নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বনসাই

বনসাই

বনসাই

বনসাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরোনো সেই দিনের কথা (দশম বারো)

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

পুরোনো সেই দিনের কথা (নবম বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (অষ্টম বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (সপ্তম বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (ষষ্ঠ বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (পঞ্চম বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (চতুর্থ বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (তৃতীয় বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (দ্বিতীয় বারো)
পুরোনো সেই দিনের কথা (প্রথম বারো)

109. আমাদের ছেলেবেলায় মুক্তিযুদ্ধের বছরকে বলা হতো গন্ডগোলের বছর। আমরা বড় হয়েছি ২৬ মার্চ মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধ আরম্ভ হয় তাই জেনে। এর আগে আর কিছু ছিল না। মুক্তিযোদ্ধার শৌর্য-বীর্য নিয়ে কমই লেখা বা আলোচনা হতো। সবত্রই তাদের কৃপার দৃষ্টিতে দেখা হতো। আজ আবার সেই অবস্থাই হতে যাচ্ছে; মুক্তিযোদ্ধার নাতিদের জন্যে সরকারী চাকরিতে কোটা রেখে সরকার তাদের হেয় করছে।

110. ’আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্রকে কেন যে লোকে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র বলে বুঝতে পারি না। তারেক মাসুদের ‘মুক্তির গান’ এর টিকিট মানুষ কিউ এ দাঁড়িয়ে কিনে দেখেছিল। ‘আগুনের পরশমনি’ মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার কিছু অংশের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছিল।

111. ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ছিলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণআদালতে। সেদিন বিএনপি সরকার কোনো মাইক ব্যবহার করতে দেয় নি। ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম রায় ঘোষণা করেন। আমরা বিস্তারিত জানতে পারি পরের দিনে পত্রিকা পড়ে।

112. প্রেসিডেন্ট জিয়ার ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ এর জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল। বেগম জিয়া ওই সময় নিভৃতেই থাকতেন; তাকে টিভিতে একটু দেখার জন্যে আগ্রহী কম ছিল না। যেদিন প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যার জন্যে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসি দেয়া হয় সে রাতে মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ করে, আমাদের ক্যাম্পাসের মাঠে ভীত মানুষের গাড়িতে ভরে গিয়েছিল।

113. ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, স্কুল ফেরত ছোটোবোনকে নিয়ে আটকা পড়েছিলাম ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বন্ধুর বাসায়। বাসায় সবাই ছিল টেনশনে। দুপুরের পরে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে বাসায় ফিরি। ডাঃ মিলন সেদিন শহীদ হন। কারফিউ ঘোষণা করা হয়। ৪ঠা ডিসেম্বর, টিভিতে বিশেষ ঘোষণা আসলো, এরশাদ পদত্যাগে সম্মত হয়েছে। আমরা রাস্তায় নেমে গেলাম। একজনকে দেখলাম বিটিভির তৎকালীন মহাপরিচালক চামচা সাইফুল বারীর বাসা লুটে একগাদা বই নিয়ে যেতে। সে সময় বই-কে অনেক মূল্য দেয়া হতো। ৬ ডিসেম্বর এর আগে সাধারণভাবে কেউ জানতো না বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নাম কি? শুধু টিভিতে প্রেসিডেন্ট এর শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে দেখা যেতো। ১৯৯৬ সালের পর থেকে প্রধান বিচারপতি পদ নিয়ে শুরু হয় রাজনীতির নোংরা খেলা।

114. বাটাকে বলা হতো অক্ষয় কোম্পানী। যদিও সেই দিন আর নেই। দাম লেখার ক্ষেত্রে বাটা কুশলী ছিল। ২০০ না লিখে লেখা হতো ১৯৯.৯৫, পরে ১৯৯.৫০ আরো পরে ১৯৫.০০।

