নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা পাই, তাই লেখে যাই!

বিদগ্ধ

আমার নাম বিদগ্ধ। সত্যের দাহে বিশেষভাবে দগ্ধ। আমি একজন বাংলাদেশী। ঢাকায় থাকি। নিজের অভিমত প্রকাশ করার জন্য ব্লগিং করতে চাই।

বিদগ্ধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪ ফ্রেব্রুয়ারি: ভালোবাসা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

ভালোবাসা দিবসে ভারত ও বাংলাদেশে দু'টি পরস্পর-বিরোধী রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ ভারতের ঘটনাটি ভালোবাসা দিবসের অনুকূলে এবং বাংলাদেশের ঘটনাটি প্রতিকূলে ঘটেছে। এদেশে ভালোবাসা যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভালোবাসা একটি ফ্যাশনের নাম।





কিন্তু পৃথিবীর এই অঞ্চলটিতে রাজনীতি ছাড়া কোনকিছুকে ঠিকমতো পরিমাপ করা যায় না। ভালোবাসাকেও নয়। তাই ভারত এবং বাংলাদেশের পরস্পর-বিরোধী রাজনৈতিক ঘটনাটি সেভাবেই মূল্যায়ন করছি। আজ ভারতের দিল্লিতে একটি নবগঠিত আঞ্চলিক দলের আনুষ্ঠানিক ক্ষমতারোহন হলো। দিল্লির অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আম-আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জানি না তার কোন পূর্বপুরুষ খেজুর-ওয়ালা ছিলেন কিনা, কিন্তু আবেগের ব্যবসায় এই ব্যক্তি পুরো সফল। গতবছর ক্ষমতায় এসেও ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সঙ্গে বনাবনতি না হওয়ায় দু'মাস যেতে না যেতেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এই কেজরিওয়াল। সিদ্ধান্তটি শতভাগ ভুল ছিল, এজন্য পরবর্তীতে তিনি একাধিকবার দিল্লির জনতার কাছে ক্ষমাভিক্ষা করে এবার ভোটে এসেছেন।





ভালোবাসা দিবসে আজ বাংলাদেশের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে চললো বিএনপি ও তার সহযোগী দলগুলোর বিক্ষোভ সমাবেশ। সরকার আইনশৃঙ্খলার কথা বলে আগের (৫ ফেব্রুয়ারি) মতোই তাদেরকে মাঠে নামতে দেয় নি। অন্তত রাজধানীতে আন্দোলনকারীদের কোন বিশিষ্টতা চোখে পড়ে নি। অতএব তারাও পূর্বের নিয়ম রক্ষা করে আগামি তিন দিনের জন্য হরতাল ডেকেছে। এই হলো বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রধানতম ঘটনা। ছোট ছোট ঘটনায় তরুণ-তরুণীরা আজ বাসন্তী রঙে সেজেছিল: কী কর্মক্ষেত্রে কী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ফুলের যোগান দিতে রাস্তার পাশে অগণিত ফুলের দোকানও বসেছিল আজ। বইমেলায় ছির স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভিড়।





ভালোবাসা দিবসকেন্দ্রীক হওয়া উচিত নয় এবং এর তীব্র বিরোধীতা করে এমন মানুষের সংখ্যাও এদেশে কম নয়। বিশ-পঁচিশ বছর পূর্বে যখন প্রেম দিবস ছিল না, তখনও এদেশে প্রেম ছিল - ভালোবাসারও কমতি দেখি নি। মুসলিম প্রধান দেশের প্রবীণেরা বরাবারই এর বিরোধীতা করে এসেছে। কিন্তু তবু তারুণ্যের জয়কে নিশ্চিত করে দিয়ে বছরকে-বছর এর আয়োজন বেড়েই চলেছে। তরুণদেরকে কে থামাবে? তারুণ্যকে উৎযাপন করার জন্য একটি বিশেষ দিন থাকা চাই। আমি একে তরুণ দিবস মনে করি। প্রবীণেরা রাজনীতিতে থাকুক, আর দূষিত করুক রাজনীতির মাঠ, সেখানে নবীণেরা ভালোবাসার উচ্ছ্বাস নিয়ে ফিরিয়ে আনুক শান্তি, ফিরিয়ে আনুক সকল বয়সের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা-বাসি।



ভালোবাসা ট্রেন্ড না হোক - থাকুক বছর-জুড়ে। জয় হোক তারুণ্যের!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৮

প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

বিদগ্ধ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগল।
+++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

বিদগ্ধ বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৩

তুষার কাব্য বলেছেন: ভালোবাসা ট্রেন্ড না হোক - থাকুক বছর-জুড়ে। জয় হোক তারুণ্যের!

তবে তাই হোক।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

বিদগ্ধ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

আবু শাকিল বলেছেন: ভালোবাসা ট্রেন্ড না হোক - থাকুক বছর-জুড়ে। জয় হোক তারুণ্যের![/sb


লেখকের সাথে সহমত।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

বিদগ্ধ বলেছেন: সহমতের মানুষই আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.