতে পারেন।

105. বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে স্বাধীনতা উত্তর সময়ে নতুনদের মধ্যে সালমান শাহ একমাত্র ‘পুরুষ’ নায়ক ছিলেন, কাঞ্চন ও মান্নাকে ব্যতিক্রম ধরে। মৌসুমী আর তার অভিনীত কেয়ামত থেকে কেয়ামত মূল হিন্দি কেয়ামত সে কেয়ামত তক এর চেয়ে ভালো হয়েছিল। তার অকাল অনাকাংখিত মৃত্যু এদেশের চলচ্চিত্রকে পিছিয়ে দিয়েছে।

106. আমাদের সময় হরতালে দোকানপাট খুলতো না; রিকশা পর্যন্ত চলতো না। বেসরকারী অফিস-স্কুল বন্ধ থাকতো। ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চ এর সময় থেকে সব বদলে যেতে থাকে।

107. ঢাকা স্টেডিয়াম ফুটবল আর ক্রিকেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতো। ১৯৮৯ সালে এশিয়া কাপ ক্রিকেটেও আমরা ব্যানার, লাঠি, কাঁচের বোতল নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। সেবার কপিল দেব এসেছিল এলিফ্যান্ট রোডের বাটা দোকানে, পরে পাকিস্থানী কিছু খেলোয়াড়ও আসে। সে সময় ঢাকায় কোনো ব্রান্ড শো রুম ছিল না বলেই মনে পড়ছে।

108. ঢাকার মানুষ সফেদা ফল চিনতো না, লটকনও কোনো অর্থকরী ফল ছিল না, বিভিন্ন অপ্রচলিত ফল পাওয়া যেতো আজিমপুর অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে। অড়বরই, পানিয়াল, বেতফল, ডেউয়া, আরো কি সব যেন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

সোহানী বলেছেন: এবারের পর্বটা ও ভালো লাগলো। অনেক পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।++++++

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩২

বনসাই বলেছেন: প্রতি পর্বে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আহা সেই দিনগুলি!!

পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কীরে হায়!
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়?

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

বনসাই বলেছেন: এই গান আমাদের নস্টালজিক করে দেয় সব সময়। সেইসব দিনগুলি ভোলা যায় না।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: স্মৃতির সেই পথে আজও পুরোনো দিনের কথা ......
১০০ নাম্বারের সবগুলোইতো আমার ছিল দেখছি ! ভালো লাগলো এবারের পর্বটাও |

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

বনসাই বলেছেন: ভাবছি আপনাকে কি হিংসা করবো! সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল সেই লঞ্চটি, কৌতুহলেরও ছিল। এখনো পাওয়া যায় কি না জানি না।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বালিকা বিদয়ালয়গুলোর সামনে সব রকমের আঁচার ও টক বিক্রয় হতো পুরানো আমলে

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩২

বনসাই বলেছেন: আসলেই তাই, এখনও হয়।

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ি আর পুরোনো দিনে ফিরে যাই।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪১

বনসাই বলেছেন: আশা করি আগামী পর্বেই শেষ হবে এই বিষয়।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, পেছনের দিনগুলো আসলে রংমাখা আবেগের সাথে রঙিন অনুভূতির এক সুন্দর ফসল বটে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্রমেই একা হয়ে যেতে হয়-সৃষ্টির সিস্টেম অনুযায়ী বা জগতের নিয়মানুযায়ী। ছোট্টবেলায় যেমন সবাই আপন থাকে-বয়স হবার সাথে সাথে বিভাবে যেন পরিস্থিতি সকলকেই একা অসহায় ও বোকা বানিয়ে আলাদা করে ফেলে। আর এসব পরিস্থিতির পেছনে আমরা একে অন্যকে অপরাধী,নিরাপরাধ-ভাল,মন্দ ইত্যদী বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা করে থাকি বা দোশ ও গুন দিয়ে থাকি।

ভাল করে নিরপেক্ষভাবে ভেবে দেখুনতো এসব ঘটনা-দুর্ঘটনার জন্য আসলেই কি আমরা মানুশেরা দায়ী! নাকি অবশ্যই আমাদের সফটওয়্যার সেটআপ এর ক্রিয়াই হলো এসব। এ পৃথিবীতে আমাদের অতীত,বর্তমান ও ভবিশ্যতের কার্যক্রমের সিলেক্টকৃত ধারাই হল আমরা যেটা করে চলেছি। ফলে অন্য মানুশের মত সৃষ্টিকর্তাও যেন আমাদেরকে একা,অসহায় ও বোকা করে দিয়েছে মনে হয়।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৭

