![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশকে ভালবাসি অনেক বেশি। দেশের প্রতি কোন রকম অপমান চৈধুরী সাহেবের মতো বদলা নেয়া হবে
আজকে একটু আগে একটা নিউজ পড়ে হতভম্ব হয়ে গেলাম। একটা কিশোর তার সহপাঠীকে অপহরণ করে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে মুক্তি পণ আদায় করবে। আবার টাকা আদায় করার আগে শয়ে তার সহপাঠীকে গলায় ফাঁস তারপর ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করে।
নিউজ টা পড়ে দেখলাম, সনি চ্যানেল এর অনুষ্ঠান দেখে তারা এই ঘটনায় উদ্দীপ্ত হয়েছেন।
আমাদের সমাজ আজ কোথায় গেছে, যে বয়েসে আমরা কত কিছু সৃষ্টি শীল কাজের পেছনে ব্যয় করেছে। আমাদের বিনোদন ছিল নতুন নতুন বই পড়া, মাঝে মধ্যে কোথায় একটু পালিয়ে ঘুরতে যাইয়া। বাবা মা কে না বলে ভর সন্ধ্যা বেলা পর্যন্ত ক্রিকেট খেলা। মাঝে মাঝে স্যারের বাসা থকে আসার সময় একটু বেশি সময় ধরে বন্ধুদের সাথে রাস্তায় আড্ডা দেয়া।
আর সেখানে এসব কি?
সহপাঠীকে খুন করে সেপ্টিক ট্যাঙ্কে ফেলা?
শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া ?
বাহ আমদের আসলে অনেক উন্নতি হচ্ছে?
মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের ধ্বংস হতে আর কত দেরি ??
নাটোরে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের আগেই সহপাঠীকে খুন করে দুই কিশোর আর তাদের এক সহযোগী ধরা পড়েছে র্যাব এর হাতে। নিহত মাদ্রাসা ছাত্র তানভীরের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবা এখন দিশেহারা। তাঁরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
আটক তিন কিশোর হুসাইদ হোসেন (১৫) বাইজিদ হাসান (১৪) ও নাঈম হোসেন পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তানভীরকে হত্যা করে লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের আলাইপুর আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশে এক বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫ তানভীরের লাশ উদ্ধার করে।
র্যাব এর হাতে আটক হুসাইদ হাসান আজ সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, তারা ভারতীয় সনি টিভি চ্যানেলের একটি সিরিয়াল দেখে অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। এ জন্য তারা তাদের সহপাঠী তানভীরকে বেছে নেয়। কারণ সে বাবা-মার একমাত্র সন্তান। খুব সহজেই টাকা পাওয়া যাবে। গত ২১ আগস্ট তারা তাদের বন্ধু নাঈমের দোকানে গিয়ে অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনা করে।
যেভাবে খুন করা হয়ঃ
র্যাব এর হাতে আটক বাইজিদ হাসান সাংবাদিকদের জানায়, তারা ঝামেলা এড়াতে তানভীরকে প্রথমেই খুন করার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক ২৮ আগস্ট আসরের নামাজের পর সে আর হুসাইদ নতুন মোবাইল ফোনসেট দেখার কথা বলে তানভীরকে মাদ্রাসা থেকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে রশি দিয়ে তাকে ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও তার মৃত্যু না হলে তারা গলায় খুর চালায়। এতে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়। সেখান থেকে তারা বন্ধু নাঈমের দোকানে গিয়ে তাদের গায়ে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করে মাদ্রাসায় ফিরে আসে।
প্রথম আলো
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮
বটপাকুড় বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু চিন্তার বিষয় আমাদের এ থেকে পরিত্রাণ পাবার কি কোন উপায় নেই ?
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মন্তব্যে খরা!! আপনি কোন দলে ভাই??
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
জাকারিয়া জামান তানভীর বলেছেন: এই ধরনের অবক্ষয় আমাদের খাদের কিনারে নিয়ে যাবে। পোস্টের জন্য লেখককে ধন্যবাদ।