নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
আমি বলেছিলাম, তোমার রহস্যময়তা নিয়ে একটা দারুন কবিতা লিখবো ভাবছি
তুমি প্রতিউত্তরে আমাকে বিভ্রান্ত করে অবাক হলে খুব-
কবিতা তো সাজানো বাগানে রঙিন পাতাবাহার নয়
খুব মনের মুগ্ধবেশের অপরূপ গনকপাথর
যা হৃদয়বেগের মায়াবী চিলেকোঠায় ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে
শব্দসঙ্গমে খুব নরম হয়, আর্দ্র হয়
তারপর নেমে আসে সিঁড়ি বেয়ে মধ্যাহ্নে অথবা রাতের সেই সময়ে
যখন, মানবীর শরীর হয় দেহফল
প্রেম-ভর করা কিশোরী অবোধ আঙুলে ভাবনানাটাই-এ পিচ্ছিল কন্ঠ রাখে
এক একটা অক্ষর বিলম্বিত জ্যাকেটে অপবিত্র শ্বেদ রাখে
দহনের বৈসাম্যের গড়ে উঠে কুয়াশার বর্তুল বিবেক
তখন কবিতা ধরা দেয়, বলে: স্বপ্নবোধের পরম্পরায় তোমাকে লেখা আমার
নিবেদন ততটা মোহনীয় নয়, অবাধ্য মাতাল শাসক শোকগাঁথা পুড়িয়ে
আমারও সমুদ্র ভরা তরঙ্গে একটা সস্তা পালতোলা ডিঙি ভাসিয়ে উজানে
যাবে, যেখানে মেয়েটি ভুলভাল ছবি আঁকে!
ছবি আঁকার ফাঁকেফুঁকে সে গল্প লিখতো যখন
তার কান্না ভরা গল্পমালা কখনও ভীত
কখনও বিশুষ্ক মেয়েটির কথা মনে করিয়ে দিত
রাত বাড়ার সাথে সাথে যে একাকী হয়, জোছনা আর
প্রগলভ নক্ষত্র পাশ কাটিয়ে সে কথা বলে জান্তব-জ্বীনের সাথে
চুমকী আবির ঝুমঝুম করে ছড়িয়ে দেয় অস্ফুট ভোরকথা
কিছুটা বিরাগ হয়ে, তোমার দিকে তাকাবে যখন
আমার এই পাড়ি দেওয়া মহাসময় অন্তিম রহস্যবর্তিনীর
ঠিক এই বিন্দুতে নিশ্চল থাকুক, তা চাইবার উৎপ্রেক্ষা
আমাকে ভোলাবে কবিতা না লেখার যাতনা।
তার বাক্তিগত সুখে কবির শোক মেশাতে চাই না আমি
তার অবাক পেন্সিলের আঁচড়কে ভুলভাল বলার দুঃসাহস যদিও
কবির ক্ষুদ্রতা তবুও কবি এভেবে প্রবোধ দেবে নিজেকে যে
মেয়েটি তার ছবি আঁকেনি কোন!
তুমি বলেছিলে- কবিতার ধরন কেমন হতে পারে,
আমার ভালো লাগায় কি মুল প্রেষণা নয়!
রবি ঠাকুরের চেয়ে যদি বিষ্ণু দে আমার ভালো লাগে তবে
আমি কি অগোত্রের মালতি ফুল অথবা শকুন্তলার ভুলে যাওয়া
দুষ্মন্ত হয়ে যাবো; কবিতা কি এতটা নির্মম হবে-
পাঠক কি অবাধ স্বাধীনতার নামে কবিকে করবে সম্ভ্রমহীন!
এসব দারুণ তর্কে তোমার মোবাইলের চার্জ ফিকে হয়ে এলে
তুমি উঠে যেতে, করুন বেহালায় তানপুরা বাজিয়ে বলতে-
আবারো কবিতা পড়বো, আবারো কবিতার মেয়ে হয়ে যাবো!
আহা! কবিতার মেয়ে, আহা! মধ্যরাত
সাঁড়াসী দিয়ে অক্ষর তুলে তুলে এক একটা পদ্য
কড়া লিকারের অবোধ বিষ্ময় খাটের তলায় থাক
ঝুম করে নামা বৃষ্টিতে তোমার চোখের পাপড়ি রাখো
আমি লতানো এক সানকি দেবো তোমার অশ্রু ভরে রাখার জন্যে
জমে জমে মুক্ত হবে সে অজস্র জলবিন্দু
আমার কবিতার পূণ্যি বিপুল অগ্রাহায়ণে মেঘনার পাড়ে বুনো
ফুল হয়ে রবে;
অতঃপর পরস্পর এই অভিজ্ঞান ঠোঙায় মুড়ে শেষ করি কবিতা-
বাধাহীন জীবন কবিতা আনে না, দেহটাকে আনে পোষাকে
শ্বাপদ তরু নিজেই শব্দ আবেগ বিষাদ আর খেয়ালে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার, শুভেচ্ছা রইল!
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০১
শায়মা বলেছেন: এই কবিতা প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ভাইয়া .....
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১৯
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: ব্লগার এরিসের কথা মনে আছে? তার একটি ছবি পোষ্টে ব্যবহার করেছিলাম।
অনেক আগের কবিতা। আমার প্রথম কবিতা গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল।
আশা করি ভালো আছেন, কৃতজ্ঞতা জানবেন!
শুভেচ্ছা রইল!
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:২০
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরি ভালো আছেন। শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার কবিতা।