নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোলাগে,ভাবনার আকাশে পাখা মেলতে...

বুরহানউদ্দীন শামস

আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।

বুরহানউদ্দীন শামস › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'মুসলিম শাসকরা ধর্মান্তরে বাধ্য করালে ভারতে হিন্দুই থাকত না’ : অধ্যাপক শেলডন

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬


যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ও ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক শেলডন পোলক বলেছেন, মুসলমান শাসকরা জোর করে ধর্মান্তর করালে ভারতে একজনও হিন্দু থাকত না। কারণ, মুসলমান শাসকরা ভারতে প্রায় বারোশো বছর রাজত্ব করেছিলেন।পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকায় বুধবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নিজেকে ‘ইহুদি ব্রাহ্মণ’ বলেন পরিচয় দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়া চর্চার অধ্যাপক শেলডন পোলক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মূর্তি ক্লাসিকাল লাইব্রেরি ইন্ডিয়া প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক তিনি। সম্প্রতি জয়পুর লিটারারি ফেস্টিভ্যালে এসেছিলেন পোলক।পোলককে প্রশ্ন করা হয় যে ‘অনেকে বলেন, ইসলামি আক্রমণের পর সংস্কৃতের পতন হল, শাসকের দাপটে সবাই উর্দু, ফার্সি শিখতে ছুটল।’জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজে কথা। তোমাদের বাংলার নবদ্বীপ বা মিথিলা সংস্কৃত ন্যায়চর্চার কেন্দ্র হয়েছিল সুলতানি আমলে। দারাশিকো বেদান্ত পড়ছেন বারাণসীর পণ্ডিতদের কাছে। মুসলমান শাসকরা এ দেশে প্রায় বারোশো বছর রাজত্ব করেছিলেন। তারা জোর করে ধর্মান্তর করালে এ দেশে একজনও হিন্দু থাকত না। তাদের উৎসাহ না থাকলে সংস্কৃতও টিকে থাকত না। ধর্মের সঙ্গে ভাষার উত্থানপতন গুলিয়ে তাই লাভ নেই।’
সংস্কৃত এবং ধ্রুপদী সাহিত্য চর্চায় ভারত কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে জানতে চাইলে সমসাময়িক বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি ভাষার এই পণ্ডিত বলেন, চাই মুক্ত, বহু স্বরকে সম্মান করার মতো পরিবেশ। সংস্কৃতকে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণের মানুষ সংরক্ষণ করেনি, সমাজের সব অংশের সেখানে ভূমিকা রয়েছে। কোনো ডিভাইসিভ, এক্সক্লুশনারি, মেজরিটারিয়ান রাজনীতি তাই সংস্কৃতের অন্তরায়। দরকার সকলকে নিয়ে মুক্ত আনন্দের সৃষ্টিশীল পরিবেশ। পরাজিতের বিষণ্ণতাবোধ থেকে সংস্কৃত পড়া যায় না, দরকার বহু স্বরের বহু স্তরের আনন্দের উপলব্ধি।’
তিনি বলেন, প্রথমেই রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থান নামে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটির খোলনলচে বদলাতে হবে। ব্রাহ্মণ, অব্রাহ্মণ, মুসলিম, দলিত সব মিলিয়ে ভারতে কত জন সংস্কৃত পড়ে? কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবু আমার ধারণা, সাড়ে সাত কোটি। সংখ্যাটা তিন কোটি হতে পারে, দশ কোটিও! এই সাড়ে সাত কোটি ছাত্র কী শেখে, কতটুকুই বা শেখে? কিচ্ছু না। তাদের দোষ নেই, শেখানোর লোক কোথায়? ফলে প্রথমেই দরকার আন্তর্জাতিক মানের একটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ক্লাসিকাল স্টাডিজ। এ দেশে এত আইআইটি, আইআইএম! সবাই ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং আর ম্যানেজমেন্ট পড়তে ছুটছে। কিন্তু ধ্রুপদী সাহিত্যচর্চার একটা কেন্দ্র নেই? সেখানে মেধার চর্চা হবে, সেরা লোকেরা পড়াবেন ও গবেষণা করবেন। তখনই দ্বিতীয় প্রজন্মের স্কলারেরা তৈরি হবেন। এটাই সবচেয়ে জরুরি।’

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: পবিত্র কোনআনে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে। আবার জোর পূর্বক বা ভয় ভীতি দেখিয়ে ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করানোও নিষেধ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: হ্যাঁ
এজন্য তারা এমন কাজ করতে পারেনি...
ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: তাহলে আজ কি অবস্থা হতো?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: হয়তো এমন জঘন্য দিন দেখতে হত না...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমত।

আমরা চাই সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সবার মধ্যে সহনশীলতা ও ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হোক।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বিজেপি কিংবা গোরক্ষকরা যদি এমন বুঝত? তবে নরেন্দ্র মোদি এখন কিছুটা বুঝছেন। দল বুঝলে ভাল!

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

ক্স বলেছেন: মুসলিম শাসকদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল অন্য মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হিন্দু শাসকদেরকে সহায়তা দেয়া - বাজিরাও মাস্তানি সিনেমায় এমনটা দেখানো হয়েছে। নিজামের সুলতান মহীশূরের সুলতানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মারাঠা বাহিনীকে সৈন্য দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। এরকম উদাহরণ ভূরি ভূরি আছে।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব ইতিহাস নিয়ে ভারতে চর্চা হয় না বেশী। পাছে হিন্দুদের দাপট কমে যায়...

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০০

এটম২০০০ বলেছেন: Its true that the Muslims whole heartedly try to convert the local people. If they endeavored that they could do, because they were ferocious and had no hesitation to raping and blood shed.
However, they discovered that exploiting non-Muslims was much sweeter then doing the same to the Muslims. EVERY THING THEY DID IN INDIA THEY DID IN THEIR SELFISH INTEREST.

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম ছাড়া এক মুহূর্ত টিকে থাকা সম্ভব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.