115. শারমীন রীমা হত্যা মামলা বেশ আলোড়ন তুলেছিল ১৯৮৯ সালে, পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় মাস্ট লিড হিসেবে থাকতো, বিচারে স্বামী মুনিরের ফাঁসি ১৯৯৩ সালে হয়; ধানমন্ডির মেহেরুন্নেসা ক্লিনিকের মালিক ডাঃ মেহেরুন্নেসার সন্তান সে; মায়ের ক্লিনিকের নার্স মিনতির সাথে সম্পর্ক ছিল, সম্পর্ক ছিল খুকু নামের কলগার্লের সাথে। প্রভাবশালী পরিবারের বখে যাওয়া এই সন্তান ছাড়া পেয়ে যাওয়ার আশংকা ছিল। যা সাংবাদিকদের কারণেই এক প্রকার হতে পারে নি। রীমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমেদ। ফাঁসি হওয়ার পরও লাশ দেখতে না দেয়ায় জনমনে প্রশ্ন ছিল আসলেই ফাঁসি দেয়া হয়েছিল কি না।

116. শবে বরাতের রাতে আমরা বোমা ফাটাতাম; আসলে আরো কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হয়ে যেতো। রকেটবাতি, তারাবাতি, মরিচাবাতি ছিল; ছিল কাঠি বোম, গোল বোম, চকলেট বোম। দেশীয় প্রযুক্তিতে টাইম বোমও করা হতো। সারারাত শব্দকম্প চলতো।

117. সাধারণ লবণই খাবারে ব্যবহৃত হতো, অপরিষ্কার লবণই ডাইনিং টেবিলে দেয়া হতো। সম্ভবত লবণক্ষেত থেকেই তুলে বস্তায় ভরে বাজারজাত করা হতো সে সময়। আয়োডিনযুক্ত লবণ আসে বেশ পরে। এতো পরিষ্কার লবণ হতে পারে আমরা ভাবতেই পারি নি। ছেলেবেলায় আখের চিনিই বেশী পাওয়া যেতো; লাল আর ভেজা ভেজা।

118. এ সপ্তাহে চীনের মহাকাশ স্পেস স্টেশন তিয়াংগন-১ ভূপৃষ্ঠে পড়ছে। ১৯৭৯ সালে এ রকম একটি খবর আমাদের আতঙ্কিত করেছিল। আমেরিকার তৈরি স্কাইল্যাব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল। আমরা ছোটোরা খুব ভয় পেয়েছিলাম, আশঙ্কা করেছিলাম যদি ঢাকাতে আমাদের বাসার ওপরে পড়ে; বড়রা ইত্তেফাক পড়ে আশ্বস্ত করেছিল, বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বাতাসের ঘর্ষণে স্কাইল্যাব জ্বলে পুড়ে যাবে আর সাগরে পড়বে। তাই ঘটেছিল অবশেষে।

119. এরশাদের সময় ১২ জন মন্ত্রী আর সম্ভবত দৈনিক খবর পত্রিকার সম্পাদক মিলে নিজেদের ছবি দিয়ে পত্রিকায় পূর্ণ পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপন দেয় ‘জ্যোতি হিমেল পাউডার’এর। সায়েদাবাদের তথাকথিত পীর এর আবিষ্কৃত এই পাউডার ব্যবহারে সর্বরোগ ভালো হয় বলে মন্ত্রীরা সার্টিফিকেট দিয়েছিল। কোনো আমলেই আমাদের মন্ত্রীরা সত্য বলতো না। আসলে সে সময় পীরদের জয় জয়কার ছিল। ফরিদপুরের আটরশি তো জাতীয় পীর হয়ে গিয়েছিল।

120. এরশাদ জুম’আর নামাজে বিভিন্ন এলাকার মসজিদে যেয়ে একটি অসত্য কথা বলতো নির্লজ্জের মতো। তার টাইটেল নানা কারণেই তখন হয়ে গিয়েছিল ‘বিশ্ব বেহায়া’। সে না কি আগের রাতে স্বপ্নে দেখেছে যে এ দিন এই মসজিদে জুম’আর নামাজ আদায় করছে তাই এসেছে। অথচ সাত দিনের বেশী আগে থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী মসজিদে ব্যস্ত ছিল।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

দিবা রুমি বলেছেন: সত্য প্রকাশে আপনার ডাইরির ভূমিকা দেখছি বিশাল।

শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বনসাই বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম। ধন্যবাদ শুভকামনার জন্যে।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:

ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহ; তবে, এগুলোর সঠিক এনালাইসিস করা ও বুঝা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়নি

