![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবু বেঁচে থাকতে হয়,আমিও বেঁচে আছি। কোনো স্বপ্ন নিয়ে নয়, একটা স্বপ্ন গড়ার জন্য।
মানুষের শরিরের গন্ধ খুব অদ্ভুত একটা জিনিস। প্রত্যেক মানুষের শরিরে একটা আলাদা গন্ধ আছে। সেই গন্ধটা সবাই অনুভব করতে পারে না। যে পারে তার জন্য সেটা নেশার মত হয়ে যায়। বিনে পয়সার নেশা। সে এমন এক নেশা তাতে ঘন্টার পর ঘন্টা নাক ডুবিয়ে বসে থাকা যায়। যারা রোমান্স পছন্দ করেন তারা ভাবতে পারর এ আর এমন কি! রোমান্টিক মুডে থাকলে সব কিছুই ভালো লাগে। কিন্তু যখন শরিরের ব্যাপার আসে একেক মানুষের একেক ফ্যান্টাসি থাকে। ফ্যান্টাসি আর নেশা এক জিনিস নয়।
পারফিউম মুভিটার কথা মনে পড়ছে।শরিরের গন্ধ কতোটা নেশাগ্রস্থ করতে পারে প্রথম জানতে পারি এই মুভি দেখেই। তখনই প্রথম জানতে পারি মানুষের শরীরের গন্ধ কি!
সদ্য জন্ম নেয়া ছেলেটি প্রথম বুঝতে পারে সবকিছুর একটা গন্ধ আছে। একটা সময় বুঝতে পারে প্রত্যেক মানুষের শরিরেও একটা গন্ধ আছে এবং সেটা আলাদা। সে আলাদা গন্ধের মানুষগুলোকে খুন করে তাদের পারফিউম বানাতে শুরু করলো। একটা সময় সে সাতটা ভিন্ন পারফিউম সংগ্রহ আর তা ছড়িয়ে দেয়ার মাঝেই খুঁজে পায় মানব জীবনের সার্থকতা।
একটা বই পড়েছিলাম যে তার স্ত্রীকে মারার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলো এবং প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় জড়িয়ে ধরে বসে থাকতো। একটা সময় মাংস পঁচতে শুরু করলো। অথচ তবু সে সেই পঁচা গন্ধ পেতো না। সে অনুভব করতো ঠিক বাসররাতের নববধূর সেই গন্ধই।
হুমায়ুন আহমেদের একটা গল্পে পড়েছিলাম এক লোক একটা মেয়েকে ধর্ষন করে এবং মেয়েটা মারা যায়।লোকটা লাশ স্পর্শ করার পর মেয়েটার শরীরের উপর একটা পিঁপড়া। সে তখন পিপড়াটা সরাতে যায়। পিঁপড়াটি তখন মেয়েটার শরীর ছেড়ে তার শরীর বেয়ে উঠা শুরু করে। তার শরীরে মৃত মানুষের গন্ধ। তারপর ঝাকে ঝাকে পিঁপড়া তার শরীরের গন্ধে আসতে শুরু করে। সে যেখানেই যায় পিঁপড়া শরীরের গন্ধে পিঁপড়া উপস্থিত হবেই। এ থেকে মুক্তি নেই। প্রকৃতির এ এক অন্যরকম শাস্তি।
আমাদের প্রত্যেকের মাঝেমাঝে এমন একজনকে খুন করতে ইচ্ছে করে যাকে খুন করে প্রিজার্ভ করে রাখা যায়। ইচ্ছে করলেই যার শরীরের গন্ধ পাওয়া যায় যেন সেই একজন যখন পাশে থাকে তখন একটু স্পর্শ না করতে পারার ব্যাকুলতা, শরিরের ঘ্রাণ অনুভব করতে না পারার ব্যাকুলতা না হয়। অথচ বেশীরভাগ মানুষ আমরা সেটা পারিনা। ইচ্ছাটাকে দমন করে তার চলার পথের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। তাকে যেতে দিতে হয়।
মানুষের সবচেয়ে বড় অক্ষমতা হলো মানুষ কোন অবিচার করলে তার বিচার প্রকৃতি করতে পারে কিন্তু প্রকৃতি যে অবিচার করে তার বিচার করার ক্ষমতা মানুষের নেই। থাকলে প্রিয় মানুষগুলোকে এভাবে গন্ধের জন্য বঞ্চিত করে রাখতে পারতো না।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৭
মহাপুরুষের ডায়েরী বলেছেন: প্রকৃতি ব্যালেন্স পছন্দ করে। তাই মাঝেমাঝে ব্যালেন্স করার জনয বিশেষ কিছু হতে বঞ্চিত করে।আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি।ধন্যবাদ।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রত্যেক মানুষের শরিরে একটা আলাদা গন্ধ আছে কথাটা সঠিক।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
বিজন রয় বলেছেন: গন্ধ নিয়ে তো দারুন গবেষণা!!
++++
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাপুরুষের ডায়েরী ,
প্রকৃতি কি আসলে অবিচার করে ?
আর গন্ধ নিয়ে আপনার বক্তব্যটি ঠিকঠিক বুঝে উঠতে পারিনি যখন বলেন ------প্রিয় মানুষগুলোকে এভাবে গন্ধের জন্য বঞ্চিত করে রাখতে পারতো না।