বনসাই বলেছেন: শৈশবের পবিত্রতা ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায় নানা সম্পর্কের টানাপোড়েনে। কিন্তু ছেলেবেলা অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকে। সেখানেই ফিরে যেতে চায় মন।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: ৯৭ নং এর সাথে সহমত । আমিও তাই ভেবেছিলাম প্রথমে যে স্বল্প উন্নত দেশ < উন্নয়নশীল দেশ । কারন আমরা অনেক আগেই পড়েছিলাম যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ #:-S

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৪

বনসাই বলেছেন: সব কেমন তালগোল পাকিয়ে গেলো, বিসিএস চাকুরি প্রত্যাশীরা ধরা খেতে পারে এই প্রশ্নে।

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: ৯৭ নং এর সাথে সহমত । আমিও তাই ভেবেছিলাম প্রথমে যে স্বল্প উন্নত দেশ < উন্নয়নশীল দেশ । কারন আমরা অনেক আগেই পড়েছিলাম যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ #:-S

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২০

বনসাই বলেছেন: বড় জানতে ইচ্ছা করছে তখন আমরা আসলে কী দেশ ছিলাম? আজ কিছু তথ্য উপাত্তের সূচকের বদল ব্যতীত সাধারণ মানুষের দৃশ্যগত উন্নয়ন খুবই স্বল্প।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৩

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: "বৃহত্তম চিহ্ন" টা পোস্ট করার পর ক্ষুদ্রতম চিহ্নে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে । :((

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৪

বনসাই বলেছেন: ঠিক তাই, সামুকে 'বাগ' ধরেছে।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

ওমেরা বলেছেন: পানিয়াল,বেতফল চিনি না তবে অরবরই আর ডেউয়া ফল খেয়েছি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

বনসাই বলেছেন:
পানিয়াল ফল
দু'হাতের তালুতে রেখে ফলটি ঘুরাতে হয়, একটু নরম হলে খেতে দারুন সুস্বাদু লাগে।


বেতফল
পাকা ফল খেতে ভালো, কাঁচাটা কষ লাগে।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

কালীদাস বলেছেন: গত সপ্তাহে এক ছেলেবিরিটির পোস্টে করে কমেন্ট কপি মারলাম আবার "ফকিন্নি মার্কা দেশগুলো নিজেদের দরিদ্র না বলে উন্নয়নশীল বলার প্রথা অনেকদিন ধরেই অনুসরণ করে আসছে। সবাই ধরে নেয় উন্নয়নের পথেই আছে দেশগুলো লংরানে। জাতিসংঘেরটা হল অফিশিয়ালি রিকগনাইজ করা।" ঠিক তাই হয়েছে এবার জাতিসংঘের অফিশিয়াল ডিক্লায়ার আসার পর।

আমার তো মনে হয় ছোটবেলার খেলনাগুলো যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং ছিল। স্পেশালি লঞ্চেরটা।

আপনার বলা দুই টাইপের লিফট এখনও আছে। এমনকি বাইরের উন্নত দেশগুলোতেও। ভালই কাজ করছে যখন কি দরকার বদলানোর /:)

মিশুক এখন আর চোখে পড়ে না বললেই চলে। জিনিষটা খুব একটা ব্যালেন্সড বাহন ছিল না কিন্ত, এরউপর খুবই হালকা হওয়ায় খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণও ছিল। পুরানো বেবি ট্যাক্সিগুলোর কথা মনে আছে, দুই স্ট্রোকের? ঢাকার বাইরে এখনও চলে, বাপরে পা রাখার জায়গা একেবারেই বাচ্চাদের জন্য!!

সালমান শাহের ব্যাপারে ১০০ ভাগ সহমত। এর বাইরে রাজ্জাককে বাদ দিলে সব চিৎকার সর্বস্ব, ভুড়ি সর্বস্ব, ন্যাকা, কেলানো, মেয়েলি স্বভাবের লোকজন এক্টিং করে বাংলাদেশে সবসময়। ইডিয়ট। এখন তো অবস্হা আরও খারাপ হয়েছে, কলকাতায় নিম্নমানের মুভিতে রোল পেলেও একেকজন পারলে সারা ঢাকা শহরে লোকজনকে নিয়ে মিলাদ পড়ে পারলে।