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বনসাই বলেছেন: ১৯৭১ সালে বিজয়ের পরে আমরা অতিরঞ্জিত আশাবাদী হয়েছিলাম; ১৯৯০ সালের সামরিক সরকার হটিয়েও একইভাবে শুদ্ধ গণতন্ত্রে দেশ পরিচালিত হবে ভেবেছিলাম। সাধারণ মানুষ রাজনৈতিকদের উপর ভরসা করেছিল কিন্তু রাজনীতিবিদরা সেই আস্থা আর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে নি। আসলে রাজনৈতিকদের দেশ পরিচালনার যোগ্যতাই নেই। আজ দেশের যা অগ্রগতি সবটাই দেশের সাধারণ মানুষের কর্মের যোগফল।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

কালীদাস বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের উপর যে কয়টা সিনামা দেখেছি আমার মনে সবচেয়ে গভীর দাগ কেটেছে একাত্তরের যীশু। এরপর জয়যাত্রা, আগুনের পরশমনি। ১৯৯৬ পর্যন্ত মুক্তিযু্দ্ধের ইতিহাসের প্রচার কেমন কতটুকু হত, সেটা এখন ভালভাবে মনে নেই, তবে বঙ্গবন্ধুকে একজন ক্রিমিনাল হিসাবে প্রকাশ করত অসংখ্য সারমেয় সন্তান। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ বঙ্গবন্ধুর নামটা ইউজ করেছে অনেক ছ্যাঁচড়া সিম্পলি পলিটিকালি বেনেফিটেড হওয়ার জন্য।

বাটার জুতা পড়া হয়না অনেক বছর, তবে এরা আসলেই টেকসই ছিল, জুতার নোকিয়া বলতে পারেন ;) বাটার একটা সিগনিফিকেন্স হচ্ছে এরা কম্পারেটিভলি অনেস্ট বিজনেস করে বাংলাদেশে; ফুটওয়ার রিলেটেড রেভেণ্যু যতটা পায় সরকার তার আশিভাগই নাকি বাটার ছিল যেখানে ওদের মার্কেটে দখল ছিল বিশভাগের কাছাকাছি ২০০০ সালের দিকে।

মুনীরের ফাঁসি দেশে সবার মুখে মুখে চলত সে সময়। আমি তখন খুবই ছোট। বাইদ্যাওয়ে, আমার কমেন্ট থেকে আমাকে কিরকম বয়ষ্ক মনে করেছেন জানিনা, আমি নব্বইয়ে দশক পুরাটাতেই স্কুলে পড়তাম :`>

শবে বরাতের তারাবাতি ছিল সবচেয়ে সোবার আইটেম, নেক্সট ছিল মরিচা। মরিচা জিনিষটা ইন্টারেস্টিং হলেও খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণও ছিল, বেশ কয়েকজনের চোখে লেগেছিল আমাদের এরিয়াতে। চকলেট বোমা, ... আহ, অনেক অনেক বছর পর নামটা মনে পড়ল আবার।

আপনার সিরিজটা আকর্ষণীয় :)

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

বনসাই বলেছেন: কালীদাস নিকটি বয়স্ক মনে করার কারণ হতে পারে কি? না তা নয়। আপনাকে প্রতি পর্বে পাওয়া আমার পরম সৌভাগ্য। আপনার ব্লগ আগে পড়েছি; আপনি যখন ঢাকা কলেজে পড়েছেন তখন আমার প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ পর্ব চুকে গিয়েছিল। পর্বভিত্তিক এই লেখাটি আপনার মন্তব্যে বরাবরই আরো আকর্ষনীয় হয়েছে।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখাটি পড়লাম।
প্রকাশভঙ্গিতে নতুনত্ব আছে।
প‌্যারাভিত্তিক লেখা পাঠককে টানবে। আমাকে টেনেছে। ভাল লেগেছে।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩১

বনসাই বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে সম্মানিতবোধ করলাম। আপনার প্রতিও শুভেচ্ছা থাকলো।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

ক্স বলেছেন: শেষ করেছেন? নাকি ভান্ডারে আরও কিছু স্মৃতি আছে? কটকটি আর হাওয়াই মিঠাই নিয়ে আপানের কোন পোস্টেই কিছু পেলাম না। বাটি আচার আর হজমিও দেখতে পাব আশা করেছিলাম।

আরেকটা কথা, বিশ্ব বেহায়া এরশাদ এত ভোট পায় ক্যামনে? রহস্য কি? সে ঢাকার সিটে দাঁড়ালেও কোন ভিআইপি প্রার্থী পাত্তা পায়না। মানুষ তার মধ্যে কি দেখে ভোট দেয়?