হরতাল জিনিষটার ভ্যালু কমে গেছে জনতার মঞ্চের দুই/তিন বছর পর থেকে, বিএনপির লোকজন খুব একটা শক্ত পিকেটিং করতে পারত না লীগের নেংটা করনেওয়ালা বা ছাদ থেকে ককটেল ছুঁড়ে মারা পিকেটারদের তুলনায়। অবরোধ টার্মটার চোদ্দটা বাজিয়েছে এই বিএনপিওয়ালারাই, নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মেরে আর আজও ২০১৫ এর শুরুতে ডাকা অবরোধ অফিশিয়ালি উইথড্র না করে।

জ্বালানী তেলে ভেজাল দেয়ার মাত্রা বাড়াবাড়ি রকমের বাড়ার পর রং মেশাতে বাধ্য হয় সরকার; সালটা ভুলে গেছি। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত তেল খুবই সস্তা ছিল দেশে; বর্ডারে ব্যাপক তেল পাচার হত ইন্ডিয়ায়।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

বনসাই বলেছেন: আপনার মন্তব্য এবং সংযোজন বরাবরের মতো লেখাটিকে সমৃদ্ধ করেছে।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

হাসান রাজু বলেছেন: একসময় পাকিস্থানি কিছু নায়ক এসে এখানে সিনেমা করে গেছেন। লেডি স্মাগলার নামে একটা মুভি আমার প্রিয় ছিল । নায়িকা ছিল ববিতা ।

বাংলা সিনেমার ১৬ কলা পূর্ণ হয় বোম্বে থাকে রাবিনাকে এনে । আহা সেই রাবিনার রূপ নিয়ে কিছু বলা সমীচীন না, তাই বাদ ! তাকে নিয়ে একটা গানের চিত্রায়ন হয় " পড়ে না চোখের পলক ....... " সেইদিন প্রথম বুঝলাম, ফাইজলামির আসলেই একটা সিমা থাকা উচিৎ ।

আপনার পোস্টগুলোয় অনেক ভাল লাগা মিশিয়ে রাখলাম ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০১

বনসাই বলেছেন: বাংলা সিনেমা সম্পর্কে একটু কমই খবর রাখতাম; বোম্বে থেকে রাবিনা এলো, সিনেমা করলো; এটা আমি বেমালুম ভুলে গেলাম কি করে! আপনার মন্তব্যের 'ফাইজলামি' শব্দটি আমাকে আশাবাদী করলো; এই গল্পে একটি 'কিন্তু' আছে নিশ্চয়ই। সার্চ করে পেয়ে গেলাম সত্যটা। প্রতারণা, ঠগবাজির জন্যে আমরা কোনো ক্ষেত্রেই আশানুরূপ অগ্রসর হতে পারছি না।

১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

লিযেন বলেছেন: সবার বাসায় ফ্রিজ ছিলো না,বোতলে ভরে পানি প্রতিবেশি আন্টির বাসা্য় রাখতে হতো।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

বনসাই বলেছেন: শুধু পানিই নয়, গরমের সময় বরফ, কাঁচা মাছ মাংস, রান্না তরকারী, মিষ্টান্ন ইত্যাদি রাখতে হতো। প্রত্যেকের প্যাকেটে আলাদা মার্কিং দেয়া হতো। তারপরও এ বাড়ির জিনিস ও বাড়ির হাড়িতে চড়ে বসার ঘটনাও কম হতো না।
একবার এমন হলো, বেড়াতে এসে আমার কাজিনরা ফ্রিজে মিষ্টি পেয়ে কয়েকটা পেটে চালান করে ফেললো। পরে সেই মিষ্টি কিনে দিতে হয়েছিল।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। পুরানো দিনে ফিরে গেলাম

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

হাসান রাজু বলেছেন: হরতালে স্কুল বন্ধ হয়ে যেত । কখন খোলা থাকলে কলেজ থেকে ছাত্ররা আসতো। তারা ক্লাস টিচারদের সালাম দিয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দিত (কিন্তু কখনই বেয়াদবি করত না। কারন অনেকেই এখানকারই ছাত্র। স্যার যেতে যেতে বলতেন বড় হয়ে গেছস। এইগুলাই করস নাকি লেখাপড়াটাও করস? ইত্যাদি ইত্যাদি ....... বড় ভাইরা মাথা নিচু করে মুচকি হাসত । স্যার পিছু ফিরলে বলত, দোয়া করবেন স্যার।)
এগুলো মফস্বলের অভিজ্ঞতা ১৯৮৮-৯০ সালের দিকে। ঢাকায় কি হত জানিনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.