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৭

বনসাই বলেছেন: 'কটকটি' এক আজব খাবার ছিল; শিশুদের খুবই প্রিয়। টিনের গোল বক্সে বিক্রি হতো মিষ্টি স্বাদের কটকটি। বিক্রি বলাটাও মনে হয় খুব ঠিক হচ্ছে না। এগুলো পাওয়া যেতো পুরোনো খবরের কাগজ আর ঘরের ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিস যারা কিনতো তাদের কাছে। বাচ্চারা কটকটির লোভে বাসার দরকারী জিনিসও তাদের হাতে তুলে দিতো।
হাওয়াই মিঠাই এখন যেমন পলিথিনে মুড়ানো বিশাল সাইজে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হয়; আগে এমন ছিল না। টিনের বড় কৌটায় টেনিস বলের আকারে পাওয়া যাতো।
শন-পাপড়ি বিক্রি হতো ছোটো প্যাকেটে। নিউ মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেটে গেলে ছেলেবেলায় খুব খেতাম।
হজমিও ছিল শিশুদের এক মুখোরোচক খাবার, কালো দানাদার হজমি সিঙ্গেল ব্লেডের কাভারের আকারের ছোটো প্যাকে পাওয়া যাতো।
৫ পয়সা দিয়ে সন্দেশ খেতাম। লুডুর ছক্কার আকারের মতো ছিল, রঙ ছিল খয়েরী।
১০ পয়সা দামের তিলের সন্দেশ খুব প্রিয় ছিল, এগুলো গুড়ের হতো।
আমরা ছোটোবেলায় আংটি খেতাম, ঘড়ি খেতাম, কখনো কখনো চশমা খেতাম। না সত্যিকারের নয়। বিক্রেতা মোটা বাঁশের ভান্ডারের ভেতর থেকে আঠালো মিষ্টি জাতীয় খাবার বের করে আমাদের চাহিদা মতো জিনিস বানিয়ে পরিয়ে দিতো, পরে সেটাই পেটে চালান করে দিতাম।

আগে চটপটির ডাবলিতে বেশ পোকা হতো, সেই চটপটির লোভও স্কুলের মেয়েরা ছাড়তে পারতো না। সব স্কুলের সামনে চটপটির ভ্যান থাকতো।

ছেলেবেলায় আমরা কত কি যে খেতাম, কোনো বাছবিচার ছিল না। এমন কি পথের পাশের কল থেকে পানি খেয়ে ফেলতাম নির্দ্বিধায়। আজ সেই সব খাবার খাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না, পারি না নিজেদের সন্তানদের খাওয়াতে।

এরশাদের ভোট লাভে হয়তো দায়ী আমাদের গোল্ড ফিস ম্যামোরি, হয়তো দায়ী পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসা দলগুলো।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বনসাই ভাই, চলুক....অনেক ভালো লাগছে। অপেক্ষায় রইলাম......।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৫

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: বাকি পর্বগুলোর থেকে এ পর্ব এককটু ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে।
তবে অনেক মুখোশ উন্মোচন করে দিলেন। আটরশীর খাস মুরিদ জনাব এরশাদ সাহেবকে তো একেবারে নাজেহাল করে ছাড়লেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

বনসাই বলেছেন: সত্যটাই তুলে ধরেছি। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্যে।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০২

ক্স বলেছেন: জবাব নেই ভাই! ছোটবেলার খাবার সম্পর্কে যা শুনতে চেয়েছিলাম - একেবারে তাই শুনিয়ে দিলেন। শুনেছি গ্রামের বিলুপ্তপ্রায় মেলাগুলোতে এসব জিনিস এখনো পাওয়া যায়।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

বনসাই বলেছেন: গ্রামের মেলায় বায়োস্কোপ দেখতে ইচ্ছা করছে।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: এখনকার মত ওই সময়ও রাস্তার ওপর কুরবানী করা হতো, তবে তখন কুরবানীর পর কয়েকদিন গোবরটোবর রাস্তায় পড়ে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতো।

আর আগে রিকশায় মেয়েরা বের হলে শাড়ি জাতীয় কিছু একটা দিয়ে পুরো রিকশা পেচিয়ে রাখতো

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

বনসাই বলেছেন: ঢাকাতে বাসার কাছেই Dacca Restaurant & Catering নামে খাবারের দোকানের সামনের গ্লাস পার্টিশনের উপর পুরোনো দিনের শহরের কিছু ফটো প্রিন্ট করা আছে, সেখানে একটি ছবি কাপড় ঘেরা রিকশা টেনে চলেছে এক রিকশা চালক। ছবিটি দেখে এখনকার প্রজন্ম অবাক হয়।
ঢাকাতে আমি নিজে দেখি নি এমন সাজের রিকশা। তবে মা-খালাদের কাছে শুনেছি পাকিস্তান পিরিয়ডে পর্দানসীন পরিবার রিকশায় চাদর বা শাড়ি দিয়ে ঘিরেই চড়তো। বাংলাদেশ আমলেও পুরান ঢাকার দিকে এমন প্রচলন ছিল। ঢাকার বাইরে এমন রিকশা পেয়েছি।

সিভিক সেন্স আগেকার সময়ে বর্তমানের চেয়ে কমই ছিল মানুষের। এখনও যে খুব উন্নতি হয়েছে বলা যাবে না। তবে সিটি কর্পোরেশন অনেক বেশী তৎপর হয়েছে।

শুনেছি, প্রথম যখন আজিমপুর কলোনী সরকারী কর্মকর্তাদের বরাদ্দ দেয়া হয় তাদের কেউ কেউ তখন জ্যান্ত গাভী নিয়ে ফ্লাটে উঠেছিল; নিয়মিত খাঁটি দুধ পাওয়ার জন্যে।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আচ্ছা ঢাকায় নাকি neil armstrong আসছিলো?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

বনসাই বলেছেন: নীল আর্মস্ট্রং পূর্ব পাকিস্থানের রাজধানী ঢাকাতে এসেছিলেন সম্ভবত চন্দ্র অভিযানের পর পরই, এমনটাই শুনেছি বড়দের মুখে। তবে ১৯৭৮ সালে মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ক্লে এসেছিলেন, বিটিভি-তে দেখেছিলাম তার ফাইট; লড়েছিলেন এক শিশুর সাথে। তাকে নিয়ে চমৎকার একটি গান বাজানো হতো সে সময়।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৫০

হাসান রাজু বলেছেন: এরশাদের নারীগঠিত অনেক মুখরোচক গল্প তখন শুনা যেত ।
বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক যে এইভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েও খুব সামান্য শাস্তি পেয়ে রাজার হালে শুধু দিনযাপনই না রীতিমত রাজত্ব করে যাচ্ছে ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

বনসাই বলেছেন: সম্ভবত এরশাদই প্রকৃত রাজনীতিক, ১৯৮২ সালে থেকে আজও ক্ষমতায়- এটা বলাই যায়। ১৯৯১ এর পরে জীবনে একটু চড়াই-উৎরাই এ পড়লেও অপকর্মের তুলনায় কোনো সাজাই ভোগ করতে হয় নি তাকে। রাজার খেলা রাজনীতি তিনি ভালোভাবেই সামলাচ্ছেন।

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

প্রামানিক বলেছেন: ধারাবাহিক সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

বনসাই বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: তাইতো বলি, আপনাকে পরিচিত পরিচিত লাগছে!!!

তা ভাই, এতদিন কোন পোস্ট নাই কেন??

১৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

হাসান রাজু বলেছেন: আর কই ? প্রতিদিন ঢুঁ দিয়ে হতাশ হই । পরে কিন্তু আমিই লেখা শুরু করব, আপনার কনসেপ্টটা আমার ব্যাপক পছন্দ হয়েছে। সমস্যা একটাই কিছুই মনে পড়ছে না। আপনার লেখা পড়ে মনে পরে।
ভালো থাকবেন ।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ অনেক ভাল লাগলো।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

বনসাই বলেছেন: ব্লগে স্বাগত, আমাদের রেখে আসা কিছু সময়কে এখানে অল্প কথায় বেঁধে রাখার ছোটো প্রচেষ্টা মাত্র।

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ২ নং প্রতিমন্তব্যে বলেছেন, রাজনৈতিকদের দেশ পরিচালনার যোগ্যতাই নেই। আসলে বলুন, এ দেশে প্রকত রাজনীতিকদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। বেশীর ভাগই রাজনীতির ব্যাপারী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.